নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফসোস, বড়ই আফসোস

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

আমাদের সমর্থকদের মধ্যে একটা বড় অংশ বাংলাদেশকে ভালোবাসে না,তাদের অপোগণ্ড অপরিনত পচা কম্পোস্ট সার ভরা মস্তিষ্কের বিবেচনা অনুযায়ী ন্যাশনাল টীমের প্লেয়াররা হইল বান্ধা দাস, যেহেতু তারা বেতন পায়, সুতরাং প্রতি ম্যাচেই তাদের পাঁচ উইকেট নিতে হবে, সেঞ্চুরি মারতে হবে,প্রতিপক্ষকে খালি হারাইলেই চলবেনা, স্রেফ ধুলায় মিশায়া দিতে হবে। যদি তারা না পারে, তখন কোমর বেঁধে জামাত সহকারে তাদের তো দুচা হবেই, তাদের পরিবার-স্ত্রী-বোন-মাকে গনিমতের মাল হিসেবে অনলাইনে অকথ্য ভাষায় যৌন নিপীড়ন করা ফরজে আইন হিসেবে গণ্য হবে...
যেমন, তামিম ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে দেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করছে তো কি হইছে, একটা ম্যাচে তো সে ডাক মারছে, দোচ হালারে... সাকিব প্রতি ম্যাচেই কেন সেঞ্চুরি আর পাঁচ উইকেট নেয় না, দোচ হালারে... রিয়াদ প্রতি ম্যাচেই কেন দুঃসময়ে দলের হাল ধরতে পারে না, দোচ হালারে... রুবেল প্রতি ম্যাচেই কেন হ্যাট্রিক করে না, ওরে হ্যাপিরে দিয়া দোচা... সৌম্য সরকার বা লিটন দাস লাল-সবুজ জার্সি গায়ে প্রতিপক্ষরে ধূলিসাৎ করে দিছে তো কি হইছে, হালারা হিন্দু হইব ক্যান? টীমের থে মালাউন খেদা... বিচিত্র এই প্রানীগুলা দল ভালো খেললে গুয়ের ট্যাংকিতে মুখ ঢুকায়া রাখে, যেইমাত্র দলের দুঃসময়ের লেশমাত্র দেখা যায়,ব্যাস, মুখভর্তি গু নিয়ে বিমলানন্দে ট্যাংকি থেকে মুখ তুলে বলতে শুরু করে, "আগেই কইছিলাম, বাঙালি কালা পারা না...কি চুল ছিড়তেছে এখন? চেতনাবাজগুলার ফালাফালি এখন কই? "
মজার ব্যাপারটা হচ্ছে, এই অপোগণ্ড চুতিয়ারা ইসলাম আর মুসলমান ভাই প্রসঙ্গ আসলেই সেকেন্ডের মধ্যে উত্তেজনার চোটে রস নির্গমন করে ফেলে। নিজের দেশের সৌম্যরে মালাউন বইলা ন্যাশনাল টিম থেইকা খেদানোর লক্ষ্যে জিহাদের ডাক দিয়ে পরের মুহূর্তেই এরা হাশিম আমলার ছবি শেয়ার দিয়া বলে, "দেখেন এই মুসলমান ভাই রোজা রাইখা খেলতে নামছেন, খেলা চলাকালেই তিনি মাঠের ভিতর নামাজ পড়ে ফেলেন, এই কিউট সুইট ভাইটার জন্য কয়টা লাইক ফ্রান্স?" অথচ হাশিম আমলা কিন্তু লাল-সবুজ পতাকাটার প্রতিনিধিত্ব করে না, সে কিন্তু বাংলাদেশের জন্য খেলে না... তার
ক্লাস সেভেনে বা এইটে ইসলাম ধর্ম বইটায় একটা ঘটনা পড়েছিলাম, দয়াল রাসুল পাক হজরত মোহাম্মদ (সঃ) হিজরত করতে যখন মদিনা মনোওয়ারায় যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বারবার পেছনে ফিরে তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, "হে আমার মাতৃভূমি, তোমাকে কতই না ভালোবাসি। আমার স্বজাতি যদি আমার সাথে শত্রুতা না করতো, আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যেতাম না।" মাতৃভূমিকে কি অসম্ভব ভালোই না বাসতেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এই মহাপুরুষ, তার হাদিসে আমরা পাই সেই অসামান্য উচ্চারন,"দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ"। আমাদের দেশের এই অপোগণ্ড শুয়োরগুলো তারপরেও নিজের দেশকে ঘৃণা করে পাকিস্তানের মুসলমান খেলোয়াড়দের পাছা চাটতে যায়,"তামিমকে ডাকবীর বলে গালি দিয়ে আফ্রিদির ছবি প্রোপিকে সাটায়ে বলে, এইটা হইল সাচ্চা মুসলমান, কি চমৎকার ছয় মারে... আহা... অথচ ডাকের বিশ্বরেকর্ডটা যে আফ্রিদির দখলে, সেইটা কিন্তু এই বেইমানরা জানে, পাকিস্তানকে ঘৃণা করার ৩৪ লাখ কারন আছে, সেইটাও তারা জানে। তারপরেও লাখো শহীদের তাজা রক্তে ভেজা এই জমিনে দাড়ায়ে দয়ার রাসুলের সেই অমর বানী মোবারক উপেক্ষা করে শুয়োরের বাচ্চাগুলো পাক সার জমিন সাদ বাদ, পাকিস্তান পায়েন্দাবাদ বলে চিৎকার করে, খেলার সাথে নির্লজ্জভাবে ধর্ম মিশায়ে লাইক ব্যবসা করে, জোর গলায় বলে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে সৌম্য সরকারের মত মালাউন ক্যামনে জাতীয় দলে খেলে...
আফসোস, এরা আমাদের আশেপাশেই ঘোরে... পৃথিবীর সবচেয়ে সহনশীল অসামান্য সমর্থক হিসেবে এতো স্বীকৃতির পরেও গুয়ের সেফটি ট্যাংকির ভেতরে অনেকদিনের পচে যাওয়া গুয়ের ভেতর জন্মানো শাদা শাদা এই কীটগুলোই আমাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ... আফসোস...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫৬

বাংলার জামিনদার বলেছেন: ভাই মাঝে মাঝে মনে হয় দুই চারডারে কোপাইয়া খুন করি। এত খারাপ এই গুলান। আজকে বাংলাদেশ সিরিজ জিতছে তাও কিছু মাচো দেখলাম আমলার নুরানী চেহারা নিয়া মাখাইয়া ফেলাইতাছে।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: এরাই হলো আমাদের দলের প্লাস্টিক সাপোর্টার। এদের কাজই কিভাবে টাইগারদের ছোট করা যায়। এরাই টাইগারদের পেজে গিয়া গালাগালি পারে...........।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.