নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুুক্তিকামী বাঙ্গালীদের সাহায্য করেছিলো কিছু বিদেশী রাষ্ট্র। আবার কিছু দেশ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করলেও সে দেশগুলোর জনসাধারণ ঠিকই নির্যাতিত বাঙ্গালীদের সমর্থন জানিয়েছিলো। শুধু সমর্থনই জানাইনি, তাদের সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাঙ্গালীদের পক্ষে কাজ করেছিলো। তাদেরই কয়েকজন বাল্টিমোর বন্দরের শ্রমিকরা। আজ জানাবো বাল্টিমোর বন্দরের শ্রমিক প্রতিরোধের অজানা গল্প-
তারিখটা ১৯৭১ সালের ১৫ জুলাই।
পাকিস্তানি ফ্রেইটার জাহাজ পদ্মা বাল্টিমোর বন্দরে নোঙর করে আছে। এই ফ্রেইটারটি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য বিপুলসংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বাল্টিমোর বন্দর ত্যাগ করবে করাচির উদ্দেশে।
কিন্তু একি! বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ও গোলা পদ্মায় তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানালেন বাল্টিমোর বন্দরের শত শত শ্রমিক। নেতৃত্বে রয়েছে বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন।
তাঁদের কথা একটিই। যে অস্ত্র তাঁদের জাহাজে তুলে দেওয়ার কথা, সেই অস্ত্র দিয়েই তো পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের অসহায় ও নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই অস্ত্রের গুলিই তো কেড়ে নেবে নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষের অমূল্য প্রাণ। বাল্টিমোরের শ্রমিকেরা এতটা বিবেকহীন নন যে তাঁরা মানুষ হয়ে মানুষ হত্যার রসদ সরবরাহের অনুষঙ্গে পরিণত হবেন।
অচলাবস্থা দেখা দিল বাল্টিমোর বন্দরে। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও শ্রমিকেরা পদ্মায় অস্ত্র তুলে দিলেন না। করাচি থেকে পাকিস্তান শিপিং করপোরেশনের জরুরি টেলিগ্রাম এল বাল্টিমোর পোর্ট অথরিটির কাছে। শ্রমিকদের এই ধৃষ্টতা ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ হিসেবেই মনে করতে থাকল পাক শিপিং করপোরেশন। ইয়াহিয়ার শিখিয়ে দেওয়া বুলি তখন আওড়াচ্ছে শিপিং করপোরেশনের কর্তা-ব্যক্তিরাও।
মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানের বন্ধু। কিন্তু তারা তো আর নিজ দেশের মানুষের শত্রু নয়! বাল্টিমোরের শ্রমিকদের পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি পরোক্ষ সমর্থনকে কিন্তু তারা ‘সরকারি কাজে বাধাদান’ হিসেবে না দেখে শ্রমিকদের কর্ম ও চিন্তার স্বাধীনতা হিসেবেই দেখল। তবে বন্ধুকেও তো খুশি করতে হবে। লোক দেখানোর মতো করেই অস্ত্র বোঝাই করে দিতে অস্বীকৃতি জানানো শ্রমিকদের কয়েকজনকে হাজতে নিয়ে পোরা হলো। এক রাত জেল খেটে তাঁরা পরের দিন সকালেই মুক্তি পেয়েছিলেন।
বাল্টিমোর বন্দরের শ্রমিকদের এই অসাধারণ প্রতিরোধ স্থান পেয়েছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের চতুর্দশ খণ্ডে।
তথ্যসুত্র- প্রথম আলো আর্কাইভ।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৮
কলাবাগান১ বলেছেন: চোখ কান খোলা রাখলেই জানা যায় যে তরুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কি এক অসাধারন ডকুমেন্টারী বানিয়েছে এই ঘটনা নিয়ে...
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ওইসব শ্রমিকরা আল্লাহর ফেরেশতা।
তাদের মঙ্গল হোক।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চমৎকার একটি পোস্ট।
আমরা বাঙালিরা স্মৃতিভ্রষ্ট জাতি। অনেকেই জানেন না।
বিদ্রোহীর সাথে সহমত ।
একটা মুভি হলে ভাল হতো ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আন্তরিক শ্রদ্ধা সেই মহান শ্রমিক ভাইদের প্রতি।
এই একটা ঘটনা নিয়েই কি দারুন মুভী হতে পারে। ঐতিহাসিক।
আমাদের তথাকথিত ডিরেক্টর আর প্রডিউসাররা যে কি করে!!!!!!!
অনেক ধন্যবাদ ঘটনাটি শেয়ার করায়।
++++