![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক। আমি বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসি, বাংলাদেশ সম্পর্কে, আমার নিজের জেলা সম্পর্কে লিখতে আমার খুব ভালো লাগে।
শিক্ষা মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে একটি। কথায় আছে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। কারন শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞান অর্জন করা। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সুস্থ্য সাংস্কৃতিক চর্চা করা অপরিহার্য। কিন্তু আজকের ছেলেমেয়েরা সেই সুযোগ পাচ্ছে না। তার কারন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট সেন্টার। সারা বাংলাদেশে অসংখ্য কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট সেন্টার গড়ে উঠেছে। আজ আমি একটি উপজেলার শিক্ষার চিত্র তুলে ধরবঃ-
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলা। বংশাই নদীর তীরে অবস্থিত মধুপুর উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এই মধুপুর উপজেলা থেকে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। সাবেক খাদ্য মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ভোলার দেশের বাড়ী এই মধুপুর। এখানে বিখ্যত বিদ্যাপিঠ হচ্ছে মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় এবং শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া আরো অসংখ্য স্কুল কলেজ রয়েছে এই মধুপুর শহরে। কিন্তু তা সত্যেও এখানে গড়ে উঠেছে হাজারে হাজারে কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট সেন্টার। এসব কোচিং সেন্টারের মালিক বিভিন্ন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। কেউ কেউ কোন একটা ঘর ভাড়া নিয়ে কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন। আবার কেউ কেউ নিজের জমির উপর ঘর তুলে কোচিং সেন্টার বসিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বাসায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। আর অভিভাকেরা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের ভালো ফলাফলের আশায় এসব কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট সেন্টারে পড়তে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। খুব ভোর থেকে এসব কোচিং সেন্টারে এবং প্রাইভেট সেন্টারে পড়ানো হয়। যার ফলে মধুপুরের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা ও সুন্থ্য সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ পাচ্ছে না। যার কারনে মধুপুরে অপসাংস্কৃতির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এসব কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট সেন্টারের মান কতটুকু। আমার এক ভাতিজাকে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমাদের কোচিং সেন্টারে তোমাদের স্যারে কি পড়ায়, সে উত্তর দিল বাইড়াইয়া বাইড়াইয়া পড়ায়। এতেই বুঝা যায় এসব কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট সেন্টারের পড়াশোনার মান কতটুকু। void(0);
©somewhere in net ltd.