নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইমেলা ২০১৯

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭




#বইমেলা২০১৯

প্রায় মাসিক খানে এইবারের 'বইমেলা' উপলক্ষ্যে কি কি বই কিনবো তা বলে দিয়েছিলাম।

নবীন এবং পুরোনো লেখকদের মিলে ৫২ টি বই কিনবো বলেছিলাম।
প্রি-অর্ডার এবং বইমেলা থেকে মিলে কিনে (এবং হয়তো আরো একবার যেতে পারি বইমেলায়...) মোট সংখ্যা প্রায় ৬০ এর কাছাকাছি (!), যদিও বলেছিলাম ৫০ এর উপরে যাবো না!

কিন্তু, বাঙালি প্রবাদে আছে, "ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে," আমার ক্ষেত্রে সেটি হাজার ভাগ সত্য এবং প্রযোজ্য।

যাই হোক, আজকে বইমেলায় গিয়েছিলাম। প্রি অর্ডার ছাড়া, সরাসরি বইমেলা থেকে কেনার জন্য।

বইটি কিনেছি ২৩ টা, প্রি অর্ডারে আছে ৩৫ টা।

বইমেলায় গিয়েছিলাম ০৩ঃ৩৫ এ, ফিরেছি ০৫ঃ ১৭ তে।

সর্বমোট ছয়জন লেখকদের সাথে দেখা হয়েছে, বাকি লেখকরা তখনো আসেন নি।

তাই, দেখা হয় নি। দুঃখিত এবং লজ্জ্বিত আমি, হাতে সময় কম ছিলো বিধায় দেখা করতে পারি নি!

যাই হোক, এখন বইগুলো আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেই এবং কিছু কথা বলি।

০১.

আসমান - Latiful Islam Shibli ভাই এর বই।

এবং, আজকে উনাকে নিয়ে কথা বলবো বেশি। কারণ, পুরো মেলায় শুধুমাত্র উনার সাথে আমার সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছে।

শিবলী ভাইয়ের বই কিনতে গিয়েছিলাম 'নালন্দা, প্যাভিলিয়ন ১০ এ।'

প্রথমে একসাথে তিনটে বই কিনে ভেবেছিলাম চলে আসবো, কারণ, লেখকদেরকে 'সেলফি/ছবি তোলার জন্য' বিরক্ত আমি করতে চাই নি।

এছাড়াও, শিবলী ভাই তখন অনবরত অটোগ্রাফ আর পাঠক-পাঠিকাদের সাথে ছবি তুলছিলেন।

যাই হোক....

এটা আমার এখনকার জীবনের সবচেয়ে আনন্দদায়ক আর মিশ্র অনুভূতির সমাহার।

বই কেনার পর ভাই তখনো দাঁড়িয়ে ছিলাম, ভাবছিলাম ভাইয়ের সাথে দেখা করে চলে যাবো।

কিন্তু!

ভাই তো এক অদ্ভুত কারিশমা দেখালেন!!

আমার দিকে তাকিয়ে ভাই এতো ভালোবাসা আর ভাতৃত্বের বন্ধনে বাঁধা... যেন অনেক সময় পর দেখা হয়েছে এক আত্নীয়, পরিচিতের সাথে।

“তুমি দাঁড়াও ভাই, কথা বলবো তোমার সাথে,” শিবলী ভাই মুখের মানচিত্রে ভরা হাসি এনে বললেন।

“জ্বি ভাই।” দুরুদুরু বুকে আমি বললাম।

শিবলী ভাই তখন অনবরত অটোগ্রাফ দিয়ে যাচ্ছিলেন, অন্যদের সাথে কথা বলছিলেন। আমি তখনো দাঁড়িয়ে ছিলাম।
একসময় ভাই বাম পাশে ফিরে বললেন, “তুমি এগিয়ে এদিকে আসো ভাই।”

আমি হেঁটে ডানদিকে গিয়ে ভাইয়ের সামনা সামনি দাঁড়ালাম।

“তুমি তো বেশ ভালো ই লম্বা!” ভাই প্রথমে ই বললেন।

আর, কথা রাজ্যের কথা শুরু হলো। কথা হলো দখল নিয়ে, কথা হলো আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ে, থ্রি স্টার-সেভেন স্টার গ্রুপে কথা নিয়ে।

‘আওরেঙ্গ দা’ কে কথা বাকি থেকে গেলো শুধু!!

