![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মহাজোট সরকার মেয়াদের শেষপ্রান্তে এসে যে উন্মত্ততা দেখাচ্ছে, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতনের পর বিগত প্রায় দুই যুগে কোনো সরকার মেয়াদান্তে এমন বেপরোয়া আচরণ করেনি।
মূলত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে সবার অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে মহাজোট। বিগত কয়েকটি সরকারের সময় শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার পালাবদলের যে সুযোগ ছিল তা রুদ্ধ হয়ে গেছে। কেবল তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই নয়, সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে এমন সব পরিবর্তন আনা হয়েছে যা প্রকারান্তরে বাকশালকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আরেকটি নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার ও তার মন্ত্রিসভা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাবে—এমন বিধান রাখা হয়েছে। এটাকে পুঁজি করেই সরকার মনে করছে, বিরোধী দলের বাধায় নির্বাচন যদি পণ্ড হয়ে যায় তাহলেও সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে না।
এখন আন্দোলন দমাতে হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়নের স্টিমরোলার চালালেও বিরোধী শিবিরের প্রতিকার পাওয়ার কোনো জায়গা এখন আর নেই বলেই মনে করে সরকার।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
নবীউল করিম বলেছেন: ওঁরা ভুলে গেলেও আপনারা ভুলবেন না...............
১) ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট, কোথাও একটা প্রতীবাদের গুলি ফুটে নাই! শুধু তাই না ৩০ হাজার রক্ষী বাহিনীর এক জনও দৃষ্টির সীমায় ছিল না! অথচ তারা তার আগের দিনই বুক ফুলিয়ে কুচকাওয়াজ করেছিলো!
২) আপনাদের পরিচিতদের মধ্যে খোঁজ নিয়ে দেখেন, কেউ সেদিন চোখের এক ফোটা পানি ফেলেছিল কি না?( বেজন্মা লুটেরা,সুবিধাবাদীরা ছাড়া, যারা শেখ মুজিবের কম্বলটায় পর্যন্ত ভাগ বসিয়েছিল।আর কিছু মানুষ চোখের পানি ফেলেছিল আক্ষেপের কারনে করুনা করে)। এই লেখাটা যে কয়জন পড়বেন, তাঁরা সবাই মিলে ৫০ জনের প্রমান দিতে পারবেন না,যারা কেঁদেছিল দুঃখে, এটা আমার চ্যালেঞ্জ থাকলো...............
সুতরাং দুশ্চিন্তা করার কনও কারন নাই। ছাই থেকেই তো ইস্ফিংস এর জন্ম!
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০
আশমএরশাদ বলেছেন: @ নবীউল করিম:
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হ্ত্যাকান্ডের পরপরই সারা দেশ জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ। তাই এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কিংবা সমর্থনে সাধারণ মানুষের রাস্তায় নামার কোনো সুযোগ ছিলো না, কেউ যদি সেই দাবি করে থাকে, তাহলে সে মিথ্যা বলেছে। কেউ যদি মিষ্টি বিতরণের গল্প শোনায়, তাহলে বুঝতে হবে তার মিষ্টির দোকান ছিলো, মিষ্টিগুলো পচে বাসি হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে বলে ঘরের লোকজনকে বিতরণ করেছে। মোটামুটি ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় এটাই ছিলো বাস্তবতা। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের কাহিনীও তাই।
সেই সময়কালের ঘটনা যারা বর্ননা করেন তাদের বেশীরভাগই শোনা গল্প বলেন। আর সেই গল্পে রং চড়তে চড়তে একসময় 'রাণী একটি কাক প্রসব করেছেন' হয়ে যায়। মানে বুড়ি দাই এ্ক দাসীকে বললো রাণীর ছেলে হয়েছে কিন্তু রং অত ফরসা না, সেই দাসী আরেকজনকে বললো রাজপুত্রের গায়ের রং কুচকুচে কালো। এভাবে কথা ছড়াতে ছড়াতে প্রতিবেশী রাজ্যের পত্রিকায় স্কুপ নিউজ হলো রাণী কাক প্রসব করেছেন। মেমোয়ার (স্মৃতিকথা) আর ইতিহাস গুলিয়ে ফেলেন অনেকে। স্মৃতিচারণে মানুষ তার ইনভলভমেন্টকে গুরুত্ব দেন, পছন্দের জিনিস হাইলাইট করেন, পছন্দের মানুষকেও। অনেকসময় তারাও প্রচলিত গুজবকে প্রমোট করেন শোনা যায় বলা হয় জাতীয় বিশেষণ সহকারে। @ পিয়াল
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৯
খোমেনী বলেছেন: পত্রিকাগুলো নিরব ভুমিকা পালন করেছিল মুজিব হত্যার পরে কেন?
