![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘মনোজ এখন আমাকে এড়িয়ে চলছে। মাত্র দু মাস আগে আমাদের পরিচয় এবং প্রেম। আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসতাম। ওর জন্য আমি সবকিছু ত্যাগ করেছি। মনোজ আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আর এখন বলছে এসবই নাকি সে মজা করার জন্য করেছে। সে কীভাবে আমার সঙ্গে এমন করতে পারলো! আমি একেবারে নি:স্ব হয়ে গেছি। আমার আর বাঁচতে ইচ্ছে করছে না।’
নবম শ্রেণীর ছাত্রী শিখা এভাবেই মৃত্যুর পূর্বে সুইসাইট নোট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। চৌদ্দ বছরের এই কিশোরী শিখাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিক্যুয়েস্ট পাঠায় এম মনোজ কুমার নামের এক ছেলে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ফেসবুকে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। শিখার নিজের বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ক্যাফেতে মনোজের সঙ্গে প্রেম চালিয়ে যেতে থাকে। প্রেমের এক পর্যায়ে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। নিজের ফ্লাটে শিখাকে আমন্ত্রণ জানায় মনোজ। মনোজের সঙ্গে দেখা করতে গেলে জোরপূর্বক শিখার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সে। শিখা মনোজকে বিয়ে করবে বললে মনোজ তা শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। সে বলে,‘ আরে, আমি তো স্রেফ মজা করেছি।’ সে শিখাকে সবকিছু ভুলে যেতে বেলে। মনোজের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে সে।
শিখার মধ্যে হতাশা কাজ করছিল তা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার মত সিদ্ধান্ত সে নিয়েছিল যদিও তার দুনিয়ায় আরো অনেক দিন স্বাভাবিকভাবে বাঁচার অধিকার ছিল। সমাজে এহেন দৃশ্য এখন হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু এর সমাধানকল্পে আমরা অভিভাবকরা কতটুকু সচেতন বা দায়িত্ব-কর্তব্য পরায়ন? মনোজরা কোন দু:শাহসে অট্টহাসি দেয়। এইসব মনোজদের জন্য শিখার মৃত্যুই কাম্য। যা দেখে আরো দশটা মনোজ ভয় পেয়ে যায়।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
খোমেনী বলেছেন: ক্যাফে দিয়েই শুরু হয় অতপর ফ্লাটে একদিন গড়ানো এ তো নিয়মের মধ্যেই পড়ে। আধুনিক মুক্ত মনা হলে তো এমন করাই স্বাভাবিক। নচেত আমি গবেট, খ্যাত, সেকেলে !!
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
খোমেনী বলেছেন: আর দায়ী হলো আমাদের সমাজ সেই সাথে গণমাধ্যম আর তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার। আজকে পতিতাবৃত্তিকে হালাল হিসেবে চালানো হচ্ছে একটি বহুল প্রচারিত গণমাধ্যমে এই পেশাকে লাভজনক পেশা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হচ্ছে এই পেশায় স্বাধীনতা বেশি, কাজ করতে হয় কম।
যখন এই অবস্থা তখন ঘর ঘর থেকে দুই চারটা মনোজ বের হওয়া অতি স্বাভাবিক। শিখার ভাইও হয়ে উঠতে পারে আরেকটি জন্তু মনোজের মত।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
নীলসাধু বলেছেন: কোথায় পেলেন এই খবর?
এটা কি ভারত নাকি বাংলাদেশের কাহিনী?
এমন নৈতিকতা বিবর্জিত সমাজে আছি আমরা এসব কাহিনী দৈনন্দিন ডাল ভাতের মতন অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে সবার কাছেই। আমিতো মনে করি ইতিমধ্যে আমরা সেই স্তরেই আছি।
একজন দুজনকে শাসটি দিয়ে নয় সামগ্রিকভাবে সমাজের দৈন দশার ছবি এটা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
খোমেনী বলেছেন: ধন্যবাদ নীলসাধু ভাইয়া মন্তব্য করেছেন বলে। খবরটি ভারতের ব্যাঙ্গালুরের। কিন্তু আপনি এই যে বললেন, এটি সমাজের চিরাচরিত রুপে পরিনত হয়েছে এই বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই।
আর একজন দু’জনকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিয়েই দেখি না। হোক না হয় আরেকবার বর্বর কিন্তু অতি সহজ জীবন নাশ ‘শিরচ্ছেদ’ নতুবা চৌরাস্তার মোড়ে গলায় রশি দিয়ে সাজা কার্যকর। ভয় পেয়ে অনেকে মনোজ হইতে চাইবে না। আর সমাজের যে হর্তাকর্তা তাদের একটি ঐশ্বরিক নীতিতে চলা উচিত। অনেক চেষ্টা করা হয়েছে এবার নতুন ভাবনা ভাবা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
ডরোথী সুমী বলেছেন: এইসব পুরুষেরা মানুষ নয় জন্তুও নয়। তবে মেয়েদের অনেক বেশি সাবধান হতে হবে যেহেতু এই ঘটনাগুলো হরহামেশা ঘটছে। প্রিয় মানুষের সাথে ক্যাফেতে দেখা করা যতটা রিস্কি তারচেয়ে ফ্ল্যাটে দেখা করাটাতো আরও বেশি রিস্কি।