নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে
সেই জন্মের পর থেকেই এখন পর্যন্ত যতবার যুদ্ধে গেছে পাকিস্তান, প্রতিবারই গো হারা হেরে আসতে হয়েছে তাদেরকে। প্রতিটা ক্ষেত্রে উচ্চাভিলাষী স্বল্পমেয়াদি প্ল্যান পয়দা করেছে পাকিস্তানি জেনারেলরা, আর প্রতিবারই আগ বাড়িয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে কানমলা খেয়ে ফেরত গেছে তাদের সৈন্যরা, হোক সেটা ভারতের সাথে যুদ্ধ কিংবা বাংলাদেশের সাথে।
১৯৪৭-এ যথারীতি আগ বাড়িয়ে কাশ্মিরে ঢুকে পরে পাকিস্তানের সেনারা, যদিও কাশ্মিরের মহারাজার সাথে একটি স্ট্যান্ডস্টিল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছিলেন মহারাজা হরি সিং। যদিও হরি সিং-এর ইচ্ছে ছিলো না ভারত বা পাকিস্তান কোন দেশের সাথেই যোগ দিতে, কিন্তু পাকিস্তানের আগ্রাসী আচরনের কারনে তিনি বাধ্য হন ভারতের সামরিক সহায়তা চাইতে, ভারত শর্ত দিলো ভারতের সাথে যোগ দেওয়ার। মহারাজা বাধ্য হলেন ভারতের সাথে যোগ দিতে। এখন যেহেতু কাশ্মীর ভারতের অংশ, তাই ভারতীয় সেনারা অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানি বাহিনীকে ঠেকাতে ঢুকে পরল কাশ্মিরে। প্রায় এক বছর যুদ্ধের পর যখন অস্ত্র বিরতি হল, দেখা গেল কাশ্মিরের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ রয়েছে ভারতের দখলে, এক তৃতীয়াংশ আছে পাকিস্তানের দখলে। সেনা ক্ষয়ক্ষতি, পাকিস্তানের পক্ষে ৬০০০ নিহত, ১৪০০০ আহত, ভারতের পক্ষে ১৫০০ নিহত এবং ৩৫০০ আহত। এই যুদ্ধে কাশ্মীর দখল করতে ব্যার্থ হবার জ্বালা এখনও পোড়ায় পাকিস্তানকে।
১৯৬৫-এ আবার কাশ্মীর দখল করার খায়েশ নিয়ে ‘অপারেশন জিব্রাল্টারের’ নামে প্রায় ৩০ হাজার সেনাকে গোপনে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কাশ্মীরে ঢোকায় পাকিস্তান। ধান্দা ছিল স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বেশ ধরে এই সেনারা যুদ্ধ করবে ভারতীয় সৈন্যদের সাথে। আর পাকি জেনারেলদের ধারনা ছিল তারা যুদ্ধ শুরু করে দিলেই কাশ্মীরের জনগন তাদের সাথে যোগ দিবে এবং তারা কাশ্মীর দখল করে নিবে। কিন্তু কাশ্মীরের জনগন করলো তাদের এই প্ল্যানের সাথে বেইমানী, তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে জানিয়ে দিলো পাকি সেনাদের অবস্থান। ফলাফল ১৭ দিনের যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানের ১৮০০ বর্গ কি:মি: উর্বর এলাকা দখলে নিল, আর পাকিরা দখল করে নিল ভারতের ৫০০ বর্গ কি:মি: মরুভুমি! বোনাস হিসাবে মার খেয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত ৯৭টা প্যাটন ট্যাংক ফেলে গিয়ে ভারতের খেমকারানে একটা এলাকারই নাম বদলে দিলো ‘প্যাটন নগর’ হিসেবে।
