নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধে যদি বাঙ্গালীরা পরাজিত হতো, তবে কি হতো.??

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭

এভাবে যদি চিন্তা করি ১৯৭১ সালে যুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান হেরে গেলো এবং পশ্চিম পাকিস্তান জিতে গেলো!
তাহলে কি হতো?
দেশদ্রোহীতার কারণে এক নাম্বার যুদ্ধাপরাধী আসামী হতো বঙ্গবন্ধু!
এক নাম্বার যুদ্ধাপরাধী দল হতো আওয়ামী লীগ!
যে ৩০ লাখ মানুষ কে মেরে ফেলা হয়েছে তাদের সবাই কে বেইমান ইন্ডিয়ার দালাল মালাউন হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো! শেখ মুজিব,আতাউল গনি ওসমানী,তাজউদ্দিন আহমেদ,এম মনসুর সহ যারা ছিলো সবাই কে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিন্হিত করা হতো!
সবাই কে ফাঁসি তে ঝুলানো হতো। যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হতো!
বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেতো গোলাম আযম,নিজামী,সাঈদী,কাদের মোল্লা,কামরুজ্জামান!
শান্তি কমিটি বিশেষ সম্মাননা পেতো! জামাতী ইসলাম দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্য পুরস্কারে ভূষিত হতো! পূর্ব পাকিস্তানের জনগন কে সারা জীবন পাকিস্তানের শোষণ আর অত্যাচার সহ্য করে তাদের করুণা নিয়ে বেঁচে থাকতে হতো!

কিন্তু আল্লাহর অশেষ নিয়ামত দেশ স্বাধীন হলো! আমরা স্বাধীনতা পেলাম।
কিন্তু আফসোস স্বাধীনতা বিরোধী দল কে স্বাধীনতার মহানায়ক নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও কয়েক বছর ব্যবধানে স্বাধীনতার মহানায়ক কে হত্যা করে আরেক মেজর জেনারেল ক্ষমতা গ্রহণ করলো। এবং স্বাধীনতার বিরোধী দল জামায়াত কে আবার রাজনীতি করার সুযোগ দিলো! শুধু তাই না সেই দলের নেতা কে মন্ত্রী বানিয়ে তার গাড়িতে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজ পতাকা সেই সব যুদ্ধাপরাধীর গাড়িতে লাগালো! আরো অবাক করার বিষয় যে দল টি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিলো সেই দল টি এক সময় স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়ে ছিলো!
এটা জাতির জন্য দুঃখজনক হলেও দলটি তাদের সঙ্গ ত্যাগ করতে পেরেছে এই জন্য একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য!
কিন্তু আফসোস স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এখনো আরেক টি দল এই যুদ্ধাপরাধী দল কে ছাড়তে পারে না!
বিলিভ ইট অর নট যুদ্ধে হেরে গেলে ৪৮ বছর পর পূর্ব পাকিস্তানে আঃলীগ নামের কোন দলের অস্তিত্ব ও থাকতো না। ঠিক এক ই ভাবে জামায়াতের ও কোন অস্তিত্ব বর্তমান বাংলাদেশে থাকার কথা না। কিন্তু লজ্জাজনক ভাবে এখনো কোন না কোন দলের আশ্রয়ে তারা টিকে আছে। শুধু তাই না তারা আবার এই দেশের মানুষের সমর্থন ও পাচ্ছে! পৃথিবীর অষ্টম আশ্চার্যে মত ঘটনা হলো জামায়াত শিবির আবার এই দেশে ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে দেশ চালানোর স্বপ্ন ও দেশে!
আমি মাঝে মধ্যে খুব অবাক হই এই ভেবে ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলো কেমনে ?
এই ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার ভূখন্ডে এখনো যেই পরিমাণ পাকিস্তানী ছাগল বসবাস করে তাদের এত পাকিস্তানী ভালোবাসা থাকার পর দেশ স্বাধীন হওয়া কতটা কঠিন ছিলো ভাবলেই শরীর শিওরে উঠে!
এত বেশী রাজাকারের ভীড়ে দেশ স্বাধীন করা চারটিখানি কথা নয়। কথায় আছে ঘরের শত্রু ভীবিষণ!!
এই যে এখন অনলাইন অফলাইনে ব্যাঙের ছাতার মত পাকিস্তান ফ্যান গজিয়েছে বিশ্বাস করেন আর নাই করেন সাল টা ১৯৭১ হলে এদের ৯৯% ই রাজাকার ভূমিকায় দেখা যেতো!! অনলাইনে এত এত পাকিস্তানী ছাগল মাঝে মধ্যে কনফিউশনে পড়ে যাই বাংলাদেশেই আছি নাকি পাকিস্তানে চলে আসছি!
বলতে শোনা যায় এই বাঙালী ৭১ এ সবাই এক হয়ে ছিলো। আসলে কথাটা ভুল। ৭১ এ সব বাঙালী এক হলে ৩০ লাখ মানুষ কে জীবন দিতে হতো না। ২ লাখ মা বোনের ইজ্জত নষ্ট হতো না! আপনার আশে পাশে তাকালেই বুঝবেন এই বঙ্গদেশে কি পরিমাণ পাকি ভক্ত ছাগল বাস করে। তখন পাকিস্তানী শত্রুদের মোকাবেলা করার থেকে রাজাকার মোকাবেলা করা বেশী কঠিন ছিলো! কারণ এরা ছিলো আপনার আমার কাছের লোক!