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
আশমএরশাদ বলেছেন: @ চোখের পানি না ফেললে তার মেয়ে আজ কিভাবে ক্ষমতায়?
চোখের পানি না ফেললে কি ভাবে ৪০ ভাগ মানুষের একক সমর্থন থাকে এই দলটির প্রতি এবং সেটা ধারাবাহিক।
চোখের পানি না ফেললে ৩ রা নভেম্বর কিভাবে মুজিব হত্যার প্রতিোশোধ নেন কর্নেল সাফায়াত এবং পরে খালেদ মোশারফ?
ক্যারিশমেটিকক নেতাদের ক্যারিশমেটিক মৃত্যুই হয় যেটা তাদেরকে সারাটা সময় তরতাজা রাখে । জন এফ কেনেডি শেখ মুজিবের এমন মৃত্যু না হলে আমাদের মনের মধ্যে একজন বয়স্ক এবং তেজহীন মানুষের ছবিই মনে আসতো যখন তাদের নাম নেয়া হতো। নেলসন মেন্ডেলাকে যেমন এখন মনে হয়। তেজদীপ্ত সময়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাই কেনেডি মুজিব এখনো জনপ্রিয় ।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
আশমএরশাদ বলেছেন: @নবীউল করিম
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল মেজরের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য এবং সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ডকে ফিরিয়ে আনার জন্য তৎকালীন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) এবং ঢাকায় অবস্থিত ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সম্পূর্ণ রক্তপাতহীন একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান নিজ বাসায় বন্দি হন। খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদচ্যুত হন। বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজররা সপরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু খালেদ মোশাররফের কিছু অদূরদর্শিতার কারণে মাত্র চার দিনের মাথায় ৭ নভেম্বর আরেকটি পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটে। ৭ নভেম্বরের পাল্টা অভ্যুত্থানের প্রথম প্রহরেই বন্দীদশা থেকে মুক্ত হলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানটি সংঘটিত হয় জাসদ নেতা কর্নেল (অব.) তাহেরের নেতৃত্বে গঠিত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার উদ্যোগে ও নেতৃত্বে। কর্নেল তাহেরের নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল জাসদের বিপ্লবী কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে জিয়ার সেনাপ্রধানের পদটিকে শিখণ্ডি হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু কর্নেল তাহেরের হিসাবেও ছিল বিরাট ভুল। ৭ নভেম্বর আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কর্নেল তাহের যখন জেনারেল জিয়ার সঙ্গে মিলিত হন, ধারণা করা হয় তার আগেই পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জিয়াকে কব্জা করে তাদের শিখণ্ডি করে ফেলেছিল। ৭ নভেম্বর সকালে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অভ্যন্তরে হত্যা করা হয় জেনারেল খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা এবং লে. কর্নেল হায়দারকে। তিনজনই একাত্তরের বীর উত্তম খেতাবধারী। ৭ নভেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টা-২টার দিকে জিয়াউর রহমান বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে সব পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় চলে আসেন এবং সবাই তার নির্দেশই অনুসরণ করতে শুরু করেন।
