নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশকে নিয়ে এ কোন ষড়যন্ত্র জার্মানির??

১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

যুক্তি কারণ ছাড়া সিদ্ধান্ত হয় না। হলে সবটাই হেঁয়ালি। জার্মানির চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মেরকেল তা বিলক্ষণ জানেন। এগারো বছর ধরে দেশ সামলাচ্ছেন। অভিজ্ঞতায় ঘাটতি নেই। ঝড় ঝাপটায় সাফল্য দেখিয়েছেন। ইউরোপের অর্থনীতিতে অন্যতম বৃহত্ শক্তি জার্মানি। বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কও নিবিড়। সেই জার্মানিএ এ বার বাংলাদেশকে বিপদে ফেলল। বাংলাদেশের পণ্য পরিবহণে আচমকা নিষেধাজ্ঞা জারি করল তারা। আগে একই কাজ করেছে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া। এ বার সেই পথেই হাঁটল জার্মানি। বলা হচ্ছে, নিরাপত্তার অভাব। সেটাই বা কোথায়। পণ্য পরিবহণ নিশ্ছিদ্র। জার্মানির এয়ারলাইন্স লুফত্হানসার প্রতিনিধিরা খুঁটিয়ে দেখেছেন সব কিছু। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রফতানির কার্গো হাউস পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন, সব ঠিক আছে। আধুনিকীকরণের ব্যবস্থাও পাকা। যেখানে পণ্য প্যাকেট পরীক্ষা হয় সেই স্ক্যানার পয়েন্টেও পর্যবেক্ষণে ফাঁক নেই। সদ্য তৈরি, পণ্য রাখার স্পেশাল কেজে বিশেষ অনুমতি ছাড়া বিমানবন্দরে কর্তা ব্যক্তিরাও ঢুকতে পারেন না।

বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ব্রিটিশ সংস্থা রেডলাইন, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করেছে। আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকছে। গাফিলতির ভয় নেই। ইউরোপের কোনও দেশেরই তাই অভিযোগের জায়গা নেই।

বছরে বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে শুধু পোশাক রফতানিই হয় ৩০০ কোটি ডলারের। সেটা আটকানো মানে অর্থনীতির ওপর বিশাল চাপ। বাংলাদেশে বস্ত্র শিল্পই অগ্রগণ্য। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অন্ন সংস্থান সেখান থেকেই। সবজি, ফল রফতানি হয় বছরে হাজার কোটি টাকার। সেসব সংরক্ষণের সুযোগ নেই। পচে নষ্ট হবে।

বাংলাদেশের বাজার নষ্ট করে নিজেদের বাজার তৈরি করতে চাওয়াটাও তো অনৈতিক। চাইলে তারা প্রতিযোগিতায় নামুক। দাম আর গুণগত মানে বাংলাদেশকে টেক্কা দিক। সেটাও তো পারছে না। উল্টে নানা অজুহাতে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি বন্ধ করছে। পাঁচ বছরে মধ্যম আয়ের দেশ হতে চায় বাংলাদেশ। অর্থনীতি এগোচ্ছে সেই লক্ষ্যেই। আর তাদের এই উদ্যোগে বিপদে ফেলছে এই তিনটি দেশ। সন্ত্রাসী উৎপাত অগ্রগতি থামাতে পারছে না। শিল্পায়ন হচ্ছে, উৎপাদন বাড়ছে। কৃষিপণ্য যাচ্ছে বিদেশে। ব্রিটেন, জার্মানি ছাড়া ইউরোপের অন্য কোনও দেশের তো আপত্তি নেই। বাংলাদেশের রফতানি ব্যবস্থায় এ দু’টি দেশের অসুবিধা কোথায়। অস্ট্রেলিয়ারই বা সমস্যা কী?
আমেরিকাতেও বাংলাদেশের পণ্য যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। নিরাপত্তার শিথিলতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। বরং বাংলাদেশকে জানিয়েছে, কোনও অসুবিধে হলে আমরা আছি। সন্ত্রাস দমনেও সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি। আমেরিকার মনোভাবে জার্মানি অনেকটা নরম। বলছে, বাংলাদেশের বিষয়টা বিবেচনা করছি। তাদের মনে রাখা দরকার, একটা দিনের ক্ষতিও অনেক।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

আহলান বলেছেন: :(

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: কি হয় এতো উন্নতি দিয়ে? আমাদের মতো বেকার সাধারণ মানুষের তো ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়না এসব তথাকথিত উন্নয়নে!যা উন্নয়ন হয় সব লুটেরাদের!

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: জার্মানি যা করছে তা অনৈতিক বটে, এটা আমাদের জন্য শিক্ষাও। দির্ঘদিনের অবহেলার ফলেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটার ফলে সরকার একটু নড়চড়ে বসবে। বিমান বন্দর থেকে পণ্য চুরি হয়, এম্ন কিছু হাস্যকর। ওর এই ব্যপারগুলো ভালোভাবে নেয়নি।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

শেয়াল বলেছেন: অজুহাতের দরকার ছিল , গুলশান এটাক তা দিয়েছে ।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

মূল-উপদল বলেছেন: ভাইরে আমার ধারনা ইউরোপের সংকটকাল উপস্থিত, জার্মানি ইতালি এখনো ধরা না খাইলেও দরজায় কড়া নাড়ছে বটে। তাই তারা হয়তো তাদের আগের শিল্প যুগে ফিরে যেতে চাইবে, এত লাখ লাখ অর্ধ শিক্ষিত সিরিয়ান রিফিউজি নিছে সেইগুলারে বসাইয়া খাওয়ানোর জন্য? পোষাক সহ সম্ভব সবরকম শিল্প পন্য এখন ওরা নিজেইরাই তৈরী করবে, অরা চাইলেই যেই দামে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনে সেই দামে ওই রিফিউজিদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.