![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দাওরায়ে হাদীস(মাস্টার্স সমমান), জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া মাদরাসা।
এ উম্মতের মধ্যে এক দিকে যেমন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ এর ন্যায় ফকীহ রয়েছেন , তেমনি আম্মাজান আয়িশা সিদ্দীকা রাঃ এর ন্যায় ফকীহাও রয়েছেন। হযরত যায়েদ বিন সাবিত রাঃ এর ন্যায় যেমন প্রসিদ্ধ হাফিয রয়েছেন , তেমনি আম্মাজান হাফসা বিনতে উমর রাঃ এর ন্যায় প্রসিদ্ধ হাফিযাও রয়েছেন।
হযরত হামযা রাঃ এর ন্যায় সাইয়্যিদুশ শ্তহাদা তথা শহীদদের সরদার পুরুষ যেমন রয়েছেন , ঠিক তদ্রূপ হযরত সুমাইয়া রাঃ এর ন্যায় শ্রেষ্ঠ নারী শহীদাও রয়েছেন ।এমনকি ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শাহাদাত বরণকারী ব্যাক্তিত্ব হলেন একজন নারী।এ ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষদের থেকে এগিয়ে গিয়েছেন । ( সুবহানাল্লাহ)
এই উম্মতের মধ্যে যেমন হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাঃ এর মতো দিগবিজয়ী বীর যোদ্ধা রয়েছেন , ঠিক তদ্রূপ হযরত যারার রাঃ এর বোন হযরত খাওলা রাঃ এর ন্যায় বীরাঙ্গনা নারীও রয়েছেন ।
ইতিহাসের গ্রন্থ গুলোতে রয়েছে যে, একবার হযরত যারার রাঃ কে কাফিররা গ্রেফতার করে ফেলে । এ সংবাদ শুনে হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাঃ চিন্তিত হয়ে পড়লেন, মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা ছিল অতি নগন্য। শত্রু বাহিনী ছিল বিরাট - বিশাল।
[হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাঃ বলেন ,
এমন কঠিন মূহুর্তে নেকাবে ঢাকা এক আরোহীকে আমি দেখলাম । যার হাতে ছিল উন্মুক্ত তরবারি ।সে ছুটে আসলো এবং কাফিরদেরকে তরি-তরকারির মত কাটতে লাগলো। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে শত্রু বাহিনীর ভিড়কে লাশের স্তুপে পরিনত করে দিল । শত্রু বাহিনীর মধ্যে এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো যে , তারা হযরত যারার রাঃ কে যে যেদিকে পারলো পালিয়ে গেল । নেকাবে ঢাকা মুজাহিদ যারার রাঃ এর হাতকড়া খুলে তাকে মুক্ত করে দিলেন । যখন তারা ফিরে আসলেন আমি অবাক বিষ্ময়ে নিকাবধারী ঐ মুজাহিদের কাছাকাছি হলাম ।
জিঙ্গাসা করলাম- তুমি কে ? এমন বীরত্ব আর অসীম সাহস আল্লাহ তা'আলা তোমাকে দিয়েছেন ।
উত্তরে এক নারী কন্ঠ ভেসে আসল। বললেন- আমি হচ্ছি (হযরত) যারার রাঃ এর বোন (হযরত) খাওলা রাঃ । আমার ভাইকে কাফিররা বন্দি করেছিল তাই আমার মনে হয়েছে , আজ আমার ভাইয়ের জন্য তার বোনকে বড় প্রয়োজন । যার কারনে , আমি নেকাব পরিধান করলাম এবং তরবারি হাতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়লাম ।
মুসলমানদের মধ্যে যেমন হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রাঃ এর মত দুঃসাহসী বীর যোদ্ধা ছিলেন, আবার তদ্রূপ হযরত খাওলা রাঃ এর মত তরবারির ঝনঝনানি শব্দ তোলা , যুদ্ধের ময়দানে কাফিরদের অন্তরে আতঙ্ক সৃষ্টি করা দুঃসাহসী বীরাঙ্গনা মুজাহিদাও ছিলেন ।
এ উম্মতের মধ্যে একদিকে হযরত হাসান বসরী রহঃ এর ন্যায় আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ রয়েছেন , অপর দিকে হযরত রাবেয়া বসরিয়্যা রহঃ এর ন্যায় আধ্যাত্মিক মহীয়সী নারীও রয়েছেন ।
দ্বীনের ব্যাপারে মহিলারা কখনই পিছিয়ে থাকেন নি। তারা হাফেযে কুরআন হয়েছেন, ক্বারীও হয়েছেন, মুহাদ্দিসও হয়েছেন , ফকীহাও হয়েছেন । দ্বীনের প্রচার-প্রসারের জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন ।
যদিও উম্মাহর নারীরা সেই গৌরবময় সোনালী অধ্যায় আজ ভুলতে বসেছে , দ্বীনের জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করা থেকে মুখ ফিরিয়েই নিয়েছে তাদের মুখ (অতি নগন্য অংশ ছাড়া) ।
ও মুসলিম উম্মাহর নারী সমাজ আছো কি কেউ যে হতে চায় আম্মাজান আয়িশা সিদ্দিকা রাঃ এর মতো , আম্মাজান হাফসা রাঃ এর মত , যে হতে চায় হযরত সুমাইয়া রাঃ এর মতো ? আছো কি কেউ আছো কি , যে হতে চায় হযরত খাওলা রাঃ এর মতো, হযরত রাবেয়া বসরিয়্যা এর মতো ? আছো কি কেউ যে মুহাদ্দিসিনা হবে , ফকীহা হবে ?
আছো কি কেউ.................. ?
- See more at: Click This Link
©somewhere in net ltd.