নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কে ত ন

কে ত ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়াবিনের নামাজ পড়া বিদআত

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠিতে অবস্থিত শরসিনা দরবার শরীফ। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিরাট এলাকা জুড়ে আছে তাদের ভক্ত আশেকান। সন্দেহ নেই নদী বিধৌত ঐ অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে এই দরবার শরীফের অসামান্য অবদান আছে। কে জানে তারা যদি ঐ এলাকায় ইসলামের ব্যাপক প্রসার না ঘটাতেন, তাহলে ৪৭ এর দেশভাগের সময় বরিশাল, ফরিদপুর ও খুলনা অঞ্চল বোধ হয় ভারতের পেটেই চলে যেত।

কিন্তু ইসলাম প্রচারের প্রয়োজনেই হোক বা নিজেদের দাম বাড়ানোর জন্যই হোক, তারা প্রচলন করেছেন কিছু সুস্পষ্ট বিদাতের - তার মধ্যে একটি বিদআত হল মাগরিবের পরে আওয়াবিন নামের ছয় রাকাত নফল নামাজ পড়া।

আমি বুঝতে পারিনা, কোথা থেকে কিভাবে এই নামাজের প্রচলন হল। সর্বকালেই মাগরিবের সময়টা হল মানুষের ব্যস্ততার সময়। কাজেই দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এই সময়ের নামাজ সংক্ষিপ্ত করা বাঞ্ছনীয়। সেই চিন্তা করেই আল্লাহতায়ালা তিন রাকআতের সংক্ষিপ্ত সালাত আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। রাসূল (সা) এর হয়তবা তিন রাকাত পড়ে মন ভরেনি, তাই আরও দুই রাকাত পড়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি। আমরা যেহেতু রাসুল (সা) কে অনুসরণ করা আমাদের সংস্কৃতির অংশ বানিয়ে নিয়েছি, তাই আমরাও দুই রাকাত যোগ করে নেই।

কিন্তু শর্ষীনা দরবার শরীফ বলতে গেলে এর পরের ছয় রাকাত আওয়াবিন পড়াকে ফরজ করে নিয়েছে। শর্ষীেনার যে কোন মুরীদ আশেকান, তার যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন - এই ছয় রাকাত পড়বেই। এই করতে গিয়ে অন্যের অসুবিধা হল কিনা, বা নিজের কোন জরুরী কাজ বাদ পরে গেল কিনা, তার কোন তোয়াক্কাই করবেনা। আমার প্রচন্ড বিরক্ত লেগেছিল যখন খুলনা থেকে সোহাগ পরিবহণের একটি বাসে ঢাকা আসছিলাম। ধামরাইয়ের কাছাকাছি এসে একটা মসজিদের সামনে এসে গাড়ি থামায় আমার অনুরোধে। আমরা ৫/৬ জন যাত্রী নেমে গেলাম মাগরিবের নামাজ পড়তে - যার মধ্যে একজন জুব্বা পড়া ব্যক্তিও ছিল। পাঁচ মিনিটের মাথায় আমরা সবাই গাড়িতে এসে উঠলাম, ঐ জুব্বা পড়া ব্যক্তির আর খবর নেই। আরও ঝাড়া ১০ মিনিট পরে হেলে দুলে দুনিয়া উদ্ধার করে তিনি গাড়িতে এসে উঠলেন। এর কোন মানে হয়?

এনটিভির ইসলামী সাওয়াল জওয়াব থেকে নেয়া

প্রশ্ন : আমার মা মাগরিবের নামাজের পর আওয়াবিনের ছয় রাকাত নামাজ পড়েন। আমি জানি, কোরআন-হাদিসে এই নামাজের কোনো ভিত্তি নেই। কিন্তু মা আমার কথা শোনেন না। এটি যদি বেদাতের পর্যায়ে যায়, তাহলে কীভাবে মাকে বিরত রাখব?

উত্তর : মাগরিবের নামাজের পরে আওয়াবিনের নাম দিয়ে যে ছয় রাকাত নামাজ পড়া হয়, এটি রাসুলের (সা.) হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি।

তবে কোরআন ও হাদিসে এর কোনো ভিত্তি নেই, এই বক্তব্য শুদ্ধ নয়। হাদিসে এই নামাজের বর্ণনা রয়েছে, কিন্তু সেটি সনদের দিক থেকে খুবই দুর্বল, গ্রহণযোগ্য নয়।

সেক্ষেত্রে তিনি নফল নামাজের নিয়ত করে ছয় রাকাত বা আট রাকাত নামাজ পড়তে পারেন, সেটিই উত্তম হবে। সালফে সালেহীনদের আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা মাগরিব এবং এশার ওয়াক্তে নফল নামাজ আদায় করতেন। তাই এই দুই ওয়াক্তে যদি কেউ নফল নামাজ পড়তে চান তাহলে পড়তে পারেন, এটি জায়েজ রয়েছে।

