নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মফস্বলের ব্লগার ......।

থিওরি

আমারর ব্লগবাড়ীতে আপনার সুস্বাগতম । ইনটারনেট বিপ্লবের যুগে কোন তথ্য যদি সার্চ দিয়ে না পাওয়া যায়, সত্যিই বিরক্তিকর! এই বিরক্তি কিছুটা দূর করার জন্যই আমার ব্লগি ..।! প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেলে ভাল লাগবে নিজের, স্বার্থক হবে ব্লগিং! আসবেন আবার, বারবার! আমার সাইট http://www.kazisour.blogspot.com/

থিওরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার হারানোর পথে যে খেলাধুলা ১

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩২

গোল্লাছুট

গোল্লাছুট সাধারণত খোলা মাঠ বা বাগানে খেলা হয়। প্রথমে একটি ছোট গর্ত করে সেখানে একটি কাঠি পুতে রাখা হয়। একে বলে গোল্লা এবং এটি হচ্ছে কেন্দ্রীয় সীমানা। পঁচিশ-ত্রিশ হাত দূরের কোনো গাছ বা ইট-পাথরকে বাইরের সীমানারূপে চিহ্নিত করা হয়। গোল্লা থেকে ছুটে গিয়ে বাইরের সীমানার গাছ-পাথরকে স্পর্শ করাই এ খেলার মূল লক্ষ্য। আর এ থেকেই খেলার নাম হয়েছে গোল্লাছুট । পাঁচ-সাতজনের দুই দলের সমান সংখ্যক খেলোয়াড় নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

গোল্লাছুট খেলায় একজন প্রধান থাকে, তাকে বলা হয় ‘গোদা’। সে গোল্ল ছুঁয়ে দাঁড়ায়, অন্যরা তার ও নিজেদের হাত পরস্পর ধরে ঘুরতে থাকে। বিপক্ষ খেলোয়াড়রা সুবিধামতো স্থানে দাঁড়িয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। ঘুরতে ঘুরতে কারো হাত ছুটে গেলে সে দৌড়ে গিয়ে গাছ ছোঁয়ার চেষ্টা করে। ছোঁয়ার আগে বিপক্ষের কেউ তাকে ছুঁয়ে দিলে সে ‘মারা’ যায়, অর্থাৎ এবারের খেলা থেকে সে বাদ পড়ে। গোল্লা ছেড়ে শেষ পর্যায়ে গোদাকেও দৌড়াতে হয়। যে কয়জন সফল হয় তারা গর্ত থেকে জোড় পায়ে সীমানার দিকে লাফ দিয়ে এগিয়ে যায়। সব লাফ মিলিয়ে সীমানা ছুঁতে পারলে এক ‘পাটি’ হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে দুই পক্ষের খেলা চলতে থাকে। খেলাটি এক সময় ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল ও খুলনা জেলায় বহুলভাবে প্রচলিত ছিল।

ডাংগুলি

ডাংগুলি বাংলার সর্বাঞ্চলীয় একটি জনপ্রিয় খেলা। প্রধানত কম বয়সের ছেলেরা এটি খেলে থাকে; মেয়েরা ডাংগুলি খেলে না। দুই থেকে পাঁচ-ছয়জন করে দুই দলে বিভক্ত হয়ে এটি খেলতে পারে। দেড় হাত লম্বা একটি লাঠি এবং এক বিঘত পরিমাণ একটি শক্ত কাঠি খেলার উপকরণ। প্রথমটিকে ‘ডান্ডা’ ও দ্বিতীয়টিকে ‘গুলি’ বা ‘ফুত্তি’ বলা হয়। প্রথমে খোলা মাঠে একটি ছোট গর্ত করা হয়। যারা দান পায় তাদের একজন গর্তের ওপর গুলি রেখে ডান্ডা মেরে সেটিকে দূরে ফেলার চেষ্টা করে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা চারদিকে দাঁড়িয়ে থেকে সেটিকে লুফে নিতে চায়। তারা সফল হলে ওই খেলোয়াড় আউট হয়, আর ধরতে না পারলে গর্তের ওপর রাখা ডান্ডা লক্ষ করে ছুঁড়ে মারতে হয়। ছোঁয়া গেলে সে দান হারায়, আর তা না হলে সে ডান্ডা দিয়ে তুলে গুলিকে আবার দূরে পাঠায়। পরে গুলি থেকে গর্ত পর্যন্ত ডান্ডা দিয়ে মাপতে থাকে। সাত পর্যন্ত মাপের আঞ্চলিক নাম হলো: বাড়ি, দুড়ি, তেড়ি, চাঘল, চাম্পা, ঝেঁক, মেক।

এরূপ সাত মাপে এক ‘ফুল’ বা ‘গুট’ এবং সাত ফুলে এক ‘লাল’ হয়। ভাঙা ফুলের ক্ষেত্রে যেখানে শেষ হয়, পরের খেলা সেখান থেকে শুরু হয়। বাড়ি, দুড়ি ইত্যাদি প্রতিটি মারের পৃথক পৃথক পদ্ধতি আছে। আউট না হওয়া পর্যন্ত একজন খেলোয়াড় খেলতে পারে; আউট হলে দলের দ্বিতীয় একজন একই পদ্ধতিতে খেলবে। এভাবে সবাই আউট হয়ে গেলে বিপক্ষ দল দান পেয়ে খেলা শুরু করে। বস্ত্তত এ খেলাটি বর্তমান যুগের ক্রিকেটের গ্রাম্য সংস্করণ এবং ব্যাট ও বল ডান্ডা ও গুলির সমতুল্য। এ ক্ষেত্রেও ক্যাচ ধরে বা ডান্ডায় আঘাত করে আউট করার বিধান আছে। খেলাটি অঞ্চলভেদে ‘ডাংবাড়ি’, ‘গুটবাড়ি’, ‘ট্যামডাং’, ‘ভ্যাটাডান্ডা’ 'ফুতি ডান্ঠি' ইত্যাদি নামে পরিচিত।
আমার সাইট

