![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। চেষ্টা করি অন্যের উপকার করতে সম্ভব নাহলে লক্ষ্যরাখি যেন অন্তত ক্ষতি না হয়।
০১
আমরা- সকল দেশের শিশু যাব
নবীর মদিনায়!
তোরা- সঙ্গে যাবি আয়।।
আমার- নবীর মদীনাতে
খোদার রহম দিনে রাতে,
সবাই সেথা ভালবেসে
ভালবাসা পায়।।
সেথা নবীর পথে চলে সবাই
পায় যে দ্বিনের আলো,
নবীর মুহব্বতে ডুবে
সবাই বাসে ভালো।।
সেথা- রহমতে আলম
সেথা সৃষ্টি নিরুপম
সেথা ইনসানিয়াৎ পূর্ণ হলো
নবীর অছিলায়।।
০২
আরজু আমার শোন খোদা
আরজু আমার শোন খোদা
শোন অবিরত,
এই জীবনের মালা থেকে
আর একটি দিন পড়ল খ'সে
ঝরা ফুলের মত।।
সত্য পথে জিন্দেগী যার
মরণ পরায় সাত নারী হার
সফলতার দ্বারে,
জাহার ভুলের কালি নিয়ে
দিন গুলি মোর যায় হারিয়ে
রাতের অন্ধকারে,
পাইনা আমি পথের দিশা
কালো ছায়ায় বেড়াই ঘুরে যত।।
নাইতো হিসাব, নিকাশ যে পাই
তাইতো শুধু তোমায় জানাই
ওগো দয়াল প্রভু।
সকল পাপের গ্লানি থেকে
আলোর পথে নাওগো দেকে
তোমার দয়ায় রাখো ঘিরে তবু
সত্য পথের দাও ইশারা
পাপের ছায়ায় হই না যেন নত।।
০৩
নামলো খোদার রহমত-ই-গাস ধূলির ধরার কলে,
নতুন ঊষায়, ভোরের হাওয়ায় ইনসানিয়াৎ দোলে।।
নামলো খোদার পূন্য বিধান,
জাগলো অযুত লুন্ঠিত প্রান,
উঠলো জেগে নতুন আশা
প্রভাতী কল্লোলে।।
তৌহিদী সুর জ্বালিয়ে দিল মিথ্যা কলুষ যত,
সত্য- ন্যায়ের আশীষ ধরায় ঝরে অবিরত।।
মজলুমানের চোখে আবার
জাগলো আলো মুক্ত ঊষার,
জাগলো মিছিল মানবতার
মুক্তি কলরোলে।।
০৪
তুমি সুন্দর,- সুন্দরতম
আদর্শ নিখিলের,
হে রাসুলে খোদা! জুলমাতে পথ
দেখালে জান্নাতের।।
মিথ্যার কাছে মানুষ যখন
সপেঁছিল তার সারা তনু মন,
ভাঙ্গিলে তখন নিজ হাতে তুমি
মূর্তি অসত্যের।।
তোমার আলোকে মিলাল হে নবী,
অন্যায়, অবিচার।
তুমি দিলে চির বঞ্চিত জনে
মানুষের অধিকার।।
এ ধরণী তল চির ভুলে ভরা
পেল অপরূপ শান্তি পশরা
দিলে এনে যবে খোদার কালাম
সওগাত সত্যের।।
০৫
সকল তারিফ তোমার খোদা, তুমি যে পাকজাত।
মুহাম্মদের স্রষ্টা তুমি, এ তব সিফাত।।
চাঁদ, সিতারা হয়না শুমার,
তামাম আলম সৃষ্টি তোমার,
সৃষ্টি তুমি করেছ রব
তামাম মখলুকাত।।
বান্দা তোমার এই গুনাহগান আজকে পানাহ চায়,
কবুল কর মোদের দোয়া নবীর উসিলায়।।
তোমার কাছে আজ পানাহ চাই
দ্বীন- দুনিয়ায় কারো ভালাই,
আখেরাতে দিয়ো খোদা
অনন্ত জান্নাত।।
০৬
আজকে ওমর পন্থী পথির
দিকে দিকে প্রয়োজন
