নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষু ডাক্তার

খোমেনী

স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই ......।

খোমেনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১ এর ২৫শে মার্চের পরে আওয়ামী লীগ দ্বারা সংঘটিত বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

চট্টগ্রাম শহর



• ২৬- ৩০ মার্চ : শহরটি আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস ও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সদস্যদের নিয়ন্ত্রনে ছিল, যারা শহরের ভিতরে অবস্থিত কলোনী ও তার আশপাশে ব্যাপক হারে লুটতরাজ, হত্যাকান্ড ও সেখানে অগ্নিসংযোগ করেছিল। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম অফিসে একটি সহ সেখানে বেশ কয়েকটি জবাইখানা স্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে নারী পুরুষ ও শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে ঐসব হতভাগ্যের টুকরা টুকরা করে কাটার আগে শরীর থেকে শিরিঞ্জ দ্বারা রক্ত টেনে নেয়া হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ১০,০০০-১২,০০০)



• ২৭ শে মার্চ ওসমানিয়া গ্লাস ওয়ার্কস : কারখানার পশ্চিম পাকিস্তানী কর্মচারীদের অত্যাচার করা হয়েছিল এবং হত্যা করা হয়েছিল। (নিহত ১৭ জন)



• ১৯ শে এপ্রিল ইস্পাহানী জুট মিলস ও তার পাশ্ববর্তী এলাকা : অপহরন করা হয়েছিল। (হতাহতের সংখ্যা ১০০০)



• ২৭/২৮ এপ্রিল হাফিজ জুট মিলস : মিল এলাকায় হামলা করা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে হত্যা করা হয়েছিল। মিল মালিকের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। কয়েকজন শিশু যারা পালাতে সক্ষম হয়েছিল তারা ছাড়া ভবনে অবস্থানরত বাকি সকলে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল। (বিশ্বাস করা হয় যে সেখানে নিহতের সংখ্যা ১৫০ জন)



• ২৬-৩০শে এপ্রিল কর্ণফুলী পেপার ও রেয়ন মিলস : ব্যাপক হারে লুটতারজ অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল। মহিলাদের বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল ও পরে উদ্ধা করা হয়েছিল। ঐসব নারীদের উপর নিশংস ও ধর্ষনের গল্পগুলো অবর্ণনীয় ছিল। (নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০০০)



• ২৭-৩০ শে এপ্রিল রাঙ্গামাটি : রাঙ্গামাটিতে অবস্থানরত সকল পশ্চিম পাকিস্তানকে ধরা হয়েছিল ও তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে নিসৃংশতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ৫০০ জন)



যশোহর



• ২৯-৩০ শে মার্চ ঝুমঝুমপুর কলোনী : ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলর্সের বিদ্রোহী সদস্যরা সেখানকার গোটা বিহারী সম্প্রদায়কে হত্যা করেছিল। নারী ও শিশুদের নড়াইলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নদীপথে প্রায় ৪০০-৫০০ বিহারী মহিলাকে ভারতে অপহরন করে নিয়া হয়েছিল। মানুষের মাথার খুলি ও শরীরের অন্যান্য অংশ ঐ এলাকায় যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। (প্রায় ৩০০০ জন নিহত ও ২০০০ জন নিখোঁজ)



• ২৯/৩০ মার্চ রামনগর কলোনী : আতংকিত লোকজন ঝুমঝুমপুর কলোনী থেকে এখানে আশ্রয় নিলে রামনগর কলোনীতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল (নিহতের সংখ্যা ১৫০ জনেরও অধিক, ৪৪৮ জন পরিত্যক্ত শিবিরে আশ্রয় পেয়েছিল)



• ৩০ শে মার্চ তারাগঞ্জ কলোনী : আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও ইপিআরের বিদ্রোহী সদস্যরাও সম্পুর্ণ কলোনীতে বেপরোয়া হত্যাকান্ড চালিয়েছিল। অল্প কয়েজন প্রাণে বেছে গিয়েছিল। সেখানকার সকল বাড়ি ঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। (নিহত প্রায় ৫০০ জন, ৪০০ জন নিখোঁজ)



• ৩০শে মার্চ – ৫ই এপ্রিল মোবারকগঞ্জ : নারী পুরুষ ও শিশুদের অত্যাচার করা হয়েছিল এবং তাদের উপর হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল। তাদের বাড়ি ঘর লুটতরাজ করে পরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ২০০ এর অধিক, ১০ জন হাসপাতালে ও ২৭ জন আশ্রয় শিবিরে)



• ৩০শে মার্চ - ৫ই এপ্রিল কোটচান্দপুর : নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালিয়েছিল ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। (নিহত প্রায় ২০০ জন, ৫ জন আহত ও ৫৫ জন আশ্রয় শিবিরে যান)



• ৩০ শে মার্চ তাশফিডাঙ্গা : পূর্বেই চিহ্নিত অনেক বাড়িঘরে হামলা করেছিল বিপ্লবী কাউন্সিলের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা এবং বয়স্ক নারী অপহরন করা হয়েছিল। (নিহত প্রায় ২০০ জন, ৭২ জন আশ্রয় শিবিরে)



• ৩০ শে মার্চ – ১০ই এপ্রিল নড়াইল : এখানে পাঠানরা ছিল যারা তাদের হত্যাকান্ডের মুল নিশানা ছিল। সমগ্র নড়াইলের পাঠানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। নিহত পাঠানদের মধ্যে ছিল নারী, পুরুষ ও শিশুরা। (নিহতের সংখ্যা ৬০- ৭০ জন)



• ২৫ শে মার্চ – ৪ঠা এপ্রিল ঝিনাইদহ সাব ডিভিশন : আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা অসংখ্য বাড়িঘর লুট করেছিল ও অগ্নিসংযোগ করেচিল। এখানে জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছিল। (নিহত ২৫০ জনেরও বেশি, ৫০ জন নিখোঁজ ও ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে)



খুলনা



• ২৮/২৯ শে মার্চ খুলনা শহর/ ক্রিসেন্ট জুট মিলস/ খালিশপুর ও স্টার জুট মিলস, চাদনী মহল : খুলনা আওয়ামী লীগ আধা সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। এরাই সংগঠিত হয়ে খুন ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। আওয়ামী লীগের এই প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত আধাসামরিক বাহিনী বাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানের তথাকথিত দালাল বলে অবাঙ্গালীদের উপর নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালিয়েছিল। গিলোটিন পদ্ধতিতে হত্যা করার পূর্বে তাদের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার করা হয়েছিল। নিরপরাধ নারী ও শিশুদের ঘর থেকে রাস্তায় টেনে এনে হত্যা করা হয়েছিল। নদীর পানিতে ভেসে থাকা বেঁচে যাওয়া হতভাগ্যদের পূনারায় তুলে তাদের পেট চিরে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে নদীর পানি লাল বর্ণ ধারণ করেছিল। মিলের সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধি হয়েছিল, বেশ কিছু মিল কর্মকর্তা প্রচুর অর্থের বিনিময়ে প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। (নিহত প্রায় ৫০০০ জন)



