![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের জীবনগুলো আসলে একেকটি উপন্যাস, সুন্দর মলাটে বাধানো হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাস। উপন্যাসের শুরু হয় জন্মে আর শেষে থাকে মৃত্যু। উপন্যাস জুড়ে থাকে অসংখ্য ছোটগল্প,থাকে ভাঙ্গা গড়ার খেলা। সেই উপন্যাসের মূল চরিত্র আমরা নিজেই। আমাদের ঘিরে থাকে অসংখ্য পার্শ্বচরিত্র। কোন চরিত্র থেকে যায় পুরো উপন্যাস জুড়েই। আবার কোন পার্শ্বচরিত্রের বিচরণ থেমে যায় ক্ষুদ্র পরিসরেই। সে চরিত্রকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় উপন্যাস। চলে আসে নতুন নতুন গল্প,নতুন নতুন চরিত্র। \nউপন্যাসে কখন কোন গল্প শুরু হবে,কে আসবে সবই ঠিক করেন লেখক। তার কলমের আচড়ে লেখা হয়ে যায় উপন্যাসের মানুষ গুলোর ভবিতব্যতা। সত্যি ঈশ্বর মহান লেখক............
চলুন আগের দিনের একটি বাংলা ছিনেমা দেখে আসি......
নায়ক রাজু গরীবের ছেলে, পেশা মাস্তানী। নায়িকা লাইজু ধনীর মেয়ে, বড়ই আহ্লাদী মেয়ে। একদিন রাস্তায় ছিনতাইকারীর কবলে পরল নায়িকা লাইজু। এগিয়ে এলো নায়ক রাজু মাস্তান। উদ্ধার পেল নায়িকা।
নায়ক বলে, এভাবে রাস্তাঘাটে একা একা বের হবেন না।
লাইজু বলে, আজ যদি আপনি সঠিক সময়ে এসে আমাকে গুণ্ডাদের হাত থেকে না বাচাতেন তবে কি যে হতো। আসুন না আমাদের বাড়িতে এক কাপ চা খেয়ে যান। সে কি আপনার হাত দিয়ে তো রক্ত বের হচ্ছে।
হয়ে গেল প্রেম, শুরু হল গান। বৃস্টি রে বৃস্টি আয়না ঝরে...
কিন্তু এই অসম প্রেম কি আর সমাজ মেনে নেবে। নায়ক টেনশনে পরে গেছে,তুমি বড়োলোকের মেয়ে আর আমি সামান্য এক মাস্তান সমাজ আমাদের সম্পর্ক কোনদিনও মেনে নিবেনা লাইজু।
লাইজু তার বাবাকে প্রেমের কথা বলল। বাবা বলল,আমি ঠিক করেছি আমার বন্ধুর ছেলে ডেনির সাথেই তুমার বিয়ে দিবো। লাইজুর মাথায় বাজ পরল। শুরু হল বিরহের গান, তুমি ছাড়া কাটে না কাটে না প্রহর,এসো এসো বন্ধু বুকের ভেতর...
এদিকে প্রেমের দাবী নিয়ে নায়ক রাজু প্রেমিকার বাবা চৌধুরী সাহেবের সামনে হাজির।
চৌধুরী সাহেব বলে, বামন হয়ে আকাশের চাদ ছুতে চাইছিস, ছোট লোকের বাচ্চা।
নায়ক বলে,চৌধরি সাহেব আমরা গরিব হতে পারি কিন্তু ছোটলোক নয়।
এদিকে খবর নিয়ে এল নায়ক রাজুর বন্ধু, ওরা তোর প্রেমিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে।
নায়কঃ না আ আ আ আ আ আ আ
ভিলেন আর তার ছেলে ডেনী নায়িকার বাবা চৌধুরী সাহেবের সম্পত্তির আশায় নায়িকাকে তুলে নিয়ে গেছে।
নায়িকা: ছেড়ে দে শয়তান, তুই আমার দেহ পাবি কিন্তু মন পাবি না••••
ভিলেন ডেনী : হাহ: হাহ: হাহ: আপাতত ওতেই আমার চলবে
ভিলেন আবার নায়কের পূর্ব শত্রু। উদ্ধারে গেল নায়ক।
ভিলেনের সামনে দাঁড়িয়ে নায়ক বলে, মনে আছে আজ থেকে ২০ বছর আগে তুই আমার বাবা কে মেরেছিস, আমার ভাই কে মেরেছিস আমি আজ তোকে ছাড়বনা কুত্তার বাচ্চা। নায়কের মাও উপস্থিত ছিল সেখানে। তিনি বললেন, মার খোকা এই শয়তান টাকে মার, তোকে তোর মায়ের কসম।
সেরাম ফাইটিং হল। নায়ক প্রথম দিকে মার খেয়ে মারা গেলেও, নায়িকার করুন ডাকে বেচে ঊঠল । মরা অবস্থা থেকে উঠেই ভিলেন ও তার চ্যালাদের মেরে ফেলল। মারামারির শেষের দিকে এলো পুলিশ। এসেই বলে,আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না।
আধমরা ডেনীর গুলি থেকে নায়ককে বাঁচাতে জীবন দিল নায়িকার বাবা চৌধুরী সাহেব।
মরার আগে তিনে লাইজুকে রাজুর হাতে তুলে দিয়ে পরপারে চলে গেলেন।
স্ক্রিনে ভেসে উঠল.........সমাপ্ত
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৯
খান আসিফ তপু বলেছেন: স্পেশাল ইফেক্টের ভয়ে দেই নাই।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হাহাহা বিনা টিকেটে ফিল্ম দেইখা গেলাম
ধইন্যা
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩০
খান আসিফ তপু বলেছেন: গরীব হতে পারি কিন্তু হৃদয় আছে
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১২
সুমন কর বলেছেন: পচা ছবি !!!
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩২
খান আসিফ তপু বলেছেন: আফসোস বড়ই আফসোস
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭
কাহাফ বলেছেন:
নতুন সিনেমার দেখালে হতো না! ডিজিটাল যুগ বলে কথা!!