নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের ব্যবধানে বেজে বেজে চলে, সূর্য চাঁদ সবচেয়ে- দূরতম শব্দের মাস্তল, যেন কোন অজ্ঞাত নিবাস থেকে ছুটে আসি।পরিচিত শ্টেশন এলেই তুৃমি দেখাও নিশান- আমি উঠে পড়ি...

কিরমানী লিটন

কিরমানী লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

“বৃষ্টির বেদনা-প্রজ্ঞায় নীল ...”

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩




কম বয়সে হোস্টেলে থাকা ছেলেরা কি পরিমান চঞ্চল আর দুরন্ত দুষ্টের জ্যাঠামশাই,সেটা আপনি নিজ চোখে-খুব কাছ থেকে না দেখে,কল্পনাও করতে পারবেন না।তাদের সে দুষ্টামির মাত্রা বুঝাতে কি উদাহরন দিবো-সাত কূল ভেবেও তার কিনারা খুঁজে পেলাম না।এক্ষেত্রে আমরা কুকুর ছানার বলগা হরিণ,তিড়িং-বিরিং দুরন্তপনাকে কিছুটা বিবেচনায় নিতে পারি।যারা এমনি এমনি,একটা-আরেকটার পশ্চাদদেশে কামর দিয়ে ভোঁ দৌড়,চার পা ছড়িয়ে গড়াগড়ি,মোচর দিয়ে উঠেই দে ছুট,ধিরিম করে থেমেই একটা আরেকটার উপর হামলে পড়া এভাবেই সারাক্ষণ চলতে থাকে তাদের দুরন্তপনা।হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করা ছেলেদের দুষ্টামি-কুকুর ছানার দুরন্তপনাকেও হার মানায়।জামান সাহেব উত্তরার যে বিল্ডিংয়ের ছয় তলায় ভাড়া থাকেন,সেই সাত তলা ভবনের পুরোটাই একটি বাচ্চাদের স্কুলসহ হোস্টেল।এবছর ছাত্র সংখ্যা কম হওয়ায় ছয়তলার দুটি ইউনিট স্কুল কর্তৃপক্ষ ভাড়া দিয়েছে তাতে জামান সাহেব এবং জাহিদ সাহেব নামে আরেক ভদ্রলোক পরিবার নিয়ে পাশাপাশি থাকেন।জাহিদ সাহেব সে স্কুলেই অ্যাকাউন্টসে চাকুরি করেন।বছরের মাঝামাঝি জামান সাহেবের প্রাইভেট জবটা হঠাৎ চলে যাওয়ার আর্থিক টান-পোড়ন আর কিছুটা কম ভাড়া হওয়ার কারেনে মাস ছয়েক হলো এ বাসায় উঠা।


চাকুরি না থাকায় জামান সাহেব,বাসার বাজার,নিজের সপ্তম শ্রেণী পড়া ছেলে বিত্ত আর চতুর্থ শ্রেণী পড়া মেয়ে কৃতীকে মাঝে -মধ্যে স্কুলে নেয়া-আসা আর বিকেলবেলা মাঝেসাজে হাঁটতে বেরুনোর সময়টুকু বাদে সারাক্ষণ বাসায় বসে নেটে বিডি জবস,ফেসবুক,পত্রিকা এই নিয়ে পড়ে থাকেন।বেশী সময় বাসায় থাকার কারনে হোস্টেলের ছেলেদের বাঁদরামিটা ভালকরেই খেয়াল করেছেন।সিঁড়িতে উঠা নামার সময় প্রায়ই হুট করে কেউ কেউ গায়ের উপরে এসে পড়া,গেট দিয়ে ঢুকার সময় মাঝে মধ্যেই কেউ কেউ উপর থেকে তার ছেলেমেয়েদের গায়ে পানি ঢেলে ভিজিয়ে দেয়া এধরেনের নানা বাঁদরামির কারনে জামান সাহেব,হোস্টেলের ছেলেদের উপর কিছুটা বিরক্ত হলেও,তার বাচ্চাদের বয়সী ছোট ছোট ছেলেদের,আপনজন ছেড়ে হোস্টেলের নির্বাসিত জীবনের কষ্ট বেদনার কথা মনে করে সারাক্ষণ তাদের প্রতি আপনজনের মতো একটা সহানুভুতির টান অনুভব করেন।এ বেদনার কথা তিনি তার স্ত্রীকে প্রায়ই বলেন,শুনে তার স্ত্রী উল্টো তাকে হুংকার দেয়,যে হারে সিগারেট টানছ,তুমিতো মরবেই,আর তোমার বাচ্চাদের অবস্থাও হবে হোস্টেলের ছেলেদের পরিনতি।শুনে জামান সাহেবের বুকটা হাহাকার করে উঠে।