• ২৮/২৯ শে মার্চ পিপলস জুট মিলস, খালিশপুর, খুলনা : ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা বয়সের বাছ বিচার না করে নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালিয়েছিল ( নিহত ৪৬৭ জন)



• ২৮/২৯ শে মার্চ নিউ কলোনী, খালিশপুর : প্রায় দশ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী সম্পূর্ণ কলোনী ঘিরে ফেলেছিল। এরপর পুলিশের বিদ্রোহী সদস্যরাও এতে যোগ দিয়ে প্রায় ছয় ঘন্টার বেশি সময় ধরে গুলি চালিয়ে অসংখ্য লোক হত্যা করেছিল। (নিহত ৩০০ জন)



• ৩০ শে এপ্রিল সাতক্ষীরা সাবডিভিশন, খুলনা : একজন পশ্চিম পাকিস্তানী সাবডিভিশন অফিসার (এসডিও) ধরে বন্দি করা হয়েছিল। ঐ এলাকায় ব্যাপক লুটতরাজ অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকান্ড চালোনো হয়েছিল। (নিহত ১০০০ জন)



কুষ্টিয়া



• ২৯শে মার্চ – ১০ই এপ্রিল কুষ্টিয়া শহর : ইপিআর এর বিদ্রোহী সদস্য, উগ্র আওয়ামী লীগ সমর্থক ও স্থানীয় দুর্বত্তরা বিহারী ও পশ্চিম পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর উপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করেছিল। এই সন্তাসী কর্মকান্ড তের দিন স্থায়ী হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ১০০০-১৫০০ জন)



• ২৬ শে মার্চ – ১লা এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া : বিহারী ও পশ্চিম পাকিস্তানীদের ঘেরাও করে হত্যা করা হয়েছিল। মহিলাদের উপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছিল। একজন পশ্চিম পাকিস্তানী সাবডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) কে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল ও তার গর্ভবতী স্ত্রী বেদম প্রহার করা হয়েছিল। (নিহত ৫০০ জন, নিখোজ ১০০ জন)



• ২৩শে এপ্রিল জকির কান্দি, কুষ্টিয়া : বিদ্রোহী ইপিআর সদস্য ও স্থানীয় উগ্রপন্থীরা কলোনীতে হামলা করেছিল। কলোনীতে ব্যাপকহারে লুটতরাজ চালানোর পর অগ্নি সংযোগ করা হয়েছিল। সেখানে কেহই জীবিত ছিল না। মহিলাদের ধর্ষন করা হয়েছিল ও পরে সকলকে হত্যা করা হয়েছিল। মহিলাদের স্তন ছিল কাটা ও পেট চিরা অবস্থায় মৃত দেহগুলি পাওয়া গিয়াছিল। (নিহত প্রায় ৫০০ জন)



• ৩০ শে মার্চ- ১৩ই এপ্রিল মেহেরপুর, কুষ্টিয়া : দপ্তাহ ধরে মেহেরপুরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে হত্যাকান্ড অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষন চলেছিল, নিহত ৪০০-৬০০ জন, নিখোজ ২০০ জন এবং ১০ জন হাসপাতালে)



বগুড়া



• ২৬শে মার্চ- ২৩ শে এপ্রিল বগুড়া শহর : আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবকরা জেল ভেঙ্গে দুস্কৃতিকারীদের মুক্ত করে তাদের দ্বারা আতঙ্কসৃষ্টি ও লুটতরাজ ও ধ্বংসযজ্ঞের ন্যায় কর্মকান্ড করার সুযোগ করে দিয়েছিল। ৭০০০ নারী, পুরুষ ও শিশুদের গাদাগাদি করে জেলের ভিতরে নিয়ে সেখানে ডিনামাইট দ্বারা বিষ্ফোরন ঘটনার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে সেনাবাহিনী পৌছে তাদের উদ্ধার করেছিল, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ব্যাপক হত্যাকান্ড, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের কথা জানা সম্ভব হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ২০০০ জন)



• ২৬শে মার্চ- ২২শে এপ্রিল নওগা/শান্তাহার : বিহারীদের চলাফেরারর রাস্তা আওয়ামী লীগের দুস্কৃতিরা বন্ধ করে দিয়েছিল। ব্যাংক লুট করা হয়েছিল। যুবতী নারীদের ধর্ষণ করার পর তাদের গুলি করে হত্যা করার পূর্বে উলঙ্গ করে প্যারেজ করানো হয়েছিল। সারা শহরে মৃতদেহ যত্রতত্র পড়েছিল, অনেককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। কাউকে কাউকে গুলি করে মারার পূর্বে তাদের হাত পায়ের নখ তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেখানকার বেঁচে যাওয়ারা জানিয়েছিল যে, মা’দের তাদের সন্তানদের রক্ত পান করানো হয়েছিল। শহরের বিহারী জনসংখ্যার প্রায় সম্পুর্ণই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। (নিহত ১৫,০০০ জন)



• আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের উগ্রপন্থীরা দুসপ্তাহ ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছিল সেনাবাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রন না নেয়া অবধি। (নিহত প্রায় ২০০ জন)



• ২৩শে মার্চ – ১০ই এপ্রিল সিরাজগঞ্জ : দুষ্কৃতিকারীরা ৩৫০ জন নারী, পুরুষ ও বাচ্চাদের একটি বিল্ডিং এ আটকিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেখানে আটকে থাকা প্রায় সকলেই নিহত হয়েছিল।



• ১০ই এপ্রিল পাকসি : রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দাদের শান্তি কমিটি গঠনের অজুহাতে একত্রে ডেকে নিয়ে স্থানীয় হাইস্কুলে একত্রিত করে বিল্ডিংয়ে অগ্নিসংযোগ করে সকলকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। (নিহত প্রায় ১০০০ জন)



রংপুর



• ২৩- ৩১শে মার্চ সৈয়দপুর : শত শত ঘরবাড়ি তাদের বাসিন্দাসহ আগুন দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। (নিহত সংখ্যা ১০০০ জন)



