নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ কি আসলেই একটি জঙ্গী রাষ্ট্র?

১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

বোম্বে শহরে ১৯৯৮ সালে এই ঘটনাটি ঘটেছিলো। Godrej & Boyce Mfg. Co. Ltd. এর লোকাল কার্যালয়ে একদিন খবর রটে গেলো-ক্যাফেটেরিয়ায় যে খাবার দেয়া হয়- সে খাবার আসলে কাকের মাংস। একজনের কাছ থেকে আরেকজনের মাধ্যমে পুরো অফিসে মুহুর্তেই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে- শুরু হলো কর্মকর্তা, কর্মচারী সবার মাঝে তীব্র অসন্তোষ। দানা বেঁধে ওঠলো আন্দোলন। শুরু হলো লাগাতার কর্মবিরতি। প্রধান অফিসে খবরটি পৌঁছালে- কোম্পানীর President and Executive Director যিনি বর্তমান ভারতে সবচেয়ে বেশী ভূসম্পত্তির মালিকদের একজন Mr.Phiroze Dinshaw Lam দ্রুত বোম্বাই এসে মিটিং-এ বসেন।- মিটিং এ বসে তিনি দুটো কথা বলেন-
১)যে ব্যক্তি ক্যাফেটিরিয়ায় খাবারে কাকের মাংস পেয়েছে-সে এটা যে কাকের মাংস তা চিনলো কেমন করে? সে নিশ্চয়ই আগে কাকের মাংস খেয়েছে। আর একবার খেলেও তো তা চিনার কথা না। মনে হয় সে বারবার কাকের মাংস খায়। আমি অনুরোধ করবো উনাকে সামনে প্রমাণ নিয়ে আসার জন্য।- কিন্তু কেউ আর এগিয়ে আসলো না।
এর পরে তিনি যে কথাটি বলেছিলেন তার তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২) যারা গুজবে কান দিয়ে পুরো কোম্পানীর কার্যক্রম দুদিন বন্ধ রাখলো। কোনো প্রমাণের তোয়াক্কা না করে একটা কোম্পানীকে প্রায়ই বন্ধই করে দিলো- আমার দূর্ভাগ্য এরকম অপদার্থদের আমি আমার কোম্পানীতে কাজে নিয়োগ দিয়েছিলাম।
এতো গেলো একেবারে সত্য ঘটনা। এবার এই গল্পটি শুনুন।-
ঢাকা শহর থেকে ফেরার পথে রহিম বেপারি দেখেন একটা মরা কাক।গাড়ীতে বসে তিনি পাশের যাত্রীকে বলেন- কোনো দূর্ঘটনা না ঘটলেই হলো।একটা মরা কাক দেখে ওঠলাম। এটা কোনো কুডাক নাতো। পাশের যাত্রী পরের গন্তব্যে নেমে দোকানে পান খেতে খেতে বললেন-ঢাকা শহরে আজকাল কাকেরও খাওনের অভাব । খাওন না পেয়ে কাক মরে পড়ে আছে। পাশে থেকে এই গল্প আরেকজনে শুনে চায়ের দোকানে ঢুকলেন। টেবিল জুড়ে গুলতানি চলছে। তিনিও বলা শুরু করলেন- ভাইগো, এ এক আজব কারবার। ঢাকা শহরের রাস্তায় এখন শুধু ঝাকে ঝাকে মরা কাক। নিজের চোখেই দেখে আসলাম। চায়ের আড্ডায় এই গল্প আরেকজন শুনে ঘরে এসে বউকে বললেন- বউগো। শুকরিয়া আদায় করো। যে রাতে দুটো খেয়ে ঘুমোতে পারছি। যে ঘটনা আজ বাজারে শুনলাম। ঢাকা শহরে নাকি অনেক মানুষ মরা কাক খেয়ে বেঁচে আছে। আসতাগফিরুল্লাহ। বউ পরদিন সকালে পাড়ার মহিলাদের সাথে গল্প করছেন- বইনগো, ঢাকা শহরে এক মহিলা- মরা কাকের গোশত খেয়েছিলো। কিছুদিন পর সেই মহিলার পেট থেকে কাকের বাচ্চা বের হয়েছে। আখেরি যামানার নমুনা গো বইন। এই অতিরণ্জিত গল্পের শেষ কীভাবে হয়েছে-তা বলতে পারবোনা। শুধু একটু নমুনা দিলাম। এই নমুনাটা একটু খেয়াল রাখেন।কারণ কিছুক্ষণ পর এটা কাজে লাগবে।
