নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডানে গেলে জঙ্গী বামে গেলে নাস্তিক; দ্বন্দ্বেতে নেই বাপু আছি হেথা মাঝ ঠিক।
সিজদার বিভিন্ন দোয়া
আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সালাতে সিজদার জন্য শুধু একটি দোয়াই শিখেছি। অথচ আমাদের রাসুল ﷺ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোয়া সিজদার সময় পড়েছেন এবং শিখিয়েছেন। আসুন এই সহজ দোয়াগুলো আমরা শিখে নিই এবং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দোয়াগুলো যেকোনো একটি করে বিভিন্ন সময়ে পড়ি, যাতে সালাতের অতি অভ্যস্ততার কারণে অমনোযোগিতা আমরা দূর করতে পারি। সেই সাথে কিছু সুন্নাহ জাগ্রত করতে পারি।
১) سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى
“সুবহানা রব্বিয়াল ‘আলা”
অর্থঃ আমার মহান সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (তিনবার)
[সহীহ আত তিরমিযী ১/৮৩]
২)سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي
“সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকাল্লাহুম মাগফিরলী”
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার রব্ব! তোমার পূত পবিত্রতা ঘোষণা করি (তোমার প্রসংশা সহ) হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করে দাও।
[বুখারী ও মুসলিম]
৩) سُبُّوحٌ، قُدُّسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ
“সুব্বুহুন ক্কুদ্দুসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ”
অর্থঃ ফেরেশতাবৃন্দ এবং রুহুল কুদ্দুস (জিব্রাঈল আঃ) এর রব প্রতিপালক স্বীয় সত্তায় এবং গুনাবলীতে পবিত্র।
[মুসলিম ১/৫৩৩]
৪) اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ
“আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা ‘আ-মানতু ওয়ালাকা ‘আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খলাক্কাহু ওয়াসাও ওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু তাবারকাল্লাহু আহসানুল খ-লিক্কীন”
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য সিজদা করেছি, তোমারই প্রতি ঈমান এনেছি, তোমার জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছি, আমার মুখমণ্ডল (আমার সমগ্র দেহ) সিজদায় অবনমিত সেই মহান সত্তার জন্য যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন এবং উহার কর্ণ ও চক্ষু উদ্ভিন্ন করেছেন, মহিমান্বিত আল্লাহ সর্বোত্তম স্রষ্টা।
[মুসলিম ১/৫৩৪]
৫) "سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرْوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ".
“সুবহানা যিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি ”
অর্থঃ পাক পবিত্র সেই মহান আল্লাহ বিপুল শক্তির অধিকারী, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গরিমা এবং অতুল্য মহত্বের অধিকারী।
[আবু দাউদ ১/২৩০]
৬) اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ، دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَعَلَانِيَتَهُ وَسِرَّهُ
“আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবীকুল্লাহু, দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউওয়ালাহু ওয়াআ-খিরাহু ওয়া ‘আলানিয়াতা ওয়া সিররাহু”
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও, ছোট গুনাহ, বড় গুনাহ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য এবং গোপন গুনাহ।
[মুসলিম ১/৩৫০]
৭) اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ منْ عُقُوبَتِكَ، وَاَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لَا أُحصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
“আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা, ওয়া বিমু’আ-ফাতিকা মিন ‘উক্কুবাতিকা ওয়া ‘আউযু বিকামিনকা, লা-উহসী সানা-আন ‘আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা”
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই তোমার অসন্তুষ্টি হতে তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে, তোমার শাস্তি হতে তোমার ক্ষমার মাধ্যমে, আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই তোমার গজব হতে। তোমার প্রশংসা গুণে শেষ করা যায় না; তুমি সেই প্রশংসার যোগ্য নিজের প্রশংসা যেরূপ তুমি নিজে করেছ।
[মুসলিম ১/৩৫২]
https://www.facebook.com/QuranerAlo
পেজটি থেকে সংগৃহীত।
২৯ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৩০
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই হাদিছটি মনে করিয়ে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। দোয়া কবুলের সবচাইতে মোক্ষম সময় এটি, অথচ আমরা বেশিরভাগই তা জানিনা।অনেকে তো আবার ফতোয়া দিয়ে বেড়ান সিজদার সময় তাসবীহ ছাড়া অন্য কিছু পাঠ করা বিদআত/নাজায়েজ/হারাম।আফসোস।
আমার মতে আলেম সমাজের বিভক্তিই আজকে মুসলিমদের সবচাইতে বড় সমস্যা। দ্বিতীয় প্রধান সমস্যা হলো আমাদের ধর্মশিক্ষা বিমুখতা।
আপনি কি মনে করেন?