• ২৩ শে মার্চ- ১লা এপ্রিল নীলফামারী : এখানে অবস্থানরত অবাঙ্গালীদের অর্ধেকেরও বেশি পৈশাসিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। (নিহত প্রায় ২৭০০ জন)



দিনাজপুর



• ২৮শে মার্চ- ১ লা এপ্রিল দিনাজপুর টাউন : ইপিআর বিদ্রোহের সাথেই নৃশংসতা আরম্ভ হয়েছিল এবং এর পরই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। নারী, পুরুষ ও বাচ্চাদের জবাই করা হয়েছিল, হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন বৃদ্ধা ও শিশু রেহাই পেয়েছিল। অনেক মৃতের মাথা গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ৪০০ যুবতীকে হিন্দুস্থানে অপহরন করে নেয়া হয়েছিল। (নিহত প্রায় ৪০০০ জন)



• ২৮শে মার্চ-২৩শে এপ্রিল ঠাকুরগাও : ইপিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করেছিল এবং বিহারী জনসংখ্যার অধিকাংশই নিশ্চিহ্ন হয়েছিল। মহিলারা ব্যাপকভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ও গর্ভবতী মহিলাদের বেয়নেট দিয়ে পেট চিরে বাচ্চা বাহির করে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। অনেককে উলঙ্গ করে রাস্তায় হাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। (নিহত প্রায় ৩০০০ জন)



• পাবর্তীপুর, পঞ্চড়র, চরকাই (বর্তমান বিরামপুর), ফুলবাড়ী ও হিলি : আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক ও বিদ্রোহী ইপিআরদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল রেলওয়ে কলোনীগুলো। তারা গ্রেনেড, হালকা মেশিনগান ও ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কলোনীর বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করেছিল এবং তারপর ধর্ষন ও নির্বিচারে হত্যা করেছিল। (বেঁচে যাওয়াদের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায় যে সেখানে ৫০০০ এর অধিক নিহত হয়েছিল)



রাজশাহী



• ২৮শে মার্চ – ১৬ই এপ্রিল : পুলিশ ও ইপিআর বাহিনী বিদ্রোহ করেছিল। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা সেখানে তাদের সাথে যোগ দিয়ে বেপরোয়া খুনাখারাবী শুরু করেছিল। সেনাবাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রন নিয়েছিল ১৬ই এপ্রিল ১৯৭১। নাটোর ও সারদা থেকেও হত্যাকান্ডের সংবাদ পাওয়া গিয়েছিল। (নিহত প্রায় ২০০০ জন)



• ২৭শে মার্চ- ১৮ই এপ্রিল চাপাইনবাবগঞ্জ : বিদ্রোহী ইপিআর সদস্যরা ভারতীয় অনু্প্রবেশের সহায়তায় নবাবগঞ্জ জেলখানা ভেঙ্গে কয়েদীদের মুক্ত করে তাদের সহায়তায় অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করেছিল। একজন কেরানীকে বাংলাদেশ স্বীকার না করার ন্য কোমর অবধি মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছিল। তাকে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে ছিল এবং পরে হত্যা করা হয়েছিল। (নিহতের সংখ্যা ১০০০ জন প্রায়)



কুমিল্লা



• মার্চ- ১৪ই এপ্রিল ব্রাহ্মনবাড়িয়া ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল বিদ্রোহী ইপিআর এর কোম্পানী কমান্ডারের নির্দেশে অটোমেটিক রাইফেল দ্বারা বিহারী নারী, পুরুষ ও শিশুদের ধরে হত্যা করার পূর্বে জেলে পুরে রাখা হয়েছিল। ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় বিহারী নারী, পুরুষ ও শিশুদের ধরে ধরে জেলে আটক রাখা হয়েছিল। (নিহত প্রায় ৫০০০)



ময়মনসিংহ



• ২৭ মার্চ ময়মনসিংহ সেনানিবাস : বিদ্রোহী ইবিআর ও ইপিআর সদস্যরা আবাসিক ভবন ও ব্যারাকে তাদের পশ্চিম পাকিস্তানী সহকর্মী কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্যদেন বিশ্রামরত অবস্থায় হত্যা করেছিল।



• ১৬/১৭ই এপ্রিল ময়মনসিংহ শহর : অবসরপ্রাপ্ত ইপিআর সদস্যরা মেশিনগানের সাহায্যে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে হামলা করে সেখানে আশ্রয়গ্রহনকারী ১৭ জন অস্থানীয়কে হত্যা করেছিল।



• ১৭-২০ই এপ্রিল শারথী পাড়া ও অন্যান্য কলোনী : উগ্র জনতা রাইফেল, তলোয়ার, ছোরা, লাঠি নিয়ে আক্রমন করে শংখীপাড়া ও ময়মনসিংহ শহরের আশেপাশের নয়টি কলোনীর অধিকাংশ পুরুষ মানুষকে হত্যা করেছিল। প্রায় ৫০০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। মহিলারা মসজিদ ও স্কুল বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী ময়মনসিংহ শহরে ২১শে এপ্রিল ১৯৭১ পৌছে তাদের উদ্ধার করেছিল।



(তথ্যসুত্র : ১৯৭১ সালের ৫ই আগষ্ট পাকিস্তান সরকারের শ্বেত পত্রের ৬৪-৬৯ পৃষ্ঠায় ছাপানো হয়েছে এবং ইস্ট পাকিস্তান ট্রাজেডি- এল ব্রাশবুক উইলিয়ামস, অধ্যাপক, সাংবাদিক)





ডাউনলোড লিংক

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২

ভুং ভাং বলেছেন: ওমা তাই !কিন্তু যুদ্ধে এমন হওয়া তো স্বাভাবিক ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

খোমেনী বলেছেন: তাই যুদ্ধে এমন হওয়া স্বাভাবিক। এজন্যই পাকিস্তানীরা আমাদেরও সেভাবে নির্যাতন করেছে। কেউ কম না।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

রিয়াদ হাকিম বলেছেন: WTF

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

চলতি নিয়ম বলেছেন: ওমা তাই !