পিঠে বোঝা নিয়ে পাড়ি দেবে যারা
প্রান্তর প্রানপন।
উষর রাতের অনাবাদী মাঠে
ফলাবে ফসল যারা
দিগ দিগন্তে তাদেরে খুঁজিয়া
ফিরিছে সর্বহারা।।
যাদের হাতের দোররা অশনি
পড়ে জালিমের ঘাড়ে
যাদের লাথির ধমক পৌঁছে
অত্যাচারির হাড়ে
আগুনের চেয়ে নিষ্কলংক
উদ্ধত লেলিহান
যাদের বুকের পাঁজরে পাঁজরে
বহে দরদের বান।।
০৭
মাটির মানুষ মাঠের মানুষ
ঘাটের মানুষ আর
এই জামাতে সবার সাথে
সমান দাবীদার।।
লাঙ্গল নিয়ে মাঠে যারা
জিন্দেগানী কাটায় তারা
সুখের ফসল দিয়ে কেবল
পায় যে দুঃখ ভার।।
যারা পথের মজুর হয়ে
পরের বোঝা বেড়ায় বয়ে
হাজার ব্যথার আগুন সয়ে
পায়না খুঁজে পার।
ঘরের বাঁধন না মেনে হায়
ভাসায় তরী নীল দরিয়ায়
জোয়ার ভাটায় শেষ হয়ে যায়
যাদের সমাচার।
০৮
ও তুই- জ্বেহাদী মাঠ দ্যাখ মুজাহিদ
ঐ জেহাদের ডাক আসে!
মরণ নদীর তীরে অধির
জিন্দেগানীর বাঁক আসে।।
ধ্বসিয়ে দিয়ে আবরাহার
মিথ্যা জুলুম অত্যাচার
খোদার ফউজ আসে যেমন
আবাবিলের ঝাঁক আসে।।
ওরা- তাকায়না কেউ পিছন পানে
চলে কেবল সন্মুখে
সকল বিপদ বাধার পথে
ওরা যে ভাই যায় রুখে।
যত- অত্যাচারের ছিঁড়তে টুঁটি
ওরা- মানেনা কেউ ভয় ভ্রুকুটি,
লাখ মুজাহিদ হলে শহিদ
আবার যে ভাই লাখ আসে।।
০৯
জেহাদের এই ঝান্ডা আমরা
চিরদিন উঁচু রাখবো
চির মোজাহিদ, সৈনিক মোরা
অতন্দ্র নিশি জাগবো।।
সব সংকটে সকল সড়োকে,
ঘুর্নাবর্তে, বজ্র কড়োকে
প্রলয় তুফানে,- শহিদী রক্তে
মুক্তির ছবি আঁকবো।।
হোক দুশমন অগণন, তবু
দেখাবো মরণ সন্ধ্যা!
নীতিহীনতার মরু বিয়াবনে
স্বপ্ন তাদের বন্ধা।।
আমরা অযুত জেহাদী জোয়ান
আল্লাহ রাহে হব কোরবান,
আওত্য ন্যায়ের পথে চিরদিন
সব মানুষেরে ডাকবো।।
১০
শোন মুজাহিদ
শোন মুজাহিদ! শোন জেহাদের
ঝান্ডা যেন রয় উঁচা,
ও তোর- জান যায় যাক, দ্বীন ঈমানে
ঝান্ডা যেন রয় উঁচা।।
জানের বদল পাবিরে তুই
চিরকালের জান্নাত ভুঁই,
খোদার নামে কসম নে ফের
ঝান্ডা যেন রয় উঁচা।।
কি লাভ করে বে- ঈমানী
মিথ্যাকে চল আঘাত হানি,
শোন হুঁশিয়ার;-নবীর পথের
ঝান্ডা যেন রয় উঁচা।।
বে-ঈমানী করার কুফল
জিন্দেগানী হবে বিফল,
পাবি সুফল, দুই জাহানের
ঝান্ডা যেন রয় উঁচা।।
১১
বল বজ্র কঠোর স্বরে নারায়ে তাকবীর
বল- বজ্র কঠোর স্বরে আবার
নারায়ে তাকবীরঃ
পাও- সাচ্চা দ্বীনের জ্বেহাদে ফের
রৌশন তকদির।।
বল- ইবাদাতের যোগ্য যিনি
অংশীবিহীন আল্লাহ তিনি,
আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে
নোয়াইনা তো শির।।
বল- আমরা শুধু আল্লাহ পাকের
দরবারে হই নত,
গুঁড়িয়ে চলি বাতিল মতের
পন্থা অবিরত।।
মোরা- দ্বীন ঈমানে অচঞ্চল
সত্য পথের যাত্রিদল,
চলব পিষে মিথ্যা পাপের
জিন্দান, জিঞ্জির।।
১২
এই জ্বিহাদী জিন্দেগী ভাই
জ্বেহাদ করো ফের।
যারা- জ্বেহাদ দেখেযায় পিছিয়ে
যাত পথে পাপের।।
মিথ্যাবাদূ ভন্ড যে জন
জ্বেহাদ দেখে পালায় সে জন,
চিরন্তনী ভূমিকা যে
এ মুনাফিকের।।
খোদার প্রিয় বান্দা যারা
এই পথে ভাই এস তারা,
রাখো সুনাম, সন্মান
নবীর উম্মতের।।
সেই মালেকুল মুলক যিনি
পূর্ণ বিজয় দেবেন তিনি,
তাঁর অভয়ে নাই তো কারন
হতাশা ভয়ের।।
১৩
পবিত্র পাক গ্রন্থ খোদার,
যার মহিমার নাইতো ক্ষয়
মুত্তাকীদের দিশারী আর
পূর্ণ জ্ঞানের এ সঞ্চয়।
নাজিল হল পুণ্য কালাম
রমজানেরি কদর রাতে,
রোশনী যে তার ছড়িয়ে গেলো
সব আলমে বিশ্বময়।।
নাজিল হলে পাহাড়ে যা
পাহাড় যেতো দীর্ণ হয়ে
রাখলো তাকে নবির হৃদয়
সত্য জ্ঞানে অসংশয়।।
স্রষ্টার এ পরিচিতি
পুণ্য কালাম তৌহিদের
জ্বলন্ত এ সাক্ষ্য প্রমান
চিরন্তনী এ দুর্জয়।।
জ্ঞান বিজ্ঞান্ময় এ কোরান
কাটে আঁধার অজ্ঞতার,
সৃষ্টি লোকের রহস্য যা
বিলায় আলো সুনিশ্চয়।।
১৪
সব মানুষের হক আদায়ের দিলে গুরুভার,
এবার- দাওগো মদদ নিতে খোদা দায়িত্ব অপার।।
নিখিল বিশ্ব চালক তুমি,
স্রষ্টা, প্রতিপালক তুমি,
জগৎ ব্যাপি প্রভু তোমার বিচিত্র সংসার।।
রুজীর মালিক, বিপদ-ত্রাতা,
তুমি জীবন- বিধান দাতা,
সব মানুষে দিলে সমান বাঁচার অধিকার।।
সত্য, সুপথ দেখাও তুমি,
পাঠিয়ে নবী শেখাও তুমি,
কারো পরে কেউ না যেন করে অবিচার।।
যেন কন্ঠ কারো রুদ্ধ না হয়,
পায় বিচারের সমান অভয়
পায় সকলে সমান নীতি শাস্তি পুরস্কার।।
করতে পুরা ইনসানিয়াৎ
তোমার নবী দেখান যে পথ,
পূর্ণ মনুষ্যত্ব যে সেই সাম্য, সুবিচার।।
ত্যাগ ও ক্ষমা নজীর- বিহীন
তোমার রাসুল দিলেন সে দিন,
খিদ্মতেরি পন্থা মহান দিলেন সারওয়ার।।
মাতা পিতার হক আদায়ের,
করতে আদায় হক স্বজনের,
কঠিন তাকিদ দেন যে নবী করেন হুঁশিয়ার।।
অনাথ এতিম দুঃস্থ যারা
হিস্যা তাদের পায় সে তারা,
বজ্রকঠোর জাকাত আইন জানি যে তোমার।।
সাচ্চা মুমিন নয় কভু নয়
পড়শী যার ক্ষুধিত রয়,
ভুরি ভোজে ভরায় যে জন উদর আপনার।।
পূঁজিবাদীর লোভ, পিপাসা
অন্তবিহীন পূঁজীর আশা,
সব কারুনের দুয়ারে মৃত্যু সমাচার।।
দিকে দিকে ফরমান যায়