কয়েকবছর আগে শুনেছিলাম- দেশে ইসলাম চর্চা একেবারে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কেউ কেউ আরো বাড়িয়ে বললেন- যে অবস্থা চলছে। কিছুদিন পর মসজিদে আযান দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। দাড়ি , টুপি দেখলেই জঙ্গি সন্দেহে জেলে পুরা হচ্ছে। কথাটা যে কতবড় অতিরণ্জিত ঢাহা মিথ্যা কথা তা দেশে গিয়ে বুঝলাম। মাঝে মাঝে খুব ভোরে মসজিদে গিয়ে ফজরের নামাজ পড়েছি। জুমার নামাজে দেখেছি মসজিদ ভর্তি মানুষ। শুধু আমার বাপ, চাচা ,দাদার না পুরো কাতার ভর্তি মানুষের গালে দাড়ি। কই , কাউকেতো জঙ্গী বলে জেলে পুরো হচ্ছেনা। এমনকি জঙ্গি বলে সন্দেহ করা হচ্ছেনা। এতোটুকু মনে হয়নি, কারো ধর্ম পালনে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের গ্রামে আগে মসজিদ ছিলো ১টা এখন হয়েছে তিনটা। আল্লাহর মেহেরবাণীতে তিনটি মসজিদই মুসুল্লীতে ভর্তি হয়ে যায়। মানুষের ধর্মচর্চায় এতোটুকু ভাটা পড়েনি এবং পড়বেও না ইনশাল্লাহ। এখানে জমিনের আইলে, নৌকার পাঠাতনে, পাথরের উপরে পরম করুণাময়ের দরবারে মানুষ খেয়ে না খেয়ে নামাজের সময় হলেই সিজদায় অবনত হয়।
আরেকদল, প্রচার করছে খুবই জোরে শোরে। বাংলাদেশটা আফগানিস্তান হয়ে যাচ্ছে। খুবই দুঃখ হয়। খুবই কষ্ট হয়। যেভাবেই হোক সুজলা, সুফলা, শস্য , শ্যামলা, গিরি, কুন্তলা, শ্যাম , সুন্দর এই প্রিয় জন্মভূমিকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই যেন ওরা জিতে যায়। ওরা মনে প্রাণে চায় পুরো বিশ্বে এই দেশটিকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে। অনেক আগে একবার রেড লিস্টে বাংলাদেশের নাম ওঠেছিলো। তখন এয়ারপোর্টে কি পরিমাণ যে ভোগান্তিতে মানুষকে পড়তে হয়েছিলো তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন।
দাড়িওয়ালা সাথে চাপাতিওয়ালা কিছু মানুষকে জেলে পুরলেই এর মানে এটা না যে, সরকার শুধু দাড়ি টুপি দেখলেই জেলে পুরে দিচ্ছে। আর অনাকাঙ্খিত ভাবে মুক্তমনের চর্চা করা বিজ্ঞান মনস্ক মানুষের বর্রবতমভাবে খুন হওয়া মানেই এই নয় যে পুরো দেশটিই মহুর্তেই আফগানিস্তান হয়ে গেছে। দুটোই মিথ্যা। দুটোই ভ্রান্ত ধারণা। দুটোই গুজব। কাকের মাংস খাওয়ার মতো। কাকের বাচ্চা প্রসব করার মতো।
