![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের কালিখোলা গ্রামের সেলিম গাজির কলেজ পড়ুয়া ছেলে পারভেজ সেদিন ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন ভাই শামীম গাজী ও বন্ধু জহিরুল ইসলামদের সঙ্গে। খেলার মাঝে পীযূষ, শান্ত, শ্যামল, ধীমানরা এসে পারভেজকে শাসাতে থাকে। কারন কিছুদিন আগে পীযূষ, শান্ত, শ্যামল, ধীমানসহ কয়েকজনের সঙ্গে পারভেজের ক্রিকেট খেলা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছিল। তর্কা তর্কির এক পর্যায় পীযূষরা ধারালো অস্ত্র বের করে কোপাতে উদ্ধত হয়। বাধা দিতে গেলে শামীম গাজী ও জহিরুল ইসলামসহ আরো দুজনকে কোপানো হয় যাদের অবস্থা আশংকাজনক এবং পারভেজকে ধরে মন্দিরের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে গাছে বেধে পারভেজকে জবাই করে হত্যা করা হয়। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হিন্দুপাড়ায় কিছু বাড়িঘর পোড়ানো হয়, দুটি গরু পুড়ে অঙ্গার হলেও কোন মানুষ হতাহত হয়নি।
এই যখন অবস্থা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর বেরুয় এবং সেখানে আধিক্য পায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পুড়ানোর বিষয়টি। এ ঘটনা নিয়ে প্রথম আলোর রিপোর্ট- ”খেলা নিয়ে খুন, তারপর হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন।” প্রতিবেদনটি শুরু হয়েছে মর্মস্পর্শী আবেগ দিয়ে-পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে গলায় রশি বাঁধা দুটি গরু। ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখানে-সেখানে পড়ে আছে গৃহস্থালি নানা সামগ্রী—সব পোড়া। ঘরের আশপাশে থাকা গাছের নারকেলগুলো পর্যন্ত পুড়ে গেছে। ভস্মীভূত ঘরগুলোর নানা জায়গা থেকে (ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর) ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এই চিত্র বরিশালের চর কাউয়ার কালীখোলা গ্রামের পণ্ডিতবাড়ির।
মামলা করা হয় নিহত পারভেজের পরিবার থেকে। বাবা সেলিম গাজী ৯ জনের নাম সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা দেড় হাজারের অধিক অজ্ঞাত পুরুষ মহিলাদের নামে মামলা করে।
হিন্দুদের আক্রমনে পারভেজ গাজীর মা পারভীন বেগম বুকফাটা আর্তনাদ করে বলেন, “পত্রিকা ও টিভিতে অপনারা শুধু একতরফাভাবে আগুনে পোড়া বাড়িঘরের ছবি দেখাচ্ছেন; কিন্তু আমার পারভেজকে যে মন্দিরের সামনে গাছের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে এবং রাস্তার ওপর ফেলে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, সেই রক্তের ছবি কি আপনাদের চোখে পড়ে না? আমি আমার জায়গা-জমি সব বিক্রি করে হিন্দুদের বাড়িঘর পোড়ানোর ক্ষতিপূরণ দেবো, তবে আপনারা আমার পারভেজকে এনে দেন!”
ঘটনার শেষ এখানেই নয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পুড়ানোর জের ধরে নয়ন বালা নামের একজন ছেলের নেতৃত্বে আলমগীর সরদার এর পরিবারের বড় কন্যা হাসি (১৮), তানিয়া (১০) ও তার ৬ মাস বয়সী শিশু কন্যা মারিয়া সহ আব্দুল হকের ছেলে মনিরকে (৭) জবাই করা হয়। তানিয়া (১০) ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং বাকিদের অবস্থা সংকটাপন্ন।
সংবাদপত্রে আসে নয়ন বালা যে ৩ জন মুসলিম শিশু ও মেয়েকে জবাই করলো সে নাকি মাদকাশক্ত।স্থানীয় প্রশাসন নয়ন বালাকে রক্ষার্থে জানায়, ওই গ্রামের অমল বালার পুত্র ও সরকারি গৌরনদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নয়ন বালা অতিরিক্ত মাদক সেবন করে এ বর্বর হামলা চালিয়েছে।
তথ্য সূত্র :
(১) বরিশালের চর কাউয়ার কালীখোলা গ্রাম খেলা নিয়ে খুন, তারপর হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন
(২) বরিশালে শিশু কন্যাকে জবাই
(৩) ছাত্র হত্যা ও হিন্দুপাড়ায় আগুনের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আপনার পরিবেশিত তথ্যের উৎস কই?