আশা-যাওয়ার খেয়ালে হঠাতই একদিন থমকে গেলেন জামান সাহেব।বাসায় ফিরছিলেন বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ,এ সময়টা হোস্টেলের ছেলেদের বিশ্রামের।নিচতলা অফিস, দু’তলা তিনতলা ক্লাসরুম,চতুর্থ পঞ্চম ও সপ্তম তলা হোস্টেল।পাঁচতলার বারান্দায় পা দিতেই দেখলেন সিঁড়ির মাঝামাঝি ভীষণ রকম সুন্দর চেহারার সাত-আট বছরের একটা ছেলে সিঁড়ির গ্রীলধরে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে অঝরে চোখের জল ফেলছে।এই দৃশ্য জামান সাহেবের মনে ভীষণ ছুঁয়ে গেলো।তিনি দৌড়ে ছেলেটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন,কি হয়েছে বাবা কাঁদছো কেন,বাবা-মা’র কথা মনে পড়েছে?চলো আমাদের ঘরে কম্পিউটারে গেমস খেলবে।ছেলেটি কিছুতেই রাজী হলোনা আমার বাসায় যেতে।তবে কাঁদছো কেন বাবা? “বৃষ্টি,মানে তার ছোট বোনের কথা মনে করে কাদছে” মিহি সুরে জবাব দিল সে।দেখো,সামনে শুক্রবারেই তোমার বৃষ্টি আপুমনির সাথে দেখা করার ব্যবস্থা আমি নিজে করবো,এখন রুমে চলো বাবা রেস্ট নিবে,সুপার দেখলে বকা দিবে।এই বলে সেদিন তাকে রুমে যেতে বলতেই সুবোধের মতো রুমে ফিরলো সে।ছয়তলা,মানে জামান সাহেবের বাসায় ফিরে,তার স্ত্রীকে ঘটনা জানালেন।লুসি(জামান সাহেবের স্ত্রী) বললো,ওর নাম প্রজ্ঞা।বছর খানেক হলো এখানে থাকে।হোস্টেলের সব দুষ্ট ছেলেদের মধ্যে সে সাংঘাতিক ব্যতিক্রম,অসম্ভব শান্ত স্বভাবের।কখনও এঁকা সিঁড়িতে,অথবা নীচতলার অজুখানার পাশে খালি জায়গার গ্রীল ধরে উদাস মনে শুন্যে তাকিয়ে থাকে প্রায়ই।