মজুর যেন মজুর পায়
ঘাম শুকানোর আগেই যে হয় পাওনা দাবী তার।।
বিস্মিত এ বিশ্ব জাহান,
দেখে তোমার পুণ্য বিধান
দুখীর বোঝা নিয়ে চলেন খলিফা আমার।।
বর্ণ বিরোধ ঘুঁচিয়ে দিয়ে,
দেশের সীমা মুছিয়ে দিয়ে,
তোমার দেওয়া দ্বীন করে সেই পক্ষ যে বিস্তর।।
শোষন, ত্রাসন, জুলুম যত
হয় অতীতের কুক্ষিগত,
হয়-অত্যাচারীর সাথে ধ্বংস সকল অত্যাচার।।
দ্বীনের মশালবাহী যারা
আজ দুনিয়ায় নামুক তারা,
আবার জাগুক ধরায় হক ইনসাফ সাম্য সুবিচার।।
১৫
তোমার বিপুল বিশ্বে প্রভু!-হে বিশ্ব পালক।
তুমি- সবার তরে দাও অধিকার, দাও সবারে হক।।
স্রষ্টা তোমার সৃষ্টিতে এই
অশেষ দয়ার অন্ত যে নেই,
প্রবঞ্ছনা করে শুধু
জালিম প্রতারক।।
খালেক তুমি দিয়েছ হক কুল মখলুকের,
দিয়েছ হক তুমি সকল পানীর ও প্রানের।।
তোমার বিপুল জগৎ সভায়
নামুক মুমিন তার ভূমিকায়,
যেন- ইনসাফ হক করতে কায়েম
না রয় পলাতক।।
১৬
প্রতিবেশী ও এতিম মিস্কিনের হক
(সুরা মাউনের ভাবানুসরনে)
ঐ ধর্মকে সে মিথ্যা বলে,
মিথ্যা জানে দ্বীন,
দ্বার থেকে যার বিতাড়িত
এতিম – পিতৃহীন।
দেয়না সে জন, চায়না কভু
দ্বারে যদি আসে তবু
পায় না ক্ষুধার আহার মুখে
দুঃখী ও মিসকিন।
দিতে “মাউন” মুক্ত মনে
প্রতিবেশী পরিজনে
নিষেধ জানায় সে মন্দ জন
চির ভাগ্যহীন।।
১৭
তোমার হক আদায় করার দাও খোদা তৌফিক
তোমার ইবাদাতের আমরা যেন কেউ না ভুলি দিক।।
দিলে তুমি দান যে অপার
হয়না তো যার সংখ্যা শুমার
তোমার- আলো, বাতাস, জগৎ জীবন অগণ্য রিজিক।।
ভ্রুনের মুখে আহার দিয়ে
অজ্ঞাতে প্রান দাও বাঁচিয়ে
অযাচিতে দাও সেরা দান দ্রষ্টা অনিমিখ।।
তুমি দেখার শক্তি দিলে
শ্রবন হৃদয়, ভক্তি দিলে
পূর্ণ করে দিলে ধরায় সত্তা মানবিক।।
দিলে নভে চাঁদ সিতারা,
সাত সাগরে স্রোতের ধারা,
তোমার সে দান পাই জীবনে কাজে প্রাত্যহিক।।
তোমার নবীর উম্মত যে
তোমার কাছে হিম্মৎ সে,
নির্ভুল সে কালেমাতে যাত্রি সাহসীক।।
১৮
চল মোমিন, চল আবার জুমার জামাতে,
রহমতেরি খুলবে দুয়ার জুমার জামাতে।।
ভুল করেছ বিপথগামী আঁধার সড়কে,
পাবে ঝলক নতুন আশার;- জুমার জামাতে।।
ভুল করেছ সঙ্গীহারা জুলুমাতেরি তীরে
আসবে আলো নতুন ঊষার;- জুমার জামাতে।।
যুগ জামানার জাহেলিয়াত পড়বে ধুলায় লুটে,
জাগবে হৃদয় নিখিল ধরার;-জুমার জামাতে।।
গাফেল তুমি রইবে কেন শক্তিবিহীন একা,
পাবে খুঁজে মদদ খোদার;- জুমার জামাতে।।
১৯
এল জুমার দিন যে ফিরে
এল জুমার দিন!