কিন্তু এটি তখনই বেদাত হবে যখন নির্দিষ্ট করে নেওয়া হবে। যিনি মাগরিব এবং এশায় সালাতুল আওয়াবিন নাম দিয়ে ছয় রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করবেন তিনি বেদাতের খাতায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: জানলাম
ধন্যবাদ

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

সাগর শরীফ বলেছেন: জেনে রাখলাম। বিষয়টা একটু আমিও তদন্ত করব।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

কে ত ন বলেছেন: তদন্তের ফলাফল ৯ ও ১০ নং মন্তব্যের অনুরূপ না হলে আমাকে একটু টোকা দিয়েন।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ফরজ নামাজই পড়তে কষ্ট লাগে.. নফল এর সময় কৈ /:)

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জেনে রাখলাম।ধন্যবাদ

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বেদআত বললে ভুল হবে,যেহেতু নফল নামাজ বলেছেন তাই পড়লে ছওয়াব আছে না পড়লে গুনাহ নেই। পড়তেই হবে এমন কোন বিধান নেই।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

কে ত ন বলেছেন: আপনি একজন শরশিনা হুজুরের সাথে কথা বলে দেখুন। আওয়াবিনের নামাজ না পড়লে কি ভয়াবহ পরিণতি তা আপনাকে কোরআন হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে ভালোমত বুঝিয়ে দেবে। আপনার জন্য না থাকতে পারে, কিন্তু শরশিনা মুরিদদের জন্য বিধান আছে।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: কেতন ভাই, দারুন তথ্য দিলেন! এটা তো জানতাম না। আওয়াবিনের নামাজ নিয়ে ইন্টারনেটে ঘেটে দেখতে হবে কি আছে........।
ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: শরশিনা হুজুর কি জিনিস ভাই?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

কে ত ন বলেছেন: Click This Link

স্বরুপকাঠির শতাব্দীর ঐতিহ্যধন্য ছারছীনা শরীফের ইতিবৃত্ত

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

আলোর পথে বিডি বলেছেন: মাগরিবের পর ছালাতুল আউয়াবীন পড়া=========
মাগরিবের পর ‘ছালাতুল আউয়াবীন’ পড়ার প্রমাণে কোন ছহীহ দলীল নেই। উক্ত মর্মে যে সমস্ত বর্ণনা পাওয়া যায়, তার সবই জাল বা মিথ্যা।

(أ) عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيْمَا بَيْنَهُنَّ بِسُوْءٍ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً.

(ক) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের ছালাতের পর ৬ রাক‘আত ছালাত পড়বে কিন্তু মাঝে কোন ত্রুটিপূর্ণ কথা বলবে না, তার জন্য উহা ১২ বছরের ইবাদতের সমান হবে’।[1]

তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল। ইমাম তিরমিযী বলেন,

حَدِيْثُ أَبِىْ هُرَيْرَةَ حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيْثِ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِىْ خَثْعَمٍ قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَعِيْلَ يَقُوْلُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِىْ خَثْعَمٍ مُنْكَرُ الْحَدِيْثِ وَضَعَّفَهُ جِدًّا.

আবু হুরায়রা বর্ণিত হাদীছটি গরীব। আমরা ওমর ইবনে আবী খাছ‘আম কর্তৃক বর্ণিত যায়েদ ইবনু হুবাবের হাদীছ ছাড়া আর কিছু জানি না। ইমাম বুখারীকে ওমর ইবনে আব্দুল্লাহ আবী খাছ‘আম সম্পর্কে বলতে শুনেছি যে, সে অস্বীকৃত রাবী। তিনি তাকে নিতান্তই যঈফ বলেছেন’।[2]

(ب) عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ  قَالَ مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ عِشْرِيْنَ رَكْعَةً بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.

(খ) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ২০ রাক‘আত ছালাত আদায় করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন।[3]

তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল। এর সনদে ইয়াকূব ইবনু ওয়ালীদ মাদানী নামে একজন রাবী আছে। ইমাম আহমাদসহ অন্যান্য মুহাদ্দিছ তাকে মিথ্যুক বলেছেন।[4]

(ج) عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  مَنْ صَلَّى مَا بَيْنَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ إِلَى صَلاَةِ الْعِشَاءِ فَإِنَّهَا صَلاَةُ الْأَوَّابِيْنَ.

