নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাজী জহির উদ্দিন তিতাস ১৯৮৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চিলোকূট গ্রামের কাজী বংশে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী জালাল উদ্দিন, মাতার নাম মোছা ঃ নূরুন্নাহার বেগম।

কাজী জহির উদ্দিন তিতাস

সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা কবি পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ও সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব, কেন্দ্রীয় কমিটি।

কাজী জহির উদ্দিন তিতাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বামী-স্ত্রীর এমন সম্পর্কই কি কাম্য???

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১২

আজ ২৪/০৪/২০১৭ খ্রিঃ তারিখে একটি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদ আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সংবাদটির শিরোনাম হলো “ বিবাহবিচ্ছেদের খুশিতে প্রতিবেশিদের মিষ্টি খাওয়ালেন যুবক!”। সংবাদটির শিরোনাম দেখেই বিস্মত হয়ে পড়তে লাগলাম। পড়া মেষে আতঁকে উঠলাম। ভাবলাম স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কি এরকমই হয়? আমরা আমাদের জীবনের বিভিন্ন আনন্দঘন মূহুর্তে প্রিয়জনকে মিষ্টি খাওয়াতে দেখেছি। যেমন- ছেলে মেয়ে জন্ম, পরীক্ষায় পাস, বিবাহ বার্ষিকী ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আজ প্রথম একটি সংবাদ পড়লা যা কিনা বিবাহ বিচ্ছেদের খুশিতে মিষ্টি খাওয়ানো হয়েছে সবাইকে।
পত্রিকায় প্রকাশিত অবাক করার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের রাজকোট জেলার বাঙ্কানের-এ। বিবাহবিচ্ছেদে মিষ্টি খাইয়ে সবাইকে চমকে দেওয়া যুবকের নাম জানা গেল রিঙ্কেশ রচ্ছ। পত্রিকার সূত্রে প্রকাশ, বছর তিনেক আগে স্থানীয় এক যুবতীর সঙ্গে দেখেশুনেই বিয়ে হয় রিঙ্কেশের। বেশ ধুমধাম করেই হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু, মাসখানেক কাটতে না কাটতেই ছোটখাটো নানা বিষয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে ওই দম্পতির। রিঙ্কেশ এর বক্তব্য প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, দুই জন অচেনা মানুষ একসঙ্গে থাকতে গেলে একটুআধটু মতের অমিল হতেই পারে! সম্পর্ককে একটু সময় দিলে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা নাকি একেবারেই উল্টো হয়ে গেল তার। যত দিন গড়াল তাদের সম্পর্কের ততই অবনতি হতে শুরু করল।
পত্রিকায় রিঙ্কেশ বরাত দিয়ে আরো বলা হয়েছে যে, তিনি বলেন একটা সময় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হল যে আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে আলাদা থাকার দাবি তুললেন। আমি তা-ও মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু, নিজের পরিবার ছেড়ে ওঁর সঙ্গে আলাদা থেকেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁর অভিযোগ, পরিস্থিতি একেবারে নাগালের বাইরে চলে যায় যখন মহিলা হেল্পলাইন-এ ফোন করে বাড়িতে পুলিশ ডেকে আনলেন স্ত্রী। বাধ্য হয়েই বিবাহ বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছি, বলেন রিঙ্কেশ। কিন্তু দাম্পত্যের মতো রিঙ্কেশের বিবাহবিচ্ছেদের ব্যপারটাও সহজ ভাবে হয়নি। আদালতে মোটা অঙ্কের খোরপোশ দাবি করেছিলেন রিঙ্কেশের স্ত্রী। বিপুল অঙ্কের টাকা দিতে অপারগ রিঙ্কেশ দ্বারস্থ হন আদালতের। এর পর দীর্ঘ টালবাহানার পর স্ত্রীর সঙ্গে আপোস করে সম্পর্ক ছেদ করেন রিঙ্কেশ। বিবাহবিচ্ছেদের পর বাড়িতে ফিরে পাড়া প্রতিবেশিদের মিষ্টিমুখ করান রিঙ্কেশ।
এখন আমাদের সমাজ যদি এরকমই হয়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল না থাকে তাহলে রিঙ্কেশের মতো অসংখ্য যুবকের সৃষ্টি হবে আমাদের সমাজে। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হবে মধুর। একজনের বিরহে আরেকজনের হৃদয়ে বেদনার সৃষ্টি হতে হবে। তা না হয়ে যদি বিরহে আনন্দিত হতে হয় এমন সম্পর্ক হলে তো সমাজে অশান্তি লেগেই থাকবে। তাই আমাদের সবার উচিত সম্পর্কের দিকটিতে খেয়াল রাখা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৩০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব সময় হয়ে উঠেনা। আমরা কী চাই আমরা নিজেরাই জানি না। তবে দীর্ঘকাল ঝগড়া জারি রাখার চাইতে আলাদা হওয়াই উত্তম...

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:১০

রিফাত হোসেন বলেছেন: পত্রিকায় রিঙ্কেশ বরাত দিয়ে আরো বলা হয়েছে যে, তিনি বলেন একটা সময় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হল যে আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে আলাদা থাকার দাবি তুললেন। আমি তা-ও মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু, নিজের পরিবার ছেড়ে ওঁর সঙ্গে আলাদা থেকেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁর অভিযোগ, পরিস্থিতি একেবারে নাগালের বাইরে চলে যায় যখন মহিলা হেল্পলাইন-এ ফোন করে বাড়িতে পুলিশ ডেকে আনলেন স্ত্রী।
আর আপনি বললেন,
খন আমাদের সমাজ যদি এরকমই হয়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল না থাকে তাহলে রিঙ্কেশের মতো অসংখ্য যুবকের সৃষ্টি হবে আমাদের সমাজে। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হবে মধুর। একজনের বিরহে আরেকজনের হৃদয়ে বেদনার সৃষ্টি হতে হবে। তা না হয়ে যদি বিরহে আনন্দিত হতে হয় এমন সম্পর্ক হলে তো সমাজে অশান্তি লেগেই থাকবে।

---- সাহেব যখন একটি সম্পর্ক কষ্ট দিচ্ছে, শত চেষ্টা করেও ধরে রাখা যাচ্ছে না, তখন আলাদা হওয়া ভাল। বিরহ যা হবার হয়ে গিয়েছে, অনেকে সহ্য করতে পারে অনেকে পারে না। আমি হয়ত পারতাম না, ঐ ছেলেটি পেরেছে হাসি মুখে! তাতে আপনার বা আমার সমস্যা থাকা উচিত নয়। ঐ মেয়ে সাথে না থাকলে জীবন থেমে থাকবে না নিশ্চয়ই।
----

পোষ্টে মাইনাস, মন্তব্যে ++ বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব সময় হয়ে উঠেনা। আমরা কী চাই আমরা নিজেরাই জানি না। তবে দীর্ঘকাল ঝগড়া জারি রাখার চাইতে আলাদা হওয়াই উত্তম...

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

কাজী জহির উদ্দিন তিতাস বলেছেন: রিফাত হোসেন আপনি ঠিকই বলেছেন, তবে আমার বক্তব্য হচ্ছে যে, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যাতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় যাতে করে পুলিশ ডেকে আলাদা হতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.