আমার কেনো যেনো মনে হয় আমরা একটি নিশ্চিত প্রতিশ্রুত পরিনতির খুব কাছাকাছি আছি......আল্লাহ ভালো জানেন।
হোপ ইউ আন্ডারস্টেন্ড হোয়াট আই মিন, এক্সপেকটিং ইউর থটস্ এন্ড ভিউস এজ ওয়েল.সালাম
২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:১০
শাহ্ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: জ্বি ভাই, বর্তমান আলেম সমাজের বিভক্তির কারণে আমরা অনেক সহীহ্ হাদিছ থেকে বঞ্চিত। আমি আমাদের পাড়ার মসজিদের ইমাম সাহেবকে উপরোক্ত হাদীছ নিয়ে প্রশ্ন করে সদুত্তর পাই নি। শেষে মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন স্কলারকে জিজ্ঞেস করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলাম। সিজদারত অবস্থায় কুরআনের দু'আ পড়া যাবে না, তবে কুরআনের দু'আর আগে যদি 'আল্লাহুম্মা' শব্দটি যুক্ত করা হয় তাতে অসুবিধা নেই। কারণ, রসুলুল্লাহ্ (সাঃ) 'রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া......' দু'আটিতে 'আল্লাহুম্মা রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া......' পড়েছেন। তাওহীদ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত সহীহুল বুখারীতে এ প্রসঙ্গে বলা আছে। ঠিক এ মূহুর্তে হাদীছের এবারতটি আপনাকে জানাতে পারছি না। পেলে অবশ্যই জানাবো ইন শা আল্লাহ্।
যাক, মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি- আপনি ঠিকই বলেছেন। আসলেই আমরা আমাদের নিশ্চিত পরিণতির খুব কাছেই আছি। মহান আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। আমীন।
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সিজদারত অবস্থায় কুরআনের দু'আ পড়া যাবে না, তবে কুরআনের দু'আর আগে যদি 'আল্লাহুম্মা' শব্দটি যুক্ত করা হয় তাতে অসুবিধা নেই
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শিখলাম।হাদীছ শরীফে পড়েছিলাম রাসুলুল্লাহ (সঃ) সিজদাহ এবং রুকুতে কোর'আন এর আয়াত পড়তে নিষেধ করেছেন।পরবর্তীতে ইসলামিক টিভিতে জেনেছিলাম যে, 'রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া......', 'রাব্বির হামহুমা.....' এ জাতীয় দো'য়া গুলো পড়া যাবে কেননা এগুলো পরিপূর্ণ আয়াত নয়, আয়াতের অংশ বিশেষ।এরপর থেকে আমি সেভাবেই আমল করেছি।তবে আপনার কথাটিই আমার কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।'আল্লাহুম্মা' শব্দটি যুক্ত করলে আর কোনো সংশয়ের অবকাশ থাকেনা।ইন শা আল্লাহ্ এখন থেকে সেভাবেই আমল করবো।আর আপনার জন্য অন্তর থেকে রইল অনেক অনেক দো'য়া।
আবারো জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।সালাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
শাহ্ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: সহীহ্ মুসলিমের একটি হাদীছ-
বান্দা যখন সিজদায় থাকে, তখন স্বীয় প্রতিপালকের অতি নিকটে থাকে; অতএব তোমরা সিজদারত অবস্থায় বেশি বেশি দু'আ করো।