জিয়াউর রহমান চার দিন বন্দী থাকা সত্ত্বেও তার জীবনের নিরাপত্তা কখনো হুমকির মুখে পড়েনি। কিন্তু ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান মুক্ত হওয়া থেকে খালেদ মোশাররফসহ তিনজন বীর উত্তম খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার মধ্যে প্রায় আট-নয় ঘণ্টা সময় পাওয়া সত্ত্বেও জিয়াউর রহমান কেন তাদের জীবন রক্ষা করলেন না বা করতে পারলেন না সে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। এ কারণেই মানুষের ধারণা জিয়াউর রহমান মুক্ত হওয়ার পরপর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কব্জায় পড়ে যান। আর সে কারণেই হয়তো একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের যমদূতসম মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা খালেদ মোশাররফ, হুদা এবং হায়দারের আর স্বাধীন বাংলাদেশে বেঁচে থাকা সম্ভব হলো না। অনেকের ধারণা ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের মূল চাবিকাঠি ছিল আইএসআইয়ের হাতে। আর কর্নেল তাহেরের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা হয়তো অজান্তেই আইএসআইয়ের কূটচালের ঘূর্ণিপাকে পড়ে সব হারিয়েছেন। অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই জিয়া কর্তৃক কর্নেল তাহেরের প্রহসনের ফাঁসি এ কথার যথার্থতা প্রমাণ করে। অধিকন্তু ৭ নভেম্বর সকালে ঢাকার রাস্তায় কিছু সৈনিকের সঙ্গে ট্রাকভর্তি বেসামরিক লোকজন স্লোগান দেয় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই বেসামরিক লোকজনের সবাই ছিলেন জামায়াত-মুসলিম লীগের কর্মী-সমর্থক। - See more at: Click This Link
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৬
খোমেনী বলেছেন: কর্ণেল তাহের সাহেব অনেক সেনাসদস্যকে হত্যা করেছে এই সাক্ষী তখন সেনাবাহিনীর সদস্যরা দিয়েছিল আর মার্শাল ল'তে তার ফাসি হয় এখানে জিয়ার কোন হাত নেই। যে কমিটি গঠন হয়েছিল সামরিক বিশৃংখলার বিচারের জন্য সেখানে জিয়া কমিটির কোন সদস্য ছিলেন না বলেই জানি। জিয়াকে কর্ণেল তাহেরের হত্যার জন্য দায়ী করা অত্যন্ত মুর্খতার পরিচয় দেয়া হবে। ইতিহাস তাই বলে। শুধু কি কর্ণের তাহেরেরই বিচার হয়েছিল তার কারো হয় নি।
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
রাজীব বলেছেন: চোখের পানি না ফেললে কি ভাবে ৪০ ভাগ মানুষের একক সমর্থন থাকে এই দলটির প্রতি এবং সেটা ধারাবাহিক
এই সূত্রে তো এরশাদও অনেকর জনপ্রিয়, এমনকি রাজাকারদের দলও নিয়োমিত ১০ % ভোট পায়।
আইএসআই এর তৈরী করা বিএনপির কথা না হয় নাই বললাম
৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
বেঈমান আমি. বলেছেন: ছাগুরা এখন ুটু মারা খানের ভয়ে মেয়েদের পিকচার দিয়া ব্লগিং করে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২২
খোমেনী বলেছেন: স্বপ্নে দর্শাইলো নাকি জয় বাবা? ছাগুরা আর কি কি করলে দোষ কও তো বাপু। ছাগুদের কি মানবিক অধিকার থাকতে নেই
৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫১
বেঈমান আমি. বলেছেন: নপ ছাগধিকার নাই
ছাগু পাইলেই পুন্দানতিস।এটা সামু ব্লগের নিয়ম।তুই বর্নমালাতে যা।
৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
নবীউল করিম বলেছেন: @ আশমএরশাদ আপনার কথার উত্তর একাধিক জনের কাছ থেকেই পেয়ে গেছেন এরই মধ্যে। কিন্তু যেহেতু আমাকে তালিম দেবার প্রয়াশ, তাই খুব ছোট করে বলছি......