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

ইয়েন বলেছেন: কি অপরাধ টাই না করেছে !! এত মানুষ মারল অথচ আপনারে মারল না কেন :/

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

দখিনা বাতাস বলেছেন: ইয়েন বলেছেন: কি অপরাধ টাই না করেছে !! এত মানুষ মারল অথচ আপনারে মারল না কেন?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

খোমেনী বলেছেন: তখন তো জন্ম নেই নাই। এখন যদি মারতে চায় আমি রেডি।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আপনার রাজাকার পূর্বপুরুষদের মেরেছে - আহালে !! আর আপ্নারে বাচায় রাখসে ?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

খোমেনী বলেছেন: আমি রাজাকার কেন? আমার বাবাও রাজাকার ছিলো না। আমিও না। তবে ভারতীয় রাজাকারদের চোখে আমি রাজাকার এটা ঠিক।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: পাকিস্তানিরা আরও অনেক কিছুই ছাপাইসিল। কিন্তু সমস্যা করে দেয় সাইমন ড্রিং সহ আরো কিছু সাংবাদিক যারা পাকিস্তানের নির্দেশ অমান্য করে দেশের ভিতর লুকিয়ে থেকে সারা বিশ্বে জানিয়ে দেয় কি হচ্ছে এই বাংলাদেশে। যাই হোক এই পোস্ট দেয়ার উদ্দেশ্য কি একটু পরিষ্কার করলে ভাল হত।

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

খোমেনী বলেছেন: যুদ্ধাপরাধ বিচার কি শুধু পরাজিতরাই করে জয়ীরা করে না। তাদেরও বিচার করা উচিত। মানুষ হত্যার বিচার। আর যারা আমাকে পাকি ভাবছেন তারা ভুল করছেন। বই পত্র পড়ে যা বুঝছি তাই লিখছি। কারো অসুবিধা থাকতেই পারে সেটা নিজের কাছে রাখুন।

আর একটা বিষয় নাৎসি বাহিনীর উত্থানের পূর্বেও অনেক হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়েছিল জার্মানে। ঠিক তেমনটি চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে আক্রমন করতো। তারা অন্যের অবস্থান সহ্য করতে পারতো না। ৭১ এর প্রেক্ষাপটে তারা অনেক দলের সমাবেশে সশস্ত্র আক্রমন চালায় তার ঐতিহাসিক নিদর্শন এখনও রয়েছে।

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

খোমেনী বলেছেন: একটা বইয়ের লিংক দিয়েছি ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারেন।

১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

বাঙলি বলেছেন: সাবাস, আপনার রাজাকারিত্বের যথার্থ প্রমাণই দিয়েছেন--- না হলে কি রেফারেন্স হিসেবে পাকিস্তান সরকারের শ্বেতপত্রের কথা উল্লেখ করেন?????????

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

খোমেনী বলেছেন: ৩০ লক্ষের মধ্যে বিহারীরাও আছে। তারাও কি শহীদ :)

১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন:
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তান সরকারের নৃসংশতাকে জাষ্টিফাই করার জন্য একটি ভুয়া শ্বেত পত্র তৈরি করেছিল।

কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পাকি সরকার পুর্ন তদন্তের জন্য হামিদুররহমান কমিশন গঠন করে। বিচারপতি হামিদুর রহমান কমিশন তদন্তে এই কথিত শ্বেতপত্রকে ভুয়া আখ্যায়িত করেছিল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

খোমেনী বলেছেন: শ্বেতপত্রটি তৈরি হয় ৫ই আগষ্ট ১৯৭১ ঘটনার কিঞ্চিত সত্যতা তো ছিলই।

১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আগে আপনি একটা ব্যাপার ক্লিয়ার করুন তো ভাই, আপনি কি বাংলাদেশী হিসাবে পোস্টটা দিলেন না পাকিস্তানি হিসাবে?

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বাংলাদেশের জন্য বীর কিন্তু পাকিস্তানের জন্য বিশ্বাসঘাতক। আপনি কোনটা মনে করেন?

ধরে নিলাম আপনি যা বলেছেন তা সবই ঠিক, কিন্তু তারা কেন এগুলো করেছে তা কি আপনি ব্যাখ্যা করেছেন? ঐ সময় মুক্তিযোদ্ধারা যা করেছে নিজের দেশকে বাচানোর জন্য করেছে। হ্যা সবাই যে সমান হবে তা তো আর নয়। অনেক পাকিস্তানি ঐ সময় বাংলাদেশীদেরকে সাহায্য করেছিল। তার মানে এই নয় সব পাকিস্তানিকে আমি ভাল বলব।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

খোমেনী বলেছেন: আমি পাকিস্তানী ও আওয়ামীলীগকে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ মনে করি এবং তাদের আচরনে ব্যাপক মিল রয়েছে। মৌলিক বিষয়টা হল উভয় পক্ষই ছিল সেকুলার। যদিও তারা নিজেদের মুসলিমই দাবী করত।

১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

খোমেনী বলেছেন: তাদের অপরাধ কি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না অর্থাৎ বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না। যদিও এদের অনেকেই পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসনের জন্য শেখ মুজিবের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল। তারা স্থানীয় বাংলা ভাষায় কথা বলতো না। সর্বপরি এইসব অস্থানীয়দের শিলপ কলকারখানা ও তাদের কঠোর পরিশ্রম তাদের তুলনামুলকভাবে অনেকখানি উন্নত জীবন যাপনে সহায়ক ছিল যা বাঙ্গালীরা হিংসার চোখে দেখেছিল। অথচ এইসব প্রতষ্ঠিত ব্যবসা ও কলকারখানায় স্থানীয় বাঙ্গালীরাও কাজ করে তাদরে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছিল। অথচ ১৯৪৭ সাল পূর্ব স্থানীয় বাঙ্গালী মুসলমানদের আর্থিক অবস্থা কিরুপ ছিল নিজেরা কখনই চিন্তা করে নি। আবার তারা পূর্ব পাকিস্তানের নতুন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড থেকে যেভাবে লাভবান হচ্ছিল তাতেও তারা পূর্ব পাকিস্তানের নতুন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড থেকে যেভাবে লাভবান হচ্ছিল তাতেও তারা খুশি ছিল না। তারা প্রকৃতপক্ষে পরশ্রিকাতর হয়ে পড়েছিল।

এটাই সত্য ইতিহাস।

তারপরও যেভাবে মানুষ হত্যা করা হয়েছে এটা কোন ধর্মে ছিল সেটা জানা নাই। ঠিক তেমনটি ভাবেই পাকিস্তানীরা আমাদের উপর হামলা করেছিল। আমরা একিধারে প্রতিবেশী হারিয়েছি আবার আত্মীয় হারিয়েছি। শুধু কারো বর্বরতা শুরুর কারনে।

১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বর্বরতটা শুরু করেছিল কে ভাই?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

