![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমারর ব্লগবাড়ীতে আপনার সুস্বাগতম । ইনটারনেট বিপ্লবের যুগে কোন তথ্য যদি সার্চ দিয়ে না পাওয়া যায়, সত্যিই বিরক্তিকর! এই বিরক্তি কিছুটা দূর করার জন্যই আমার ব্লগি ..।! প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেলে ভাল লাগবে নিজের, স্বার্থক হবে ব্লগিং! আসবেন আবার, বারবার! আমার সাইট http://www.kazisour.blogspot.com/
৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার বংশীতলায় হানাদার বাহিণীর সাথে যুদ্ধ হয় মুক্তিপাগল জনতার! মূতবরণ করে জামিলসহ পাকিস্থানের আশি সেনা ও এগারো মুক্তিযোদ্ধা।
বংশীতলার যুদ্ধের ইতিহাস জানতে আমার পূর্বের পোস্টটি দেখুন।
ছবি :বংশীতলার শহীদদের স্মৃতিফলক।
বংশীতলার যুদ্ধে শহীদ হনঃ
১। তাজুল ইসলাম -পিতা আব্দুল করিম শেখ
২। খোরশেদ আলম দিল -পিতা শাদ আহমদ
৩। শেখ দিদার আলী- পিতা নূরুল ইসলাম
৪। ইয়াকুব আলী শেখ- পিতা কুদরত আলী
৫। গোলাম মোসত্মফা রাজ্জাক -পিতা মোহাম্মদ আলী
৬। আবু দাউদ- পিতা ইয়াদ আলী গ্রাম
৭ । চাঁদ আলী মোল্লা
৮। আব্দুল মান্নান -পিতা মোজাহার উদ্দিন
৯। মোবারক মোল্লা
১০।দীন মোহাম্মদ।
১১।
বংশীতলার শহীদদের দূর্বাচারা বাজার সংলগ্ন নদীর তীরে দাফন করা হয়। শুধু দীন মোহাম্মদকে কমলাপুরে কবরস্থ করা হয়।
স্বাধীনতার ৪৪ বছর অতিবাহিত হলেও ১১ শহীদ পরিবারের খোঁজ রাখেনি কেউ। নাম মাত্র ভাতা আর বিজয় দিবসে কিছু উপঢোকন ছাড়া কিছুই পায়নি তারা। নানানভাবে ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে এ যুদ্ধে শহীদদের নিয়ে। যুদ্ধের পরের দিন বংশিতলা থেকে উদ্ধারকৃত শহীদ মেজবার আলীর লাশ এবং দাফনকৃত কবরের জায়গা দখল নিয়ে হয়েছে নানা নাটকীয়তা। পাকবাহিনীর ভয়ে ও ঝড়-বৃষ্টির কারনে পিয়ারপুর মাঠের মধ্যে দাফন করা কবরটি এক সময় অজ্ঞাত দেখানো হলেও উপযুক্ত দাবীদার না থাকায় কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে শহীদ মেজবার আলীর কবর আবিস্কার কাহিনী। এমন স্বাক্ষ্যই দিয়েছেন লাশ উদ্ধার এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে হসত্মামত্মরকারী শহীদ মোবারক হোসেন মোল্লার ছেলে লিয়াকত আলী মোল্লা, দাউদের নিজ গ্রাম সুলতানপুরের জনগণ ও বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাছিম উদ্দিন আহমেদ। অথচ ইতিহাসের মিথ্যাচারে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার ঘোড়ার ঘাটে পাকবাহিনীর অবস্থান দেখতে এসে শহীদ এবং সেখানেই সমাহিত হওয়া কয়া-সুলতানপুর গ্রামের আবু দাউদকে ৫ সেপ্টেম্বর বংশীতলার যুদ্ধে শহীদ দেখানো হয়েছে। সেই সাথে রাজনৈতিক মহা আবিস্কারে শহীদ মেজবার আলীর কবরটি হয়ে ওঠে শহীদ আবু দাউদের কবর। কেন এই মিথ্যাচার তা আজো অজ্ঞাতই রয়ে গেল। শহীদ আবু দাউদকে খাটো করে দেখানোর জন্য এই সত্য উদঘাটন নয়। সত্যের অন্বেষণে এই আলাপচারিতা। সে একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। সে সময় আবু দাউদ পাকবাহিনীর গুলিতেই নিহত হয়েছে এটিও সত্য। তার