![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কাছে কবিতা মানে অনেক বৃষ্টি ঝরে- এক মুঠো রোদ্দুর। বিমূর্ত স্মৃতীর একঝাক তৃষ্ণা। আমার মায়ের ঘামে ভেজা শরীরের- ছেড়া আঁচলের হলুদের গন্ধ। পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন। সব দূয়ার হতে প্রত্যাখাত হয়ে তাই কবিতার জীর্ণ বুকেই মুখ গুজি- পরম মমতায়। রাজনীতি সমাজ আর মূখোশে মানুষের উৎসব থেকে নতমুখে ফিরে এসে কবিতার অতলে ডুব দিয়ে নিজেকে আড়াল করি। সুখের অবগানে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি কবিতায়- নিশ্চিন্তে।
আমার কোন রাজনৈতিক আদর্শের আনুগত্য নেই । জীবনের খসখসে বাস্তবতায় হতাশার ঢেউ যখন উপচে পড়ে, সমস্ত পথচলায়- খেয়ালি বেঁচে থাকা তার বৈসাদৃশ্য খুঁচিয়ে রক্ত ঝরাই। অযথাই সহ্য করি- সে জ্বলন। যাদের ভালোবাসি- কখনও সখনো তাদের দীনতাকে প্রবচন করি- যুক্তির মারপ্যাঁচে। বিতর্কে ভাসাই- প্রশ্নের চাবুকে। তাতে স্বজনের সংখ্যাটা, সামান্য থেকে সামান্যতর হয়- কেবলই। ভুল বুঝাবুজির মনন আর মগজে শুধুই ঠোক্কর খায়। যেমন সুযোগ পেলেই সুহৃদ স্বজনের কোন পোষ্টে অযাচিৎ মন্তব্য ছুড়ে দিয়ে তাদের মন:কষ্টের কারন হই। দলমত নির্বিশেষ সবার বেলায়ই- এই কাজটা করে ফেলি। তবে আপনজন বলে যাদের মান্য করি, সুহৃদ বলে যাদের দাবী করি- কেবল তাদের বেলায়ই এ অনধিকার চর্চাটা আবাদ করি। তাতে বরং দুরত্বটাই দীর্ঘ হয় তাদের সাথে।
নটরডেমে পড়ার সময় থেকেই রাজনীতিটা ঘৃনা করা শুরু এবং তা প্রচন্ডভাবেই। রাবিতে পড়ার সময় যেদিন আমার রুম থেকে নিজের দরকারি টেবিল ফ্যান ও সখের টেপ- রেকর্ডারটা খোয়া গেলো, সেদিন সহপাঠি হেডমওয়ালা বন্ধুদের কাছে বিচার দিতেই তারা চোরটাকে পাকড়াও করে প্রচন্ড মারধর করলো। তারা ছিল ছাত্রদল ক্যাডার। দূর্ভাগ্যক্রমে চোরটি ছিল তখনকার বাস্তবতায় আমি যে জলে বাস করতাম- সে জলের কুমির। মানে শিবিরের ইসলামী ছাত্র শিবির। একথা জানাজানি হতেই শুনলাম, আমাকে সাইজ করার জন্য শিবির হন্যে হয়ে খুঁজছে। তখন ভয়ে টানা একমাস সেই সহপাঠি ছাত্রদল ক্যাডার বন্ধুদের আশ্রয়ে থেকে নিজের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা। আপাত দৃষ্টিতে তাতে পিঠটা বাঁচলেও ক্যারিয়ারটা আর নিরোগ দেহে সুস্থতায় বাঁচানো গেল না। তখন থেকেই রাজনীতির প্রতি ঘৃণা হারালাম- অনার্সে ফার্স্ট ক্লাসটাও। সেই থেকে হারানোর শুরু। রেল- লাইন সমান্তরাল জীবনের বিশুদ্ধ বেঁচে থাকা, চেনা পরিমন্ডলের স্নিগ্ধ বাতায়ন, মায়ের ঘামে ভেজা শরীরের ছেড়া আঁচলে লেপ্টে থাকা- হলুদের গন্ধ, বুক পকেটে সযত্নে আগলে রাখা বাবার স্বপ্ন, অলীন্দের ভাঁজে আগলে রাখা সোনালী ভবিষ্যত, ঘুম ভাঙ্গা ভোর, আবেগী রাতে জেগে আঁকা বিমূর্ত বাতাসের পোয়াতী জোছনা, কিছুই আর অবশিষ্ট রইলো না- হারাবার।
এরপর নিজেকে আর নিজের ভীতর ধরে রাখতে পারিনি। তৎকালীন শিবিরের মুর্তীমান আতংক রূপে নিজেকে একটু একটু করে তৈরি করার মিশন শুরু করলাম। এক সময় তাতে সফলও হলাম। তাতে নিজের স্বাভাবিক জীবনের ধূলোমাখা পথটা -আর সহজাত রইলো না।
এরই তীর বেয়ে- মায়ের মৃত্যু, বাবাকে হারানো, প্রমিকাকে বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে কোর্ট- ম্যারেজ, সংসার- সন্তান এভাবেই......। সে এক দীর্ঘ ইতিহাস। জীবনের এই চড়াই- উৎরাাই ক্রান্তিতে একমাত্র কবিতাই আমাকে পাখীর নীড়ের মতো চোখ মেলে- কাছে ডেকে, ক্লান্তির ঘাম মুছে বলেছিলো- " এতদিন, কোথায় ছিলেন....!"