খোমেনী বলেছেন: আপনি যদি মনে করেন ভাষা আন্দোলনে তারা আমদের দু চারজন ভাইকে গুলি করে আমাদের গোটা জাতিকে গুলি করেছে। তাহলে বর্তমান প্রেক্ষাপট দেখুন। পাকিস্তানীদের আমরা খারাপ চোখে দেখাটাকে একটা ফ্যাসান মনে করি। কিন্তু তাদের দিকে তাকান আর আমাদের ৪২ বছরের ইতিহাস দেখেন। কি অর্জন করেছি আমরা। তারা একটা দেশের মধ্যে জনগন প্লাস ভারতের হিন্দু দাদাদের সামলাচ্ছিল। কিভাবে কি সম্ভব। আর তারা তো চেষ্টা করেছিল এ অঞ্চলে উন্নয়নের। আমরা বাংগালীরা কাজে কর্মে তাদের থেকে দক্ষ ছিলাম না কুড়িয়া ছিলাম এজন্য হিংসা করতাম। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে হিন্দু দাদারা আমাদের সেই স্বীয় দাঙ্গা প্রথা এখানে প্রয়োগ করেছিল। আমরা শুধুই ব্যবহার হয়ে এসেছি এবং ব্যবহার হয়েই যাচ্ছি।

১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪

S. M. Sabbih Hossain বলেছেন: এই যে শোনেন, কিছু মনে করবেন না। আপনার জন্ম নিয়ে আমার একটু doubt হচ্ছে। কেন? আমার নিজের নানু বাড়ি শান্তাহার, আমার বাড়ি নওগাঁ। কোথায় পেয়েছেন, জানিনা, যা লিখেছেন তার একটা অক্ষরও সত্য না। ধরে নিলাম, পড়া শুনা করে পেয়েছেন। একটু যাচাই করে নিতে পারতেন। উচিৎও তো তাই, ঠিক না। ২য় বাক্যটা use করলাম রাগ এর কারণে।

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

খোমেনী বলেছেন: আমার বাসাও আপনাদের ওইদিকে। আমি ইতিহাসের ছাত্র কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা যাচাই করে দেখেছি আমি সঠিক সম্ভবত। সৈয়দপুর পার্বতীপুর নীলফামারী রংপুর এলাকা চেনা আছে নিশ্চই।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৭

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: "লেখক বলেছেন: আপনি যদি মনে করেন ভাষা আন্দোলনে তারা আমদের দু চারজন ভাইকে গুলি করে আমাদের গোটা জাতিকে গুলি করেছে।"

না ভাই আমি মনে করি না ভাষা আন্দোলনে তারা আমদের দু চারজন ভাইকে গুলি করে আমাদের গোটা জাতিকে গুলি করেছে, বরং আমি মনে করি তারা গুলি করে বুঝায় দিয়েছে তারা কত নিচ। তারা জোর করে তাদের ভাষা আমাদের উপর চাপায় দিতে চেয়েছিল। ভাষা আন্দোলন না হলে আপনি এখন এই ব্লগে লিখতে পারতেন না।

"লেখক বলেছেন: পাকিস্তানীদের আমরা খারাপ চোখে দেখাটাকে একটা ফ্যাসান মনে করি। কিন্তু তাদের দিকে তাকান আর আমাদের ৪২ বছরের ইতিহাস দেখেন। কি অর্জন করেছি আমরা। "

হ্যা আমি ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তানীদের খারাপ চোখে দেখিনা, আমার অনেক পাকিস্তানী বন্ধু আছে। কিন্তু যদি অর্জনের কথা বলেন তাহলে বলব আপনি একটা গাধা। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে। সামাজিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ এগিয়ে; এটা আমার কথা না, আমার পাকিস্তানী বন্ধুরা বলেছে। তারা দেশে থাকার চেয়ে দেশের বাইরে থাকা বেশী পছন্দ করে। জাতিগত দ্বন্ধ বাংলাদেশের নেই বললেই চলে।

"লেখক বলেছেন:আর তারা তো চেষ্টা করেছিল এ অঞ্চলে উন্নয়নের। আমরা বাংগালীরা কাজে কর্মে তাদের থেকে দক্ষ ছিলাম না কুড়িয়া ছিলাম এজন্য হিংসা করতাম। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে হিন্দু দাদারা আমাদের সেই স্বীয় দাঙ্গা প্রথা এখানে প্রয়োগ করেছিল।"

তারা এ অঞ্চলের উন্নয়নের চেষ্টা করেছিল!!!! বুঝা যাচ্ছে আপনি বাংলাদেশের ইতিহাস একদমই পড়েননি। তারা যদি এই অঞ্চলের উন্নয়ন করত তাহলে আর মুক্তিযুদ্ধ হত না। আর আমরা যু্দ্ধ করেছিলাম নিজেদের জন্য, হিন্দু দাদাদের কারনে না। আগে নিজের দেশের ইতিহাস জানেন ভাল করে তারপর অন্যদেশেরটা। যদিও আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে আপনার দেশ কোনটা তা নিয়ে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

খোমেনী বলেছেন: ভাই আপনারও কিছু ইতিহাস মনে রাখা দরকার -হিন্ডস দিলাম শুধু

১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের অনুরোধে ক্ষমতা গ্রহণ করার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ইয়াহিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তার প্রথম কাজ হবে জান মাল ও সম্পদ রক্ষা করা, সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং প্রশাসনকে তার স্বাভাবিক কাজ কর্মে ফিরে আসতে দেখা। তার প্রধান লক্ষ্য ছিল নিয়মতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করার জন্য একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা। রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা বন্ধ হয়নি, কিন্তু প্রকাশ্য মিছিল, জনসমাবেশ অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ছিল আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে।

সেই বছরের জুলাই মাসে বেতার ভাষণেই তিনি জাতীয় পর্যায়ে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং জাতীয় কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ এর ব্যাপারে পূর্ব পাকিস্তানীদের সম্পূর্ণরূপে অংশগ্রহণ না করতে পারায় যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল তা যুক্তিসঙ্গত ছিল বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, তিনি এই ভারসাম্য রক্ষা করতে কয়েকটি সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন (এর পর পরই পূর্ব পাকিস্তান থেকে বেশ কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় সরকাররের সচিব এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল), এবং এছাড়া তিনি চীপ অব স্টাফ অব আর্মিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানীদের দ্বিগুণ নিয়োগ দেওয়া হয়; আর খুব শীঘ্র এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল যাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানীরা আরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।

১৯৬৯ সালের গ্রীষ্ম ও শরৎকাল ব্যাপী প্রেসিডেন্ট অন্যান্য দলের রাজনীতিক নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছিলেন যাতে কিভাবে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ভালভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায় এবং সে ব্যাপারে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