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
খোমেনী বলেছেন: দিয়েছি ভাই নিচে এবং নোটেও লিংক এ্যাড করে দিয়েছি আপনার সুবিদার্থে। ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
খোমেনী বলেছেন: ছাত্র হত্যা ও আগুনের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা
খেলা নিয়ে খুন, তারপর হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন
বরিশালে শিশু কন্যাকে জবাই
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
লোডশেডিং বলেছেন: আপনার কাহিন যদি সত্যি ধরে নেই তারপর এটা বলা কি উচিত একজন সংখ্যালঘুর অপরাধের জন্য সকল সংখ্যালঘু দায়ী। এটা এজন্য বলছি। এটা তো ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কোনো ঘটনা ছিলো না। এটা ছিলো একটি ব্যক্তি বিশেষের ঘটনা চক্রের ঘটনা। তারপরও বিষয়টাকে ধর্মীয় রং দেয়া হলো। এর জন্য কারা দায়ী। এটা বিচার করা দরকার । সে জন্য হিন্দুদের ঘর পোড়ার ছবি খবরে এসেছে। পারভেজ হত্যাকারীদের মৃত্যুদন্ড চাই। আর আগ্নি সংযোগকারীদের শাস্তি চাই।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
খোমেনী বলেছেন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আঘাত যদি আসে আর সেটা যদি হয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কেউ তাহলে তাতে ঘি ঢেলে আলতা লাগিয়ে এমন রঙ্গিন করে দেখানো হয় যা সত্যি পীড়া দায়ক। পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের মত আরেকটি দেশ আছে কিনা জানা নেই যেখানে আমরা হিন্দু মুসলিম সকল ধর্ম একাকার। আমাদের মধ্যে নেই কোন সংঘাত দন্দ। তবু কিছু মিডিয়া সংবাদপত্র ও কতিপয় সমাজের কীট কুল এসব যেন রং চং মাখিয়ে প্রচার করতে মজা পায়।
যা বলতে চাইছিলাম, মানুষ মারা গেলো নিউজে তা প্রাধান্য পেল না বরং সে হত্যার পর জনগন বিক্ষোভ করলো তাতে যে ক্ষতি হলো সেটাই মুখ্য।
যদি একজন হিন্দুকে আরেকজন হিন্দু খুন করেছে তাহলে কি দাড়াতো?
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: লোডশেডিং বলেছেন: আপনার কাহিন যদি সত্যি ধরে নেই তারপর এটা বলা কি উচিত একজন সংখ্যালঘুর অপরাধের জন্য সকল সংখ্যালঘু দায়ী। এটা এজন্য বলছি। এটা তো ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কোনো ঘটনা ছিলো না। এটা ছিলো একটি ব্যক্তি বিশেষের ঘটনা চক্রের ঘটনা। তারপরও বিষয়টাকে ধর্মীয় রং দেয়া হলো। এর জন্য কারা দায়ী। এটা বিচার করা দরকার । সে জন্য হিন্দুদের ঘর পোড়ার ছবি খবরে এসেছে। পারভেজ হত্যাকারীদের মৃত্যুদন্ড চাই। আর আগ্নি সংযোগকারীদের শাস্তি চাই।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
খোমেনী বলেছেন: বেকার সব ০০৭ লোডশেডিং কে বলুন কাহিনী নয় এটি সত্য ঘটনা খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। আবার লিংকও দিয়েছি। ধর্মীয় রং দেয়ার পিছনে দায়ী প্রথম আলোর মত পত্রিকা ও মিডিয়া। প্রতিবেদনটি তাদের পড়ুন দেখুন কি লিখেছে তারা -
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০২
ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব তৃতীয় শ্রেনীর চটি পত্রিকাকে বিশ্বাসযোগ্য উৎস ধরা সঠিক হবে কি?
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
খোমেনী বলেছেন: ঢাকা বাসীর মনে হয় চটির প্রতি ভালো দূর্বলতা আছে তানাহলে মুখ থেকে এভাবে এই চটি বইয়ের নাম বেরুলো কেন?
বিশ্বাসযোগ্যতা তথ্যের উপর নির্ভর করে। বরং বড় বড় পত্রিকাগুলো বেমালুম মিথ্যাচার করে থাকে যা জনগনের বোঝার পক্ষে খুব কষ্ট হয়।
সকল তথ্য সঠিক আছে এটা দিব্যি করে বলতে পারি।
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এখানে আসলে ব্যক্তিগত শত্রুতাই এই ঘটনার জন্য দায়ী,,,,,,,,,,,
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
খোমেনী বলেছেন: লায়লা ম্যাডাম আপনি ঠিকই আচ করেছেন।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
খোমেনী বলেছেন: bab-ul-islam.net লেখাটি কপি পেষ্ট মেরেছে !! কি করা যায়?
৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
জনাব মাহাবুব বলেছেন: এদেশে হিন্দুরা হয়ে যাচ্ছে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক আর আমরা দ্বিতীয় শ্রেণীর।
ব্যক্তিগত দ্বন্দতেও কিছু হলে সেটাকে রংচং মেখে কিছু সুশীল, মিডিয়া সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়াতে পিছপা হয় না।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
খোমেনী বলেছেন: খবর বেরিয়েছে হিন্দু পাড়ায় আগুন দেয়া হয়েছে নৌকা করে অন্য এলাকা থেকে লোক ভাড়া করে এনে।
১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
খোমেনী বলেছেন: বরিশালে মন্দির ও বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্রলীগকর্মীরা!
১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
মদন বলেছেন: পাবনার সাথিয়াতেও ছাত্রলীগের চাদাবাজির রোষে পুরে হিন্দু পল্লী, হযে যায় সংখ্যালঘু নির্যাতন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: জয়তু মতিকন্ঠ, জয়তু মানবতা ।