![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের জীবনগুলো আসলে একেকটি উপন্যাস, সুন্দর মলাটে বাধানো হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাস। উপন্যাসের শুরু হয় জন্মে আর শেষে থাকে মৃত্যু। উপন্যাস জুড়ে থাকে অসংখ্য ছোটগল্প,থাকে ভাঙ্গা গড়ার খেলা। সেই উপন্যাসের মূল চরিত্র আমরা নিজেই। আমাদের ঘিরে থাকে অসংখ্য পার্শ্বচরিত্র। কোন চরিত্র থেকে যায় পুরো উপন্যাস জুড়েই। আবার কোন পার্শ্বচরিত্রের বিচরণ থেমে যায় ক্ষুদ্র পরিসরেই। সে চরিত্রকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় উপন্যাস। চলে আসে নতুন নতুন গল্প,নতুন নতুন চরিত্র। \nউপন্যাসে কখন কোন গল্প শুরু হবে,কে আসবে সবই ঠিক করেন লেখক। তার কলমের আচড়ে লেখা হয়ে যায় উপন্যাসের মানুষ গুলোর ভবিতব্যতা। সত্যি ঈশ্বর মহান লেখক............
অস্তগামী সূর্যের শেষ ম্লান আলোকচ্ছটায় বড্ড মায়াময় লাগছে রাতুলের মুখখানী। দু’চোখ ভরা মৃত্যুর নেশা, মৃত্যু যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
কাঁপতে কাঁপতে ছাদের ঠিক কিনারায় দাঁড়িয়ে পড়ল রাতুল। অপেক্ষা শুধু টিপ টিপ করে জ্বলতে থাকা সূর্যটার নিভে যাওয়ার, সন্ধ্যাতারার জেগে ওঠার। সন্ধ্যাতারাকে সাক্ষী রেখে রাতুল আত্নহত্যা করবে, নিজেকে বিলীন করে দেবে রহস্যের পরপারে। যেখানে কোনো দূঃখ তাকে স্পর্শ করবে না।
রাতুল আত্নহত্যা করবে, দেহটি শুন্যে এলিয়ে দিলেই স্তব্ধ হয়ে যাবে সাতাশ বছরের কোলাহল। চেনা-জানা এই পৃথিবী , পৃথিবীর অতি আপন মানুষগুলো, সেই ছোট্ট রুম, কতশত স্বপ্ন, অজস্র ভালোবাসার বন্ধন সব বিলীন হয়ে যাবে, সব পর হয়ে যাবে শুধু দেহটি শুন্যে এলিয়ে দিলে। অপেক্ষা শুধু সন্ধ্যা তারার, রাতুল আত্নহত্যা করবে।
হঠাৎ করেই একটা করুন সুর বেজে উঠল, রাতুলের মোবাইলটা করুন গলায় বেজে উঠছে। চরম বিরক্তি নিয়ে রাতুল মোবাইলটা বের করল ছুড়ে ফেলবে বলে। ছোট বোন ফোন করেছে। এই বোনটিকে রাতুল প্রচুর ভালোবাসে। ভাবল আত্নহত্যা করার খবরটা দিয়েই ছাদ থেকে ঝাপিয়ে পড়বে।
ফোন রিসিভ করা মাত্রই অপাশ থেকে,
-ভাইয়া, কই তুই? জানিস বাসায় না একটা ডানাকাটা পরীর বাচ্চা এসেছে। সে একটা লালটুকটুকে বিয়ের শাড়ি পড়ে ঠিক আমার সামনে বসে বসে কাঁদছে। মনে হচ্ছে ক্ষানিকবাদে তার বিয়ে হবে। তোকে ডাকছে , তুই যেখানেই থাকিস তাড়াতাড়ি চলে আয়।
রাতুল ফোনটা নিরবে কেটে দিল......
সন্ধ্যাতারাটা মিট মিট করে জ্বলছে।
রাতুল জীবনের অর্থ খুজে পেয়েছে.........ভাবছে......জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর.........
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২০
খান আসিফ তপু বলেছেন: হয়ত এই মূহুর্ত গুলোর জন্যই জীবন চলে যাচ্ছে আপন গতিতে
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: সুন্দর হোক জীবন। সকলের।
শুভকামনা। অনিঃশেষ। সবসময়।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২১
খান আসিফ তপু বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৫
রশিদ সভাপতি মুমুরদিয়া বলেছেন: শত দুঃখের মাঝে একটু সুখের আশায় বেঁচে থাকে মানুষ। সববার জীবন হোক সুন্দর শান্তিময় এই শুভকামনা রইলো।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২২
খান আসিফ তপু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদে ভিজিয়ে দিলাম
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আত্মহত্যা কোন সমাধান নয় ।
দুঃসময় কেটে গেলে জীবন বড়ই সুন্দর !
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৩
খান আসিফ তপু বলেছেন: আবেগ তাড়িত মানুষ গুলো কেন যে এমন পথ বেছে নেয়।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: কিছু কিছু মুহুর্ত সত্যি সুন্দর ।