যাই হোক, এরপর আচমকা ভাই বললেন, “Give me a hug, brother.” বলে স্টলের ভিতর থেকে সামনের নুয়ে পড়লেন।

আমি তো দু’চোখে অবাক স্বপ্ন নিয়ে ভাইয়ের দিকে এগুলাম আর ভাই বেশ শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন!

এবং, এটা আমার জীবনের, আমার পাঠক জীবনের, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলোর দিকে সবচেয়ে অনন্য এবং অমায়িক মুহূর্ত!

আমি এখনো শিবলী ভাইয়ের এমন ভালোবাসা জড়ানো সময়ের কথা ভেবে যাচ্ছি।

“হয়তো, আমার কথাগুলো, আমার পর্যালোচনাগুলো ভাইয়ের খুব বেশি পছন্দ হয়েছে। ভাইয়ের সৌহার্য্য হয়তো আমি বেশ তাড়াতাড়ি পেয়ে গিয়েছি।” আনমনে ভেবে যাচ্ছি আমি এখনো।

এরপর, ‘আসমান’ নিয়ে বিভিন্ন কথা আর সবশেষে ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গিয়ে তুমি আবারো কোলাকুলি করলেন আমার সাথে, এক নগণ্য পাঠকের সাথে।

ভাইয়ের সাথে আমার আড্ডা হয়তো একদিন বেশ জমবে। আর, ভাইয়ের সহচার্যে থেকে কিছু জানা আর শেখার প্রয়াস করবো, এমন আকাঙ্ক্ষা আমার মনে উঁকি দিচ্ছে।

“ভাই কি মেলার পর উঁনার ব্যস্ত থেকে কিছু বিকেল বা কিছু দুপুর আমার সাথে আড্ডায় কাটাবে?” প্রশ্নটা ভাইয়ের কাছে রইলো।

০২.

Farzana Mitu (ফারজানা মিতু) আপুর ‘তুমি আমার ঝিনুকের গল্প’ কিনে ভাবলাম, আপুর সাথে আবারো নিজের পরিচয় ঝালিয়ে আনা যাক।

রীতিমতো আপু ডাক দেওয়া মাত্র আপু সামনে এলেন, আমি নিজের নাম আর পুরোনো দু’টো কথা বলা মাত্র আপু চিনে নিলেন আমাকে।

কিছুক্ষণ কথা হলো আর এরপর আপুর থেকে আমি বিদায় নিলাম।

আপু বেশ হাসি মুখে বিদায় দিলেন।

০৩.

তকিব তৌফিক ভাইয়ের সাথে আচমকা দেখা হয়ে গেলো স্টলে, যখন শিবলী ভাই আর মিতু আপুর সাথে কথা বলছিলাম তখন তকিব ভাই ছিলেন না।

আর, আচমকা চলে এলেন স্টলে।

যদিও, অপরিচিতদের ভিড়ে ভাই ঠিক করে চিনতে পারে নি।

এখন তো নিজের ম্যাসেঞ্জারে গিয়ে পুরোনো ম্যাসেজগুলো পড়লে মনে পড়ে যাবে আমাদের কথাগুলো!

ভাইকে অভিনন্দন!!

০৪.

Bappy Khan ভাইয়ের সাথে বাতিঘর স্টলে ভিতরে দেখা, কাজের চাপে আর পাঠকদের প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে আমাকেও বাপ্পী ভাই তেমন সময় পারলেন না।

অটোগ্রাফ দিয়ে গিয়ে নাম প্যাঁচিয়ে ফেলেছেন!
তবে, ইন শা আল্লাহ, সামনের বইমেলায় একসাথে দেখা হবে!

ভাইয়ের ‘হার না মানা অন্ধকার’ পুরোনো বই ‘নিশাচর’কে আলোকিত করবে।

০৫.