এ দিন আসে জাগিয়ে দিতে
সত্য পথের চিন।।
পাপে ভোগে যখন মানুষ,
পাপের নেশায় হারায় সে হুঁশ,
এ দিন ফিরে আসে তখন
শুভ অমলিন।।
সত্য, সঠিক অন্থা চিনে
মোমিন জাগে ফের এ দিনে,
খোদার প্রেমের ইবাদতে
হয় সে তখন লীন।।
পায় যে মোমিন পথ খুঁজে তার
দুই জাহানের সফলতার,
বিশ্বাসীদের জামাতে যার
চিত্ত সুরঙ্গিন।
২০
নও বেলালের কন্ঠে ভাসে জুমার আহবান,
ঐ আজানের শব্দে জাগে সকল মুসলমান।।
কূল মাখলুক পয়দা হল এ পাক দিনে ভাই,
সৃষ্টি হল তামাম আলম, দুনিয়া জাহান।।
এই দিনে রোজ কেয়ামত বিশ্ব হবে লয়,
হাশরে মাঠে এ দিনে ফের হবে যে উত্থান।।
তাইতো মোমিন নেয় বুঝে এই দিনের ফজিলৎ
জুমআ নামাজ পড়তে আবার চলে যে ইনসান।।
শক্তি, সাহস পায় সে খুঁজে জুমার জামাতে,
দুনিয়াতে করতে কায়েম খোদার সংবিধান।।
২১
এই- জুমার দিনে দুনিয়া জাহানে
মোমিন, জামাতে দাঁড়াও,
যত- অজ্ঞতা, পাপ, অক্ষমতা ও
দুর্বলতারে তাড়াও।।
নব উদ্যমে, নবীন আশাতে
পূর্ণ জামাতে এস এক সাথে,
এই জামাতের মহা শক্তিতে
সকল জড়তা নাড়াও।।
আত্নার বলে হ’ইয়ে বলীয়ান
চল দিকে দিকে বিশ্বাসী প্রান,
যত বাধা আর প্রতিবন্ধক
দু’পায়ে সকলি মাড়াও।।
তৌহিদী আলো বুকে নিয়ে আজ
তোল দিকে দিকে বুলন্দ আওয়াজ,
অগ্রগতির সকল সড়কে
নকীব, কদম বাড়াও।।
২২
নামাজ পড় জামাতে ভাই
কাটবে তোমার আঁধার রাত,
নতুন করে লেখা হবে
ভাগ্যলিপি এই বরাত।।
সঙ্গীবিহীন রাতের তারা
পাবে নিযুত আলোর ধারা,
পাবে খোদার রহমত আর
পাবে যে তাঁর মাগফিরাত।।
এই জামাতে কুঅতে ভাই
যাবে তোমার দুর্বলতা,
বিন্দু হবে সিন্ধু সমান
ভাসিয়ে দেবে সব জড়তা।।
ইনকিলাবী রূপ যে তোমার
ফুটবে চখে এই দুনিয়ার,
নতুন করে গড়বে ধরা
কুল মুমিনের এই জমাত।।
২৩
ওরে গাফিল করিসনে তুই
নামাজে আর শিথিলতা,
নবীর অনুগামী মনে
রাখিস নবীর শেষ বারতা।।
“নামাজে ঠিক রও হুঁশিয়ার”
বলেন রাসুল।– হাবীব খোদার,
বিদায় বেলায় দেন জানিয়ে
নূর নবী তাঁর এ শেষ কথা।।
হারাম নেশায় মত্ত থেকে
কি ফল পাবি পাপের পথে,
প্রথম, হিসাব এই নামাজের
হবে রে ভাই কেয়ামতে।
জাহান্নামে লাভ কিছু নাই,
রহমতেরি পন্থা নে ভাই,
পাবি খোদার করুনা আর
অন্তবিহীন প্রেম মমতা।।
২৪
জাগো, জাগো হে মুসাফির!
