নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুনিয়র হিটলার

জীবনটা কাঠের পেন্সিলে লেখা কোন গল্প বা কবিতা নয় ,একবার ভুল হলে আবার নতুন করে লেখা যাবে!!!

স্বপ্নহীন নায়ক

আমি স্বপ্ন দেখি না,দেখি স্বপ্নভঙ্গের হাহাকার কিংবা স্বপ্ন বাস্তবায়নের উল্লাস, দেখি সমাজের অন্যায় অবিচারের সাথে স্বপ্নের সংঘর্ষ, সবশেষে হঠাৎ ভাবি, সবই কি অর্থহীন স্বপ্ন!!!

স্বপ্নহীন নায়ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে লেখাটি রনির জন্য কাল হয়ে দাড়াল..!!!!/:)/:)/:)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৪

হে শ্বেতশুভ্র বেশধারী, দাড়ী মোচ আর কেশধারী’

সম্পাদকের দপ্তর থেকে

২০১৩-০৭-১০ ১০:৪৬:১২

গোলাম মাওলা রনি : বড় ইচ্ছে হচ্ছিলো তাকে নিয়ে একটি কবিতা লিখি। শিরোনাম ঠিক করে দুটো চরণও লিখেছিলাম এই ভাবে- ‘হে শ্বেতশুভ্র বেশধারী, দাড়ী মোচ আর কেশধারী’। কিন্তু একটি ঘটনা দেখার পর আর এগুতে পারলাম না। কারণ কবিতার অমর্যাদা হবে। আমার নায়ককে একদিন রাত ৮টার দিকে দেখলাম একটি বাড়ীর সামনে একা দাড়িয়ে ভয়ে কাঁপছেন। তার দামী গাড়ীটি ৮/১০ গজ দূরে। ড্রাইভার স্ট্রাট দিয়ে সাহেবের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সাহেব আসতে পারছেন না। ৩/৪টা নেরি কুত্তা তাকে ঘিরে ধরে ঘেউ ঘেউ করছে। আশে পাশে লোক নেই। সম্ভবত ড্রাইভারও ভয় পাচ্ছে অথবা তার মালিকের দুরাবস্থায় তামসা দেখছে। একটু দুরে দাঁড়িয়ে আমিও কিছু একটা করবো বলে ভাবছিলাম। এমন সময় বাড়ীর দাড়োয়ান এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করলো।



কবিতা লিখতে গিয়ে আমার কুত্তার কথা মনে হলো। আমরা তাদেরকে যতই খারাপ বলিনা কেন প্রকৃতি কিন্তু তাদেরকে অসাধারণ কতগুলো ক্ষমতা দিয়েছে। শরিয়তমতে- তারা ভালোমন্দ মানুষ চিনতে পারে। বিশেষত চোর-ডাকাত। আর মারফত মতে- তারা কবরের আজাব শুনতে পায়। এজন্য ভুলেও কোন কুত্তা কবরস্থানে সচরাচর যায় না। গেলেও করুণ সুরে চিৎকার করে কাঁদে। আমার নায়ককে যেভাবে কুত্তায় সমাদর করছিলো তাকে নিয়ে কবিতা রচনায় আমার আর রুচি হলো না।



এতো গেলো কুত্তার কথা। এবার আমি বলছি ছাগলের কাহিনী। যেনোতেনো কাহিনী নয়-হযরত রাবেয়া বসরী (র:) ও হযরত হাসান বসরী (র:) এর ঘটনা। বিষয়টি ছাগলের দাড়ী এবং মানুষের দাড়ী সংক্রান্ত গুরু গম্ভীর আলোচনা। হযরত রাবেয়া বসরী (র:) জিজ্ঞাসা করলেন- হুজুর আপনার দাড়ী আর ছাগলের দাড়ীর মধ্যে পার্থক্য কি? হাসান বসরী বললেন- পরে উত্তর দেবো। এভাবে অনেক দিন চলে গেলো কিন্তু উত্তরটি দেয়া হলো না। হযরত হাসান বসরী (র:) মারা গেলেন এবং তাঁর লাশ কবরে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। রাবেয়া বসরী (র:) কাঁদতে কাঁদতে লাশের মিছিল থামালেন এবং মৃত হাসান বসরী (র:)-কে উদ্দেশ্য করে চিৎকার শুরু করলেন। বললেন- আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কবরে যেতে পারবেন না। বলুন- আপনার দাড়ী আর ছাগলের দাড়ীর মধ্যে পার্থক্য কি? সবাইকে স্তম্ভিত করে দিয়ে ক্ষণিকের জন্য মৃত হযরত হাসান বসরী (র.) উঠে বসলেন এবং বললেন, “এখন বুঝ আমার দাড়ি আর ছাগলের দাড়ির মধ্যে পার্থক্য কি? বলেই আবার মৃতবৎ হয়ে গেলেন।



