নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষু ডাক্তার

খোমেনী

স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই ......।

খোমেনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে দুটি বিষয় চুড়ান্ত ফয়সালা হওয়া খুবই দরকার

১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৫

টিপাইমুখ বাঁধ



সিলেটের জকিগঞ্জ হতে ১০০ কিলোমিটার উজানে ভারতের মনিপুর রাজ্যে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণ করছে ভারত। সুরমা-কুশিয়ারা ও মেঘনা নদীর পানি আসে এই পথে। এটি ৯৩০ মিটার দীর্ঘ ও ৯৬৯ মিটার উঁচু একটি বাঁধ। জানি না সেটি আবার ফারাক্কার মত পরীক্ষামুলক চালু হয়েছে কিনা। জানবো কিভাবে আমাদের মিডিয়া তো ব্যস্ত অন্য কাজে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি হবে আরেক ফারাক্কা বাঁধ। এ বাঁধ হলে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও নারায়ণগঞ্জ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গ্রীষ্মকালে ৯৪৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা মরুভূমির ন্যায় শুকনো থাকবে, বর্ষাকালে হঠাৎ পানি ছাড়লে ব্যাপক বন্যা হবে, প্রায় ৫ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ভূমিকম্পের আশঙ্কা বাড়বে, খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে এবং শতাধিক নদী মরে যাবে। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সর্বপ্রথম প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল বিতর্কিত একটি রাজনৈতিক দলের হাত ধরে। সিলেটে টিপাইমুখ অভিমুখে নৌমার্চ, ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় মহাসমাবেশ করে তারা। এরপর আওয়ামী লীগ ছাড়া সর্বমহল থেকে এ বাঁধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও সরকারের পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ‘আগে বাঁধ হোক, পরে দেখা যাবে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশে সফরে এলে তিনি আশ্বাস দেন বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু ভারত করবে না।



ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের সময়ও ভারত মারণবাঁধ ফারাক্কা পরীক্ষামূলকভাবে চালুর কথা বলেছিল। সেই পরীক্ষামূলক সময় এখনও শেষ হয়নি। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে গোটা উত্তরবঙ্গ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। টিপাইমুখ বাঁধের ক্ষেত্রে ভারতের আশ্বাস সেই রকম হবে না তা বিশ্বাস যোগ্য নয়।





দেশের স্বার্থবিরোধী ট্রানজিট



প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে ট্রানজিট সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে কোন চুক্তি সম্পাদন না হলেও ট্রানজিটের সকল সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিয়ে পণ্য পরিবহন ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে ভারত। এমনকি সরকারের নির্দেশনা না থাকায় এসব পণ্যবাহী জাহাজ ও ট্রাক থেকে কোন রাজস্বও আদায় এবং কোন আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিতও হচ্ছে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরেও ট্রানজিট বিষয়ে কোন চুক্তি সই হয়নি। এর আগে গত বছরের ১০ জানুয়ারিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে এ সংক্রান্ত কোনো চুক্তি করেছেন বলেও কোন ঘোষণা আসেনি। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য পরিবহন শুরু হওয়ায় জনমনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি ভারতের সাথে ট্রানজিট বিষয়ে গোপন কোন চুক্তির বদৌলতে কিংবা বিনা চুক্তিতেই ভারত তাদের পণ্য পরিবহন শুরু করেছে?



অতী সম্প্রতি কিছু কথা বার্তা শুনা যাচ্ছে। কলকাতা থেকে আগড়তলা ক্রস ট্রান্জিট দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশী অর্থায়নে নির্মিত অবকাঠামো সমেত।



বিশেষজ্ঞমহলের পক্ষ থেকে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের অনেক বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। বিশেষ করে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কার্যকর কোন উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি। কয়েকটি পণ্যের শুল্ক মওকুফের বিষয়টিকে অভিজ্ঞ মহল পূর্ব দুষ্টান্তের আলোকে শুভঙ্করের ফাঁকি বলে মনে করছেন। এ ছাড়া তিন বিঘা করিডোর, তিস্তাসহ পানিচুক্তি, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং সীমান্তের অনেক সমস্যার কোন সমাধানও হয়নি। এই অবস্থাতে চতুরতার সাথে ভারতকে করিডোরের নামে ট্রানজিট দেয়াটা সরকারের কূটনৈতিক কৌশলের কতটা সফলতা তা নিয়ে এখন ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।



সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে তিন বিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই ঘোষণা অনেকটা প্রতারণা আর সত্যকে গোপন করার মতো লুকোচুরি বলে অভিহিত করেছেন অনেকেই। কেননা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের ইন্ধিরা-মুজিব চুক্তির আলোকেই বাংলাদেশ সীমান্তের এই তিনবিঘা করিডোর পাওয়ার দাবিদার। যে চুক্তির আলোকে বাংলাদেশ সরকার সংসদে বিল পাস করিয়ে নিয়ে নিজস্ব ভূখণ্ড বেরুবাড়ি ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হলো অথচ সেই একই চুক্তির আলোকে ভারত দীর্ঘ ৩৮ বছর পরেও কেন তিন বিঘা করিডোর বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করছে না। অথচ এই প্রশ্নটিকে একেবারেই চেপে রাখা হয়েছে। এখন সত্যকে আড়াল করে প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বাংলাদেশীদের প্রবেশ করতেই ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের দাবি জানানোর কথা ছিল এই তিন বিঘা আমাদের কাছে হস্তান্তর করার, কিন্তু এখানে সরকার অত্যন্ত দুর্বল নীতির পরিচয় দিয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন ২৪ ঘণ্টা খোলা পাওয়ার অতি আনন্দে আমরা কী আমাদের ন্যায্য দাবি থেকেই সরে দাঁড়ালাম !



আসলে পররাষ্ট্রনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, কোন এক অদৃশ্য টানে বর্তমান সরকার ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে কোন ভূমিকাই পালন করতে পারছে না কোন অদৃশ্য গোলামীর ঘোরটোপে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:০৬

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: এগুলি আবার কোন সমস্যা নাকি? শোনেন নাই দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে, অপেক্ষায় থাকুন! ;)

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

হতাশ নািবক বলেছেন: সতিই এগুলো সমস্যা না,
সমস্যা হল এগুলোর বাস্তবায়ন কিভাবে হবে,
আর যারা বাস্তবায়ন করবে তাদের মানসিকতায়।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

আমিনুর রহমান বলেছেন:




ট্রানজিটের রিপোর্টটি কি দৈনিক সংগ্রামের রিপোর্ট ছিলো ?

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৯

খোমেনী বলেছেন: তা তো জানি না তবে সেটি পড়েছিলাম হয়তো-

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.