নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে
জিতলেই প্রথমবারের মত টি২০ বিশ্বকাপে খেলার সুয়োগ। এমন সমীকরণ সামনে রেখে আজ টি২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের সেমিফাইনাল ম্যাচে জিম্বাবুয়ে নারী দলকে ৩১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো জাহানারা বাহিনী। আর সেই সাথে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মত আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা করলো বাংলাদেশের মেয়েরা।
ব্যাটিং নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বোলিং আর ফিল্ডিংটা যে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের শক্তির জায়গা, সেটা আবারও প্রমাণিত ব্যাংককের মাটিতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে ব্যাট হাতে খুব ভালো করতে না পারলেও বল হাতে ক্ষুরধার মেয়েদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে। রুমানা আহমেদ, খাদিজা-তুল-কুবরা, ফাহিমা খাতুন ও শায়লা শারমিনদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ১৯.১ ওভারে ৫৮ রানেই শেষ হয়েছে তাদের ইনিংস। ৩১ রানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গেই পূরণ হয়েছে আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন।
টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ব্যাট হাতে বাংলাদেশি ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্স শুরু থেকেই বিশ্বকাপের লক্ষ্যকে দূরে ঠেলে দিতে থাকে। টপ অর্ডারে শারমিন আকতার ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের দেখা পাননি। দলের অন্যতম ভরসা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আয়েশা রহমান ফেরেন মাত্র ৫ রানে। রুমানা আহমেদ আর শায়লা শারমিন-দুজনেই আউট হন ‘শূন্য’ রানে। লোয়ার মিডল অর্ডারে ফারজানা হকের ব্যাট থেকে ৪৩ রানের দারুণ এক ইনিংস না এলে দলের সংগ্রহের অবস্থা কী দাঁড়াত, সেটা বলাই বাহুল্য। পাপুয়া নিউগিনি ম্যাচের মতোই ফারজানা দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে ৪৩ বলে ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে খেলেন তাঁর ইনিংসটি। আগের ম্যাচেই ঋতু মণি, জাহানারা আলমরা কিছু রান তুলে দলের সংগ্রহ স্ফীত করতে ভূমিকা রাখলেও আজ ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ।
দলের সংগ্রহ ১০০ ছাড়িয়ে যায়নি। অতৃপ্তির বিষয় ছিল এটিই। জিম্বাবুয়ের মেয়েদের বোলিং ছিল লাইন-লেংথ ঠিক রেখে যথেষ্ট সুশৃঙ্খল। সে কারণে মাত্র ৫ উইকেট হারালেও সংগ্রহটাকে খুব বড় করতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের জেসোফাইন নেকুমু ১২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। এ ছাড়া আউদ্রে মাজভিশায়া পেয়েছেন একটি। বাকিরা উইকেট না পেলেও ভালো বোলিং করে বাংলাদেশকে ৮৯ রানে আটকে রাখতে ভূমিকা রেখেছেন।
৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে প্রথম থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। মডস্টার মুপাচিকওয়া ও চিপো মুগেরির উদ্বোধনী জুটিতে ১৪ রানেই ছিল সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের পক্ষে রুমানা আহমেদ বল হাতে নিজের ধারাবাহিকতার পরিচয় দেন দারুণভাবে। মূলত তিনি ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েই জিম্বাবুইয়ান ইনিংসের মেরুদণ্ডটা ভেঙে দেন। রুমানার পাশাপাশি ফাহিমা খাতুন ও শায়লা শারমিনরাও কম যাননি। ফাহিমা ১ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। শায়লাও ২ উইকেট পেয়েছেন, মাত্র ১৩ রানের খরচায়।
জিম্বাবুইয়ান ব্যাটারদের কাছে আসলে বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে কোনো জবাবই ছিল না। খাদিজা-তুল-কুবরা নিজের ৪ ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও তাঁর বল খেলতেই পারেনি জিম্বাবুয়ের মেয়েরা। ৪ ওভারে তাঁর খরচ মাত্র ৮ রান। বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী বোলার অধিনায়ক জাহানারা আলম ও লতা মণ্ডল ছিলেন কিছুটা খরুচে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ রান-১০। পোল্লাজিয়া মুজাজির ১০ বলে ১০ রান করে প্রতিশ্রুতি জাগিয়েছিলেন কিন্তু পরিণতি এনে দিতে পারেননি।
বিশ্বকাপের লক্ষ্যপূরণ হয়ে গেলেও জাহানারাদের লক্ষ্যের ব্যপ্তিটা আরও বড়। বাছাইপর্বে এক নম্বর জায়গাটি অর্জনে বাংলাদেশের পরবর্তী পরীক্ষা ফাইনালের লড়াই। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে আগামী ৫ ডিসেম্বর ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
অভিন্দন বাংলার বাঘিনীদের । সামনে চলার শুভকামনা রইল।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
মাকড়সাঁ বলেছেন: শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো।