নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিফ্লেকশান

আলো অন্ধকারে যাই...

স্বকন্ঠ

গরীব গরীব রবে, বড়লোক বড় হবে, বুদ্ধিজীবীগণ থাকবেন বেঁচে, বুদ্ধিদীপ্ত কোন ছদ্দবেশে।

স্বকন্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধ্বংসস্তুপেই নবজাতকের পদধ্বনি

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

‘ভবনের ৪ তলায় দু’জন মা বাচ্চা প্রসব করেছে। মা ও বাচ্চা দু’জনে ভালো আছে।’ হাউ মাউ করে কাঁদতে কাঁদতে এ কথা বলেন ধসে যাওয়া রানা প্লাজার চতুর্থ তলায় ঢুকে ফিরে আসা উদ্ধারকর্মী সুজন।



তিনি বলেন, “আমি রাত ১১টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত দু’টো কক্ষে ওই দুই মা এবং বাচ্চা ছাড়াও ৫ শতাধিক জীবিত ও মৃত মানুষ দেখেছি। যারা জীবিত আছে তাদের কারো হাত, কারো পা ভেঙে অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে আছে।”



সুজন জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে ‘রানা প্লাজা’ ধসের খবর শুনে কামারাঙ্গীর চর থেকে ছুটে আসেন তিনি। তার এক বন্ধু চারতলার গার্মেন্টস কর্মী।



বিকেলে এসে পৌঁছানোর পর এত মানুষের প্রাণহানি দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারেন নি সুজন। জীবন বাজি রেখে নেমে পড়েন উদ্ধার কাজে। সন্ধ্যা ছ’টায় ভবনে প্রবেশের চেষ্টা শুরু করে রাত এগারটায় তিনি চারতলায় একটি কক্ষে পৌঁছান। সেখানে দুই রুমে ৩ শতাধিক গার্মেন্টসকর্মীকে আটকা পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।



অক্সিজেনের অভাবে অনেককেই চোখের সামনে মারা যেতে দেখেছেন সুজন।



তিনি বলেন, ‘‘একটি রুমের এক কোনায় বড় দু’টো খণ্ডের মাঝখানে দু’মা বাচ্চা প্রসব করেছেন। সেখানকার দৃশ্য বলে বোঝানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমি দশ মিনিট বসে বসে কেঁদেছি। কিন্তু আমি যে ছিদ্র দিয়ে ঢুকেছি সেখান দিয়ে মা ও বাচ্চাকে বের করা সম্ভব নয়।”



সুজন আরও বলেন, “অনেক কষ্টে রাত সাড়ে চারটার সময় বাইরে খবর দিতে পেরেছি যে, এখানে অনেকেই আটকা আছেন। আমিও মরে যাচ্ছিলাম অক্সিজেনের অভাবে। পরে অনেক কষ্টে বের হওয়ার সময় আরও কয়েকজনসহ মোট ৪০-৫০ জনকে উদ্ধার করেছি আমি।”



উদ্ধারকর্মী কামাল ইসলাম বলেন, ‘‘আমিও পাঁচ তলায় এক মৃত নারীর পাশে বাচ্চা দেখেছি। বাচ্চাটি অনেক ছোট ছিল। আমার অক্সিজেনও শেষ হয়ে যায়। পরে দেওয়ালের একটি খণ্ড পড়ে আমার চোখের সামনে বাচ্চাটি মারা যায়। এত নিষ্ঠুর পৃথিবী হতে পারে বলে আমি জানতাম না।”

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

িবদ্রোহী বলেছেন: খুবই নিষ্ঠুর পৃথিবী।
দু-বেলা খাবার যোগাতে গিয়ে অকাতরে নিজের জীবন বিলিয়ে আসতে হয় আমাদেরই মা-বাবা-ভাই- বোনদের ।
আর কত নিষ্ঠুরতা দেখতে হবে।।
আল্লাহ আমাদের মাফ কর, এরকম নিষ্ঠুর মৃত্যু কাউকে দিও না

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আমি চিতকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিতকার
বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার!

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

অসাধারণ সামসু বলেছেন: হায় আল্লাহ, সামনে আর কি কি যে অপেক্ষা করছে? আর কত সহ্য করবো??

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মাটির কথা বলেছেন: এত করুণ অবস্থায় ও জালিমগুলোর মনে একটুও দয়ার উদ্রেক হয় না?

কিছু অথর্ব আর পশু দেশ চালায়।

একটা ভবন থেকে লোক উদ্ধার করা কয় ঘন্টার ব্যাপার?

হাজার হাজার সেনা বাহিনীকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ায় কেন?

কর্তৃপক্ষের কোন সদিচ্ছাই নেই মানুষগুলোকে উদ্ধার করার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.