প্রজ্ঞারা দুই ভাইবোন।বৃষ্টি নামে তার চার’বছর বয়সী এক ছোটবোন আছে।দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল সদরের আকুর-টাকুর পাড়ায়।মা নেই,বাবা বজলুর রশিদ,বিরাট আড়তদারির ব্যবসার ব্যস্ততায় তাদের সময় দিতে পারেননা।ছোট মেয়ে বৃষ্টিকে বাবার মেঝুবোনের কাছে রেখে,তাকে উত্তরার এই স্কুলে পড়তে দিয়েছে।তাই তার হোস্টেলের বন্দী জীবন৭১ এ বজলুর রশিদ দশ বার বছরের শিশু ছিল।বাবা আব্দুর রশিদের বাজারে ছোট মুদি দোকান ছিল।ছোট দুইবোন হ্যাপি ইতি মা ছিলেন গৃহিণী।যুদ্ধের সময়টায় বজলুর মা সাত মাসের গর্ভবতী আবস্থায়।মুক্তিযোদ্ধাদের খবর আদান প্রদানের দায়ে একদিন বজলুর বাবাকে পাক হানাদারেরা ধরে নিয়ে হত্যা করলো।লাশটা তারা পায়নি।তার কিছুদিন পরেই মা,ছোটবোন মিনতি জন্মের সময় মারা গেলে-বজলু পৃথিবীটা অন্ধকারে ঢেকে গেল।
দেশ স্বাধীনের পর সে বাজারে বাবার মুদি-দোকান মেরামত করে কোন রকম কষ্টে শিষ্টে ছোট তিন বোনকে আগলে রেখে বড় করে,একসময় সুপাত্রস্থ করলেন।এখন সে অনেক বড় ব্যবসায়ী।সংগ্রামের কঠিন পথ পাড়ি দিতে গিয়ে বয়স যখন চল্লিশ,তখন সে বিয়ে করে।মহল্লারই মেয়ে পুতুলকে বিয়ে করে সে।পুতুল তারচেয়ে বিশ বছরের ছোট।বউকে বজলু জান দিয়ে ভালোবাসে,যদিও সে শুনেছে পাড়ার এক উঠতি মস্তানের সাথে পুতুলের প্রেম-ঘটিত ব্যাপার ছিল।তাতেও কিছু মনে করেনি সে,অমন বয়সে আজকালকার ছেলেমেয়েরা একটু একটু প্রেম টেম করেই-এটা খুববেশী দোষের না।সংসার সন্তানাদি হলে সবই ঠিক হয়ে যায়,একসময়।কিন্তু পুতুল তার বাবার বয়েসি স্বামী বজলুকে কিছুতে সহ্য করতে পারেনা।তাই বিয়ের দেড় বছরের মাথায় সন্তান নেয় বজলু,ভেবেছিল সন্তান হলে ঠিকঠাক হয়ে যাবে।কিন্তু বজলুর সে বিশ্বাস ভুল ছিল।প্রজ্ঞার জন্মের পর,পুতুলের বাড়াবাড়ি আচরন আরও দ্বিগুণ মাত্রায় বেড়ে যায়।অনেক বোঝানোর পরও কিছুতেই তাকে,তার পূর্ব প্রেমিকের কথা ভুলানো যাচ্ছে না।এই নিয়ে বজলুর বুকটা সারাক্ষণ চিনচিন করতো।কিন্তু কোনদিনই সে স্ত্রি’র সাথে খারাপ আচরন করতো না।মনের কষ্ট গভীরে চেপে রেখে,স্ত্রী’র মনোযোগ পাওয়ার আশায় দিনদিন আরও বেশী ভালবাসতে লাগলেন স্ত্রীকে।তবুও স্ত্রি’র মন,পুরনো প্রেমিক থেকে ফেরানো যাচ্ছিলনা।অবশেষে মেয়ে বৃষ্টি জন্মের একবছরের মাথায় সে স্বামী সন্তান সবাইকে ফেলে পুরনো প্রেমিক,যে এখন অনেক বড় নেতা,তারসাথে পালিয়ে যায় একরাতে।তাই বৃষ্টি-প্রজ্ঞার মা,থেকেও নেই।


আগামীকাল থেকে প্রজ্ঞাদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে।জামান সাহেব শুনেছেন-সকালেই তার বাবা,তারসাথে দেখা করতে এসেছিল।সারাদিন একসাথে থেকে-খেয়ে,ঘুরে ফিরে-প্রজ্ঞার জন্য অনেক কেনাকাটা শেষে বিকালে বাসায় ফিরে গেছে।সন্ধ্যায় সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় জামান সাহেব দূর থেকে তাকে খুব হাসিখুসি দেখে মনটা প্রশান্তিতে ভরে উঠল।রাত ন’টায় তিনি বাসায় ফেরার সময় স্কুলের গেঁটে অ্যাকাউন্টস জাহিদ সাহেবসহ আরও কয়েকজন টিচারকে দেখলাম জটলা করে কি যেন পরামর্শ করছে।এগিয়ে কাছে যেতেই জাহিদ সাহেব তার কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন,একটু আগেই প্রজ্ঞার বাবা ব্রেইন স্টোকে মারা গেছেন।খবরটা শুনে জামান সাহেবের বুকের মধ্যে চিনচিন ব্যথায়-কুঁকড়ে উঠলো।কিছুতে সহ্য হচ্ছিলনা।তিনি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পাড়লেন না।মনে হচ্ছিল সারাটা আকাশ মাথার উপর আছড়ে পড়লো।চারদিক অন্ধকার দেখতে পেলো সে।