২০১২ সালের ২৮ শে নভেম্বের নিউইয়র্কবাসীর জন্য সবচেয়ে শুধু সুখের দিনই না। বরং এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। এই একটি মাত্র দিন যেদিন এই সভ্য শহরে কোনো চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি হয়নি। এবার বুঝেন। উপলব্দি করতে পারেন? পৃথিবীর সবচেয়ে সুসভ্যতম একটা শহরের একি নিদর্শণ। প্রায়ইতো শুনা যায় এই শহরে না হয় অন্য শহরে স্কুলে , মলে গুলি হয়। স্কুলে পড়ুয়া শিশুদের বুক মুহুর্তেই ঝাঁঝড়া হয়ে যায়। কই কেউ তো বলেনি- দেশটি জঙ্গীদের আস্তানা হয়ে গেলো। কারণ- নিজের দেশের ইজ্জত,সম্মান, মর্যাদা নিজে না দিলে অন্যে কীভাবে দিবে?
যে সমস্ত ইসলাম নামধারী কাপুরুষেরা, খুনীরা, জানোয়ারের দলেরা এইভাবে বিচ্ছিন্ন গুপ্ত হত্যা ঘটাচ্ছে, মমতাময়ী মা বোনের বুক খালি করছে, তাদের ধরে এনে ফাঁসীতে ঝুলানো হোক, প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মারা হোক।আজকে এরাই সবচেয়ে বেশী ইসলামের অবমাননা করছে। হাতে চাপাতি নেয়ার আগে দয়া করে বিদায় হজ্বে নবী সাঃ এর ভাষণের এই লাইনগুলো একটি বার পড়ুন।
" তোমরা ধর্মভ্রষ্ট হয়ে পরস্পর পরস্পরের সংগে ঝগড়া ও রক্তপাতে লিপ্ত হয়ো না।সাবধান! ধর্ম সম্বন্ধে বাড়াবাড়ি করো না। এই বাড়াবাড়ির ফলে তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।মাহানবী (সঃ) আরো বলেন- মুসলমান ঐ ব্যক্তি। যার মুখ ও হাত থেকে অন্যান্যরা নিরাপদ থাকে।
ঈমানদার বিশ্বাসী ঐ ব্যক্তি-যার হাতে সকল মানুষের ধন ও প্রাণ নিরাপদ থাকে।তোমরা হিংসা- বিদ্বেষ ত্যাগ কর। কেননা আগুন যেমন জ্বালানী কাটকে ভষ্মীভূত করে। হিংসা তেমনি মানুষের সৎ গুণকে ধ্বংস করে।সমাজে তোমার আচরণ ঐ রূপ হবে, যেমন আচরণ তুমি অন্য থেকে কামনা কর। সমাজে তোমার ব্যবহার ঐরূপ হবে, যেরূপ ব্যবহার তুমি নিজে পেলে খুশি হও।হে মানব সন্তান! তোমাদের মধ্যে সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ, যে মানুষের উপকার করে।হে মানব বৃন্দ! কোন দূর্বল মানুষের উপর অত্যাচার করো না"।
এবার শুরুর গল্পে ফিরে আসি। কর্মচারীরা গুজবের মাধ্যমে একটা কোম্পানীর বারটা বাজিয়ে দিয়েছিলো। আর আপনারা একটা পুরো দেশকেই বিপদের মাঝে ঠেলে দিচ্ছেন। একদল চাপাতি দিয়ে কল্লা কেটে। আরেকদল দেশকে দিনে শতবার দেশ জঙ্গী রাষ্ট্র হয়ে গেলো, আফগান হয়ে গেলো, অনেকে আরেকটু বাড়িয়ে দেশ বাংলাস্থান হয়ে গেলো বলে জিকির তোলে। দোহাই লাগে, বিচারের দাবী জোড়ালো করুন। শাস্তির দাবীতে সোচ্চার হোন।কিন্তু, অনুগ্রহ করে দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন না।

