![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে এখনও অনেক মুক্তিকামী জাতি বা দেশ আছে যারা নিজেদেরকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য প্রানপনে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে। এইসব দেশ বা জাতি তাদের বহুল আকাঙ্কিত স্বাধীনতা পাবে কিনা তা সময়ই বলে দিবে। মানুষের জন্মই হয়েছে মুক্ত স্বাধীনভাবে প্রকৃতির রুপ রসে মুগ্ধ হয়ে পরিপূর্ন হয়ে বেচেঁ থাকার জন্য। স্বাধীনতা শব্দটি যেকোন পরাধীন মানুষের কাছে একটা প্রবন্ধের ন্যায় তাৎপর্য বহন করে। স্বাধীনতা শব্দটির প্রতি সকল বাংলাদেশী বাঙ্গালীর একটা অসাধারন অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করার কথা, শুধুমাত্র যারা আমাদের স্বাধীনতাকে তখনও মেনে নিতে পারে নি বা এখনও মেনে নিতে পারছে না তারা ছাড়া। এইসব বুদ্ধি বিবেকহীনরা কখনই আমাদের স্বাধীনতায় উদ্বেলিত হয়ে উঠে না কারন স্বাধীনতা শব্দটা সবসময় তাদের পরাজয়ের কথাই মনে করিয়ে দেয়। স্বাধীনতা বিরোধীরা সবসময় দেশের অগ্রযাত্রাকে কিভাবে বাধাগ্রস্থ করা যায় এই চিন্তাতেই বিভোর থাকে। কিন্তু স্বাধীনতার পক্ষের লোকেরা যদি একত্রে থাকে তাহলে এইসব মুর্খ্য ও জ্ঞানহীন বিরোধী শক্তির সকল ধরনের ষড়যন্ত্র ধুলিস্যাৎ করে দেশের অগ্রযাত্রার রথ সামনের দিক টেনে নেওয়া সম্ভব।
কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে দীর্ঘ নয় মাস নিজেদের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে যে জাতি নিজেদের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করল সেই জাতিই আবার অশুভ রাজনীতির করাল গ্রাসে আক্রান্ত হয়ে স্বাধীনতার স্বাদটাই ভুলতে বসেছে। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বা জাতি বছরের পর বছর ধরে লড়াই করে স্বাধীন হয়েছে বা এখনও লড়াই করে যাচ্ছে, সেখানে আমরা তুলনামূলক ভাবে অনেক অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাধীন হতে পেরেছিলাম শুধুমাত্র মুক্তির প্রতি আমাদের সবার আত্মত্যাগ ও আকুলতার কারনে। একটা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের সকল আপামর জনসাধারনের একটাই চাওয়া থাকে যেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মুক্তির স্বাদ ভোগ করতে পারে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক ভাবে মুক্ত হয়েছিল ঠিকই , কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি পাওয়া এখনও সম্ভব হয়ে উঠে নি। আমাদের দেশ গনতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থায় পরিচালিত হয়, তাই দেশের মানুষই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি ঠিক করে, যাদের কাজ হচ্ছে দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিদের চালচলন দেখলে বোঝা যায় যে তারাই দেশের একমাত্র হর্তাকর্তা। যেখানে আব্রাহাম লিংকন গনতন্ত্রের সঙ্গায় বলেছেন “গনতন্ত্র হল জনগনের জন্য, জনগনের দ্বারা, জনগনকে নিয়েই পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা”। আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা এমন যেখানে মানুষের নির্বাচনের আগে শুধুমাত্র ভোটার হিসেবে দাম থাকে কিন্তু নির্বাচনের পরেই সবাই হয়ে যায় সাধারন জনগন। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের মানুষেরা যেরকম দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও কী সেই বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হয়েছে! স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হোক সেই বাস্তবায়নের পথে কি দেশ ধাবমান! বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বোঝা যায় আমরা ক্রমেই পিছনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। হ্যাঁ গত চার দশকে বাংলাদেশ নিয়ে গর্ব করার মত অনেক কিছুই হয়েছে । সেটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র দেশের মানুষের অফুরান প্রানশক্তি ও নিজস্ব কর্মপ্রচেষ্ঠার ফলে। এই উন্নয়নের দাবিদার কখনই কোনো সরকার সরাসরি নিজের বলে দাবি করতে পারে না। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হলেও দেশের যে দিকটা সবচেয়ে নাজুক তা হল রাজনৈতিক পরিবেশ। যেখানে স্বাধীনতার পর দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নতি হওয়ার কথা সেখানে আমাদের রাজনীতি ক্রমশই কলুষিত হয়েছে। দেশে একটা সুষ্ঠু রাজনীতির পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের
রাজনীতিবিদরা সম্পূর্নরুপে ব্যর্থ প্রমানিত হয়েছেন। আমদের রাজনীতিবিদদের প্রধান সমস্যা হল ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে না পারা। কখনই তারা অন্য দলের ভালো কিছুর প্রশংসা করতে পারেন না। সবসময় অন্যকে ছোট করে নিজে বড় হওয়ার চেষ্ঠা করেন। অন্যের খারাপ দিকটা চিন্তা না করে, নিজে কিছু ভালো করলে বা করার চেষ্ঠা করলে জনগন তাতেই খুশি হয়। জনগনের কাছে প্রিয় হয়ে উঠার জন্য এই সহজ নিয়ম টুকুই তারা যেন বোঝেও না বোঝার ভান করেন। এইজন্যই প্রতিবার হরতাল ও অবরোধ করার পর বিরোধীদল বলবে জনগণ হরতাল সফল করেছে আবার সরকারী দল বলবে জনগন হরতাল প্রত্যাখান করেছে। কিন্তু জনগন কি চায় তা কোন দলই বোঝার চেষ্টা করে না।
যেহেতু বাঙ্গালীরা অনেক আবেগী ও আশাবাদী তাই অন্য সবার মত আমিও আশা করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আমাদের দেশে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য একটা সুষ্টু রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে রাজনীতিবিদরা দেশের জনগনকে শুধু ভোটার হিসেবে চিন্তা না করে একজন মানুষ হিসেবে ভাববেন। ফলে রাজনীতি বিমুখ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরাও রাজনীতিতে এগিয়ে আসবে দেশের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে
ধন্যবাদ.........
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৮
গোকুল নাগ বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি আমরা আসলে কি চাই, সেটাই আগে ঠিক করে নিতে হবে.........ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪
নিলু বলেছেন: আসলে আমরা কি চাই , তার সিধান্ত আগে নিতে হবে , স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং সুশাসন কাকে বলে , তা কি আমাদের মনে থাকে ? প্রবাদে আছে যে , বাঙ্গালী মাংনা পেলে , আলকাতরাও খায় নাকি ?