নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মফস্বলের ব্লগার ......।

থিওরি

আমারর ব্লগবাড়ীতে আপনার সুস্বাগতম । ইনটারনেট বিপ্লবের যুগে কোন তথ্য যদি সার্চ দিয়ে না পাওয়া যায়, সত্যিই বিরক্তিকর! এই বিরক্তি কিছুটা দূর করার জন্যই আমার ব্লগি ..।! প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেলে ভাল লাগবে নিজের, স্বার্থক হবে ব্লগিং! আসবেন আবার, বারবার! আমার সাইট http://www.kazisour.blogspot.com/

থিওরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ বিপ্লবী বিনয় বসুর ১০৭তম জন্মদিন

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

১৯৩০ সালের ২৯ আগস্ট সকালে বাংলার ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এফ জে লোম্যান জেল পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট মি. বার্টকে দেখতে হাসপাতালে যান। অসংখ্য পুলিশ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করে লোম্যানকে পাহারা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই লোম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিপ্লবীরা সতর্ক অবস্থায় হাসপাতালে রোগী বেশে অবস্থান করছিলেন। বিপ্লবী দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিনয় বসু। এফ জে লোম্যান তাঁর সহকর্মী মি. বার্টকে দেখে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বের হওয়ার পরপরই বিনয় বসুর রিভলবারের গুলিতে নিহত হন এবং লোম্যানের দেহ রক্ষী আহত হন। এসময় ব্রিটিশভক্ত একজন কন্ট্রাক্টর বিনয় বসুকে জড়িয়ে ধরে রাখার চেষ্টা করেন। বিনয় বসু ততক্ষণাৎ তাঁকে ১টি মাত্র ঘুষি মারেন। এক ঘুষিতে সেই কন্ট্রাক্টর যমালয়ে যান। বিনয় বসু হাসপাতালের সুউচ্চ পাঁচিলের উপর উঠে সুকৌশলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ছাদের পানির ট্যাঙ্কের উপর লাফিয়ে পড়েন এবং মুহূর্তের মধ্যে বাড়ির ভিতর দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান। লোম্যান হত্যাকারী বিপ্লবী বিনয় বসুকে উদ্দেশ্য করে সেদিন বাংলার অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁকে আর্শিবাদ করে বলেছিলেন, "ধন্যি ছেলে, দেখিয়ে গেছে আমরাও জবাব দিতে জানি"।
বিনয় বসু জন্মেছিলেন ১৯০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। মুন্সিগঞ্জ জেলাররোহিততভোগ গ্রামে। তাঁর বাবার নাম রেবতীমোহন
বসু। তিনি ছিলেন একজন প্রকৌশলী। বিনয়ের বাবা পরিবার নিয়ে ঢাকাতে বসবাস করতেন। তাই বিনয় বসু ছোটবেলা থেকেই ঢাকায় বড় হয়েছেন। ঢাকা থেকে ম্যাট্রিক পাস করে তিনি মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুল (বর্তমানের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) এ ভর্তি হন। এই মেডিকেল কলেজে পড়াশুনার সময় বিনয় বসু বিপ্লববাদী রাজনীতিতে যুক্ত হন। ব্রিটিশবিরোধী অগ্নিবিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষের সংস্পর্শে এসে বিপ্লববাদী যুগান্তর দলে যুক্ত হন তিনি।
বাল্যকাল থেকে বিনয় বসু ছিলেন প্রচন্ড জেদী ও সাহসী । বিল্পবী দলে যুক্ত হওয়ার পর তিনি তাঁর অসীম সাহস ও দূরদর্শিতা দিয়ে ব্রিটিশ শাসকদের উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার শপথ গ্রহণ করেন। বিপ্লবী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার জন্য তিনি তাঁর ডাক্তারী লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি। তিনি বিপ্লবী দলে যুক্ত হওয়ার পর সহপাঠীদের অনেককেই বিপ্লবী দলে যুক্ত করেন। ১৯২৮ সালে তিনি ও তাঁর সহপাঠী সহযোদ্ধারা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর 'বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সে' যুক্ত হন। এই বিপ্লবী দলে যুক্ত হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই বিনয় বসু এই দলের ঢাকা শাখা গড়ে তোলেন। এসময় সারা ভারত জুড়ে চলতে থাকে বিপ্লবীদের উপর পুলিশের জুলুম নির্যাতন।

১৯৩০ সালের ৮ই ডিসেম্বর বিপ্লবীরা 'রাইটার্স বিল্ডিং' আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিনয়, বাদল গুপ্ত ও দিনেশ গুপ্ত একত্রে মিলে ইউরোপীয় বেশ ভূষায় সজ্জিত হয়ে রাইটার্স ভবনে প্রবেশ করেন ও সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন।
ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনী সাথে সাথে গুলি বর্ষণ শুরু করে। গুলি বিনিময়ে টেয়ানাম, প্রেন্টিস, নেলসন সহ আরো কিছু পুলিশ অফিসার গুলিবিদ্ধ হন। তবে অচিরেই তিন বিপ্লবী পরাভূত হন। পুলিশের কাছে ধরা না দেয়ার অভিলাসে বাদল গুপ্ত পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। বিনয় ও দিনেশ পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। হাসপাতালে ১৯৩০ সালের ১৩ই ডিসেম্বর বিনয়ের মৃত্যু হয়।
বিনয়-বাদল-দিনেশের এই আত্মত্যাগের স্মরণে কলকাতার ডালহৌসি চত্ত্বরের নাম করণ করা হয় বিবাদি বাগ।

আজকে তার জন্মদিনে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

তথ্যসূত্র:
১।https://bn.m.wikipedia.org/wiki/বিনয়_বসু
২। রাগিব হাসানের ব্লগ বাংলাদেশের সাহসী সন্তান - বিনয় বস
৩। গুণীজন, বিনয় বসু।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
আজ বিপ্লবী বিনয় বসুর ১০৭তম জন্মদিন, তার জন্মদিনে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

থিওরি বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাঙালীদের রয়েছে অপরিসীম অবদান।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

দীপান্বিতা বলেছেন: বিপ্লবী বিনয় বসুর ১০৭তম জন্মদিনে তাকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ...

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

থিওরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
জন্মদিন কিন্তু চলে গেছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.