যদি করেন, তবে এটা এই স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের সাথে গাদ্দারি করা হবে, এটা এদেশের সাড়ে ষোল কোটি মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। এটা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের সাথে প্রতারণা করা হবে। এই দেশে জন্ম নিয়ে এই বেঈমানি আপনি করতে পারেন না।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

বিদগ্ধ বলেছেন: =যে অবস্থা চলছে। কিছুদিন পর মসজিদে আযান দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। দাড়ি , টুপি দেখলেই জঙ্গি সন্দেহে জেলে পুরা হচ্ছে। কথাটা যে কতবড় অতিরণ্জিত ঢাহা মিথ্যা কথা তা দেশে গিয়ে বুঝলাম। মাঝে মাঝে খুব ভোরে মসজিদে গিয়ে ফজরের নামাজ পড়েছি। জুমার নামাজে দেখেছি মসজিদ ভর্তি মানুষ। শুধু আমার বাপ, চাচা ,দাদার না পুরো কাতার ভর্তি মানুষের গালে দাড়ি। কই , কাউকেতো জঙ্গী বলে জেলে পুরো হচ্ছেনা। এমনকি জঙ্গি বলে সন্দেহ করা হচ্ছেনা। এতোটুকু মনে হয়নি, কারো ধর্ম পালনে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের গ্রামে আগে মসজিদ ছিলো ১টা এখন হয়েছে তিনটা। আল্লাহর মেহেরবাণীতে তিনটি মসজিদই মুসুল্লীতে ভর্তি হয়ে যায়। মানুষের ধর্মচর্চায় এতোটুকু ভাটা পড়েনি এবং পড়বেও না ইনশাল্লাহ। এখানে জমিনের আইলে, নৌকার পাঠাতনে, পাথরের উপরে পরম করুণাময়ের দরবারে মানুষ খেয়ে না খেয়ে নামাজের সময় হলেই সিজদায় অবনত হয়।=

সুন্দর একটি লেখা পড়লাম।

শুনুন, বাংলাদেশ এখনও মডারেট মুসলিমের দেশ। বাকি যা শুনেন, সবই রাজনৈতিক বক্তব্য, বা ফায়দা-কামী বক্তব্য বলতে পারেন। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।

২| ১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: পুরোপুরি সহমত, মনের কথাটাই লিখলেন, অনেক ধন্যবাদ

৩| ১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আমেরিকাতে যখন অপরাধের ঘটনা ঘটে তখন এর পিছনে কিন্তু রাজনৈতিক যোগসূত্র থাকে না। ডেমোক্রেট বা রিপাবলিকানদের দলীয় চামচারা জড়িত থাকে না। অপরাধ ঘটলে সেটা স্বীকার করে অপরাধীকে ধরা হয়।
কিন্তু, আমাদের এখানে ঘটে উল্টোটা। প্রথমেই শুরু হয় প্রশাসনের অস্বীকার করা দিয়ে। আর স্কুলের গুলিবর্ষণের যে কথা বললেন, সেগুলোর পিছনের থাকে বিচ্ছিন্ন কিছু মানসিক বিকারগ্রস্থ ব্যাক্তি। এরা কোন ধর্মীয় জঙ্গী নয় বা এদের অর্থায়নেও এসব অপরাধ ঘটায় না।
আর বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সংঘটিত কয়টি অপরাধের কথা আমাদের কানে আসে?
কাজেই আমেরিকার সাথে তুলনা করে আত্মতুষ্টিতে ভোগাটা বোকামী।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এখন পর্যন্ত যতগুলো ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে তাদের কারো খুনিকে গ্রেফতার করা যায় নি- এটার কারন কি হতে পারে?

