নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথায় শান্তির ধর্ম ইসলাম? কোথায় যাচ্ছে আমাদের সোনার বাংলা?

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

শিরোনাম-১: বাংলাদেশে জাতীয় সংগীত গাওয়ার অপরাধে শত শত স্কুল ছাত্রকে হত্যা করলো জঙ্গীরা।
শিরোনাম-২: ঢাকায় প্রেমিকার সাথে দেখা করার অপরাধে পার্কে যুবকের শিরোচ্ছেদ করলো জঙ্গীরা।

খুব বেশীদিন নেই যেদিন উপরের শিরোনামগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হবে। খুব বেশীদিন নেই যেদিন নেই যেদিন আমাদের সোনার বাংলা হবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার মত অকার‌্যকর রাষ্ট্র। এই তো কয়েকদিন আগে রোজার মধ্যে সিরিয়াতে রোজা না রাখার অপরাধে তিন বালককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করলো জঙ্গিরা। আচ্ছা কোরআন ও হাদিসে কোথায় আছে নামাজ রোজা না পড়লে তাকে হত্যা করতে হবে?কোরআনে কোথায় আছে মসজিদে গিয়ে নামাজরত অবস্থায় বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে ইসলা্ম কায়েম করতে হবে?[আমি কোরআন হাদিস বেশী জানি না , কেউ যদি জানেন সহিহ দলিলসহ জানাবেন]।

জঙ্গিদের আরেক সংস্করন হলো ইসলাম বিরুধী বা নাস্তিকদের চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা। যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা হচ্ছে ইসলাম বিরুধী। ইসলাম বিরুধীরা কিন্তু শুধু আজকে নেই, তারা ইসলাম ধর্মের শুরু থেকেই ছিলো। তাই বলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব তাদের হত্যা করেছিলেন? শুধু তাই নয়, তায়েফের ময়দানে যখন আমাদের নবীজী (সঃ)কে পাথর নিক্ষেপ করে রক্তাক্ত করা হলো তখন কি সাহাবীরা ছিলো না? তারা কি আমাদের চেয়ে কম ধর্মপ্রাণ ছিলো? কই তারা তো তায়েফবাসিদের উপর চাপাতি চালালো না। বরং নবীজী (সঃ) হাত তুলে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন “এরা অবুঝ, এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা করো”। কই নবী (সঃ) তো তাদের ধ্বংস কামনা করলেন না, সাহাবীদের বললেন না তাদের হত্যা করতে। তাহলে আজকের জঙ্গিরা কোন ইসলামের দোহাই দিয়ে ইসলাম বিরুধীদের হত্যা করে আমাদের প্রাণের ধর্মকে কলংকিত করছে। শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে। এক ইসলাম বিরুধীকে হত্যা করে তারা হাজার হাজার ইসলাম বিরুধীদের সুযোগ করে দিচ্ছে ইসলাম বদনাম করার জন্য,কুৎসা রটানোর জন্য।

ইসলাম বিরুধীরা ইসলামের বিরুদ্ধে ব্লগে বিভিন্ন যুক্তি দেখাবে, আমরা আমাদের প্রিয় ধর্ম যে সত্য তা প্রমাণ করার জন্য লক্ষ লক্ষ যুক্তি কোরআন হাদিসে আছে তা উপস্থাপন করবো। তা না করে কেন তাদের উপর চাপাতি দিয়ে হামলা করবো? আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কোরআন দিয়েই বিজ্ঞানীরা হাজার হাজার জিনিস তৈরি করছে, ইসলাম ধর্ম যে আল্লাহ প্রদত্ত তার হাজার হাজার প্রমানও আছে কিন্তু জঙ্গিরা সেই যুক্তি গুলো বের না করে তাদের যুক্তির উত্তর দিচ্ছে চাপাতি দিয়ে আর আমাদের পবিত্র ধর্মকে করছে কলংকিত।
বদরের যোদ্ধের সময় নবীজী (সঃ) সব সাহাবীদের বলে দিয়েছেন “তোমরা তাদের আগে আঘাত করবে না, যদি না তারা তোমাদের আঘাত করে” । তার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় ইসলাম কাওকে আঘাত করার ধর্ম নয়। সে যত কাফিরই হোক ইসলাম তাদের আঘাত করা সমর্থন করে না। যারা আজ চাপাতি চালনা করে তার ইসলাম থেকে পথভ্রষ্ট একদল যুবক। তাদের হাতেই ধ্বংস হচ্ছে আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম।

এবার কথিত মুক্তমনাদের বলি, আপনার মুক্তচিন্তা করেন, করবেন। কিন্তু আমাদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করে কেন?? আপনারা সারা রাত দিন মুক্ত চিন্তা করেন, ইসলাম নিয়ে গবেষনা করেন, কিন্তু আমাদের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করে নয়। আপনারা মুক্তমনারা তো নিজের আইন মানেন বলে জাহির করে থাকেন। কিন্তু আইনে আছে কারো ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করা অপরাধ, এতে ১৪ বছরের জেল হতে পারে, এটা জানেন না?? মুক্তচিন্তাবিধরা মনে রাখবেন ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে কোন ইসলাম বিরুধী রক্ষা পাই নাই,আল্লাহ তাদের ধ্বংস করেছেন ইতিহাস তারই প্রমাণ । সো, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন।সর্বশেষ মহান আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে বলি “ এদের (জঙ্গি/নাস্তিক)জ্ঞান দাও আল্লাহ, এদের হেদায়াত দাও। তোমাকে এবং তোমার বাণীগুলো বুঝার সামর্থ্য দান করো।–আমীন।

এই ব্লগটি লেখার জন্য হয়তো আমাকেও নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে বিদায় করবে, যদিও আমি নামাজ পড়ি, ইসলামের সব বিধান মানতে চেষ্টা করি। তারপরও আমি তাদের কাছে নাস্তিক , কেননা তাদের বিরুদ্ধে বলেছি না…………….

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.