কিছুক্ষন পর প্রজ্ঞার রুমে জামান সাহেবসহ কয়েকজন গেলেন।রুমে ঢুকেই তারা দেখলেন,প্রজ্ঞা তার পড়ার টেবিলে বাবার ছবি সামনে রেখে-গভীর মনোযোগে তাকিয়ে আছে।সবার চোখ জলে ভিজে গেলো।জামান সাহেব প্রজ্ঞার কাছে গিয়ে পিঠে হাত রেখে বললেন,প্রজ্ঞা,বাবাকে দেখতে যাবো-চলো,বাবা খুব আসুস্থ।প্রজ্ঞা ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে শুধু জামান সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল-অনেকক্ষণ।তারপর পড়ার টেবিল ছেড়ে দাঁড়িয়ে বললো,চল-যাই।এই অগ্রাহায়নেও,বাইরে অঝোর ধারায় তুমুল বৃষ্টি পড়ছিল তখন....।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইয়া লেখার মাঝে আর একটু গ্যাপ গ্যাপ করে কিছু প্যারা আকারে করে দিলে পড়তে আরও ভাল লাগবে বলে মনে হচ্ছে।

+

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

কিরমানী লিটন বলেছেন: এখন এডিট করে যেভাবে পোষ্ট করলাম-এই ফরমেট প্যারায় লিখা ছিল গল্পতি।ওয়ার্ড থেকে কপিপেস্টে পোষ্ট করলাম,এডিটে নজর না দিয়েই অন্য একটি পোষ্ট গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়া শেষ করে,নিজের পোষ্টে এসে তবেই আপনাদের মন্তব্যে বিষয়টি খেয়াল করলাম।এডিট করেছি।

অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় কান্ডারি অথর্ব ভাইয়ের জন্য, অনেক শুভকামনা ...।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ভাইয়ের সাথে সহমত।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

কিরমানী লিটন বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্য জেনে,সুন্দরের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি রইলো,পাশেই চাই- এভাবেই...
সতত শুভকামনা,প্রিয় কাল্পনিক_ভালোবাসা,

এখন এডিট করে যেভাবে পোষ্ট করলাম-এই ফরমেট প্যারায় লিখা ছিল গল্পতি।ওয়ার্ড থেকে কপিপেস্টে পোষ্ট করলাম,এডিটে নজর না দিয়েই অন্য একটি পোষ্ট গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়া শেষ করে,নিজের পোষ্টে এসে তবেই আপনাদের মন্তব্যে বিষয়টি খেয়াল করলাম।এডিট করেছি।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

প্রামানিক বলেছেন: ভাই কিরমানী লিটন, এক প্যারায় এক গল্প লিখেছেন পড়তে গিয়ে লাইন হারিয়ে যায়। সমস্যা আছে সমাধানও আছে, এডিট করে ছোট ছোট প্যারা ভেঙে দেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

কিরমানী লিটন বলেছেন: এখন এডিট করে যেভাবে পোষ্ট করলাম-এই ফরমেট প্যারায় লিখা ছিল গল্পতি।ওয়ার্ড থেকে কপিপেস্টে পোষ্ট করলাম,এডিটে নজর না দিয়েই অন্য একটি পোষ্ট গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়া শেষ করে,নিজের পোষ্টে এসে তবেই আপনাদের মন্তব্যে বিষয়টি খেয়াল করলাম।এডিট করেছি।
আপনার মনোযোগ পেয়া আমার লিখনি বিশুদ্ধতা পায় -সেটা পেলে শ্রদ্ধায় ভালোবাসা আর মুগ্ধতায় ভরে উঠে মন, কানায়- কানায়।অনেক ভালোথাকুন প্রিয় প্রামানিক ভাই,নিরন্তর শুভকামনা ...

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: গল্পটা অনেক সুন্দর হয়ছে।তবে প্যারা না থাকায় মাঝখানে একটু এলোমেলো হয়ে গেছিলো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

কিরমানী লিটন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, এখন এডিট করে যেভাবে পোষ্ট করলাম-এই ফরমেট প্যারায় লিখা ছিল গল্পতি।ওয়ার্ড থেকে কপিপেস্টে পোষ্ট করলাম,এডিটে নজর না দিয়েই অন্য একটি পোষ্ট গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়া শেষ করে,নিজের পোষ্টে এসে তবেই আপনাদের মন্তব্যে বিষয়টি খেয়াল করলাম।এডিট করেছি।
অনেক কৃতজ্ঞ হলাম আপনার আন্তরিক মন্তব্য পেয়ে।এভাবেই পাশে থাকা কামনা করি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় ঈশান আহম্মেদ ,সতত শুভকামনা ...