এই রবিউল আউয়ালে,
দীর্ণ হবে দুখের তিমির
এই রবিউল আউয়ালে।।
রাত্রি যাবে বিভীষিকার,
যাত্রি শোন দূর পথে
মুক্ত হবে কিরণ রবির
এই রবিউল আউয়ালে,
তাঁর আগমন হ’ল যিনি
রাহ্মাতুল্লিল আলামিন,
নেতা যিনি সকল নবীর;-
এই রবিউল আউয়ালে।।
জালিম যারা, শোষক যারা
মরণ বাণী আজ শোন,
দিন হ’ল শেষ জুলুম শাহীর
এই রবিউল আউয়ালে।।
ইনসাফ, হক, সাম্যবিধি
করতে কায়েম এক সাথে
আসলো জুতে আমীর ফকীর
এই রবিউল আউয়ালে।।
ইনসানিয়াৎ ওঠে জেগে,
জাহেলিয়াৎ যায় দূরে,
যুগ হ’ল শেষ খুন খারাবীর
এই রবিউল আউয়ালে।।
নতুন যুগের সূচনা এই,
জীর্ণ জ্বরা যায় ঝরে,
মুক্তি এল শিশুর, নারীর
এই রবিউল আউয়ালে।।
ধূলিতে আজ বেহেশত নামে,
নিখিল ধরায় আজ দেখি
মজলুমানের মিছিল খুশীর
এই রবিউল আউয়ালে।।
তামাম আলম, কুল মাখলুক
তাকায় নতুন আশ্বাসে
কা’বার পথে মত্ত অধীর
এই রবিউল আউয়ালে।।
ইনকিলাবের বার্তা এল
বিপর্যয়ের দিন শেষে,
তৌহিদী সুর কন্ঠে কবির
এই রবিউল আউয়ালে।।
২৫
তোমার ইন্তেজারিতে ছিল যে চেয়ে নিতি
জ্বিন, ইনসান, জমিন, পাহাড়, নভঃ ক্ষিতি,
এল যবে নবী কাটিল ধরার ভয় ভীতি
খোশ আমদেদ জানালো তোমাকে হে অতিথি।।
আসিলে খোদার খাস রহমত ধরাতলে,
জান্নাত ছেড়ে নামে ফেরেশতা দলে দলে,
জাগে খোশ্রোজে খুশির আওয়াজ প্রতি পলে
ফোতে মানুষের কন্ঠে আশার কলগীতি।।
সৌভাগ্যের খুলিল দুয়ার এতদিনে,
সত্য- ন্যায়ের পথ ইনসান নিল চিনে,’
ফিরদৌসের শান্তি সুষমা নিল জ্বিনে,
ভেসে গেল দূরে জাহেলিয়াতের সব রিতি।।
অবিশ্বাসের রাত্রি মিলালো বহু দূরে,
পেল মঞ্জিল কাফেলা ভোরের পথ ঘুরে,
জাগিল বিশ্বে আলোকের গান শত সুরে,’
নামিল ধরায় খাস রহমত, প্রেম প্রীতি।।
সত্যের যুগ, শান্তির যুগ এল শেষে,
মজলুমানের দুক্ষের রাত গেলো শেষে,
পূর্ণ জ্ঞানের সন্ধান ধ্যানী পেল শেষে,
দরূদ, সালাম পাঠায় সে আঁখি নীরে তিতি।।
২৬
মরুর হাওয়া জানায় এসে, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী”
কুল মখলুক বলে হেসে, “ঈদে মীলাদুন্নবী”।
গুলশানে ফুল ওঠে ফুটে খোশবু নিয়ে জান্নাতের
বুলবুলি গায় কানন ঘেঁষে “ঈদে মিলাদুন্নবী”।
বন্দী যারা জিন্দানে ভাই, জাগ্লো ভোরের গান গেয়ে
বার্তা গেলো সুদুর দেশে, “ঈদে মীলাদুন্নবী।।“
নওশেরোয়াঁর ভাংলো মহল নিভলো আগুন জ্বলন্ত
দেখলো রবি রাত্রি শেষে “ ঈদে মীলাদুন্নবী”।।
আজ কাফেলার কন্ঠে নতুন সুর ওঠে যে তৌহিদী,
প্রতীক্ষিত এল যে সে “ ঈদে মিলাদুন্নবী”।।
২৭
কুল আলমের রহমত,- যাঁর
প্রশস্তি গাহে কাল,
স্মৃতি নিয়ে তার আসিল আবার
রবিউল আউয়াল।।
সে দিনের কথা পড়ে আজ মনে
