![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকালে সালমারা প্রতিদিনের ন্যায় ডিউটিতে খুব তড়িঘড়ি করে যাচ্ছিলো। আজকে সালমার একটু দেরি হয়ে গেলো। মনে হয় গেটে ঢুকতে দিবে না দারোয়ান। কেননা গার্মেন্টসে সময়ের পূর্বে গেলেই প্রবেশ নতুবা অযুহাত পছন্দ না হলে ঢুকতে দেয় না। মাসের উপার্জন থেকে সেইদিনের উপার্জন কর্তন। তাই সালমা খুব জোরের বেগেই হাটা ধরেছে, যেভাবেই হোক তাকে সময়ের এক সেকেন্ড পূর্বেই ঢুকতে হবে।
এবার সালমা থমকে দাড়ায়। দেখে গেটের সামনে অনেকজন। প্রথমে তার মনে হলো আজকে অন্তত ইনকাম কাটার চান্স নাই। কেননা বাকিরাও ঢুকতে পারে নি তার মত। কিন্তু কিছু মূহুর্ত পেরিয়ে গেলেই তার হতচকিত ঘটে। কারখানা বন্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য। এখন তার কি হবে। সাভার রানা প্লাজায় স্বামীকে হারিয়েছে সন্তান নিয়ে শাশুরী নিয়ে বেশ কষ্টের মধ্যেই অতিবাহিত করছে দিন।
চোখ দুটো যেন অজান্তেই শিক্ত হয়ে আসলো সালমার। অন্যদের মনে ক্ষোভ বিদ্রোহ কিন্তু তার মনে শুধু হাহাকার। কাল সে কি করবে? তার দুধের বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে হলেও নিজেকে যে আগে খেতে হবে।
এই ছিলো আমাদের অতি প্রগতিশীল আধুনিক বিলাশবহুল সমাজের পিছনের দুঃখ কষ্ট সমেত সালমাদের জীবন কাহিনী।
উল্লেখ্য, আশুলিয়ায় ফের শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মজুরি বোর্ডের নির্ধারণ করা বেতন বাস্তবায়ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো শ্রমিক সম্প্রদায়। এই দাবিতে বিক্ষোভ করার সময় ২০টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে ১০ শ্রমিক আহত, ২০ কারখানা সহ অর্ধশত মালিক তাদের কারখানা অনির্দিষ্টকালের ছুটি ঘোষণা করে।
এদিকে গত রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে সাভার ও আশুলিয়ায় অন্তত ২০টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক শ্রমিক আহত হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
খোমেনী বলেছেন: প্রতিদিনের মত সকালে শ্রমিকরা নিজ নিজ কারখানায় গিয়ে দেখেন মূলফটকে তালা ও ছুটির নোটিস। দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তাঁরা। এ সময় তারা জড়ো হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শ্রমিকরা চার-পাঁচটি পোশাক কারখানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করেন।