নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে লিখার মত এত মহান হইনি। আমি কোন স্পেশাল কেউ না, আর আমার জন্যও কেউ স্পেশাল নয় একমাত্র আমার মা ছাড়া।

কবি নজরুলের ছাত্র

মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি।

কবি নজরুলের ছাত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাস্তবতা।।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৫


২৮ তালার বিল্ডিংয়ের উপর থেকে বস্তির ঝোপড়িগুলি দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়, আপনি চাইলে হাই ল্যান্সের ডিজিটাল ডি এস এল আর দিয়ে ছবি তোলে আপনার আলোকসজ্জাময় বিশাল বাড়ির একটি কামরার দেয়ালে টাঙিয়ে রাখতে পারবেন।
একসময় বিদেশী কোন বন্ধু আপনার বাড়িতে বেড়াতে এলো, আপনি আপনার কামরায় থাকে নিয়ে গেলেন এবং এই ছবিটি দেখালে আপনি অনেক প্রশংসা পেলেন, অনেক বাহবা পেলেন, আপনি এই ছবিটি তুলতে পেরে নিজে প্রাউড ফিল করলেন।
.
দেখা গেল কোন একসময় সেই বস্তির কোন এক ছেলে আপনার বাড়িতে ঢুকতে চেষ্টা করলো।
বাড়ির সামনে বিশাল গেইটে গ্রেজুয়েটেড বিশাল দারোয়ান, সেকি ঢুকতে পারবে?
কিন্তু আপনার বেডরুম অথবা ড্রয়িংরুমে এদের বস্তির তোলা ছবিটি এখনো দুলছে।
.
হয়তবা দেখা গেল রাস্তায় জ্যামে আপনার অডি/বি এম ডাব্লিউ / মার্সিডিজ কার আটকে গেলো, রাস্তার ওপাশে থাকা একটি বাচ্চা ছেলে দৌরে আপনার গাড়ির সামনে।
স্যার ফুল নিবেন, স্যার ফুল নিবেন বলে চিল্লাচ্ছে, আপনি কি গাড়ির দরজা খুলবেন?
হয়ত না, আপনার এসির দামী হাওয়া কেনই বা খুলবেন। আপনার চোখে হয়ত তখন থাকবে রঙিন চশমা, খুলার কোন মানেই হয়না।
.
কখনো যদি অসহায় অনাহারী ছেলেপিলে আপনার জামা ধরে কেঁদে বলে স্যার পাঁচটা টেকা দেন, সারাদিন কিছুই খাইনি, ক্ষুদায় মইরা গেলাম, তখন আপনি কি করবেন? হয়তবা দেখা গেলো আপনি ঝাড়ি দিয়ে এদের দূরে ফেলে দিলেন, আপনার গায়ে পান আমিরিকার শার্ট,রেমন্ডের কোর্ট,পলোর টাই, এডিডাসের জুতা এসব এদের চোয়ায় খারাপ হয়ে যাবে। আপনি যদি রাগি হন এসব জামা কাপড় খুলেও ফেলে দিতে পারেন তৎক্ষণাৎ।
কিন্তু পাঁচটা টাকা এদের দিতে অস্বীকার করবেন।
.
রাস্তায় কখনো যদি সেই বস্তিরই কোন ছেলে আপনার গাড়ির সামনে পড়ে যায়, তখন কি করবেন?
আপনার ড্রাইভার হয়ত গাড়ি থেকে নেমে সেই ছেলেটা দুইচারটা চড় থাপ্পড়, খিল ঘুষিও বসিয়ে দিতে পারে,
হারামজাদা এত দামী গাড়ির নিকটে আসিস, তোর এত বড় সাহস! আপনি ব্যপারটা প্রত্যক্ষভাবে দেখেও গাড়ি থেকে নামবেন না, হাতে সময় নেই।
.
বাস্তবতা বড়ই কঠিন ও নির্মম, এসব বিত্তহীন, চিত্তহীন মানুষদের জন্য দয়া সহানুভূতি সবার মনে থাকেনা।
২৮ তলা বিল্ডিং থেকে ডি এস এল আর দিয়ে বস্তির ছবি তোলা যেতেই পারে, সেটা অনেক সহজ।
কিন্তু ২৮ তলার নিচের মানুষদের জানা অনেক কঠিন।
এই ২৮ তলা নিচের মানুষগুলি আছে বলেই আপনার এত বড় বিল্ডিং দাঁড়িয়ে আছে সমতল ভূমিতে।
যদিনা এসব নিচের মানুষগুলি থাকতো, আপনার এই সুউচ্চ প্রাসাদও থাকতোনা।
.
লিখা : Al-Amin Ahmed
( কাজী নজরুলের ছাত্র)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

নোমান প্রধান বলেছেন: নির্মমতাই যেনো আধুনিকতা

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৫

কবি নজরুলের ছাত্র বলেছেন: আধুনিকতার নামে মানুষ পশুর চেয়েও নিচে নেমে যাচ্ছে।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৩

রাস্তার সম্রাট বলেছেন: অসাধারণ লেখা। বেশ কিছু বানান ভুল ছাড়া। পরের লেখার জন্য শুভকামনা :-)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৪

কবি নজরুলের ছাত্র বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভকামনা রইলো।
পরেরবার বানানে খেয়াল থাকবে।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

ঋদ্ধি বলেছেন: ভাল বলেছেন। কিন্তু সমাধান কোথায়? সমাধান তো খুজতে হবে। বাস্তবতা আমরা সবাই কম-বেশি জানি কিন্তু সমাধানের জন্যে আমরা কতটুকু চিন্তা করি? কেন বাচ্চারা ফুল বেচে? খাবারের জন্য ভিক্ষা করে? সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্যের দায় আমাদের সবার নয় কি? আমরা অধিকাংশই ঐ ২৮ তালা বিল্ডিংয়ের উপরে থাকিনা কিন্তু এ বাস্তবতার দায়ও অস্বীকার করতে পারিনা।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৭

কবি নজরুলের ছাত্র বলেছেন: আপনি আমি হয়ত হাজার চেষ্টা করেও এর সমাধান করতে পারবোনা।
যদিনা ওইসব মানুষ তাদের দৃষ্টিভঙী না বদলায়।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আল্লাহ্কে বিশ্বাস করি তাই বলছি,আল্লাহ্ কিছু উৎকৃষ্
মানুষ বড়লোক বানায়,আর কিছু নিকৃষ্ট মানুষকে বড়
লোক বানায়,
বড়লোকদের বড়লোকী চলে গরীবের দেখিয়ে। তানা
হলে বড়লোকী টিকবে কেমনে।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৮

কবি নজরুলের ছাত্র বলেছেন: তা ঠিক, তবে কয়দিনের জন্য এই বড়লোকি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.