![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে বলা বা জানা নতুন কিছু নয়। মুলত ষড়যন্ত্রের কারণেই নবাবের তথা সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেরশের স্বাধীন সূর্য অস্তমিত হয় কিন্তু নিয়তি সেইসব ষড়যন্ত্রকারীদের ক্ষমা করেনি। এদেরও শেষ পরিণতি হয়েছে।
নিচে তা তুলে ধরা হল→
★লর্ড ক্লাইভের আত্মহত্যাঃ পলাশীর যুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে অন্যতম লর্ড ক্লাইভ। ভারতবর্ষে ঘুষ,দুর্নীতি, সম্পদ আত্মসাৎ, প্রসাদ ষড়যন্ত্র, অপরাজনীতির কারণে ইংল্যান্ড এর আদালতে বিচারের সম্মুখীন হন তিনি। ১৭৭২ খ্রিঃ তদন্তে অপরাধ প্রমানিত হতে থাকলে অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে ১৭৭৪ খ্রিঃ ২২ নভেম্বর নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।
★বজ্রপাতে নিহত মীর মিরনঃ যে মিরনের নির্দেশে মোহাম্মদী বেগ নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে হত্যা করেছিল নিয়তির নির্মম পরিহাস সেই মিরনের মাথায় পলাশীর যুদ্ধের ৩ বছরের পর ১৭৬০ খ্রিঃ ৩ জুলাই বর্ষাকালে বজ্রপাত নেমে আসে। তাতেই ২১ বছর বয়সে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়।
★ঘসেটি বেগমের পরিণতিঃ পলাশীর যুদ্ধে আরেক প্রধান ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে ছিলেন সিরাজউদ্দৌলার খালা মেহেরুন্নেসা ওরফে ঘসেটি বেগম। ষড়যন্ত্রের প্রতিশ্রুত অর্থ না দেওয়া সহ বিভিন্ন কারণে এক পর্যায়ে তিনি দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন মীর জাফর ও পুত্র মিরনের সাথে। ঢাকার জিঞ্জিরা প্রসাদে বন্দী করা হয় তাকে। এখানে বসেও মীর জাফরের সাথে ষড়যন্ত্র করতে থাকলে মিরন তাকে বন্দী অবস্থায় নৌকাযোগে মুর্শিদাবাদ ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু ঘসেটি বেগম কোনোদিনই মুর্শিদাবাদ এ যেতে পারেন নি। পথেই নৌকা ডুবিতে তার সলিল সমাধি হয়। মুর্শিদাবাদ এর মাটি তার কপালে জুটেনি।
★পাগল অবস্থায়
মারা যান উমিচাঁদঃ দেশীয়দের মধ্যে আরেক ষড়যন্ত্রকারী ছিল উমিচাঁদ। শিখ সম্প্রদায়ের উমিচাঁদ (আমীর চাঁদ) কলকাতায় একজন বড় ব্যবসায়ী ছিল। মুর্শিদাবাদ কোর্টে তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিরর দালালি করতেন। অর্থ লোভে ক্লাইভ ও মীর জাফরের ষড়যন্ত্রে যোগ দেন। পলাশীর যুদ্ধে নবাবকে পরাজিত করতে পারলে সম্পদের ৫ ভাগ দাবী করেন। চতুর ক্লাইভ সম্মত হয়ে চুক্তি করেন। যার দুটি কপি করা হয়। যার মূল কপিটি উমিচাঁদ কে দেখানী হয়নি। পরবর্তীতে প্রকৃত ঘটনা জানার পর অর্থ শোকে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তার সর্ব স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। ১০ বছর পাগল অবস্থায় ঘুরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করে ১৭৬৭ খ্রিঃ তে মৃত্যু মুখে পতিত হন।
★মীর জাফরের পরিণতিঃ পলাশীর যুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের মূল প্রভাবশালী ছিলেন মীর জাফর। পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বিশ্বাসঘাতকতার সাক্ষী হয়ে আছে বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর। দু বারে তিনি ৪ বছর নবাব থাকলেও ইংরেজদের অবজ্ঞা ও দেশবাসীরর ঘৃণার পাত্র হয়ে বেঁচে ছিলেন। ১৭ জানুয়ারি ১৭৬৫ খ্রিঃ তে ৭৪ বছর বয়সে জাগতিক মৃত্যু ঘটলেও তিনি বেঁচে আছেন। মীর জাফরের প্রাসাদে ঢোকার প্রধান ফটকটি ইতিহাসে,সরকারি দলিল দস্তাবেজে এবং টুরিস্ট গাইড বইয়ে "নেমক হারাম দেউর" বা বিশ্বাসঘাতক এর গেইট নামে পরিচিতি পেয়েছে। মীর জাফর বেচে আছেন তবে একটি জঘন্য গালি হিসেবে।
সূত্রঃ ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি ; দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৫-১০-২০১৩
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাজতন্ত্রে ভালো রাজাই দরকার; বৃটিশেরা তুর্কী, মোগল, আফগানদের চেয়ে ভালো ছিল, ওরা গণতন্ত্র দিয়ে গেছে; না হয়, গণতন্ত্রের জন্য লাখে লাখে মরতে হতো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৯
এস এম কাজল বলেছেন: "নেমক হারাম দেউর"