মহামানবের জাগরন ক্ষনে
মানবিকতার চিহ্ন ধরার
পথে যবে পয়মাল।।
সে দিন মানুষ নেমেছিল হায়
স্বার্থান্ধের নাম ভূমিকায়,
ঈমান- আমান সাম্য বিধান
ভুলে যেন পশু পাল।।
অন্ধ রাতের নিকষ আঁধারে
ছিল সে বন্দি তিমির পাথারে,
পেয়ে ছিল ঘোর সুপ্তির ডোর
জড়তার মায়া জাল।।
চির সত্যের পয়গাম দিতে
আসিলেন যবে নবী ধরণীতে
মিথ্যা পাপের মূল তিমিরের
কাঁপিল টালমাটাল।।
তৌহিদী আলো মানবিকতার
খুলে দিল সব নিরুদ্ধ দ্বার,
পাড়ি দিল তারা গিরি ও সাহারা
মমুদ্র উত্তাল।।
সকল মিথ্যা সঙ্কীর্ণতা
‘ল সে হারানো অতীতের কথা,
মানুষের তরে মুক্ত সাগরে
যাত্রি ধরিল হাল।।
২৮
জাগলে আঁধার রাতের ভালে নবী মোহাম্মদ।
হেরায় আলোয় পথ দেখালে নবী মুহাম্মদ।।
আল- কুরানের আনলে জ্যোতি নিবিড় তমসাতে,
তৌহিদের দীপ জ্বালালে নবী মুহাম্মদ।।
জ্বালিয়ে দিলে খোদার কালাম দিকে দিগন্তরে,
ঘুমন্তদের ঘুম ভাঙ্গালে নবী মুহাম্মদ।।
শেষ হল রাত মজলুমানের তোমার ইশারাতে,
নতুন আশায় মন রাঙ্গালে নবী মুহাম্মদ।।
ইন্সানিয়াৎ উঠলো জেগে তোমার চলা পথে,
মানব শিশুর প্রান বাঁচালে নবী মুহাম্মদ।।
২৯
আজ আমিনা মায়ের কোলে কে এল, কে এল
আসমান আর জমীন বলে, “সে এল, সে এল।।”
প্রতীক্ষিত তার পথে আজ
ঝর্ণা তোলে চলার আওয়াজ,
ভোরের আলো বাতাস বলে “ সে এল, সে এল।”
আজকে শিশু কন্যারা কয়,
“এতদিনে হ’ল সময়,
বাঁচার দাবী নিয়ে ধরায় সে এল, সে এল।।”
শৃঙ্খলিত গোলাম জানায়
“এল সময় বন্দী খানায়
মুক্তি সনদ নিয়ে ধরায় সে ল, সে এল।।”
উৎপীড়িত কয় নারী নর,
“এত দিনে এল খবর
ইসসাফ হক নিয়ে ধরায় সে এল, সে এল।।”
যাত্রি বলে সত্য পথের,
“কালাম নিয়ে এক মাবুদের
নিয়ে খতমে নবুয়ত এ ধরায় সে এল, সে এল।।”
৩০
রাসুল তুমি আল্লাহ পাকের
-মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
নবী তুমি সর্ব শেষের
-মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।।
নবুয়তের আগে ছিলে তুমি ‘সাদেক’, ‘আল আমীন’
রাসুল রূপে এলে ধরায় রাহমাতুল্লিল আলামীন,
খাতামুন নাবীয়ীন তুমি, সাইয়্যেদুল মুরসালীন,
তোমার উপর দরূদ পড়ে তামাম আলম, ফেরেশতা, জ্বিন,
বুলবুলি গায় দুই জাহানের
-মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
আল্লাহ আহাদ স্রষ্টা তোমার, হে উসওয়াতুন হাসানা!
আহমদ নাম টমার তরে মখলুকে যার নাই তুলনা,
জাগিয়ে দিলে বিশ্ব ধরায় তৌহিদেরি এ মূর্ছনা,
নিখিল মানব ভাগ্য থেকে কাটলে আঁধার বিড়ম্বনা,
ভাষ্য তুমি আল কুরানের
-মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ!