কবিতার কাছে- এ ঋন আমার আমৃত্যু শোধবার নয়। বিশুদ্ধ প্রাণের উৎসব- আয়োজনে, বেঁচে থেকো কবিতা- কবিকে বাদ দিয়ে নয়.......!
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০১
কিরমানী লিটন বলেছেন: আপনার উপস্থিতিতে বরাবরই উজ্জিবিত হয় আমার লিখার প্রতিটি শব্দমালা। আমি আর আমার কবিতার এই যুগলবন্দী ছুটে চলার যেন এক সাথে প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়, এই দোয়া কামনায়-অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো আপনার প্রতি। শুভকামনা জানবেন সুপ্রিয় মনিরা'পু....
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার কবিতার বিষয়বস্তু বিএনপি'র রাজনৈতিক লেভেলে আছে, উহাকে সার্বজনীন করার চেষ্টা করেন
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৫
কিরমানী লিটন বলেছেন: এ আমার অপূণর্তা, তবে সততার সাথে সত্যকে অকপট স্বিকার করতে একটুও দ্বিধা নেই। আর দ্বিধা নেই বলেই, বলতে চাওয়া সত্যে কারো পুলক, কারো গোলক। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গির এই বৈপিরত্য, সত্যকে তার সহজাত পথ থেকে বিচ্যুত করেনা।তাই তা কার পক্ষ্যে বা বিপক্ষে গেলো সেদিকে খেয়াল রেখে লিখি না। তারপরও আমার কলমের চিত্রিত পঙ্ক্তিমালা যদি পক্ষপাত নিবিষ্ট হয়, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে একটুও জড়তা নেই আমার। দোয়া করবেন, যেন আমার এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে পারি।
অনেক শুভকাৃনা প্রিয় চাঁদগাজী ভাইয়ের জন্য, শ্রদ্ধায়- ভালোবাসায়.....
আন্তরিক মতামতের জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানাই মন থেকে। ভালো থাকবেন নিরাপদ আর সুস্থ্যতায় এই কামনা, সারাক্ষন- সারাবেলা।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬
ল বলেছেন: তীর বেয়ে-
মায়ের মৃত্যু,
বাবাকে হারানো,
প্রমিকাকে বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে কোর্ট- ম্যারেজ,
সংসার- সন্তান এভাবেই......।
সে এক দীর্ঘ ইতিহাস।
জীবনের এই চড়াই- উৎরাাই ক্রান্তিতে ---
একমাত্র কবিতাই আমাকে পাখীর নীড়ের মতো চোখ মেলে- কাছে ডেকে, ক্লান্তির ঘাম মুছে বলেছিলো- "
এতদিন, কোথায় ছিলেন....!"
দারুণ আবেদনময় লেখায় আবেগ তাড়িত হলাম।
আপনার আগত জীবন হোক "সুখের কবিতা"।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩০
কিরমানী লিটন বলেছেন: আপনার মননের এ মতামতে আরও বাঁচার ইচ্ছায় উদ্দীপ্ত করবে আমার অলেখাগুলোকে প্রকৃত লিখা হয়ে উঠার চেষ্টাটাকে। ভালো থাকবেন সকলের মুগ্ধ ভালোবাসায়। কৃতজ্ঞ শুভাশীস জানবেন সুপ্রিয় সুহৃদ প্রিয় ল, ভাই আমার।
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
কবিতার শপথে নিজের জীবনের এমন কিছু মুহূর্ত প্রকাশ করলেন যেখান থেকে অনেক কিছুই.....