১) “১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হ্ত্যাকান্ডের পরপরই সারা দেশ জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়” আমার বয়স ৫-৬ বছর না! তাই আপনার এই দুর্গন্ধময় বস্তা পোঁচা অজুহাতের উত্তর দেবার সামান্য ইচ্ছা না থাকা সত্তেও এই টুকু বলছি...... কারফিউ জাড়ি করে আবেগ, মায়া, মমতা, ভালোবাসা, চোখের পানি বন্দধ করার অসুস্থ খায়েস আপনাদের মতো স্থুল মানসিকতার অন্তঃসার শুন্য মানুষের আছে বলেই অমন হাস্যকর ওজুহাত দিতে পারেন! আর বাকী কথাগুলোর উত্তর দেবার রুচি হচ্ছে না। ভাবছি কি ভাবে ভাবতে পারেন যে, আমি একটা বালক, যাকে কাণ্ড জ্ঞানহীন কথা বলে বুঝ দেওয়া যায়?!
২) জিয়া, তাহের, জামিল ইত্যাদিদের নিয়ে যে গল্প বলেছেন, সেটা অনেক পুরনো। ঐ গল্প গত ৩৮ বছর ধরেই জাতীকে শুনাচ্ছেন আপনারা। আর কতো বছর লাগবে আপনাদের এটা বুঝতে যে ঐ গল্প কেউ খায় না? আসলে ছাগল বি এন পি যদি উন্মাদ আওয়ামীলীগের ২৫% ও হতো, তা হলে আওয়ামীলীগ হাজার বছরেও এই দেশের ক্ষমতায় আসতে পারতো না।
স্বৈরাচার, রাজাকার, আই আস আর আই ইত্যাদি হচ্ছে আপনাদের গল্প তৈরি করার যুতসই রসদ। ভাবটা এমন যে আপনারা ঈশ্বরের কাছ থেকে সরাসরি জেনে ফেলেন যে ঐ খেলোয়াড়রা কি খেলছে! তবে এই দেশের অশিক্ষিত মানুষ আপনাদের এই কথাগুলো খায়, স্বীকার কোরতে দোষ নেই!
৩) তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেই যে তাহেরের কনও দোষ ছিলোনা, কিন্তু এটাত প্রমাণিত সত্য যে তাহের সেনাবাহিনীর মধ্যে রাজনীতি ঢুকিয়ে দলা দলি সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলতার প্রয়াশ করেছিলো! শুধু এই কারনেই তার মৃত্যু দণ্ডটা সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী যায়েজ হয়ে যায়।
তাহেরকে হিরো বানিয়ে নর্তন কুর্দন করাটা যে একটা নোংরা রাজনীতি এটা এই দেশের মানুষ সেদিন থেকেই বুঝে, আর বুঝে বলেই সাধারন মানুষ ঐ নর্তন কুর্দন এর যাত্রা পালার দর্শক হয় না। দু’চারটা মুখ চেনা পতিত পালাকার আছে, যাদেরকে সবসময়ই লীগ নিজের প্রয়োজনে সামনে আনে, মানুষের মনোযোগ ঘুরিয়ে দিয়ে আবার খাঁচায় বন্ধ্য করে রাখে!
৪) জাসদ তৈরি হবার কারন সমন্দধে জানেন না নাকি জানাতে চান না?
এখানে (ব্লগে) অনেক তরুন আর যুবক আছে যাদেরকে অনেক ভাবেই বিভ্রান্ত করে রাখা হয়েছে যার যার কুটিল ও হীন স্বার্থের কারনে। তাদের জ্ঞাতার্থে খুব সংক্ষেপে জাসদ ফর্ম করার সুচনার কথা বলছি............