(গ) মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদির বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত ছালাত আদায় করবে সেটা তার জন্য ‘ছালাতুল আউওয়াবীন’ হবে।[5]

তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি যঈফ। এর সনদে আবু ছাখর নামে যঈফ রাবী আছে। সে মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদির-এর যুগ পায়নি।[6]

জ্ঞাতব্য : মাওলানা মুহিউদ্দ্বীন খান বলেন, ‘মাগরিবের পরে ছয় রাকআত, একে আওয়াবীনও বলা হয়।... আওয়াবীন নামাযের সর্বাধিক রাকআত সংখ্যা বিশ। দু’ কিংবা চার রাকআতও জায়েয। নবী (সা.) আওয়াবীনের অনেক ফযীলত বর্ণনা করেছেন’।[7] ‘নবীজীর নামায’ শীর্ষক বইয়ে ড. ইলিয়াস ফায়সাল মাগরিবের পর অতিরিক্ত ছালাত আদায় করার দাবী করেছেন। তার প্রমাণে একটি উদ্ভট বর্ণনা পেশ করেছেন।[8] এটা বিভ্রান্তি ছাড়া কিছু নয়। অবশ্য মাওলানা নূর মোহাম্মদ আ’জমী (রহঃ) লিখেছেন, ‘মাগরিবের পরের ছয় রাকআতের নাম ‘সালাতুল আওয়াবীন’ বলিয়া কোন হাদীসে উল্লেখ নাই’।[9]

[1]. তিরমিযী হা/৪৩৬, ১/৯৮ পৃঃ; ইবনু মাজাহ হা/১১৬৭; মিশকাত হা/১১৭৩, পঃ ১০৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১১০৫, ৩/৯৫ পৃঃ।

[2]. যঈফ তিরমিযী হা/৬৬, পৃঃ ৪৮-৪৯; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৬৯; যঈফুল জামে‘ হা/৫৬৬১।

[3]. তিরমিযী হা/৪৩৬, ১/৯৮ পৃঃ; মিশকাত হা/১১৭৪, পৃঃ ১০৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১১০৬, ৩/৯৫ পৃঃ।

[4]. তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১১৭৪-এর টীকা দ্রঃ।

[5]. ইবনু মুবারক, কিতাবুয যুহদ, পৃঃ ১৪; ইবনু নছর, কিতাবুল কিয়াম, পৃঃ ৪৪।

[6]. সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৬১৭।

[7]. তালীমুস্-সালাত, পৃঃ ১৭৬-১৭৭।

[8]. ঐ, পৃঃ ২৮২।

[9]. বঙ্গানুবাদ মিশকাত ৩য় খন্ড, পৃঃ ১৫৫।
----------------------------------------------------------------------------------------
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত
মুযাফফর বিন মুহসিন

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

কে ত ন বলেছেন: ব্যাপারটি পরিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ। তবে কেউ যদি অনিয়মিতভাবে দুই/চার রাকাত নফল সালাত আদায় করে, তাতে দোষের কিছু নেই।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান বলেছেন: ছহীহ হাদীছের আলোকে ‘ছালাতুল আউয়াবীন’:

হাদীছে একই ছালাতকে তিনটি নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পূর্ব আকাশে সূর্য উঠার সাথে সাথে পড়লে তাকে ‘ছালাতুল ইশরাক্ব’, সূর্য একটু উপরে উঠার পর আদায় করলে ‘ছালাতুয যোহা’ এবং আরো একটু উপরে উঠার পর আদায় করলে তাকে ‘ছালাতুল আউয়াবীন’ বা ‘আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনশীল বান্দাদের ছালাত’ বলা হয়েছে। যেকোন একটি পড়লেই চলবে। যেমন-

(أ) عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِىْ جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ.

(ক) আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি জামা‘আতের সাথে ফজর ছালাত আদায় করবে অতঃপর সূর্য উঠা পর্যন্ত বসে বসে যিকির করবে; তারপর দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করবে, তার জন্য পূর্ণ একটি হজ্জ এবং পূর্ণ একটি ওমরার নেকী রয়েছে।[1] অন্য হাদীছে এসেছে,

(ب) عَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ  يَقُوْلُ فِى الإِنْسَانِ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّوْنَ مَفْصِلاً فَعَلَيْهِ أَنْ يَتَصَدَّقَ عَنْ كُلِّ مَفْصِلٍ مِنْهُ بِصَدَقَةٍ قَالُوْا وَمَنْ يُطِيْقُ ذَلِكَ يَا نَبِىَّ اللهِ قَالَ النُّخَاعَةُ فِى الْمَسْجِدِ تَدْفِنُهَا وَالشَّىْءُ تُنَحِّيْهِ عَنِ الطَّرِيْقِ فَإِنْ لَمْ تَجِدْ فَرَكْعَتَا الضُّحَى تُجْزِئُكَ.