আচমকা দেখা হয়ে গেলো Xulian (জুলিয়ান) ভাইয়ের সাথে, চলে যাচ্ছিলাম আর তখন পিছনে ফিরে চাওয়া মাত্র ভাইকে দেখলাম।

আসলে স্টলে দিবাকর ভাইকে খুঁজছিলাম, এই লেখকের সাথে গতবারের ‘পঞ্চম’ কেনার সময়ও দেখা হয় নি।

লেখক হয়তো আমার সাথে ক্ষোভে আছে, রাগে আছে।

লেখকের বই সম্পর্কে লেখতে গিয়ে হয়তো ‘ভুলে বা মজা করে (!) কঠিন শব্দ ব্যবহার করে ফেলছিলাম। তাই হয়তো, রাগে-ক্ষোভে-গোস্বায় লেখক আমার সাথে কথাও বলেন না!

আমি দুঃখিত ভাই!! মাফ না করলে কিন্তু ‘অভিমন্যু’ বই পড়মু না!

এরপর, জুলিয়ান ভাইয়ের সাথে বেশি কথা বলতে পারি নাই, নামাযের সময় হয়ে আসছিলো।

এজন্য জুমিয়ান ভাই আমি লজ্জ্বিত!

ইন শা আল্লাহ, একদিন জম্পেশ আড্ডা হবে।

‘নিঃশব্দ শিকারী’ আর বাকি আসতে থাকা বইয়ের জন্য ভালোবাসা আর শুভকামনা।

০৬.

শেষ লেখক হিসেবে দেখা হয়ে গেলো Sumon এর সাথে, এবার সুমন এর সম্পাদনায় এলো ‘মেঘ পিয়নের চিঠি’।

হারিয়ে যাওয়া চিঠির ভালোবাসাগুলোকে সুমন বদ্ধ করেছে একটি বইতে, আর এমন সাহসের জন্য সুমনকে ভালোবাসা জানাই।

০৭.

‘শূন্য হাতের উৎপাত’ বইটা ভালোবাসার এক বড় ভাই, বড় মনওয়ালা এক মানুষের, স্বপ্নালু চোখের এক সত্তার।

নাম Zubair, আমাদের সবার কাছে এক নক্ষত্র যে ভাই!

এই জোবায়ের ভাইকে চিনেন না এমন মানুষ কম আছে, অন্তত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এমন ছাত্রের সংখ্যা কম।

বিশ্ববিদ্যালয় যুদ্ধের সময় ‘খ আর ঘ’ ইউনিট এর সাধারণ জ্ঞান অনন্য ভরসা হিসেবে জোবায়ের ভাই একক, অনন্য।

যদিও, বেশ বছর ধরে ভাইয়ের সাথে দেখা নাই, কথাও মাঝে মাঝে হয়!

ভাইয়ের কাছ থেকে আর শোনা হয় না ‘ভাইয়ের পুরোনো প্রেমিকার কথা,’ ‘টিএসসি এর এক টাকার’ চায়ের কথা।

জোবায়ের ভাইয়ের সেই অনুপ্রেরণার গল্পগুলো আজও ব্যথিত হৃদয়ে গান তুলে, সুর তুলে।

দীর্ঘ দুই বছর পর ভাইয়ের দ্বিতীয় বই এটি আসে, ‘শূন্য ঘরের লুটপাট’ ছিলো ভাইয়ের প্রথম বই, যার মুদ্রণ প্রায় চার থেকে পাঁচ বার হয়েছিলো।

ভাইয়ের জন্য ভালোবাসা চিরদিনের আর এই নতুন বইয়ের জন্য কৃতজ্ঞতা। পাবেন স্টল ১১৪ এ।

০৮.

‘যে প্রেমে বিরহ নেই’, প্রিয় শিক্ষক Khairul Islam স্যারের। পিএইচডি এর জন্য অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়ায় দেখা হলো না এবার!

০৯.

‘ট্রুপিটু’, জনপ্রিয় মজার আর ভালোবাসার লেখক Asif Mehdi ভাইয়ের!

সাইকো থ্রিলার!

উফফ!! দারুণ বইটা।

ভাই স্টলে না থাকায় দেখা হলো না, তবে ইন শা আল্লাহ দেখা হবে। যদি ভাই সময় দেয়।

১০.