বাংলার হারানোর পথে যে খেলাধুলা ২

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

আরজু পনি বলেছেন:

দুটো খেলাই বেশ পরিচিত...
কিন্তু ডাংগুলি খেলার ছবিটি দেখে ভালো করে বোঝা যাচ্ছে না ।

অনেক ধন্যবাদ...
আশা করি চলবে নিয়মিত ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৫

থিওরি বলেছেন: নেটের হেলপ নিয়েছি।
ছবিগুলো নতুন করে তুলব ভেবেছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিয়মিত ডানংগুলি খেলেছি ১০ম শ্রেণী অবধি; ক্রিকেট খেলিনি, বিহারীরা উহাকে বাংলাদেশে আনাতে উহার বিপক্ষে ছিলাম আমরা কিছু লোক।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

থিওরি বলেছেন: ''বিহারীরা উহাকে বাংলাদেশে আনাতে '' বুঝলাম না।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৪

উৎস আরণ্যক বলেছেন: আমি দুইটাই খেলেছি। ডাংগুলিকে বলতাম ফুতি ডান্ঠি!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

থিওরি বলেছেন: ধন্যবাদ উৎস আরণ্যক ।
ফুতি ডান্ঠি এডিট করে দিলাম।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: শৈশবে দুটোই খুব খেলতাম। তবে এখনকার প্রজন্ম এগুলোর নামও জানে না ঠিক করে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

থিওরি বলেছেন: নাম জানাবার দায়টা কি আমরা এড়াতে পারি?
ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সুন্দর ঐতিহ্য নিয়ে লিখেছেন । হারিয়ে যাওয়ার পথে খেলাগুলো আমাদের ঐতিহ্যের অমুল্য সম্পদ । আরো কিছু খেলা নিয়ে দিলে আরও ভাল হতো ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

থিওরি বলেছেন: ধন্যবাদ...কথাকথিকেথিকথন।
আরো লিখবো আশা রাখি।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: নস্টালজিক কইর‍্যা দিলেন ভাই! ভাললাগা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

থিওরি বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথি ।

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।এবং ভবিষ্যতে বাংলার আরও সব খেলার কথা জানাবার অনুরোধ জানিয়ে রাখলাম। :)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

থিওরি বলেছেন: ভবিষ্যতে বাংলার আরও সব খেলার কথা জানাবার আশা রাখি।
অনেক ধন্যবাদ...

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: প্রথম খেলাটাকে আমাদের স্থানীয় গ্রাম্য ভাষায় বলে 'ঘুরচন্ডি'! দেখতে ছোটখাটো ছিলাম বলে আমি সব সময় লাইনের মাথায় থাকতাম। একটু সুযোগ পেলেই ফুড়ুৎ। খুব কম ধরা খাইতাম!

দ্বিতীয় খেলাটাও অনেক পরিচিত। খেলতেও অনেক মজা। আহঃরে, সেই পুরানো দিনকে খুব মিস করছি।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই!
শুভ কামনা জানবেন!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

থিওরি বলেছেন: এখন তো পিতা মাতা ছেলে দের এসব খেলার আসে পাসেও জেতে দেয় না।
ধন্যবাদ দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: দুটাই খেলেছি তবে আমি ডাংগুলিতে সেরা ছিলাম ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

থিওরি বলেছেন: :P

১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

আরাফআহনাফ বলেছেন: '৯০ এর পর থেকে একটা বিশাল পরিবর্তন দেখতে পাই।
পরিবর্তন অনিবার্য কিন্তু সব পরিবর্তন কি সবসময় ভালো হয় ?
নষ্টালজিক এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন।

২৭ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

থিওরি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০

সুমন কর বলেছেন: দাঁড়িয়াবাধা খেলার নাম দিলেন না !!! ডাংগুলি সেই ছোটবেলায় খেলেছিলাম....

খেলাগুলো মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

থিওরি বলেছেন: একে একে দেবার আশা রাখি।
ধন্যবাদ।

১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: শৈশবে ফিরে গেলাম।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

থিওরি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক।

১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১০

পুলহ বলেছেন: " গোল্লাছুট খেলায় একজন প্রধান থাকে, তাকে বলা হয় ‘গোদা’।"-- পালের গোদা কথাটা এখান থেকেই এসেছে কি না কে জানে?!
পোস্ট খুব ভালো লেগেছে! অনেক শুভকামনা জানবেন :)
পরের পর্বের অপেক্ষায়...

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

থিওরি বলেছেন: Click This Link পরের পর্ব।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১

ঢাকাবাসী বলেছেন: কালের নিয়ম অনুযায়ীই এসব এখন ভ্যানিস। ভাল পোস্ট, নষ্টালজিক।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

থিওরি বলেছেন: কালের নিয়ম অনুযায়ীই এসব এখন ভ্যানি। তবে অনেক দ্রুত।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.