(খ) বুরায়দা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, মানুষের দেহে তিনশ’ ষাটটি গ্রন্থি রয়েছে। তাই প্রত্যেক গ্রন্থির বিনিময়ে ছাদাক্বাহ করা উচিৎ। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! কার পক্ষে এটা সম্ভব? তিনি বললেন, মসজিদ থেকে থুথু মুছে দিবে এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্ত্ত সরিয়ে দিবে। এটা না পারলে চাশতের দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করবে।[2]

(ج) عَنْ زَيْدَ بْنِ أَرْقَمَ أَنَّهُ رَأَى قَوْمًا يُصَلُّوْنَ مِنَ الضُّحَى فَقَالَ أَمَا لَقَدْ عَلِمُوْا أَنَّ الصَّلاَةَ فِىْ غَيْرِ هَذِهِ السَّاعَةِ أَفْضَلُ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ  قَالَ صَلاَةُ الأَوَّابِيْنَ حِيْنَ تَرْمَضُ الْفِصَالُ.

(গ) যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি কিছু লোককে চাশতের ছালাত আদায় করতে দেখেন। অতঃপর বলেন, তারা অবগত আছে যে, এই সময়ের চেয়ে অন্য সময়ে পড়া অধিক উত্তম। নিশ্চয় রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ছালাতুল আউয়াবীন’ তখন পড়বে, যখন উটের বাচ্চা রৌদ্রে তাপ অনুভব করে।[3]

অতএব মাগরিবের পর ছালাতুল আউয়াবীন নামে কোন ছালাত নেই। তাই উক্ত তিন সময়ের মধ্যে যেকোন এক সময়ে উক্ত ছালাত আদায় করলেই যথেষ্ট হবে। কিন্তু সূর্য উঠার পর পরই পড়লে ফযীলত অনেক বেশী। সুতরাং জাল ও যঈফ হাদীছ পরিত্যাগ করে ছহীহ হাদীছের দিকে ফিরে যাওয়াই একজন মুছল্লীর কর্তব্য।

জ্ঞাতব্য : ‘ছালাতুল আউয়াবীন’-এর রাক‘আত সংখ্যা সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ আট।[4] ১২ রাক‘আত পড়ার যে হাদীছ রয়েছে তা যঈফ।[5] এর সনদে মূসা ইবনু ফুলান ইবনু আনাস নামে অপরিচিত রাবী আছে।[6]

[1]. তিরমিযী হা/৫৮৬, ১/১৩০ পৃঃ; মিশকাত হা/৯৭১, পৃঃ ৮৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯০৯, ৩/৬ পৃঃ, ‘ছালাতের পর যিকির’ অনুচ্ছেদ।

[2]. আবুদাঊদ হা/৫২৪২, ২/৭১১ পৃঃ; মিশকাত হা/১৩১৫, পৃঃ ১১৬, সনদ ছহীহ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১২৩৯, ৩/১৫৭ পৃঃ।

[3]. ছহীহ মুসলিম হা/১৭৮০ ও ১৭৮১, ১/২৫৭ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৬১৬), ‘মুসাফিরের ছালাত’ অনুচ্ছেদ-১৯; মিশকাত হা/১৩১২, পৃঃ ১১৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১২৩৭, ৩/১৫৬ পৃঃ।

[4]. বুখারী হা/১১৭৬, ১/১৫৭ পৃঃ, (ইফাবা হা/১১০৬, ২/৩২১ পৃঃ), ‘তাহাজ্জুদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩১; মুসলিম হা/১৭০৪; মিশকাত হা/১৩১১, ১৩০৯, পৃঃ ১১৫ ও ১১৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১২৩৪ ও ১২৩৬, ৩/১৫৫-৫৬ পৃঃ।

[5]. ইবনু মাজাহ হা/১৩৮০, পৃঃ ৯৮; তিরমিযী হা/৪৭৩; মিশকাত হা/১৩১৬, পৃঃ ১১৬।

[6]. আলবানী, মিশকাত হা/১৩১৬-এর টীকা দ্রঃ, ১/৪১৩ পৃঃ
__________________________________________________________
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত
মুযাফফর বিন মুহসিন

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

কে ত ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাইজান! একজন ছারছিনা মুরীদকে এই বিষয়গুলো একটু বুঝিয়ে দিলে মানুষের অনেক উপকার হত।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। নফল ইবাদতকে নিয়ম বা বাধ্যতামূলক বানিয়ে ফেললে সেটা অবশ্যই বিদআ'ত হবে। এট করা উচিত হবে না...

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমরা ফরজ, সুন্নত, নফল নামাজের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছি না। এটা খুবি হতাশার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.