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর ও সাবলীল জীবনের গল্পটা।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক মুগ্ধতায় মন ভরে গেল- আপনার আন্তরিক মন্তব্য জেনে ,সুন্দরের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি রইলো প্রিয় অভ্রনীল হৃদয়,পাশেই চাই- এভাবেই!!!
সতত শুভকামনা প্রিয় আপু'নি রেজওয়ানা আলী তনিমা ...

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অভ্রনীল হৃদয় ?!!!!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

কিরমানী লিটন বলেছেন: অভ্রনীল হৃদয় ?!!!! এখন সে ইন্দ্রজিৎ - মেঘের আড়াল ...!!!
আবারও শুভকামনা- অ নে ক...

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: এখন ঠিক আছে। ধন্যবাদ

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: রুপালি চাঁদের স্নিগ্ধ জোছনার হলকে ভরে উঠুক প্রিয় প্রামানিক ভাইয়ের হৃদয়ের উঠোনজুড়ে ,আবারও শুভাশিস রইল-অ ফু রা ন...

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: গল্প পড়তে ভাল লাগে, কিন্তু বাচ্চাদের কষ্ট সইতে পারি না!!!
গল্পের শেষটা এতটা কষ্টকর না করলেও পারতেন!!!! :(

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কিরমানী লিটন বলেছেন: আসলে গল্পটা বাস্তব-নিজের চোখে দেখা,তাই সে সত্যের শেষটা অতটা কষ্টের,একটুও পালটাইনি।আমি শুধু বর্ণনা দিয়েছি সেই বেদনার,যার গভীর ছায়া আমাকেও আপ্লুত করে ...

অনেক কৃতজ্ঞতা কষ্টকরে পড়ে মতামত দেয়ার জন্য। আপনার মন্তব্য আমার লিখনিকে উজ্জীবিত করে দারুণ!!! অশেষ শুভকামনা প্রিয় বীথি আপু, কামরুন নাহার বীথি :-&

৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখাটা ভাল লাগলো ।
প্যারা নিয়ে ঘাপলা হয়েছিল মনে হয় ?
এখনো যে ফর্মেট দেখছি , প্যারা গুলি অনেক বড় ।
শুভ কামনা মিতার জন্য ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১

কিরমানী লিটন বলেছেন: কৃতজ্ঞ ভালোবাসা প্রিয় মিতার জন্য,কষ্ট করে পড়ে মতামতে উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, নিরন্তর শুভকামনা ...

১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

রোদেলা বলেছেন: বাইরে বৃষ্টি ঝরে গেল এই অগ্রাহয়নে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: অগ্রাহায়নেও কখনও কোথাও বৃষ্টি ঝরে-কি ঝরে না...? অনেক কৃতজ্ঞতা,প্রিয় রোদেলা আপুকে,কষ্ট করে পড়ে- মতামতের জন্য-শুভকামনা অ নে ক ...

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: মর্মস্পর্শী!!

শুভকামনা এবং শুভকামনা।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন ভাই। সবসময়।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক উৎসাহ পেলাম আপনার আন্তরিক মন্তব্যে-উজ্জীবিত হলো আমার লিখনির শক্তি,সাহসে-প্রেরণায়!!!
অশেষ শুভকামনা প্রিয় দাদাভাই- দীপংকর চন্দ ...

১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

সুলতানা রহমান বলেছেন: পড়তে ভাল লাগলো তবে মন খারাপ করা ……

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: সত্যিই- মন খারাপ করা,কিন্তু বাস্তব সত্য ...
অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভকামনা প্রিয় আপু'নি sultana rahman

১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২৪

সৈয়দ জায়েদ আহমদ বলেছেন: ভালো একটা গল্প পড়লাম :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

কিরমানী লিটন বলেছেন: কৃতজ্ঞ ভালোবাসা প্রিয় সৈয়দ জায়েদ আহমদ ভাইয়ের জন্য,কষ্ট করে পড়ে মতামতে উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, নিরন্তর শুভকামনা ...

১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩

প্রামানিক বলেছেন: কামরুন্নাহার আপাকে বলছি, সব গল্প যদি একরকম হয় তাহলে তো একঘেয়েমী লাগবে। গল্পের ভিন্নতাও গল্পকারের একটা পারদর্শিতার পরিচয় বহন করে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা প্রিয় প্রামানিক ভাই...