পরিবার শহীদ পরিবার, সে আজীবন শহীদের মর্যাদা পাক এটাই প্রত্যাশা। শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নির্মিত স্মৃতি সৌধে বরাবরই ১১ জনের নামের তালিকা থাকলেও এবারই প্রথম নতুন করে মেজবার আলী, সুরুজ লাল ও চাঁদ আলী সহ ১৪ জন শহীদের নামের তালিকা ঠাই পেয়েছে। এজন্য শহীদ পরিবার, যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাছিম উদ্দিন আহমেদ সহ সকল কমান্ডারকে সাধুবাদ জানিয়েছে। ইতিহাস সত্যের সন্ধ্যানে ধাবিত হয়, মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়না। মিথ্যাচার করলে জাতি ক্ষমা করেনা।
বংশীতলার যুদ্ধে ঘটনাস্থলে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা কম-বেশি আহত হন এবং ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা পাক সৈন্যের হাতে ধরা পড়েন। এ ৫ জনের মধ্যে ৩ জনের বাড়ী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানায়। বাকী ২ জনের বাড়ী হরিণাকুন্ড থানায়। বংশীতলার যুদ্ধে পাক সৈন্যের সঙ্গে ১২ জন রাজাকার এসেছিল। তার মধ্যে ৬ জন যুদ্ধ ক্ষেত্র হতে পালিয়ে যায়। বাকী ৬ জন রাজাকার পাক সৈন্যের সঙ্গে ক্যাম্পে ফিরে যায়।
স্বাধীনতা যুদ্ধে দূর্বাচারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নদীতটেে কয়েকজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়। এখানে তাদের কবর রয়েছে। শহীদদের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে জানিয়েছে, প্রতিবছর বংশীতলা দিবস ও বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের কবরে সম্মান জাননো হয়। বিশেষ দিনেই শহীদরা শ্রদ্ধা পায়, তাছাড়া অন্য কোন সময় তাদের কথা কেউই মনে রাখেনা। কবরগুলোকে আরও সংস্কার করার জন্য প্রতিবছরই অনুদান আসে কিমত্ম একশ্রেণীর মানুষ তা আত্মসাত করায় শুধু মাত্র পাকা নির্মাণেই কোন ভাবে আটকে আছে শহীদের কবর। শহীদদের পরিবারের লোকজন আক্ষেপ করে বলেন, যাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে এ স্বাধীন দেশ, অথচ তাদের প্রতি অবহেলা আর অবজ্ঞা ছাড়া কিছুই জোটেনা।
তথ্যসূত্র : আন্দোলনের বাজার, কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্রিকা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
থিওরি বলেছেন: সারাদেশে সম্ভবত একই অবস্থা। নইলে ত্রিশ লাখ শহীদ গেল কোথায় ?
তারা দেশের জন্য জীবন দিল আর আমরা ......।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
শহীদদের পরিনারের জন্য রলো অনেক সন্মান।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪
থিওরি বলেছেন: তারা নিজেরা অনেক সম্মানিত। কিন্তু আমরাই তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে পারছি না।
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
দরবেশমুসাফির বলেছেন: কবরগুলোকে আরও সংস্কার করার জন্য প্রতিবছরই অনুদান আসে কিমত্ম একশ্রেণীর মানুষ তা আত্মসাত করায় শুধু মাত্র পাকা নির্মাণেই কোন ভাবে আটকে আছে শহীদের কবর।
দুঃখজনক। খুবই দুঃখজনক।