নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষু ডাক্তার

খোমেনী

স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই ......।

খোমেনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত বিরোধীতা নয় দেশপ্রেম যখন জাগ্রত হয় !!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

পূর্বে ছিল না এখনও যদি কেউ ভুল করে ভারতের সমালোচনা করে কিছু লোক তাকে বলা শুরু করে রাজাকার ছাগু পাকির বীর্জে জন্ম আরো কত কি? কিন্তু এখন বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম মানুষ ভারত বিরোধীতায় মশগুল। বিএনপি-জামায়াত সহ অন্যান্য লোকেরাও ভারতের সমালোচনা করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের অতি আগ্রহ ও ডমিনেট করায় অনেকে ক্ষুব্ধ।



কিন্তু ভারতের অনুকম্পা যারা পায় তাদের চোখে যারা ছাগু রাজাকার পাকি দালাল তারাই হলো দেশপ্রেমিক। কিভাবে? তারা ভারতের অন্যায্য টিপাই মুখে ড্যাম দেয়া, ট্রানজিটের নামে করিডোর করে তিতাশ নদীতে বাধ দিয়ে, সুরমা কুশিয়ারাকে হত্যা করে বড় বড় ট্রাক বাংলাদেশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া, সুন্দরবন ধ্বংসের পায়তারা সার্বিক বিষয়ে ভারতের লোলুভ দৃষ্টির বিরোধীতা করছে এবং সেটা দেশপ্রেম থেকেই সম্ভব হচ্ছে। এই ভারত যখন আমাদের দেশটাকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে অপরদিকে নেপাল যখন তাদের কাছে করিডোর চায় বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশে যাবার জন্য তখন তারা নারাজ হয়। তারা মাত্র ১৫ শতাংশ ইনভেস্ট করে ৫০ শতাংশ পার্টনার হতে চায় রামপালে সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুত কেন্দ্র প্রজেক্টে। আমাদের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করছে তারা বিনা খরচায়। লোকে বলাবলি করে এবং পত্রিকান্তরে আমরা জানতে পেরেছি ভারত থেকে বস্তা বস্তা টাকা এনে শেখ পরিবারের বংশধরকে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আনা হয়েছে।



তাই বলে কি শেখের পরিবার কোন পরিমান বাদ বিচার না করে নি:স্বার্থ ভাবে জনগনের বুকের উপর পা দিয়ে সব কিছু বিলিয়ে দিবে। সুন্দরবনে হাজারো লক্ষ লোকের রুটি রুজি জড়িত। আর মুক্তিযুদ্ধে নাম মাত্র চক্রান্ত করে যে স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকার কথা ভারত বলে থাকে তার বিনিময়ে এতটা অনুকম্পা আমাদের দেখানো উচিত নয়। মমতা ব্যানার্জি তো বাঙ্গালী আমরাও নিজেদের বাঙ্গালী বলে হরহামেশাই পরিচয় দেই। শেখের বেটি মাথায় কাপড় দেয় দেখে এখানকার প্রগতিমনারা তাকেও বাঙ্গালী বলতে চায় না। এজন্য বুঝি তিনি মাথায় কাল কাপড় পড়া বাদ দিয়েছেন। সে যাই হোক, এই মমতা ব্যানার্জি আমাদের তিস্তার পানি বন্টনে একগুয়েমী করছে। বলেছে কোন পানি দেবে না তারা। সীমান্তে সীমানা বন্টন নিয়েও রয়েছে অনেক না পাওয়ার যন্ত্রনা।



এতকিছুর পরও সেদিন ভারত সরকার জানিয়েছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করতে রাজি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরাবরই ভারতের আনুকুল্য পেয়ে আসছে সেই স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান হবার পর থেকেই। কিছু বাম পন্থিদের দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান ভাঙ্গার চেষ্টা করলেও শেষ মেষ মুজিবের ঘাড়েই পিস্তল রেখে গুলি চালায় ভারত। পাকিস্তান সরকার এ ভুখন্ড থেকে বিতাড়িত হবার পর থেকে এদেশটিতে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে গেছে। মুজিব মারা গেছে তার আগে বাকশাল হয়েছিল তারপর সেনাবাহিনীতে ক্যু হলো। জেল হত্যা হলো তাহের মরলো। জিয়া রাষ্ট্রপতি হলো আবার তিনিও শহীদ হলেন আবার এরশাদ এলো আবার তারও স্বৈরাচারীতার কারনে তারও পতন ঘটলো।



বিস্তারিত অন্য দিন। (শুভ ব্লগিং)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

আলাপচারী বলেছেন: কোন যুদ্ধে জিয়া শহীদ ??? শেখ মুজিব কেন শহীদ নয় ???

ভারত করবে অর্থ খরচ ??? পাগল হয়েছেন ??? অর্থ ওদের চেয়ে ইহুদীরাও বেশী চেনে না।

ভারত নিজের স্বার্থে আমাদের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছিল। এটা ঐতিহাসিক সত্য। আমাদের কন্ট্রোলে রাখতে না পেরেই মুজিবকে জিয়াকে হত্যায় তাদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।

বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৪

খোমেনী বলেছেন: শহীদ যুদ্ধে মারা গেলেই যে হয় এটা আপনার জ্ঞানে কুলালো। ভালো কাজ করে অন্যায্যভাবে শত্রু বা আততায়ীর হাতে মরলে তাকে শহীদ বলা যায়। একটি খেতাব। কিন্তু জনদুর্ভোগ বাকশাল কায়েম করে কিছু সামরিক সেনার হাতে স্বপরিবারে মরলে শহীদ হয় না বা তেমন কেউ বলেও না।

ভারত কেন অর্থ খরচ করবে। গত কয়েকদিনের পত্র পত্রিকায় হাজার কোটি টাকার খবর তাদের পত্রিকায় ছাপিয়েছে। দেখুন দয়া করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.