১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: বাইরে অঝোর ধারায় তুমুল বৃষ্টি পড়ছিল তখন....।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক উৎসাহ পেলাম আপনার আন্তরিক মন্তব্যে-উজ্জীবিত হলো আমার লিখনির শক্তি,সাহসে-প্রেরণায়!!!
অশেষ শুভকামনা প্রিয় বাংলার ফেসবুক ...

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২০

সুমন কর বলেছেন: গল্পটা হৃদয়সম্পর্শী। তবে বর্ণনায় আরো একটু যত্নশীল হতে হবে।

+।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

কিরমানী লিটন বলেছেন: গল্প লিখতে অনেক সময় প্রয়োজন,তাই লিখা-লিখিতে যেটুকু সময় পাই-কবিতাটাই লিখি।এ কারণে কবিতায় সময় দেয়া হলেও, গল্পে হয় নি,তবে এখন লিখব-দেখি কতটুকু পারি.. অনেক কৃতজ্ঞতা,শ্রদ্ধায়-ভালোবাসায়,প্রিয় দাদাভাই সুমন কর...

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কিরমানী লিটন ,



জামান সাহেব দিয়ে গল্পটা শুরু । এগিয়েও গেছে অনেকখানি , এই পর্য্যন্ত----- ...এই দৃশ্য জামান সাহেবের মনে ভীষণ ছুঁয়ে গেলো। তিনি দৌড়ে ছেলেটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন,কি হয়েছে বাবা কাঁদছো কেন,বাবা-মা’র কথা মনে পড়েছে ? চলো আমাদের ঘরে কম্পিউটারে গেমস খেলবে । ছেলেটি কিছুতেই রাজী হলোনা আমার বাসায় যেতে.......
এরপর থেকে গল্পটি এগিয়েছে প্রথম পুরুষে ।
ব্যাপারটা ভেবে দেখতে বলি ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: ব্যাপারটা ঠিকই ধরেছেন।এখন ঠিক করলাম, তৃতীয় পুরুষ-জামান সাহেব দিয়েই শেষ করলাম।অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই,নিরন্তর পাশে থেকে সাহসে-শক্তিতে প্রেরনা দেয়ার জন্য।আপনার পরামর্শ আমাকে আরও বিশুদ্ধ করে।নিরন্তর ভালোবাসা আর শুভকামনা জানবেন...

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: আসলে কোন মন্তব্য করতে পারছিনা। কতকটা নির্বাক হয়ে গেলাম।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

কিরমানী লিটন বলেছেন: গল্পটা সত্যি-আমি উত্তরার যে বাসায় থাকি-ঘটনাটা সেখান থেকেই দেখা,আর গল্পের তৃতীয় পুরুষ,মানে জামান সাহেবের ভীতর কিছুটা নিজেকে মিশিয়েছি... অনেক কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা প্রিয় সারথি,সতত শুভকামনা...

১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: গল্পটা সত্যি-আমি উত্তরার যে বাসায় থাকি-ঘটনাটা সেখান থেকেই দেখা,আর গল্পের তৃতীয় পুরুষ,মানে জামান সাহেবের ভীতর কিছুটা নিজেকে মিশিয়েছি... অনেক কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা প্রিয় সারথি,সতত শুভকামনা...

২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: মন খারাপ করানো গল্প........

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: ঠিক তাই- অনেক কষ্টের,এ ঘটনা সাম্প্রতিক কালের,তাই তার আপ্লুত বেদনায়,আমি এখনও আচ্ছন্ন ...
কৃতজ্ঞ ভালোবাসা পাঠে- মন্তব্যে ,
নিরন্তর ভালোবাসায় শুভকামনা প্রিয় আহমাদ জাদীদ ভাই...

২১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: মোটামুটি। আপনার কবিতাগুলো পড়ে প্রত্যাশা বেশি জন্মেছিলো। তা পূরণ হয় নি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০

কিরমানী লিটন বলেছেন: আসলে গল্প আমি খুব কমই লিখেছি-বরং কবিতায় বেশী স্বাচ্ছন্দ্য-তবে আপনার মন্তব্য,তা লিখার তৃষ্ণা বাড়িয়ে দিলেন-লক্ষ কোটি গুন... এর নামই কি তবে প্রেরণা ?বরাবর পাশে থেকে বিশুদ্ধতার পথটা দেখানোর জন্য আপনার প্রতি-কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই।বিশেষ ধন্যবাদ প্রিয় হাসান মাহবুব ভাইকে,নিরন্তর শুভকামনা ...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.