তাছাড়া পশ্চিম পাকিস্তানকে বিভক্তি করে আগের মূল প্রদেশ গুলোতে নিয়ে যাওয়া যাবে কিনা যেমন পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচ, এনডব্লিউএফপি), জনসংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় না এনে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মাঝে বরং কৃত্তিম সমমর্যাদার স্থানে দেশব্যাপী প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ভোট প্রদান করার ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন দেওয়া যায় কিনা এবং কেন্দ্র ও প্রদেশের মাঝে সম্পর্কটা কি ধরনের হবে।

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: ভাই কোন দৃষ্টিতে পাকিস্তান আমাদের দিক থেকে এগিয়ে একটু বলবেন!!!!
একটা জায়গা দেখান যেখানে তারা আমাদের থেকে এগিয়ে। ইউএসএ প্রতি বছর ২০০ বিলিয়ন ডলার ধার না দিলে পাকিস্তানিরা এদেশে এসে ভিক্ষা করত।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

খোমেনী বলেছেন: তারা পারমানবিক শক্তিধর দেশ।

১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সাবাস ভাই। আপনার পাকস্তানী প্রেম দেখে আমি মুগ্ধ। আমার মনে হয় খোদ পাকিস্তানীরাও আপনার মত পাকস্তানীপ্রেমী না। আপনাকে এখন একটা কথায় বলার আছে পাকিস্তান কি রকম এগিয়ে আছে তা একটু নিজে পাকিস্তানে ছয় মাস থেকে জেনে আসুন। যদিও আমার মনে হয় আপনি বাংলাদেশের থেকে পাকিস্তানে থাকতে সাচ্ছন্দ বোধ করবেন।

আমি ইতিহাস আপনার মত জানিনা তো, যদি একটু রেফারেন্স দিতেন তবে আমার ইতিহাস জ্ঞান বৃদ্ধি পেত। রেফারেন্সটা পাকিস্তানী বাদে অন্যকারো হলে ভালো হয়।

২০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাই কি পাকিস্তানি নাকি ??

ঐটা একটা নোংরা গৃহ যুদ্ধো ছিল, এই গুলা যদি হয়েও থাকে অবিশ্বাস করবো না! আওয়ামিরা চির কালই নোংরা!! কিন্তু আপনারা পাকিস্তানিরা কিভাবে আমাদের মেরেছেন ভাবেন কি??? পাকিস্তানিদের অত্যাচারের তথ্য প্রকাশ করুন, সারা দেশ লাগবেনা, শুধু ঢাকারটাই দেন বা শুধু চত্তগ্রামের টাই দেন।।

এক মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক, এক বার তার হাতে ধরা পড়ে যাওয়া পাকিস্তানিদের কিভাবে কিভাবে হত্যা করেছেন, হত্যার পূর্বে তাদের টর্চার করেছেন তার বর্ননা দিয়েছিলেন, শুনলে শিহরিত হবেন, কিন্তু মজার ব্যাপার হল, কেন জানি তার বর্ননা আমাদের পুলকিত করেছিল...।

সুক্ষভাবে যদি হিসাব করেন, তাহলে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ঐ মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকের যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার হবার কথা, কিন্তু আপনি কি মনে করেন যে তাই হওয়া উচিৎ ??????