আমার নায়ক ইদানিংকালে সফেদ- সাদা পাজামা- পাঞ্জাবী পরে ঘুরে বেড়ান। তার চুল দাড়ী ও মোচও অস্বাভাবিক সাদা। এসব পোশাক-আশাকে এবং মুখশ্রীতে মানুষের প্রতি একধরনের অসাধারণ ভক্তি ভাব চলে আসে। কিন্তু তাকে দেখলে রাজ্যের সব ঘৃণা, বিরক্তি আর অভিশাপ মন থেকে বের হয়ে আসে। আমার কবিতার নায়ক বোধ হয় তা বুঝতে পারেন। আর এজন্যই তিনি আরো বেপরোয়া, দূর্দান্ত এবং দূর্দমনীয় হয়ে ওঠছেন। রাষ্ট্র শক্তির সঙ্গে তার দহরম-মহররম সর্বকালে এবং সর্বসময়ই ছিলো। তিনি জানেন রাজ পুরুষদের দূর্বলতা। তাইতো রাজ আজ্ঞা পেতে তার দেরী হয়নি কখনো। নিজের অপকর্ম কিভাবে ঢেকে রাখা যায় তার বহু উপায় তিনি জানেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে কুকর্ম আর পাপের পাত্র পরিপূর্ণ হয়ে হাত উপচিয়ে পড়ছে। পাপের নহর দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রবাহিত হচ্ছে। মিডিয়া মোঘল রুপার্ট মারডককে তিনি দেখেছিলেন কয়েকটি তরুণী মেয়েসহ ইংল্যান্ডের নর্থ হ্যাম্পশায়ারে। তখন থেকেই তার মনে বিচিত্র সব রং খেলাধুলা করছে। নিজের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেয়েরা কয়েকমাসের বেশী কেনো চাকুরী করতে চায় না- তা তিনি এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে মনে হয় সবকিছু ছেড়েছুড়ে দরবেশ হয়ে যাবেন। বিশেষ করে যখন নিজের প্রিয়তমা কন্যার করুণ মৃত্যুর কথা স্বরণ করেন। কিন্তু ইদানিংকালে দরবেশ শব্দ শুনলে তার চোয়াল কেনো জানি প্রচন্ড শক্ত হয়ে যায়। রাতে ঘুম আসেনা।



রাজধানীর ক্যাপিটাল মার্কেটের ধারের কাছ দিয়েও তিনি হাটেন না। আকাশ ও বাতাস থেকে অসংখ্য মানুষের আহাজারি তার কানে ভাসতে থাকে। নির্বোধের মতো কতগুলো মানুষ নাকি আতœহত্যা করেছে। তাদের প্রেতাতœা অনেকদিন ঘুমের ঘোরে জ্বালাতন করতো। ভয়ে তিনি সারারাত ড্রইংরুমে আলো জ্বেলে কেবল টিভি দেখতেন। অবশেষে এক জোতিষীর পরামর্শে তিনি সুইজারল্যান্ড থেকে কালো রংয়ের একটি বিড়াল কিনে এনেছেন। রাতে বিড়াল নিয়ে ঘুমানোর পর প্রেতাতœাদের উৎপাত আর হচ্ছে না।



ক্যান্টনমেন্টকে তার ভীষণ ভয়। তার ঘনিষ্টরা পরামর্শ দিয়েছে ওদিকে ভুলেও যাবে না। কারন জুনিয়র অফিসাররা নাকি তাকে দেখলে কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলবে। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ পরিবারের মতো জুনিয়র কর্মকর্তারা সর্বস্ব হারিয়েছেন কেবল তার জন্য। ক্ষমতার কেন্দ্রে যেসব লোক তাকে সমীহ করতো তারা আজ ফিরেও তাকায় না। বিশেষ করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোড় নেবার পর থেকে শরীর স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছে না। মন বলে তো কোনো কালেও কিছু ছিল না। তাই ওটা ভালো মন্দ হবার প্রশ্নই আসেনা। কিন্তু যেহেতু দেহ আছে তাই ওটা নিয়ে একটু ভাবতে হয় বৈকি? এসব ভাবতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া-নাওয়া হারাম হয়ে গেছে। গায়ের রং ও কাপড়ের সাদা রং কেমন যেনো ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। ইদানিং সাদা রংয়ের জন্য তার মায়া হচ্ছে। রংটির ভাবগাম্ভীর্য ও পবিত্রতা নষ্ট না করলে এমন কি ক্ষতি হতো। আর মানুষেরও যে কি হয়েছে! সব সময় সস্তা সেন্টিমেন্ট নিয়ে চলে। সাদা মানে পবিত্র। সাদা মানে শান্তির কবুতর। অথচ কুকুর, ভাল্লুক, সিংহ, হাতি এমনকি শুয়োরের রংও যে সাদা হতে পারে তা কেউ বলে না।



আমি নিজে আমার কবিতার নায়ককে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। কেমন যাবে তার আগামীর দিনগুলো! কিংবা কি হবে তার বা তার মতো বহুরুপী শ্বেতশুভ্র বেশধারী এবং দাড়ী, মোচ আর কেশধারীদের।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৬

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: বর্তমানে মিথ্যাই সত্য!!! সবাই যার যার স্বার্থে মিথ্যাকে গলধঃকরণ করবা তাহলে কোন ভেজাল নেই বাংলাদেশে।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৯

এম এস সোহেল বলেছেন: একদিন রনিরা উঠে আসবেন

সাদা রংকে সাদাই রাখবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.