৫| ১৩ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: যার মারল তারাই ইস্লাম অবমাননা করল
আর যাদের মারল তারা মুক্তমনা

ভাল ভাল

শুনেন ভাই আপনার দাড়ি টুপি আছে কিনা জানা নেই তবে বিদেশের চশ্মা দিয়ে দেখেন ত
দাড়ি টুপির প্রবলেম কি সেটা আমরা ভালই জানি
আপনি নামাজ পড়েন এতে কারও প্রবলেম নাই
কিন্তু যদি বলেন এভাবে সমাজে অশ্লীলতে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়েছে
সবাইএ শরিয়াহ সমত পোষাক পড়তে হবে তখন ঈ বোঝাযায় মিডিয়া এবং কতিপয় দালাল পুলিশশ সরকার কিভাবে ঝাপিয়ে পড়ে।
আর এইসব বিজ্ঞান মনষ্ক(!!) ব্লগার দের কেম্নে মিডিয়া সরকার এর প্রটেকশন পায় সেটা আশা করি দেখেছেন।
আপনি নামাজ পড়েন রোজা করেন এতে কেউ বাধা দিবে না কিন্তু যখনই সমাজে শরিয়াহ কায়েমের কথা বলবেন তখনই দেখবেন ইসলামের শত্রুর অভাব হয় না।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল বলেছেন ।

৭| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রথম দিকে মজাই পাচ্ছিলুম, তারপর.. । ভালই ।

৮| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫০

যাযাবরের চিন্তাভাবনা বলেছেন: টাইমিংটা কিন্তু খেয়াল করার মত! নারী লাঞ্চনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যখন রাস্ট্র কর্তৃক নারি লাঞ্চনার ঘটনা নিয়ে সোশাল মিডিয়া তোলপাড় তখনই এই হত্যাকান্ড ঘটল। আর সাম্প্রতিক অতীতের রাজীব,লিলনের হত্যাকাণ্ডের মত এই হত্যাকান্ড নিয়েও রাস্ট্র তদন্ত ছাড়াই কিছু কাল্পনিক কাহিনী প্রচার করে চুপ করে যাবে।কারণ তারা জানে তথাকথিত মুক্তমনারা কখনোই সঠিক কারণ উদঘাটনের দিকে যাবে না,তারা গৎবাঁধা বুলিই আওড়াতে থাকবে।আর ক্ষমতাশীনদের সাপও মরবে,লাঠিও ভাঙ্গবে না। চমৎকার না?? জয় সেকুলারিজম!

৯| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চমতকার পোস্ট। ভাল লেগেছে :)

১০| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: খেয়াঘাট ভাই, সুন্দর একটা লেখা । আমি আপনার মতই ধর্ম বিশ্বাসী এবং ধর্ম পালনকারীও । বাংলার আকাশে, বাতাসে, মাটিতে, গাছপালায় এবং নদীতে যে স্নিগ্ধতা সেখানের সবটাই শ্যামল, সহিষ্ণু । এদেশেও যে তীব্র বিদ্দ্যেষ জন্ম নিতে পারে, বৃদ্ধি পেতে পারে প্রবল অসহিষ্ণু রক্তলোলুপ ধর্ম গুষ্ঠি তা আমার কোন কল্পনাতেও ছিল না । তবে একের পর এক ব্লগার হত্যা আর সেই হত্যায় মেরুদন্ডহীন, বিকৃত মস্তিষ্ক ধার্মিকদের উল্লাস দেখে আমার বিশ্বাসে ফাটল ধরেছে । ফেসবুকের পাতায়, বন্যার লেখার কমেন্টে, অনন্তের ফেসবুকে, এমনকি এই ব্লগেও সংখ্যায় অনেক দেখেছি এই বিকৃত মনষ্কদের ।

ধর্ম এদের কাছে আধ্যাত্বিকতা নয়, স্রষ্টার কল্যান স্পর্শ নয়, সাধনায়, কর্মে, পূণ্যে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের পাথেয় অর্জন নয়, পরিশুদ্ধতা নয়, সত্যের সাধনা নয়, জ্ঞান নয় , ধর্ম এদের কাছে রক্তাত্ত তরবারী । আর এদের সংখ্যা বাড়ছে অতিদ্রুত ।