এই জাতির ভিতর থেকে কি কোন দিন পাকি প্রেম দূর হবার কোন সম্ভাবনা আছে ?
না বোধদয়! কি এক অদ্ভুদ কারনে জানিনা পাকিস্তানের বিরোধীতা করলেই এইদেশের কিছু মুসলমানের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। তাদের ইমান মনে হয় আল্লাহ বিশ্বাসে নয় পাকিস্থান বিশ্বাসে! আপনি মুসলমান হয়ে যদি পাকিস্তান কে ভাই ভাই না বলেন সাথে সাথে আপনি অমুক দেশের দালাল হয়ে যাবেন! আপনি যত ই মুসলমান হন না কেন শুধু পাকিস্তানের বিরোধীতা করবে তো আপনি অমুক দেশের দালাল এবং নাস্তিক!
বর্তমান সরকার যে কত গুলো ভালো করছে তার মধ্যে অন্যতম যুদ্ধাপরাধীদের গলায় ফাঁসির দড়ি লাগানো! ক্ষমতা থেকে চলে যাবার আগে আরেকটি চাওয়া আছে। জামায়াত শিবিরের কোন অস্ত্বিত্ব যেন এই দেশে না থাকে!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

শাহাদাত নিরব বলেছেন: শিরোনাম দেখে লেখাটা পড়ার ইচ্ছে জাগলো । কয়েক লাইন পড়ে বুঝলাম এটা মোটেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নয়।
বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেতো গোলাম আযম,নিজামী,সাঈদী,কাদের মোল্লা,কামরুজ্জামান!
বাকীদের নাম কই ?
তার মানে এটা একটা গোষ্ঠী বিষয়ক লেখা ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩০

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণগ্রহণ করেছেন অসংখ্য যোদ্ধা, তাদের মধ্যে যারা দেশের জন্য অসীম সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন তাদেরই আমরা বীরশ্রেষ্ঠ বলি। সব মুক্তিযোদ্ধাই বীরশ্রেষ্ঠ নয়। তেমনিই প্রধান রাজাকার যারা ছিলো তারদেরই পাকিস্তান সম্মানিত করতো। এখন যেমন তাদের বিচারে পাকিস্তান কান্নায় ভেঙ্গে পরে। তেমনি। আর গোষ্ঠীভিত্তিক লোকের কাছেই এই লিখা গোষ্ঠীভিত্তিক মনে হওয়া স্বাভাবিক

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

শাহাদাত নিরব বলেছেন: তাদের মধ্যে যারা দেশের জন্য অসীম সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন তাদেরই আমরা বীরশ্রেষ্ঠ বলি। সব মুক্তিযোদ্ধাই বীরশ্রেষ্ঠ নয়।
তাহলে কি সা'কা চৌধুরীর বিচার টা আত্ম কেন্দ্রিক হয়েছে ?

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: সেও ওদের মতোই স্বীকুত যোদ্ধাপরাধী ছিল

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পড়লাম।

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালীরা কঠিন জিনিস।

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: সত্যিই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.