২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর আফতাব রুপম বলেছেন: সিকিম কিভাবে স্বাধীনতা হারালো সেই ইতিহাস পড়ুন এবং তার সাথে ভারতীয় কূটনীতি বিদদের অস্থিতিশীল বাংলাদেশে ঘন ঘন আসা যাওয়া দুটিকে মিলিয়ে নিন, তারপর আপনি বলুন বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে কি অপেক্ষা করছে ?
সিকিম কিভাবে স্বাধীনতা হারালোঃ
সিকিম ভারতের উত্তরাংশে অবস্থিত তিব্বতের পাশের একটি রাজ্য। রাজ্যটির স্বাধীন রাজাদের বলা হত চোগওয়াল। ভারতে বৃটিশ শাসন শুরুর পুর্বে সিকিম তার পার্শ্ববর্তী নেপাল আর ভুটানের সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। বৃটিশরা আসার পর তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নেপালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সিকিম। এসময় রাজা ছিলেন নামগয়াল। কিন্তু বৃটিশরা তিব্বতে যাওয়ার জন্য এক সময় সিকিম দখল করে নেয় এবং ১৮৮৮ সালে রাজা নামগয়াল আলোচনার জন্য কলকাতা গেলে তাঁকে বন্দী করা হয়।পরবর্তী সময়ে ১৮৯২ সালে তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং সিকিমের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়া হয়। প্রিন্স চার্লস ১৯০৫ সালে ভারত সফরে আসলে সিকিমের চোগওয়ালকে রাজার সম্মান দেয়া হয়। চোগওয়ালপুত্র সিডকং টুলকুকে অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করতে পাঠানো হয়।
টুলকু নামগয়াল মতায় বসে সিকিমের ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন। বৃটিশের কাছে সিকিম তার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা লাভ করে। পরবর্তী চোগওয়াল (রাজা) থাসী নামগয়ালের সময়ে বৃটিশরা ভারত ছেড়ে গেলে গণভোটে সিকিমের মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রায় দেয় এবং ভারতের পন্ডিত নেহরু সিকিমকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হন। ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর সিকিমের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ১৯৬৩ সালে থাসী নামগয়াল এবং ১৯৬৪ সালে নেহরু মারা গেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চোগওয়াল হন পাল্ডেন থন্ডুপ নামগয়াল। এ সময় ভারতের প্রধানমস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সর্বশক্তি নিয়োগ করেন সিকিমকে দখল করার জন্য। তিনি কাজে লাগান সিকিমের প্রধানমন্ত্রী কাজী লেন্দুপ দর্জিকে। ১৯৭০ সালে নেহেরু প্রভাবিত সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসকে লেন্দুপ দর্জি ব্যবহার করে অরাজকতা সৃষ্টি করেন। রাজপ্রাসাদের সামনে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে ইন্দিরা সরকার রাজার নিরাপত্তার কথা বলে ভারতীয় বাহিনী পাঠায়। কিন্তু তারা রাজাকে গৃহবন্দী করেন। বহির্বিশ্বের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং বিএস দাশকে ভারত সরকার সিকিমের প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করে। এই সময় আমেরিকান এক পর্বতারোহী গোপনে সিকিম প্রবেশ করেন এবং সিকিমের স্বাধীনতা হরণের খবর বিশ্বের নিকট তুলে ধরেন। কিন্তু ততণে অনেক দেরী হয়ে যায়। সিকিম জাতিসংঘের সদস্য পদভুক্তিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর মধ্যে ভারতের তাঁবেদার লেনদুপ দর্জির নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে জিতে ২৭ মার্চ ১৯৭৫ প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রী লেনদুপ দর্জি রাজতন্ত্র বিলোপ ও জনমত যাচাইয়ে গণভোটের সিদ্ধান্ত নেন। ততদিনে সিকিমে ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে। তারা বন্দুকের মুখে ভোটারদের ‘হ্যাঁ' ভোট দিতে বাধ্য করে। পুরো ঘটনা ছিল সাজানো। ৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সালের সকালে সিকিমের রাজা যখন নাস্তা করতে ব্যস্ত সে সময় ভারতীয় সৈন্যরা রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে এবং রাজাকে বন্দী করে প্রাসাদ দখল করে নেয়। তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ভারতের প্রদেশে পরিণত করে।সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো সিকিম সেনাবাহিনীকে সহায়তা ও প্রশিণ দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সাংবাদিক সুধীর শর্মা ‘পেইন অব লুজিং এ নেশন' (একটি জাতির হারিয়ে যাওয়ার বেদনা) নামে একটি প্রতিবেদনে জানান, ভারত তার স্বাধীনতার গোড়া থেকেই সিকিম দখলের পরিকল্পনা করেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহের লাল নেহেরু অনেকের সাথে কথোপকথনে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র'-এর সাবেক পরিচালক অশোক রায়না তার বই ‘ইনসাইড স্টোরী অব ইন্ডিয়াস সিক্রেট সার্ভিস'-এ সিকিম সম্পর্কে লিখেন, ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৯৭১ সালেই সিকিম দখল করে নেয়া হবে। সে ল্েয সিকিমে প্রয়োজনীয় অবস্থা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন, হত্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তারা ছোট ছোট ইস্যুকে বড় করার চেষ্টা করে এবং সফল হয়। তার মধ্যে হিন্দু-নেপালী ইস্যু অন্যতম। সাংবাদিক সুধীর শর্মা লিখেন, লেনদুপ দর্জি নিজেই শর্মাকে বলেছেন, ‘ভারতের ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর লোকেরা বছরে দু'তিনবার তার সাথে দেখা করে পরামর্শ দিত কিভাবে আন্দোলন পরিচালনা করা যাবে। তাদের একজন এজেন্ট তেজপাল সেন ব্যক্তিগতভাবে তাকে অর্থ দিয়ে যেতো এ আন্দোলন পরিচালনার জন্য। এ অর্থ দিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস পরিচালিত হতো।'শর্মা আরো লিখেছেন, এই ‘সিকিম মিশনের' প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, যা সর্বত্র ‘র' নামে পরিচিত। ক্যাপ্টেন ইয়াংজু লিখেছেন, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক পোশাকে রাজার বিরুদ্ধে গ্যাংটকের রাস্তায় মিছিল, আন্দোলন ও সন্ত্রাস করত। নেহেরুর পরামর্শ, মদদ ও উৎসাহে সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন লেনদুপ দর্জি। শ্লোগান তুলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, চলবে'। লেনদুপ দর্জির গণতন্ত্রের শ্লোগান শুনে সিকিমের সাধারণ জনগণ ভাবতেই পারেনি, এই শ্লোগানের পিছনে প্রতিবেশী দেশ একটি জাতির স্বাধীনতা হরণ করতে আসছে। সিকিমের জনগণকে দ্বিধাবিভক্ত করে ভারত তার আগ্রাসন সফল করতে এবং এক পকে মতায় এনে তাদের দ্বারা দেশ বিক্রির প্রস্তাব তুলে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিল। সিকিমের মত ঘটনার অবতারণা বাংলাদেশেও যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে দলমতনির্বিশেষে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। কারণবাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রতিরা ভারত দিনের পর দিন জোরদার করে চলেছে। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে চলেছে। এই কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত সীমান্ত আউট পোস্টগুলোর (বিওপি) একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার থেকে হ্রাস করে ৪/৫ কিলোমিটারে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং এগুলোতে বিএসএফ-এর শক্তি দ্বিগুণ করা হচ্ছে। বিএসএফ এই সীমান্তে থারমাল নাইটভিশন ডিভাইস, টেলিস্কোপিক বন্দুকসহ উচ্চমানের হাতিয়ার মোতায়েন রেখেছে। এই সঙ্গে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার এলাকাকে কাঁটাতারের বেড়াসহ ফাড লাইটের আওতায় আনার এবং প্রশিতি কুকুর মোতায়েন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের ২৭৭ কিলোমিটার এলাকা ফাড লাইটের আওতায় আনার কাজ দু'বছর আগেই সম্পন্ন হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৯৯ সালের কারগিল কনফিক্টের পর থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিরা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত- প্রতিরা শক্তিশালী করার এই উদ্যোগ নেয়া হয়।ভারত তার বাংলাদেশ সীমান্তে প্রথম পর্যায়ে ৮৫৪ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণ করে এবং একই সঙ্গে পাকা সড়ক নির্মাণ করে ২ হাজার ৬শ' ৬ কিলোমিটারের বেশী এলাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ২ হাজার ৪শ' ৩০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণ, ৭শ' ৯৭ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৪ কি.মি সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে । প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম সীমান্তে বেড়া ও সড়ক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। ২০০৬ সাল নাগাদ ভারত মোট ২ হাজার ৫শ' ৩৬ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া এবং ৩ হাজার ২শ' ৫১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করেছে বলে ভারতীয় একটি সূত্রে জানা গেছে।যদিও ১৯৭৪ সালের ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোন প্রতিরা কাঠামো নির্মাণ করা নিষিদ্ধ, তবুও ভারত তা করে চলেছে। বলাবাহুল্য, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও সড়ক তৈরী প্রতিরা কাজের মধ্যেই পড়ে । ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত দু'দেশের বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হলেও তা কোন ফল দেয়নি। ভারতের বর্তমান প্রস্তুতি অনুযায়ী সীমান্ত সড়ক দিয়ে অনায়াসে সমর যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এরফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিরা ব্যবস্থাও জোরদার করতে পারবে। ভারতের বর্ডার আউট পোস্ট-বিওপি'র সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অন্তত তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এগুলোতে মোতায়েন জওয়ানের সংখ্যাও সে তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।একারণেই বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে ‘সিকিমফোবিয়া' কাজ করছে প্রবলভাবে। ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশও সিকিমের পরিণতি বরণ করে কিনা। আর সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টিতে এজেন্ট তৈরীর নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে । বড় দেশ হিসেবে ভারতের অন্যতম কৌশল হলো, ছোট দেশের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক পর্যায়ের প্রভাব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিবর্গের মগজগুলো কিনে নেয়া। ভারত যদি বাংলাদেশকে স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেখতে চায় তবে মাথা কেনার কৌশল বাদ দিতে হবে। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারেও ভারতের কাছ থেকে ব্যাখ্যা-বক্তব্য আসা উচিত- যাতে বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হতে পারে । তাছাড়া নতুন বাঙালী প্রজন্মকে সিকিমের করুণ পরিণতির ইতিহাস জানাতে হবে। ইতিহাস বলে,ভারত সিকিমে এ কৌশলে চেষ্টা করে সফল হয়েছে। এখানেও সেই চেষ্টা করছে বলে অনেকেই সন্দেহ করেন। এসব কাজ অব্যাহত থাকলে সেটা হবে অবন্ধুসুলভ। মূলতঃ সিকিমের ইতিহাস হলো ভারতের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার সবচেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
লিখেছেনঃ মুহম্মদ আলতাফ হোসেন,
এখন পড়ুন , অস্থিতিশীল বাংলাদেশে আসছেন সুজাতাঃ
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং আগামী ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সুসম্পর্ক থাকায় দেশটির একের পর এক শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তাদের সফরকে স্বাভাবিক মনে হলেও কূটনৈতিক মহলে সুজাতার আসন্ন সফর নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু কেন? কী এমন রহস্য রয়েছে এর পেছনে?

