নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব সুন্দরকে গ্রহন করে প্রিয় মানুষগুলোকে সুন্দর রাখার প্রয়াস অবিচল রাখার প্রত্যয়ে।

কিশোর মাহমুদ

কিশোর মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিক কমলাকান্তঃ পতঙ্গ পুলিশ

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

এই ঘোর সন্ধ্যায় আফিমের মাত্রা বোধ করি বেশি চড়াইয়াছি। নির্বাক জ্যোতিষ্ঠীর ন্যায় বসিয়া বসিয়া ঝিমাইতেছি - একটি মশা আসিয়া গালেবসিল,তাহার সুধা পানের উদ্দেশ্য পণ্ড করিবারজন্য উদ্যত হইয়াও কমলাকান্ত মশাকে মারিতে পারিল না। বরং সাধারণ জীবন জ্ঞাপনে মনুষ্য জাতির যেমন অধিকার আছে মশা জাতিরও আছে তাই মশা মারা আমার কাছে তৎক্ষণাৎ শাস্ত্র বিরুদ্ধাচরণ মনে হইল।এই মশার কথা আসিতেই আমার মাথায় আরেক বিশেষ শ্রেণীর কথা মাথায় আসিল। মানুষ মাত্রই পতঙ্গ। এই বিশেষ শ্রেণী হইল বঙ্গ দেশীয় পুলিশ জাতি। অত্যন্ত নিরিহ ইহারা;নাদুস নুদুস চেহারার কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তি উঁচু মানের না হইলেও চলনশই।

কোথাও নিশিতে কিংবা দিব্যলোকে চৌকিদারিতে ভুলক্রমে বসিয়া পড়িলে উঠিবার নাম ভুলিয়া ঝিমাইতে থাকেন। কমলাকান্তের সাথে ইহাদের বৈসাদৃশ্য হইল কমলাকান্ত আফিম চড়াইয়া ঝিমায় আর উহারা আফিম ছাড়াই ঝিমান। ঝিমাইবার সময় তাহাদের দেহের ভুঁড়ি অংশ ক্ষুদ্রাকৃতির পাহাড়ে রুপ নেয় এবং নস্যি হইতে অদ্ভুত আওয়াজ বের হয়।

মশারা যখন মনুষ্য রক্ত পান করে কিন্তু তাহার ক্ষুদ্র দেহে সমস্ত রক্ত স্থান না পাইয়া সে যতটুকু সম্ভব পান করিয়া সন্তুষ্ট হইয়া যায়। তেমনি পুলিশ জাতিরাও জলে স্থলে বন্দরে সেখানে যত সম্ভব দশ বিশ পঞ্চাশ একশ টাকা নিয়াছাড়েন (ক্ষেত্র বিশেষ ইহার পরিমান বাড়ে)।মশার জনসম্মুখ এ আপনাকে আক্রমণ করিবে না কিন্তু একা পাইলেও ছাড়িয়া দিবেনা। পুলিশরাও তেমন- একা পাইলে নির্দয় পাষান সাজিয়া পাথর হইতেও রস বের করিতে তাহাদের তুলনা নাই।তাহাদের এরুল spectre আচরণের পরেও আমরা মনুষ্য জাতি তাহাদের নানা পুরষ্কারে ভূষিত করি,নানা উপাধি যেমন - পুলিশ জনগণের বন্ধু; পুলিশই জনগণ,জনগণই পুলিশ ইত্যাদি বলিয়া আখ্যা দিই।পুলিশ নিয়া এমন সুদর্শন দর্শন সম্পর্কে চিন্তায় বাধা ফেলিয়া কেহ ডাকিল,"কমলাকান্ত বাবু!"
খেঁকিয়া উঠিলাম,"কে?"
-"বাবু আমি,ডাকপিয়ন, আপনার উপহার এসেচে,ডাক বাক্সে রেখে গেলুম।"
উপহারে কথা আসিতেই আমার মনের মধ্যে পুলিশ জাতির প্রতি এক করুণা জন্মাইল। কমলাকান্তের বন্ধু খুশি হইয়া তাহাকে কিছু দিলে সেটা উপহার আর পুলিশের বন্ধু খুশি তাহাকে কিছু দিলে তাহা ঘুষ বলিয়া বিবেচ্য হয়। সত্যি বড়োই দুর্ভগা এরা।
-শ্রী কমলাকান্ত চক্রবর্ত্তী।
(আধুনিক কমলাকান্ত)
কমলাকান্তের দপ্তর হইতে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

গোলাম মোস্‌তফা বলেছেন: পুলিম প্যারামিলিটারী বলে প্যারালাইজড মিলিটারী হয়ে গেছে। ছোট কুঠরীর রান্নাঘর, কেরোসিন বা লাকড়ির রান্না। সামান্য চাল, ডিম বা ভাজি । এই খাবার। পরিণতিতে গেষ্ট্রিক বা বদহজমের পীড়ায় আক্রান্ত। আধুনিক কালে ট্রাকে করে খবার পৌছে যায় ডিউটিম্যানের কাছে। কখনকার রান্না কে জানে। মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ মাত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.