যখন (৭১-৭৫) শেখ মুজিবের কথা এই দেশের মানুষের কাছে হযরত মুঃ সাঃআঃসঃ এর চেয়েও বেশী গুরুত্ব বহন করতো তখন কনও একদিন কনও এক বিষয়ে ( বিস্তারিত বলবনা) অবঃ মেজর জলিল এবং শেখ মণির মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি থেকে পক্ষ- বিপক্ষ! অবশেষে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলো যে এই ব্যাপারে শেখ মুজিবের কাছে বিচার দেওয়া হবে। শেখ মুজিব সব শুনার আগেই শেখ মণির পক্ষে তাঁর মত প্রকাশ করেন! এই স্বজন প্রীতি এবং পক্ষপাতিত্তের কারনে রাগ করে জলিল তাঁর অনুসারীদের নিয়ে জাসদ ফর্ম করেন!
অথচ সেদিন যদি বঙ্গবন্ধু দুই জনের দুই গালে দুটা হাল্কা চড় মেরে মিটমাট করে নিতে বলতেন তবে তাই হত, তখন তাঁর কথা ছিল বেদ বাক্য!
জিঃ এইটাই মুল বিষয়, জাসদ তৈরি হয়েছিলো ইগো থেকে, বঞ্চনা থেকে, পক্ষপাতিত্ব আর স্বার্থের হানাহানী থেকে!
আর এই জাসদের বলিদান শুধু সেই সময়ই ক’এক হাজার নিষ্পাপ, মেধাবী শিক্ষিত ছেলে। জাসদ একটা বিষ ফোঁড়া ছিল তখন নতুন বাংলাদেশের জন্য, এখনো তাই............... যার সৃষ্টিকর্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, শেখ মনি ও জলিল!
হাজার হাজার মেধাবী ছেলের মায়ের দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছরের চোখের পানি ফেলান অভিশাপ এই দেশের মাটিতে মিশে আছে! যার খেসারৎ আমাদেরকে দিয়ে যেতে হচ্ছে, আগামীতেও দিতে হবে............
১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
আশমএরশাদ বলেছেন: @ কথা বলার ধরণ দেখে মনে হয়েছে আপনার বয়স হয়েছে কিন্তু মুখের ব্যবহার ঠিক হয়নি।
আর আমার একটা যুক্তির বিপক্ষে পাল্টা যুক্তিতো দেখাতেই পারেন নি বরং বায়বীয় কিছু কথা বলে নিজেকে হালকা করেছেন।
ভালো থাকুন - মাইন্ড সেট ধারনা থেকে বেরিয়ে ডাইমেনশনাল ওয়েতে চিন্তা করুন - কোন বিশেষ দলের প্রতি অতি প্রীতি অথবা বিদ্বেষ দুইটাই আপনার মগজের জানালাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করবে। আর সে কারণেই আপনার কাছে তাহের কর্তৃক জিয়ার মুক্তি বিষয়টাও জায়েজ আবার তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলানোও জায়েজ।
শেখ মুজিবের নামে এখনো ইতিহাসের শ্রদ্ধার দরজা খোলে যায় যে কোন তরুনের বুকে শ্রদ্ধার আসন পেতে বসে থাকে কিছু কুলাঙ্গার ছাড়া। পৃথিবীতে শেখ মুজিবই একমাত্র ব্যক্তি যার নামে সব চেয়ে বেশী কবিতা লিখা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
আশমএরশাদ বলেছেন: তত্বাবধায়ক সরকার তথা ত্রয়োদশ সংশোধনীটিও অনেক ত্রুটি পুর্ণ ছিল। সেটা মানতেই হবে।
আর তত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে বলবৎ থাকা সত্বেও ২০০৫ এ শান্তিপুর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি। এম এ হাসানের বয়স বাড়িয়ে যে ঘটনার সুত্রপাত এবং পরে রিট আবেদন এবং পরে রায় হয়।
এম এ হাসান এবং কমিশনার আজিজকে নিয়ে ২০০৪-৫ এ ও বেপরোয়া আচরণ হয়েছিল।