নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গায়না থেকে মিরপুর......

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

৭ ই এপ্রিল ২০০৭ থেকে ১২ ই জুলাই ২০১৫ । অপেক্ষাটা ৮ বছরের। আরো নির্দিষ্ট করে বললে ৮ বছর ৩ মাস ৫ দিন বা ৩ হাজার ১৮ দিনের অপেক্ষা। এই আট বছরে পৃথিবী অনেক বদলে গেছে। বদল হয়েছে অনেক কিছুতেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৯৯ এবং দঃ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০৭ সালের পর আর জয় পাচ্ছিলো না টাইগাররা। বারমুড়া ট্রাইয়ালের মত যেন এক প্যাচে আটকে ছিলো এই দুই দেশের বিপক্ষে জয় । অবশেষে জয় আসলো ২০১৫ তে। পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার পর ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয় । প্রোটিয়াদের বাধাটা যেন কোনভাবেই পাড় হতে পারছিলো না টাইগার বাহিনী। টানা তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারার পর সবাই যেন উঠে পড়ে লেগেছিলো দলের সমালোচনা করার জন্য । অবশেষে জয় এলো। সবার সম্মিলিত পার্ফাম্যান্সে ৭ উইকেটের এক বিশাল জয়।

৭ই এপ্রিল ২০০৭। বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাটে গ্রায়েম স্মিথের দঃ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিলো বাশার বাহিনী। টসে জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠান স্মিথ। জাভেদ ওমর তামিম ইকবালের ওপেনিং জুটিতে এসেছিলো ৪৩ রান। দলীয় ৬৯ রানে তামিম আউট হলে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুকছিলো বাশার বাহিনী। সেখান থেকেই শুরু আশরাফুল কাব্যের। ১২৭ বলে ১২ চারের সাহায্যে খেলেন ৮৭ রানের এক কাব্যিক ইনিংস। আর এতেই দলের রানে ২৫১। ২য় সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে।

২৫২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সৈয়দ রাছেল ও মাশরাফির বিব্ধংসী বোলিং এ মাত্র ১৮৪ রানেই থেমে গিয়েছিলো প্রোটিয়াদের ইনিংস। রাছেল ৪ টি ও ম্যাশ নেন ৩ টি উইকেট। হার্সেল গিবস ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ জিতেছিলো ৬৭ রানে। সেই থেকে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আর জয় পায়নি টাইগাররা। অবশেষে জয় এল গতকাল। পুরোপুরি পেশাদার ভাবে খেলে জয় তুলে নিলো টাইগাররা। হিসাব করে দেখতে গেলে ভারত, পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে প্রোটিয়া হেটার কমই ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি কিছুদিন আগে তাদের সেরা পেসার ডেল স্টেইনের একটি মন্তব্যে ফুসে উঠে টাইগার প্রেমীরা। সবার মনে ছিলো দেখিয়ে দিবো বলে জেদ।

অবশেষে দেখিয়ে দিলেন টাইগাররা। সৌম্যের সেই শেষ ছক্কাটি হয়তো চাপটেঘাত করেছে বাংলাদেশকে অপমান করা ডেল স্টেইনের গালে । ভারত সিরিজে ধোনী ধাক্কা দিয়েছিলো মুস্তাফিজকে।ফলাফল ২-১ এ সিরিজ জয়। আর কাল রশো ধাক্কা দিলো তামিমকে। সেই ধাক্কার জবাবও হয়তো পেয়ে গেছে প্রোটিয়ারা। কিন্তু ধাক্কা দিয়ে যে পাপ প্রোটিয়ারা করেছে সেই পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া কি এতই সহজ?? শেষ ম্যাচটা কিন্তু বাংলাদেশের লাকি ভ্যানু চট্রগ্রামে । ১ম জয় থেকে ২য় জয় পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩ হাজার ১৮ দিন। কিন্তু ৩য় ও সিরিজ জয় পেতে অপেক্ষা মাত্র ৩ দিনের । এবার হয়তো হতে যাচ্ছে নতুন কোন ইতিহাস। হতে যাচ্ছে সিরিজ জয় ।

এগিয়ে চলো টাইগাররা। নতুন দিনে লিখো নতুন ইতহাস ..........................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.