![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।
ধর্ষণ সর্ম্পকে আলোচনা করার আগে আমাদেরকে জানা প্রয়োজন ধর্ষণ কাকে বলে?
যখন কোন ব্যক্তি কাউকেজোর পূর্বক বা তার সম্মতি ব্যতিতযৌন আচরণ বা যৌন মিলন করে তখন তাকে ধর্ষণ বলে।
এবার বাংলাদেশের ধর্ষণের হালচিত্র নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ধর্ষণ বর্তমানে আমাদের সমাজে এক চরমতম সংকট ও মারাত্মক আতংক। যারা নিয়মিত পত্রিকা পড়ে তাদের কাছে ধর্ষণ শব্দটা বেশী পরিচিত। এমনকি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও ধর্ষণ শব্দটির সাথে পরিচিত। বর্তমানে পত্রিকা হাতে নিলে প্রথমে নজরে পড়ে ধর্ষণের লোমহর্ষক কাহিনী। পত্রিকার পাতায় এমন কোন দিন বাদ নেই যে ধর্ষণের খবর আসে না। পত্রিকার খবর ছাড়াও দেশের আনাচে কানাচে কতনারী যে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে তারকোন হিসেব নেই। দেশের কোথাও না কোথাও ৩ বছরের কন্যা শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। ধর্ষণের নেশায় কিছু মানুষরুপী নরপশুরা এসব নিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে যা ভাষায় প্রকাশ করা দুষ্কর। বর্তমানে এসব মানুষরূপী নরপশুদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশু কন্যা, বৃদ্ধা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীকে ধর্ষণের ফলে তাদের যৌনাঙ্গের গ্রন্থি ছিঁড়ে যায়। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এমতাবস্থায় অনেক শিশুর প্রাণহানী ঘটে। এর মধ্যে যারা ধর্ষিতা হয়ে বেঁচে থাকে তাদের জীবন হয়ে যায় অন্ধকার। তাদের বিয়ে নিয়ে দেখা দেয় পরিবারও সমাজে চরম অনিশ্চয়তা। কিন্তু ধর্ষকের বিয়ে অনায়াসেই হয়ে যাচ্ছে। তাদের পোহাতে হয় না কোন লাঞ্ছনা। অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা ঢাকতে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়। প্রতিদিন দেশের আনাচে কানাচে কতইনা অবলা নারী ধর্ষিত হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। অনেকে লোক লজ্জার ভয়ে ধর্ষণের কথা কারো কাছে প্রকাশ করে না। যতই দিন অতিবাতি হচ্ছে ততই ধর্ষণের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আগে ধর্ষণ হতো গোপনে আর এখন ধর্ষণ হয় প্রকাশ্যে খোলা মাঠে, চলন্ত বাসের মধ্যে। যেখানে একজন নারীকে হাত পা বেঁধে দল বেধে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হচ্ছে। যাকে গণধর্ষণ বলা হয়। ধর্ষণ কারীরা শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, ধর্ষণের পর খুন করা হয় ধর্ষিতাকে। মা-বাবার সামনে মেয়েকে, ভাইয়ের সামনে বোনকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে, ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। এসবকরেও ধর্ষকরা শান্তি পাচ্ছে না। তারা এখন ধর্ষণের দৃশ্যকে ভিডিও করে ব্লু-ফিল্ম বানিয়ে রমরমা ব্যবসা করছে। ইদানিং ইন্টানেটেও ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে। যা জাহেলিয়াতের যুগকে হার মানাচ্ছে।
বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। এ দেশের ৯০% মানুষ মুসলমান। অথচ এদেশেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ শিক্ষাঙ্গনে ধর্ষণের সেঞ্চুরী হয়। তারপরও ধর্ষক বুক ফুলিয়ে রাস্তা ঘাটে হাঁটে। অথচ এদেশের সরকার পারেনি তার বিচার করতে। এ যদি হয় দেশের অবস্থা তাহলে কিভাবে আমাদের মা বোনরা রাস্তা ঘাঠে চলাফেরা করবে? এ দেশের একজন নাগরিক হয়ে লজ্জায় রাস্তায় বের হতে ইচ্ছে করে না। যে দেশের সরকার ও প্রধান বিরোধী দলসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের অবস্থান সে দেশের নারী সরকার পারেনি ধর্ষণকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে। তাহলে কিভাবে এ দেশের অসহায় নারীরা ধর্ষণের হাত থেকে রেহায় পাবে?
এতক্ষণ ধর্ষণের সংক্ষিপ্ত চিত্রতুলে ধরলাম। এবার আসা যাক নারী ধর্ষিত হাওয়ার কারণ কি?
