![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হারানোটা কেবল স্মৃতিতেই থাকুক। স্মৃতির পটে থাকুক চিরসতেজ ও অমলিন।
নিউমার্কেটের পাশ দিয়ে বিষন্নমনে হাঁটছে তানভীর। উদ্দেশ্য পাশের একটি পরিচিত বিরিয়ানির হোটেলে বিরিয়ানি খেতে যাবে। মন খারাপ থাকলেই বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য এই হোটেলটাতে চলে আসে। বিরিয়ানি খেলে মন ভালো হয় এবং কষ্ট কেটে যায় এরকম কথা তানভীর ফেসবুকে বিভিন্ন যায়গায় দেখেছে। কখনো কষ্ট কেটেছে কিনা সেটা সঠিকভাবে না জানলেও মন খারাপ হলেই এখানে চলে আসে। এই হোটেলের বিরিয়ানি তার কাছে এখন নেশা হয়ে দাড়িয়েছে। এই বিরিয়ানি বাদ দিয়ে আর কিছুই এখন আর তানভীরের মাথায় আসে না।
.
হোটেলটিতে প্রায় দশ থেকে বার জন লোক একসঙ্গে বসে খেতে পারে। বহুদিন ধরে এখানে বিরিয়ানি খেতে আসার কারণে হোটেলের মালিক, বাবুর্চি এবং ওয়েটার ছেলেটার কাছে তানভীর এখন অতি পরিচিত একজন কাস্টমার। তাছাড়া এখানকার আরেকটি প্রাণী আছে যা তানভীরের কাছে বিশেষ পরিচিত। এই হোটেলটির পাশেই একটি ধূসর রঙের কুকুরকে সবসময় বসে থাকতে দেখা যায়। মানুষজন হোটেলে বসে খেয়ে জানালা দিয়ে মাঝেমধ্যে হাড্ডি বা চর্বির সামান্য টুকরা ফেলে দেয়। কুকুরটি তখন সেটা পেয়ে আনন্দে লেজ নাড়াতে নাড়াতে খেতে আসে। প্রথম প্রথম তানভীরের কাছে কুকুরটিকে অসহ্য লাগতো কখন না কামড়ে দেয় এই ভেবে। তারপর আস্তে আস্তে ভাব হয়ে যায় কুকুরটির সাথে। আর এখন তানভীরকে দূর থেকে দেখলেই কুকুরটি লেজ নাড়াতে নাড়াতে দৌড়ে যায়। তানভীর একটু আদর করে দিত।
.
তানভীর আজ আবার যাচ্ছে ওই পরিচিত হোটেলে। আজ তাকে অনেক বিরিয়ানি খেতে হবে কষ্ট দূর করার জন্য। কষ্টের আসল কারণটা হল তিনদিন আগে তানভীরের ব্রেকাপ হয়েছে। এটা নিয়ে তার পনেরতম ব্রেকাপ। প্রেমিকাগুলো তার সঙ্গে কয়েকমাসের বেশি থাকতে চায় না। কারণটা এখনো ভেবে পাচ্ছে না তানভীর। বন্ধুরা তানভীরকে সবসময় বলত তানভীরের অতিরিক্ত বদমেজাজের কারণেই তার দ্রুত ব্রেকাপ হয়। মেজাজ কিছুটা শান্ত রেখে রিলেশন চালিয়ে যাওয়ার উপদেশ দেয় বন্ধুরা। তানভীর বন্ধুদের এসব কথায় কান দেয় না। তানভীর মনে করে প্রেমিকার কাছে মেজাজ ঠাণ্ডা রেখে ব্যবহার করার কোন মানে নেই। বেশি প্রশ্রয় দিলে মাথায় উঠে যাবে।
.
হাঁটতে হাঁটতে একসময় হোটেলের কাছে পৌঁছে গেল তানভীর। আজ কুকুরটাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। আশে পাশে খোঁজ করে কোথাও দেখা গেল না। কতক্ষণ অপেক্ষা করে হোটেলের ভেতরে ঢুকল তানভীর। পিছনে কয়েকটা বসার সিট ফাঁকা পেয়ে ওখানেই হাতমুখ ধুয়ে বসে পড়ল। আজ তানভীর দুই প্লেট বিরিয়ানি খেয়েছে। জোর করেই খেয়েছে যদি কষ্ট কিছুটা কম হয়। খাওয়া শেষ করার পর হোটেল থেকে বের হয়ে আবার পুনরায় কুকুরটাকে দেখতে চাইল। নাহ্ কোথাও নেই, হয়তো দূরে কোথাও বেড়িয়েছে।
.
বাসার দিকে রওয়ানা দিল তানভীর। আস্তে আস্তে হেঁটে যাচ্ছে চিরচেনা রাস্তা দিয়ে। হঠাৎ তানভীর একটি কাশি দিল, ঘেউ করে শব্দ হল। তানভীর আবার একটি কাশি দিল, আবারও ঘেউ করে শব্দ হল। তানভীর চমকে গেল। আশে পাশে তাকিয়ে দেখল কোথাও কোন কুকুর নেই। তাহলে ঘেউ শব্দটা আসছে কোথা থেকে? বিষয়টা আরও ক্লিয়ার হওয়ার জন্য তানভীর এবার জোরে একটা কাশি দিল। আবারও জোরে ঘেউ করে শব্দ শুনতে পেল। মনে হচ্ছে তানভীরের পেট থেকে ঘেউ শব্দটা আসছে। তানভীর কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে রইল। কি করবে বুঝতে পারছে না। আস্তে আস্তে বাসার দিকে হাঁটছে আর পেট থেকে এখন অনবরত ঘেউ ঘেউ শব্দটা শুনতে পাচ্ছে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৭
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২১
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: কাউয়া বিরিয়ানি শুনেছি।,আজ ঘেউ বিরিয়ানি!!! ভালোই হয়েছে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ব্যক্তিক্রম ভালো লাগে আমাদের।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঘেউ !!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৭
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন:
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কপাল খারাপ হইলে এমনই হয়...
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৮
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন:
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
কালীদাস বলেছেন: ইন্টারেস্টিং ফিনিশিং! ঘেউ বিরানি। হা হা
ব্রেকাপের কষ্ট বিরানি দিয়ে ভোলা যায়: থিওরি হিসাবে সাইকোলজি বইয়ে ঢোকাতে পারলে বেশ হত
২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ভালো বলেছেন দাদা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৮
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: বাহ , বেশ মজার গল্প লিখেছেন , হু আপনাকে দিয়ে হবে
+++ ।