নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ জয় করবে পৃথিবী।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের নামের পাশে যোগ হচ্ছে অসাধারণ সব অর্জন। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন শক্তিশালী দল। পাকিস্তান, ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রথম সিরিজ জয় করেছে। এ জয় আন্দোলিত করেছে ষোলো কোটি মানুষকে। ক্রিকেট বিশ্বের অপ্রতিরোধ্য নায়কদের নাম মুস্তাফিজ-সৌম্য সরকার। মুস্তাফিজের ছত্রিশ ইঞ্চি বুকে স্বপ্নভরা এক নতুন বাংলাদেশ। ক্রিকেটের বাইশ গজের মাঠে এক নিপুণ চারুশিল্পীর নাম সৌম্য সরকার। বুক ভরে যায় এগুলো দেখে।

শুধু ক্রিকেটে নয়, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি অনেক কিছুতেই। আমাদের গণিত অলিম্পিয়াডের দল এনেছে গৌরব। বিশ্ব গণিতের আসরে আমাদের অবস্থান ৩৩তম। গণিতে আমরা এখন ভারতের চেয়ে এগিয়ে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞানে এক জগৎখ্যাত গৌরব এনেছেন আমাদের জাহিদ হাসান। তিনি বাংলাদেশেরই সন্তান। এই দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। কোয়ান্টাম ফিজিক্সে তাক লাগিয়েছেন। তিনি আবিষ্কার করেছেন অতি-পারমাণবিক কণা (Subatomic Particle)। এ কণার নাম ভেইল ফার্মিওন (Weyl fermion)। তত্ত্বীয়ভাবে সে কণার উপস্থিতির কথা প্রায় আট দশক আগে জানিয়েছেন জার্মান বিজ্ঞানী ভেইল (Hermann Weyl)। সে কণার অস্তিত্বের পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ মিলেছে জাহিদ হাসানের গবেষণায়। তিনি কাজ করছেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভৌত বিজ্ঞানের জন্য যেটি পৃথিবীর শীর্ষ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। তার গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জার্নাল, সায়েন্স (Science, AAAS) ম্যাগাজিনে।

বাংলাদেশ সত্যিই এক অন্যরূপে জেগে উঠছে। এ দেশের মেয়েরা এখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য। ‌এ দেশের মেয়ে ওয়াসফিয়া সারা পৃথিবীর পর্বত জয় করে। বাংলাদেশটাই যেন ওয়াসফিয়া—বাধা জানে না, বাধা মানে না। মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা দেশটাকে তলাহীন ঝুড়ি থেকে দাঁড় করিয়েছে পৃথিবীর সম্ভাবনাময়ী দেশে। জন্মনিয়ন্ত্রণ, শিশুমৃত্যু রোধ, নারী শিক্ষা ইত্যাদিতে আমাদের অর্জন গোটা এশিয়াকে বিস্মিত করেছে। এ দেশের সন্তান ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প এখন এশিয়া, আফ্রিকা এমনকি ল্যাটিন আমেরিকায়। আমাদের ফজলে হাসান আবেদ জয় করেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। আমাদের সৈনিকেরা শান্তিরক্ষা কমিশনে জগৎ শ্রেষ্ঠ। বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ও অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রের রাজনীতির অনেক ভূমিকা দরকার। রাজনীতিকদের হতে হবে রাষ্ট্র ও জনগণ বান্ধব। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে করতে হবে আরও গতিশীল।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মানুষ গড়ার জায়গা। এখান থেকে বেরিয়ে আসবে শত-শত জাহিদ হাসান। প্রজন্মকে জাগাতে একটি দেশে অনেক হিরো লাগে। সাকিব, মাশরাফি, আশরাফুলদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে দেশের অসংখ্য কিশোর ও তরুণ খেলোয়াড়। মাত্র কয়েক বছরে আমরা তার সুফল দেখতে পাচ্ছি। ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে এমন অনেক নায়ক তৈরি করতে হবে। একজন জাহিদ হাসান দেশের সহস্র মেধাবী শিক্ষার্থীকে নাড়া দেয়। স্বপ্নটাকে বড় করে দেয়। লক্ষ্যটাকে দৃঢ় করে দেয়। বেরিয়ে আসে অনেক জাহিদ হাসান।

আমাদের ভালো করতে হবে বিজ্ঞান, শিল্পকলা, ব্যবসা, সাহিত্য এমন সকল শাখায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি রোধ করতে হবে। পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশে এমন দলীয় রাজনীতি নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে না। শিক্ষাবর্ষে জট (সেশন জ্যাম) বলে কিছু নেই। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো­তে বাড়াতে হবে গবেষণা। দেশের বাহিরে যারা ভালো করছে, তাদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেধাবী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য করে দিলে রাষ্ট্র বদলে যাবে দুই যুগে। আমরা শুধু ক্রিকেট বিশ্বেই ভালো করব না আমাদের অর্জন হবে বহুমুখী ও বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশের সন্তানরা জয় করবে পৃথিবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.