‘পাতাঝরা মন,’ Saiful Islam Jewel ভাইয়ের।

আমাদের আই,ই,আর এর শিক্ষার্থী, যার এ পর্যন্ত দশটি (১০টি) মৌলিক বই বের হয়েছে।

ভাই ছিলো না বিধায় দেখা হলো না এবারও, গতবার ‘চাঁদনী’ কেনার সময়ও দেখা হলো না!!

১১.

‘মিশন হাকিম নগর ‘৭১’, মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি বই। লেখিকা Nisa Mahjabin

প্রি অর্ডার করা ছিলো, তাই স্টল থেকে গিয়ে নিয়ে এসেছি। লেখিকা ছিলেন না বিধায় কথা হলো না আজ!

১২.

‘একটি বসন্ত অতঃপর কৃষ্ণচূড়া,’ লেখিকা Sadiya Siddika

আর, এমন একটা নামের জন্য লেখিকাকে আমি একটা আইসক্রিম খাওয়াবো।

এবং, এটা সত্যি।

উফফ!!! এত্তো ভালোবাসাময় একটা নাম, কিভাবে এলো মাথায়?

তবে, বইটা ভালোবাসার মনে হলেও লেখিকা বুদ্ধিমতি। প্যাঁচ ভালো জানেন, হয়তো ভালো করে প্যাঁচিয়েছেন গল্পটাকে।

লেখিকা নিজের দাবিত্ব করা ‘দেবতা’র কল্পনায় আজও মুগ্ধ, নিজেকে ‘দেবী’ হিসেবে লুটিয়ে দিয়ে চান দেবতার কাছে!

কিন্তু, হয়তো মনোমালিন্য চলছে!

লেখিকা ছিলেন না স্টলে, তাই আড্ডা দেওয়া হলো না।

১৩.

‘একটি গল্পের গল্প’ আর ‘গল্পটির বাকি অংশ’ বইটি দুটি ক্রাইম রিপোর্টার, ডিসুম-ডিসুম সাংবাদিক Jamshed Nazim ভাইয়ের।

প্রি অর্ডার দেওয়ার সময় থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কথা হয়েছে লেখকের সাথে।

ভেবেছিলাম, আজকে লেখকের সাথে দেখা হবে। এতোদিন পর চোখের শান্তি আসবে।

কিন্তু, আমি বেশ বড্ড তাড়াতাড়ি চলে আসায় লেখকের সাথে দেখা করতে পারি নি। এজন্য, দুঃখিত আর লজ্জ্বিত ভাই।

আপনার বই গতবারের মতো এবারও পাঠক মহলে সমাদৃত হবে।

১৪.

‘ব্ল্যাক ভ্যাম্পায়ার’ Turjoy Shakil এর বই।

উফফফ!! নামটা যবে থেকে পড়েছি, আমি উত্তাল হয়ে গিয়েছিলাম।

কারণ, ‘ভ্যাম্পায়ার’দের প্রতি আমার আলাদা একটা টান ছিলো।

লেখকের দ্বিতীয় বই এটি, ইন্ শা আল্লাহ, প্রথমটার মতোও এটি হিট খাবে।

লেখক জমে থাকায় আসতে পারেন নি বিকেলে, ফলে দেখা হলো না!!!

১৫.

‘বেলা অবেলার গল্প,’ লেখিকা ফাহিদা ফারজানা।

আর, সৌভাগ্যবশত উনি আজকে আমার ষষ্ঠ এবং সর্বশেষ লেখক/লেখিকা, যাঁর সাথে আমার দেখা ও কথা হয়েছে!

যদিও আমি প্রথম দেখায় লেখিকাকে চিনতে পারি নি!!!!

এজন্য আমি একদম লজ্জ্বিত!

কারণ, আজ লেখিকা বেশ চমৎকার আর উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো নিজেকে উপস্থাপন করেছিলেন বইমেলায়। বাঙালি শাড়ি, মিষ্টি হাসি আর সাথে নখের পলিশ (!) বেশ নান্দকিত ছিলো।

লেখিকাকে আমি নাম বলা মাত্র ভাগ্যগুণে আমাকে চিনে ফেলেন এবং অটোগ্রাফ দেন। না হলে আজকে কথা হতো না লেখিকার সাথে, যদিও লেখিকার স্পষ্ট চেহারা খেয়ালে আসছে না!!