১১| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩২

চাঁনপুইরা বলেছেন: ৪ নং কমেন্ট এর উত্তর - এটা হল সেই কারন , যে কারনে ফার্ম গেটের ল্যাংড়া লুলা ফকির দের শারীরিক সমস্যা সাড়িয়ে সুস্থ জীবন যাপনের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্তাখান করে।

১২| ১৪ ই মে, ২০১৫ ভোর ৪:৪৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: দুইটি গুজব ছড়ানোর পিছনেই রয়েছে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তি স্বার্থ। দেশ আফগানিস্থান , পাকিস্থান হয়ে যাচ্ছে এই গুজব ছড়িয়ে দেশের জনগণকে প্যানিকড করে রাখা হচ্ছে। যাতে করে তারা দীর্ঘ দিন যেভাবে পারে ক্ষমতায় থাকতে পারে। অথচ এই গুজব না ছড়িয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলেই তো আর দেশটা জঙ্গি রাষ্ট্র হয় না। কিন্তু তারা সমস্যার সমাধান চায় না । তারা চায় সমস্যা বেঁচে থাকুক, এর মাঝে যতদিন পারা জায় লুটপাট করে নেয়া যায়।

আর যারা ধর্ম পালনের বাঁধার কথা বলছেন, তারাও ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যাবার চেষ্টায় লিপ্ত। মাঝখানে কিছু উগ্র সন্ত্রাসী ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষ হত্যা করে চলছে।

১৩| ১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ৭:১০

রামন বলেছেন: বাংলাদেশ ইসলামী জঙ্গিদের আস্তানা ও অভয় অরন্যে পরিনত হচ্ছে এই সত্য কথাটি দেশের স্বার্থে অস্বীকার করলেই যে বিশ্বের তাবৎ মানুষ মেনে নিবে তা নয়৷ বিশ্বের সংবাদ সংস্থা আমাদের দেশের প্রতি ঘটনা-দুর্ঘটনার সমন্ধে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। বিশেষ করে একের পর এক ব্লগারদের যেভাবে নির্মম ও কাপুরোষিত কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে তা বিদেশের গণমাধ্যমগুলো তাদের প্রথম পাতায় তা ফলাও করে প্রকাশ করছে। দেশে ইসলামী জঙ্গিদের শক্তি সঞ্চার এবং সরকারের নির্লিপ্ততার কাহিনী এখন বিশ্ববাসীর কাছে পূর্নিমার চাঁদের মত পরিস্কার। অপরাধীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারায় একদিকে যেমন দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে সরকারের এই ব্যর্থতার খেসারত নিরীহ দেশবাসীকে গুনতে হচ্ছে। প্রসঙ্গ ক্রমে বলছি, গত সপ্তাহে দেশ ছেড়ে এলাম। ঢাকা বিমান বন্দর ত্যাগ করার পর ইউরোপের মাটিতে বিমান পরিবর্তনের জন্য আবার ইমিগ্রেশন পুলিশের মুখোমুখি হতে হল৷ আমার বিদেশী পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টে বহুবার দেশে যাতায়াতের মোহর থাকার পরও পুলিশ আমাকে বিভিন্ন প্রশ্নে জর্জরিত করলেন এবং তাকে সন্তষ্ট করতে বাড়তি কিছু ডকুমেন্টস দেখাতে হল৷ বলতে দ্বিধা নেই যে বাংলাদেশ থেকে ফ্লাই করার কারণেই সেদিন আমাকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছিল। ধন্যবাদ।

১৪| ১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ৭:১০

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: জঙ্গীবাদ এর সাথে সতি্যকার অর্থে মুসলমান এর কোন সম্পর্ক নাই....কতিপয় স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল এ সব এর যোগান দাতা..... কথায় আছে না...খাইছে....মুছওলা...ফাইসা গেছে দাড়ি আলা....

১৫| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:১৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সহজ, সুন্দর, সাবলীলভাবে লেখা পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। সহমত, বাংলাদেশ যেমন একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হয়ে যায় নাই, তেমনই করে নাস্তিকে ভরে যায় নাই পুরো সমাজ।

পোস্টে +++

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.