১৯৭১-এ বাংলাদেশে পাকি বাহিনীর চেঙ্গি মার খাওয়ার কাহিনী আমরা সবাই জানি। তবে পাকি জেনারেলদের জেনারেল স্টুপিডিটির একটা চূড়ান্ত নমুনা হচ্ছে ৭১ এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে (এইটা একান্তই ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ, পশ্চিম ফ্রন্টে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না) লোঙ্গেওয়ালা অফেন্স, যেখানে পাকিরা ভারতের সীমান্ত এলাকা দখল করতে এসে ‘একটি’ মাত্র সীমান্ত ফাঁড়ি দখলের ব্যর্থ চেষ্টায় ৩৪টা ট্যাংক হারানোর পাশাপাশি একটি মোবাইল ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের প্রায় ৫০০ গাড়ি ফেলে যেতে বাধ্য হয়।
এর পরেও শিক্ষা হয় না পাকিস্তানের। ১৯৯৯ সালে আবারো কারগিলে ছ্যাঁচড়ামি করে ভারতের পরিত্যক্ত কিছু হাই অল্টিচ্যুড বর্ডার পোস্ট দখল করে নেয় পাকিস্তান। দুই মাস যুদ্ধের পর ভারত ঝেটিয়ে বিদায় করে পাকিস্তানি সৈন্যদের। মাইর খেয়ে পাকিস্তান আমেরিকার কাছে গিয়ে দরবার করে বলে “কাশ্মীর চাইনা, ভারত সামলাতে সহায়তা করুন”, জবাবে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীকে কান মলে দিয়ে বলেন আগে “সৈন্য সরাও, পরে কথা হবে”। মানে মানে কেটে পরে পাকিস্তানি সেনারা, তবে তার আগেই তারা হারিয়েছিল ৪০০০ সেনা।
পাকিস্তান নতুন করে আবারো কান মলা খেল, এবার রাশিয়ার হাতে। কয়েকদিন আগে কাশ্মীরে পাকি উস্কানিতে ভারতীয় সেনা ঘাঁটিতে হামলার জের ধরে রাশিয়া পাকিস্তানের সাথে অনুষ্ঠিতব্য মিলিটারি এক্সারসাইজ স্থগিত করেছে।
সন্ত্রাসী রাস্ট্র হিসাবে পাকিস্তানের পরিচয় দিন দিন কেবল উজ্বলই হচ্ছে, সেই সাথে আন্তর্জাতিক দরবারে তারা হচ্ছে কোনঠাসা। আর যুদ্ধের এই জঘন্য রেকর্ড নিয়ে পাকিস্তানিরা তাদের সামরিক বাহিনী নিয়ে কিভাবে গর্ববোধ করে, এক আল্লাহই জানেন!
ছবিতে দেখা যাচ্ছে লোঙ্গেওয়ালাতে পাগলের মত পলায়নপর পাকিস্তানী ট্যাংকের ট্র্যাকের ছাপ, প্যাটন নগরে প্রদর্শিত ধরা পরা পাকিস্তানি প্যাটন ট্যাংকের সারি, এবং ১৯৪৭ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণরত ভারতীয় একটি সেনা দল।
লিংক-http://egiye-cholo.com/pakistan-loser/
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
আদর্শ সৈনিক বলেছেন: বাংলাদেশ পাশে থাকবে এটা শুনে ভারতের মধ্যে একটা যুদ্ধম যুদ্ধম ভাব এসে গেছে| এবার পাকিস্তানের রেহাই নেই | ভারত এখন ফুল থ্রটলে আছে, কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলেই ঘ্রাউ করে উঠে |কারো কারো যেমন নুনুর আগায় মুত এসে থাকে, চেইন খোলার আগেই মুতে দেয় |ভারতের এখন রাইফেলের আগায় বুলেট এসে রয়েছে, গতকালই পাটগ্রামে বিএসএফ হযরত আলীকে গুলি করে মেরেছে |পাকিদের চীনাদের সাথে হেডমে কুলোয় না তো কি হয়েছে, ঘরের বৌ পিটিয়ে মর্দামি তো বজায় থাকে|