ধর্ষণের একাধিক কারণ আছে। এর মধ্যে তথ্যানুসন্ধান করে দেখা গেছে ধর্ষণ প্রবণতা বৃদ্ধি পাবার মূল কারণগুলো হলো, নগ্নতা, অতৃপ্ত যৌন আকাঙ্খা, বেহায়াপনা, অবাধ যৌনাচার, রাস্তার পাশে দেয়ালে নগ্ন পোস্টার, ফুটপাতে অশ্লীল ছবি সম্বলিত যৌন উত্তেজক অবৈধ বইয়ের রমরমা ব্যবসা, অশ্লীল পত্রপত্রিকা, অশ্লীল ছায়াছবি প্রদর্শন, ব্লু-ফিল, বাংলা চলচ্চিত্রে খলনায়ক কর্তৃক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের দৃশ্যের মাধ্যমে সমাজে রাস্তাঘাটে বাস্তবে ধর্ষণ করার উৎসাহ যোগান, ইন্টারনেটে অশ্লীল সাইটগুলো উম্মুক্ত করে দেয়া, প্রেমে ব্যর্থতা, টুয়েনটি প্লাস চ্যানেলে নীল ছবি প্রদর্শন ইত্যাদি কারণে আজ যুবসমাজের মধ্যে দিন দিন ধর্ষণ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধর্ষণের আরো একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে অভিভাকদের উদাসীনতা।
পরিশেষে বলতে চাই, ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে কঠোর আইন প্রয়োগ করে ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। আর সমাজ থেকে নগ্নতা, বেহায়াপনা দূর করতে হবে। ব্লু-ফিল্ম দেখানো নিষিদ্ধ করতেহবে। অশ্লীল পত্রপত্রিকা ও বইয়ের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। ছেলে-মেয়েদেরকে যথাসময়ে বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বপরি আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। উপরিউক্ত লক্ষণগুলো দূর করতে পারলে আশা করা যায় কিছুটা হলেও সমাজ থেকে ধর্ষণ প্রবনতা কমবে। তা না হলে কষ্মিনকালেও ধর্ষণ প্রবণতা রোধ করা যাবে না।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩
আমির হোসেন বলেছেন: ধর্ষণের কারণ ও প্রতিকার নামক এই লেখাটি আমার নিজস্ব লেখা। ২০০৪ সাল থেকেই বিভিন্ন পত্রিকা, ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে আসছি। আপনি আমার লেখাটি হুবহু কপি পেস্ট করে নিজের নামে এখানে প্রকাশ করলেন। এমনটা কোন লেখকের কাছ থেকে আশা করিনি। আশ করি ভবিষ্যতে এভাবে অন্যের লেখা প্রকাশ করবেন না।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ধর্ষণ বন্ধ করিতে হইলে আগে সংস্কৃতি পরিবর্তন করিতে হইবে ! একটি ১৮+ পোস্ট!
প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় সংযুক্ত করিলাম !
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২১
কাউসার আলম বলেছেন: ধর্ষিত বাস্তবতা
-ভাই ঐ দিকে এক মেয়ে ধর্ষণ হইছে! শুনছেন নাকি কিছু?
---ওহ তাই নাকি! খুবই দুঃখ জনক। খুবই দুঃখজনক।
-জ্বি! আরো দুঃখজনক হল যে ধর্ষণ করছে সে আমার শ্যালক!
---ওহ মাই গড!
-এখন কিছু বুদ্ধি সুদ্ধি দেন কি করে ঘটনাটা ধামা চাপা দেয়া যায়?
---এই কথা! এইটা কোন ব্যাপারই না। ঐ মেয়ের খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন স্কারট পড়ে কিনা? আর এমন সময় কোন মেয়ে বেরহয়? বেহায়া বেলাজকোথাকার!
-ঠিক বলেছেন। ওই রাস্তায় ঘোরা ফেরা করে নিজেকে দেখিয়ে বেড়াবেআর কেউ একটু আদর করলে হয়ে যাবে ধর্ষণ তাই না?
---কি আর বলব বলেন ভাই! সমাজটা রসাতলে গেছে!
-জ্বি ভাই! আপনি প্রভাবশালী লোক। আইন কানুন বোঝেন। আপনার মত শিক্ষিত লোক যেইভাবে ঘটনাটা বুঝছেন দেশের মূর্খ লোক তো তা বুঝবে না। ঐ দেখেন একটা ছোটখাট মিছিলও বের করছে ''ধর্ষকদের ফাঁসিচাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই।''
---ভাই টেনশন নিয়েন না। আমি ব্যাপারটা দেখতেছি। আর ধর্ষণের শাস্তি আবার কি? কোনভাবে প্রমান কইরা দিবেন মেয়েটা চরিত্রহীনা! ব্যস কেল্লাফতে!
এমন সময় ঘরে হতদন্ড হয়ে ঘরে চাকরের প্রবেশ। ভাই সর্বনাশ হয়েগেছে! আপনার ছোট মেয়ে মানে আমাদের আপা মনি রে পাড়ার এক লম্পটে ধর্ষণ করছে। আপনার সামনে যেই ব্যাটা বইসা আছে তার শ্যালক।
---কি!!!!! ওরে আমি কাইটা টুকরা টুকরা কইরা কুত্তা দিয়া খাওয়ামু । আমার নিষ্পাপ মাইয়া!
এই হল সমাজের বাস্তবতা! আমরা আপন আত্মীয় স্বজনের ক্ষেত্রে যে রায় দেই তা অন্যের আত্মীয় স্বজনের ক্ষেত্রে দেই না। তাই সমাজ থেকে অনাচারও কমে না।
তাই আসুন সবার আগে নিজেকে বদলাই আপনা আপনিই বদলে যাবে সমাজ।
লেখিকাঃ দীঘি