ভালো লাগা ভাই,
প্লাস+++
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৬
কিরমানী লিটন বলেছেন: সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হয়ে কবিতা আলোকিত করুক আমাদের সবার পথচলায়- সে কামনায় আপনাকে অনেক ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় তাজুল ইসলাম ভাই। ভালো থাকুন অনেক সুস্থ্যতায়।
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কবিতা প্রেমিকার মতো, কবিতা মায়ের মতো, কবিতা সন্তানের মতো
কবিতা সুখেদুঃখে সবসময়ই কাছে থাকে।
আপনার জীবনী জেনে ভালো লেগেছে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪০
কিরমানী লিটন বলেছেন: তাই কবিতা হয়ে উঠুক শুভাশীত আগামীর স্নিগ্ধ আলোকবর্তিকা। কৃতজ্ঞ ভালোবাসা জানবেন প্রিয় জুনায়েদ বি রহমান ভাই....
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুবেহ সাদিক কয় আঁধারেই আছি,দেরী নয় দেরী নয় খুব কাছাকাছি।
আপনার লেখা এই কবিতাটি আমার অনেক খানি মুখস্থ।উঠতে বসতে কবিতাটি প্রায়ই মনে পড়ে এবং আমার হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয় তৎক্ষণাৎ।আপনার জন্য নিরন্তর শুভকামনা এবং ভালোবাসা প্রিয় লিটন ভাই।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৯
কিরমানী লিটন বলেছেন: সুবেহ সাদিক পেরিয়ে সত্যের আলোকিত সকালগুলো স্নিগ্ধতা ছড়াক- আমাদের নিকানো উঠোনে এবং তা কবিতার হাত ধরেই...
আপনি আমি আমরা সে আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে শুভ্র আগামির সু্ন্দর স্বপ্নের সহযাত্রী হয়ে ধন্য করি আমাদের স্নিগ্ধ বেঁচে থাকার এই মানবজন্মকে। আসছে আগামী- আমাদেরই হবে।
ভালোবাসা জানবেন। কাছে চাই- এভাবেই.....
অনেক ভালোবাসা সুপ্রিয় মাহমুদুর রহমান ভাই। নিরন্তর শুভকামনা।
৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগল আপনার টুকরো ইতিহাস। রাজশাহীতে শিবিরের দৌরাত্ম্য এখন মনে হয় মুগুর ও হেলমেট বাবারা ঠান্ডা করে দিয়েছে। আমি যখন নিউ ডিগ্রীতে ইন্টারমিডিয়েট পড়তাম, রগকাটা ও মুগুর দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি করত। প্রথমটা এখন তো বিলুপ্ত শ্রেণিভুক্ত হওয়ার কথা। ছাত্রদলের কিছু পাতি ছোকরা নেড়ি কুকুরের মতো ইতিউতি করত। আর দেখা যেত ছাত্রমৈত্রি ও সর্বহারা গ্রুপদের। এরা আবার বেশ সক্রিয় ছিল।
রাজশাহীর স্নিগ্ধতা, পরিচ্ছন্নতা এখনও টানে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৮
কিরমানী লিটন বলেছেন: আমিও উজ্জীবিত হলাম আমার অলেখার আঙিনায় আপনাকে পেয়ে। দোয়া করবেন, যেন, সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার সাহস দেখাতো পারি- কবিতার হাত ধরে। আপনার আন্তরিক মতামতকে স্বশ্রদ্ধ চিত্তে- অভিবাদন জানাই। পাশে চাই- এভাবেই। দোয়া করবেন যেন আপনাদের মতামতকে আকরে ধরে সত্য থেকে বিচ্যুত না হয় আমার লিখার কলম। নিরন্র ভালোবাসা আর স্নিগ্ধ শুভকামনা সুপ্রিয় আখেনাটেন ভাইয়ার জন্য।
৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: কবিতা আমি কম বুঝি অথচ কবিতার মধ্যেই আমারে বসবাস।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪১
কিরমানী লিটন বলেছেন: বেশী বুঝার ধারনাকে অবগাহনে করে এই কম বুঝার বিনয়ী প্রকাশ, আমাদের অনুভুতির আঙিনাকে আরও সমৃদ্ধ করুক- আলো ছড়াক কবিতার হাত ধরে আপনাদের হেঁটে যাওয়া পথ ধরে। ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞ শুভকামনা সুপ্রিয় রাজীব নুর ভাইয়ের জন্য। ভালো থাকবেন সবার ভালোবাসার চোখের মনি হয়ে.....
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিশুদ্ধ প্রাণের উৎসব- আয়োজনে, বেঁচে থাকুক কবি ও কবিতা!
ভালোলাগলো আপনার জীবন সংগ্রাম আর কবিতার এই যুগলবন্দী।