লেখিকাকে উনার নান্দনিক ছবি প্রোফাইলে দেওয়ার অনুরোধ, যাতে আমাদের মতো নবীন পাঠকরা ধোঁকা (!) না খায়!

১৬.

‘নারী গল্প সংকলন ১’ বই এর কথা ‘লিখালিখি’ গ্রুপ থেকে পেয়েছিলাম, ‘নারী’ পেইজ এর লেখিকাদের দৈন্দদিন জীবনের ভালোবাসা-ভালোলাগা, সংগ্রাম, কষ্ট, দুঃখ, হতাশা..... সহ আরো ছোট ছোট কথাগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন এই বইতে।

সবাইকে পড়ার আমন্ত্রণ।

১৭.

‘রিবার্থ’, Rashikur Rahman Rifat এর লেখা বই।

আচমকা আজ সকালের লেখকের রিমাইন্ডার পোস্ট চোখে পড়ায় টুকে নিলাম বইটা, মেলায় গিয়ে কিনে নিলাম এটি।

লেখকের এইটি দ্বিতীয় বই, গতবারের বইমেলায় বের করেছিলেন এবং বেশ নাম-ডাক এসেছিলো বইটির।

প্লট দুর্দান্ত এবং রোমাঞ্চকর।

এবং, অবশ্যই, এটি থ্রিলার বই!

১৮.

‘তোমার চোখে আমার আকাশ নীল মেঘ ছুঁই,” বইয়ের লেখিকা Hasina Sayeed.

উনার সাথে পরিচয় ‘গ্রন্থ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটা যুগান্তরী ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে।

বিভিন্ন বইয়ের ‘বই পর্যালোচনা’ দিতে দিতে লেখিকার সাথে পরিচয়।

লেখিকার এটি দ্বিতীয় বই, এবং একদম নিপুণ হাতে লিখেছেন এই অ্যাখান।

লেখিকা আজ ব্যস্ত থাকায় দেরিতে এসেছিলেন, তাই দেখা হয় নি!!

১৯.

‘দীপালি,’ বইয়ের লেখক Aritro Das

জাহানঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘আইন’ এ পড়াশোনা করে উনি কিভাবে রোমান্টিক বই লেখলেন, বুঝলাম না?!

হয়তো, প্রেমিকা আছে তাই লেখতে পারছে।

“ভাই, বৌদি আছে নাকি?” প্রশ্নটা রইলো লেখকদের কাছে।

নবীন লেখক হওয়ার পরও একদম সুচারূহাতে লিখেছেন বইটি, পড়ে দেখতে পারেন।

পরীক্ষা চলার দরুণ লেখক আসতে পারেন নি, তাই দেখাও হয় নি।

২০.

‘অপরাজিতা ছাত্রীনিবাসা,’ লেখিকা Sanjida Shifa Ayesha

আমাদের আই,ই,আর এর প্রাক্তন শিক্ষার্থী আয়েশা আপু!

আমার খেয়ালে কিংবা নজরে পড়ে নি আপুর বই, পড়লে আগে আমি প্রচারণায় সাহায্য করতাম!

এজন্য আপু, আমি দুঃখিত এবং লজ্জ্বিত!
আই,ই,আর - আই,ই,আর হয়েও যদি আপনার বইয়ের কিছু কাজে না আসতে পারি, তাইলে কেমনে কি হইলো!!

‘বর্ষাদুপুর’ স্টলে যখন গেলাম তখন আপুর বই থেকে হুট করে কিনে নিলাম।

লেখিকার এই দ্বিতীয় বই, ‘পঞ্চাশ টাকা’ ছিলো প্রথম বই, যেখানে গল্পগুলো এতো মিহি আর আবেগ দিয়ে লেখা হয়েছিলো যে... আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম!

আপু স্টলে ছিলেন না বিধায় দেখা আর কথা হয় নি।

২১.