সুজাতা সিং-এর জন্ম ১৯৫৪ সালে। তার পিতা হচ্ছেন টিভি রাজেস্বর। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে এই টিভি রাজেস্বর ছিলেন ভারতের অভ্যন্তরীণ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান বা ডাইরেক্টর। কংগ্রেসের খুব কাছের লোক ছিলেন তিনি।

রাজেস্বরের সুনামের মূল কারণ ছিল অপারেশন সিকিমের একজন মূল রুপকার হিসেবে। তিনি ১৯৬২-৬৭ সালে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে স্পেশাল ডিউটি পালন করতেন। ১৯৭৫ এ সিকিম ভারতের অংশ হয়। কিন্তু এর বীজ বপন হয় ১৯৬৩ সালেই যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই রাজেস্বর।

তথ্যমতে, সিকিমের রাজা নামগয়াল ১৯৬৩ সালে হোপ কুক নামে এক 'র'এর এজেন্ট মার্কিনী নারীকে বিয়ে করেন। রাজা নামগয়ালের পরবর্তী অজনপ্রিয়তার অন্যতম মূল কারণ ছিল এই হোপ কুক যিনি পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে সুযোগবুঝে তালাকও দেন রাজা নামগয়ালকে। এই কূটচালের মুল হোতা ছিল সুজাতা সিংয়ের পিতা রাজেস্বর।

এর প্রতিদানে ভারত সরকার ১৯৮৫-৮৯ সালে সিকিম এর গভর্নর করেন রাজেস্বরকে। পরবর্তীতে তাকে পশ্চিম বঙ্গের গভর্নরও করা হয় ১৯৮৯-৯০ তে এবং সেসময়ই কলকাতা রায়টের বীজ বপন হয়,যা ৯২ তে কার্যকর করা হয়। ২০১২ সালে পদ্মবিভূষণ পদক পায় এই ঝানু এজেন্ট। সুজাতা সিংয়ের বাবার কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস হচ্ছে এটি।

এবার আসা যাক সুজাতা সিং প্রসঙ্গে। সুজাতা ১৯৭৬ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয়। তখন তার বাবা ছিল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো-এর জয়েন্ট ডাইরেক্টর। তাছাড়া মাত্র আগের বছরেই সিকিম অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ায় সুজাতা পান ফরেন অফিসে চাকরি।

ইউরোপ,আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ফরেন অফিসে কাজ করার পাশাপাশি 'র'এর সেলগুলার সাথে ভালো লিয়াঁজো রাখেন সুজাতা। সুজাতার স্বামী সঞ্জয় সিংহও ফরেন অফিসের সাবেক আমলা।

সুজাতার সবচেয়ে বড় অর্জন ধরা হয় অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন ইউরেনিয়াম চুক্তি। কিন্তু সেই চুক্তি অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর আর কোনো দেশের সাথে না করলেও কেন বাধ্য হয়েছিল ভারতের সাথে এই চুক্তি করতে? সেটাও ছিল 'র'এরই মাস্টারপ্ল্যান।

'র'এর এজেন্টরাই ২০০৭-০৯ এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে ভারতীয়দের প্রতি অস্ট্রেলিয়দের ক্ষেপীয়ে তোলে, যার ফলে বোকা অস্ট্রেলিয়রা তাদের পাতা ফাঁদে ধরা দেয় এবং কয়েক জায়গায় ভারতীয়দের হত্যাও করে। সেই সুযোগে সুজাতার নেতৃত্বে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে ' ব্ল্যাকমেইল' করে বাগিয়ে নেয় ইউরেনিয়াম চুক্তি।

বাবা-মেয়ের দীর্ঘ কর্মজীবনে নিজ দেশের স্বার্থে এভাবেই তারা দক্ষতার সাথে অনেক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন।

সুজাতার এই ক্রান্তিকালীন সময়ে বাংলাদেশে আসার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা অন্য যাদের সাথে তিনি বৈঠক করবেন তাদের কী 'পরামর্শ' দিবেন,তা নিয়ে বোদ্দা মহলের অনেকেই বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিরতার এই সময়ে অনেকেই স্থিরভাবে কাজ করতে পারেন না এবং প্রভাবশালী বিদেশীদের পরামর্শ খুব সহজেই গ্রহণ করে বসেন।
ফেস বুক থেকে ।

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

নূর আফতাব রুপম বলেছেন: উপরের লিখাটা আমি ব্লক হয়ে থাকায় পোস্ট করতে না পেরে আপনার কমেন্টে লিখেছি, কিছু মনে করবেন না । :#>

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০১

খোমেনী বলেছেন: ইটস ওকে নুর আফতাব

২৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

abdullah al masud বলেছেন: ভাল লিখেছেন । ভাই কিছু লোক আছে এরা ভারতের দালাল । পাকিস্তানিরা আমাদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এটা কখনো সমর্থনযোগ্য নয় । কিন্ত একটা কথা মনে রাখা দরকার তারা হত্যাযজ্ঞ করেছে ভিনদেশী হিসেবে । আর আওয়ামীরা কি হিসেবে স্বাধীনতার পর থাকে আজ পর্যন্ত এভাবে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ? তাহলে কি আওয়ামিরা ভিনদেশী ভারতের দালাল নয় ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.