নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মফস্বলের ব্লগার ......।

থিওরি

আমারর ব্লগবাড়ীতে আপনার সুস্বাগতম । ইনটারনেট বিপ্লবের যুগে কোন তথ্য যদি সার্চ দিয়ে না পাওয়া যায়, সত্যিই বিরক্তিকর! এই বিরক্তি কিছুটা দূর করার জন্যই আমার ব্লগি ..।! প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেলে ভাল লাগবে নিজের, স্বার্থক হবে ব্লগিং! আসবেন আবার, বারবার! আমার সাইট http://www.kazisour.blogspot.com/

থিওরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরিধান : কৃষক হরিপদ কাপালি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধান

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০

একে একে ১৬ বছর বাম্পার ফলনের পর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে উফশি ধান ‘হরি’।

হরিধান একপ্রকার বিশেষ জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান। বাংলাদেশের স্বশিক্ষিত কৃষক হরিপদ কাপালী এ ধান উদ্ভাবন করেন। ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া জেলার অনেক জমিতে এখন এই ধান চাষ হচ্ছে। বিঘাপ্রতি ফলন ১৮ থেকে ২০ মণ। ধানের কান্ড পুরুষ্টু ও বিচালি শক্ত। মোটা চাল। ভাত মোটা হলেও অনেক সুস্বাদু। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আসানসোল গ্রামের কৃষক হরিপদ কাপালী ১৯৯৯ সালে নিজের ধানের জমিতে একটি ছড়া তার নজর কাড়ে। ধানের গোছা বেশ পুষ্ট এবং গাছের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এ ছড়াটি তিনি নজরদাড়িতে রাখেন। ধানের বাইল (ছরা) বের হলে তিনি দেখতে পান বাইল্গুলো তুলনামূলকভাবে অন্য ধানের চেয়ে দীর্ঘ, এবং প্রতিটি বাইলে ধানের সংখ্যাও বেশি। ধান পাকলে তিনি আলাদা করে বীজ ধান হিসেবে রেখে দিলেন। পরের মৌসুমে এগুলো আলাদা করে আবাদ করলেন এবং আশাতীত ফলন লাভ করেন। এভাবে তিনি ধানের আবাদ বাড়িয়ে চললেন। আর নিজের অজান্তেই উদ্ভাবন করলেন এক নতুন প্রজাতির ধান। মূলতঃ ডারউইনের আবিস্কৃত কৃত্রিম নির্বাচনের একটি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন প্রান্তিক কৃষক হরিপদ কাপালি। তার উদ্ভাবন আসাননগর গ্রামের মানুষের ছিল ধারণার বাইরে। রাস্তার পাশে জমি হওয়ার কারণে চারদিক এ ধানের নাম ছড়িয়ে পড়ে। ধান কাটা শুরু হলে আশপাশ গ্রামের কৃষকও বীজ নিয়ে বাম্পার ফলন পান। কৃষক এ ধানের কোনো নাম না পেয়ে নাম দেন 'হরি ধান'। এর পর থেকে হরি ধানের আবাদ বিস্তার ঘটে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে, জেলা থেকে জেলায়। সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে হরি ধানের বীজ সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে মহেশপুরের দত্তনগর কৃষি ফার্ম ও সাধুহাটি খামারে চাষ করা হয়। হরি ধানের বৈশিষ্ট্য দেখে অনেকটা অবাক হয়ে যান কৃষিবিজ্ঞানীরা। তারা জানান হরি ধানে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং অতিবৃষ্টি সহনীয়।

নিরহংকার এই মানুষটি মিডিয়ার কাছে দেশের “নিরক্ষর উদ্ভাবক” হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। কৃষক হরিকে নিয়ে কীটনাশক ওষুধ কোম্পানীগুলো নানা প্রচারে লিপ্ত।
বিগত তত্বাবধায়ক সরকার হরিপদ কাাপালীকে সাদা মনের মানুষ হিসাব পুরষ্কিত করে। এছাড়াও তিনি পেয়েছেন নানা পুরুষ্কার ও সম্মাননা।

তথ্য: হরিপদ কাাপালী হরিধান চাষী, উইকিপিডিয়া ও স্থানীয় পত্রিকা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৫

হ্যাকার সাহেব বলেছেন: দারুণ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

থিওরি বলেছেন: ধন্যবাদ হ্যাকার সাহেব।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

তারছেড়া লিমন বলেছেন: এই মানুষটার সাথে আমি দেখা করেছি ও কথা বলেছি। অসম্ভব বিনয়ি একজন মানুষ। তার শেষ ইচ্ছা নিজেদের একটা শশ্বাণ আর সেটাতেইযেন তাকে দাহ করা হয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

থিওরি বলেছেন: জ্ব ভাই। একদম মাটির মানুষ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

বাবুসোনা হক বলেছেন: আমাদের দেশে এমন কত হরিপদ আছেন আমরা তাদের খবর রাখি না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

থিওরি বলেছেন: আসুন আমাদের আশে পাশে যারা আছে তাদের খুজে বরে করি। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এটা মনে হয়না খুব কঠিন।
ধন্যবাদ বাবুসেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.