নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাজী জহির উদ্দিন তিতাস ১৯৮৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চিলোকূট গ্রামের কাজী বংশে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী জালাল উদ্দিন, মাতার নাম মোছা ঃ নূরুন্নাহার বেগম।

কাজী জহির উদ্দিন তিতাস

সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা কবি পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ও সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব, কেন্দ্রীয় কমিটি।

কাজী জহির উদ্দিন তিতাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্য

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে এসেছে অতিথি পাখি। শীতের শুরুতে পাখিরা এখানে আসে এবং পাঁচ মাসের ও অধিক সময় অবস্থান করে। আবার গ্রীষ্মের শুরুতে কাল বৈশাখী ঝড় আসলে পাখিরা এখান থেকে চলে যায়। ঐই সময় পাখিদের দূর্বলতার সুযোগে শিকারীদের হাতে মারা পরে অনেক পাখি। দূরদূরান্ত থেকে পাখিপ্রেমী লোকজন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য এখানে ছুটে আসে। পাখি দেখতে এসে আশেপাশে কোনো ভোজ-বিশ্রামাগারের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় দর্শনার্থীদের। তবে সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে পাখি রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে বলে ধারনা এলাকাবাসীর।

বিকেল হলেই পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠে ইসলামপুরের কাজী বাড়ি এলাকাটি। কাজী মো: রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায় প্রতিদিন ক্লাস শেষে অবসর সময় এখানে ঘুরতে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো এসেছে হাজারো বক-জাতীয় শীতের অতিথি পাখি। প্রতিবছর ই এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কেউ কেঊ বলেন শীতের শুরুতে বছরের নভেম্বর মাসে উত্তরের হিমালয় থেকে পাখিরা এখানে আসে এবং মার্চের শেষ সময় পর্যন্ত অবস্থান করে। তারা মূলত বকজাতীয় পাখি। স্থানীয়রা এদের অগা বক বলে ডাকে। গাছের মগডালে পাখিদের বসবাস। পাখিরা প্রতিদিন সকালে ঝাঁক বেধেঁ খাবারের জন্য উড়ে যায় আশ-পাশের হাওড়-বিল গুলোতে। পাখিরা মূলত ছোট মাছ, শামুক ইত্যাদি খায়। সারাদিন খাবার খেয়ে সন্ধ্যা হলে ওরা নীড়ে ফিরে আসে। গ্রীষ্মের শুরুতে কাল বৈশাখী ঝড় আসলে পাখিরা এখান থেকে চলে যায়।
দূরদূরান্ত থেকে হাজরো দর্শনার্থী আসে এই পাখি দেখার জন্য। কিন্তু পাখি দেখতে এসে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, পাখিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। এখানে আসলেই পাখির কিচির-মিচির শব্দে মন মুখরিত হয়ে যায়। তবে আশে পাশে খাবারের কোনে ভালো হোটেল ও রাতে থাকার ব্যবস্থা না থাকায় এখানে বেড়াতে এসে অনেক অসুবিধার মুখে পড়তে হয়।
এলাকাবসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, অতিথি পাখিরা তাদের বন্ধু। গত দশ বছর যাবত পাখীরা এই এলাকায় আসতে শুরু করেছে। তবে বর্তমানে এদের সংখ্যা অধিক।
কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশারফ হোসেন বলেন, কয়েক বছর আগে পাখিরা খাল-বিলে আহার করতে গেলে শিকারীরা মেরে ফেলত। আমি পাখি সম্পর্কে এলাকাবাসীদের সচেতন করি। আর তাদের নিয়ে পাখি রক্ষার অভিযান শুরু করি। ফলে পাখির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষে সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে এই পাখি রক্ষায় সবাই এক্যবদ্ধ হবে এবং ইসলামপুরের কাজী বাড়ী এলাকায় পাখির অভয়ারন্য গড়ে উঠবে বলে জানায় এলাকাবাসী।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: অতিথি পাখি---

সরকারের এ বিষয়ে বিশেষ ঞ্জর দেয়া দরকার।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: অতিথি পাখিরা যেন অতিথির মতোই সেবা পায় সেক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের সুনজর থাকা উচিত।

ইদানিং আমাদের দেশের বাড়িতেও অতিথি পাখিদের অানাগোনা নাকি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভালো খবর। আগে দেখতাম এই সব বড় বড় পাখিরা মাঠে নামলেই কিছু মানুষ বন্দুক নিয়ে কতল করার জন্য উঠে পড়ে লাগত। মানুষ সচেতন হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.