‘মুক্তিপণ’, লেখিকা Camelia Rownak

অনেকটা থ্রিলার টাইপের বই এটি, স্টলে লেখিকা ছিলেন না বিধায় আড্ডা হলো না।

তবে, ফেসবুকে উনার নামের (!) রহস্য নিয়ে বেশ গবেষণা হয়েছিলো!!

২২.

‘মায়াবী প্রস্থান’ লেখক Jony Ahmed

‘প্রি অর্ডার’ এর ব্যবস্থা না থাকায় বইটি আগে নিতে পারি নি। আজ মেলা থেকে তুলে নিলাম এটি।

লেখক ছিলেন না বলে দেখা হয় নি!

২৩.

‘ওয়ান ডাউন’, লেখক Rashat Rahman Zico ভাই।

ভাইয়ের এই বইটি পুরো বইমেলার সব বই থেকে আলাদা, এটা আমার বিশ্বাস।

ক্রিকেট খেলা নিয়ে স্বপ্ন দেখা এক যুবকের গল্প তুলে ধরেছেন জিকো ভাই, যেটা আমি পুরো মেলায় দ্বিতীয়টা পাই নি।

‘স্পোর্টস-ড্রামা’ জনরায় পড়া এই বইটি এক কথায় অসাধারণ, বইয়ের প্রি-ভিউ পড়ে কিনার তালিকায় রেখে দেই এটা।

জিকো ভাই ছিলেন না বলে আজ আড্ডা হলো না। (ভাই আমি আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে নেই বিধায় আপনাকে ট্যাগ করতে পারলাম না!)

আর, এর মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ‘বইমেলা উপলক্ষ্যে’ বই কেনা, যদিও গতমাসে আর এই মাসে (বইমেলা ছাড়া) ‘ডজন খানিক’ বই আনলাম।

তাই, শুধু বইমেলা নির্ভর পাঠক হবেন না। বইকে মাত্রায় আনবেন না। বইটি মাত্রাহীন, সীমাহীন, অসীম।

বি.দ্রঃ তবে হয়তো আরো একবার যাওয়া হতে পারে, একজন ডাক্তার Maliha আজকাল (!) স্টলে থাকছেন না। নালিশ আছে উনার নামে!!

ইন শা আল্লাহ, বইমেলার পরও এভাবে অনবরত বই কেনার আমেজ আমার থাকবে, বই পড়ার ভালোবাসা আর তৃষ্ণা জেগে উঠবে আমার।

আপনার থাকবে তো? থাকছে তো?!!

ভবিষ্যৎ পুলিশ ক্যাডার এ.এস.পি Salam সাহেবকে আজকের কষ্টের জন্য ধন্যপ্লাস।

যদিও যাওয়ার সময় তোরে উচিত ছিলো রিক্সা ভাড়া দিয়া দেওয়ার!

মাগার, মনে আছিলো না মামা।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো লাগলো। বোঝা যাচ্ছে আপনি রীতিমতো বইপোকা।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: দারুণ! এত চমৎকার বর্ণনা আর সুন্দর সুন্দর শব্দশৈলীতে বইমেলায় না গিয়েও মনে হচ্ছিল আমিও আপনার সঙ্গে সঙ্গেই ছিলাম। ধন্যবাদ সকল নতুন ও পুরোনো লেখক সহব্লগারদের বইগুলো কেনার জন্য।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: এবারের বইমেলা ১০০% সফল।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০০

শায়মা বলেছেন: বাহ !
দারুন বইমেলা ভ্রমন ভাইয়া!

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনি তো একাই এক লাইব্রেরী বই কিনেছেন!

সুন্দর বর্ণনা।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে।

আসলে বইপড়ার মাঝে এক প্রকার ভালোবাসা কাজ করে, তাই পড়ি।

আপনাদেরকেও স্বাগতম, বইমেলায়।

জানাবেন, কি কি বই কিনেছেন।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৭

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার কাজ করেছেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৫

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনিও বই কিনুন, বই পড়ুন।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার! আপনার মত একগাদা বই কিনতে পারলে খুব একটা মন্দ হত না কিন্তু। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.