তোমার রাহা নিল যারা,- সত্য, প্রেম ও ন্যায় বিচার,
সাচ্চা মুমিন তা’রাই জানি, তারাই কাঁটি ঈমান্দার।
তোমার অনুগামী যারা, তা’রাই শুধু পায় সুপথ,
দুই জাহানে কামিয়াবি;-পায় আল্লাহির মুহাব্বত;
প্রানের চেয়ে প্রিয় যাদের
-মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
৩১
ওগো নুর নবী হযরত
আমরা- তোমারি উম্মত।।
তুমি দয়াল নবী
তুমি নূরের রবি
তুমি- বাসলে ভাল জগত জনে
দেখিয়ে দিলে পথ।।
আমরা তোমার পথে চলি,
আমরা তোমার কথা বলি,
তোমার আলোয় পাই যে খুঁজে
ঈমান; ঈজ্জত।।
সারা জাহানবাসী,
আমরা- তোমায় ভালবাসি,
তোমায় ভালবেসে মনে
পাই মোরা হিম্মত।।
৩২
আল্লাহ তুমি রেজেকদারা
নাম তাই রাজ্জাক
সব প্রানীকে দাও যে রুজী
দাও তুমি খোরাক।।
তোমার তারিফ, তোমার গানে
জেগে উঠে মোর বিহানে
বিলে ঝিলে মাঠে রুজী
পায় যে পাখির ঝাঁক।।
মৌমাছিরা গুনগুনিয়ে
যায় সে কাজে গান শুনিয়ে
মধু খেয়ে সারাটি দিন
বাঁধে সে মৌচাক।।
পিঁপড়া যে পায় খুঁজে আহার
কঠিন শ্রমের ময়দানে,আর
কাজ করে যায় সারাটি ক্ষন
শোনে কাজের ডাক।
৩৩
তোরা চাসনে কিছু কারো কাছে
খোদার মদদ ছাড়া
তোরা পরের উপর ভরসা ছেড়ে
নিজের পায়ে দাঁড়া।
তোরা পরের উপর ভরসা করে
ভয়ের পথে যাসনে মরে
তোরা জয়ের পথে যা বাজিয়ে
জয়ের নাকাড়া।।
খোদার মদদ পেয়ে যারা
হল জাহান জয়ী
তারা মাড়িয়ে গেল মৃত্যু দুয়ার
রাত্রি তিমিরময়ী।
তোরা নিজের পায়ে দাঁড়াস যদি
বইবে আবার আলোর নদী
এই দুনিয়ার গুলশানে ফের
জাগবে নতুন সাড়া।।
৩৪
তোমার দয়ায় জাহান সারা
আলোক পেল চাঁদ সিতারা
জাগলো নদী, ঝর্ণা ধারা
ইয়া রাহমানো ইয়া রাহিমো……
জীবন জাগে তোমার দয়ায়
জীবন বাঁচে তোমার মায়ায়
সবুজ ঘাসে, লতায় পাতায়
ফুল হেসে চায় পলখারা
ইয়া রাহমানো… ইয়া রাহিমো……
ফুলে মধু ভরাও তুমি
বিপদ থেকে তরাও তুমি
সকল বাধা সরাও তুমি
মিটাও আঁধার পাষান কারা
ইয়া রাহমানো……ইয়া রাহিমো……
৩৫
তোমার দয়া আছে খোদা জানি সকল দিকে,
তোমার দয়া দাও ছড়িয়ে মাগরিবে, মাশ্রিকে।।
স্রষ্টা তুমি সৃষ্টি করো,
মহান,-কৃপা দৃষ্টি করো।
দাও সাজিয়ে আলোর ফুলে
আকাশ পৃথিবীকে।।
মহিমা আর শক্তি তোমার কেউ জানেনা কত,
তোমার দয়ার প্রকাশ দেখি আমরা অবিরত।।
প্রভু তুমি লালন করো,
স্নেহের নীড়ে পালন করো,
ফুল, পাখী আর পতঙ্গ, কীট
সকল প্রানীকে।।
তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট।
©somewhere in net ltd.