নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে
"আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও নির্ভীকতা হিমালয়ের মতো ।এভাবেই তার মাধ্যমে আমি হিমালয়কে দেখেছি।'' - ফিদেল ক্যাস্ট্রো।
”বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতীষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ,তাই তিনি অমর”.
–সাদ্দাম হোসেন.
প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের মতে, 'শেখ মুজিব ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব।'
ফিনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, 'মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিতনা।'
বিশ্বের প্রভাবশালী মিডিয়া বঙ্গবন্ধুকে বর্ণনা করেন এভাবে- 'তিনি এমন এক বিশাল ব্যক্তিত্ব
যার সামনে সহসা মাথা নুয়ে আসে।'
ভারতীয় বেতার 'আকাশ বানী' ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলে,'যিশুমারা গেছেন। এখন লক্ষ লক্ষ লোক ক্রস ধারণ করে তাকে স্মরণ করছে। মূলত একদিন মুজিবই হবেন যিশুর মতো।'
একই দিনে লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশের লক্ষ
লক্ষ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।'
নিউজ উইকে বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দেওয়া হয়, "পয়েট অফ পলিটিক্স বলে"।
বৃটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছিলেন, "শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, গান্ধী এবং দ্যা
ভ্যালেরার থেকেও মহান নেতা"।
জাপানী মুক্তি ফুকিউরা আজও বাঙালি দেখলে বলে বেড়ান,"তুমি বাংলার লোক? আমি কিন্তু
তোমাদের জয় বাংলা দেখেছি। শেখ মুজিব দেখেছি। জানো এশিয়ায় তোমাদের শেখ
মুজিবের মতো সিংহ হৃদয়বান নেতার জন্ম হবে না বহুকাল।"
মনে দুঃখ নিয়ে বলতে হয় আমরা আমাদের নিজ জাতির জনকে চিনিনা, কিন্তু বর্হিবিশ্ব সেই
মহান নেতাকে ঠিকই চিনেছিল। আমরা ফিদেল, চে, মাও নিয়ে গবেষণা করি কিন্তু নিজ জনক
নিয়ে দুই কলম লিখতে বা পড়তে কষ্ট হয়, হ্যা এটাও সত্য জন্ম থেকে আমরা বিভক্ত ছিলাম না আমাদেরকে বিভক্ত করা হয়েছে, কিন্ত কেন? তার উত্তর খোজার চেষ্টা করিনা।
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভুলে যারা বিদেশী ঐতিহ্য, ইতিহাস নিয়ে গবেষনা করেন তাদের
উদ্দেশ্যে বলি, দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া একটি ঘাসের ডগার ওপর একটি শিশির বিন্দু।”
কবির কথা গুলো আসলেই একদম ঠিক। আমাদের বাড়ীর একদম কাছে যে এত সুন্দর একটা জায়গা আছে সেটা আমরা দেখিনা। আমাদের যে এমন একজন মহান নেতা ছিলেন সেটাও আমরা জানিনা।
যারা আজও এই মানুষটির অবদান নিয়ে সন্দিহান এবং কুৎসা রটিয়ে বেড়ান তাদের জন্ম কবি আবদুল হাকিম সপ্তদশ শতকেই লিখে গেছেন, “যেসব বঙ্গে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী,
সেসব কাহার জন্ম নির্ণয়ে না জানি ।”
একটা কথা বলা দরকার আমি এখানে বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছি . কোন রাজনৈতিক দলের কথা বলিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি, ভালবাসি তাঁর আদর্শকে, ভালবাসি তাঁর রাজনৈতিক জীবনকে। কিন্তু আমি ঘৃণা করি সেই রাজনীতিকে যে রাজনীতির কোন আদর্শ নাই, যে রাজনীতি শুধু নিজেদের জন্য, জনগণের জন্য নয়, দেশের জন্য নয়। দয়া করে কেউ আমাকে আওয়ামীলীগ এর দালাল বলবেন না । আওয়ামীলীগ একটা রাজনৈতিক দল মাত্র ।আর বঙ্গবন্ধু হল গোটা বাংলাদেশের । তার পর ও যদি কেউ এর বিরুদ্ধে উল্টা মন্তব্য করেন ধরে নিব আপনি নামে বাঙ্গালী।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: সর্বকালের সেরা বাঙালি অমর হোক। ধন্যবাদ
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: খুব কষ্ট লাগে ভাই ।
৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: ৪০ বছর পরও তার খুনিরা পৃথিবীর বুকে হাটা চলা করে ভাই। কিছুই বলার নাই..।
৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: "শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উচুঁতে ছিলো তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়তো তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত-বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সকল বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ।
জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিলো, যার পরিণতি হয়েছিলো ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিলো। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিলো শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি মুসলমানকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।"
--হুমায়ুন আজাদ
৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: এই কথাগুলো যদি সেই পশুরা বুঝতো......।
৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
আলাপচারী বলেছেন: ক্লাশ থ্রি-তে পড়তাম। স্বাধীনতার পর অটোপ্রমোশন পেয়ে ফোর-এ উঠলাম। ১৯৭৩ অথবা ১৯৭৪ হবে, সঠিক মনে নেই। শেখ মুজিব কোন্ দেশ থেকে যেন ফিরে আসবেন। স্কুল থেকে ছাত্রদের নিয়ে যাওয়া হোল কুর্মিটোলা এয়ারপোর্টে তাঁকে সংবর্ধনা দিতে। লাইন ধরে দাড়িয়ে আছি ঘন্টার পর ঘন্টা। অবশেষে এলেন। কিশোর আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম তাঁর উচ্চতা দেখে। কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার মাথার আদর করে হাত বুলিয়ে দিলেন। হাতের কেমি ঘড়িটা এখনও চোখে গাথাঁ আছে। চামড়া লালচে দেখে অবাক হয়েছিলাম। এখন বুঝি, ছিলেন হয়তো ফর্সা, রোদে রোদে ঘুড়ে চামড়া লালচে হয়েছে।
মনে পড়ে হিমালয় দেখার মতো ঘাড় কাত করে তাঁকে দেখেছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৪
লেখোয়াড়. বলেছেন:
ভাল লাগল লেখাটা।
শ্রদ্ধাঞ্জলি, বঙ্গবন্ধু চির অমর থাকবে।