![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির দাবিতে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও মরিচের গুড়া স্প্রে করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় প্রেস ক্লাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশী হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। তবু থামেনি আন্দোলন। সকল বাধা উপেক্ষা করে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছেন তারা। দাবি আদায়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে লাগাতার অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। সকাল ১১টা থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
পৌনে ৩টার দিকে শিক্ষক-কর্মচারীরা ফের মিছিল বের করার চেষ্টা চালালে পুলিশ ৮/১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শিক্ষকদের কর্মসূচি শেষ হয়ে গেলেও পুলিশ প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ-র্যাব সদস্য অবস্থান নিয়ে রাস্তাটি আটকে রাখায় যান চলাচল সন্ধ্যা পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিকেল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থেকে তাদের অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে তারা প্রেস ক্লাবের উল্টো দিকে তোপখানা রোডের নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। আন্দোলনকারী নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের নেতারা সমাবেশে বলেছেন, তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ এলাকা ছেড়ে যাবেন না।
শিক্ষকদের উপর পুলিশী হামলায় ২০/২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের গায়ে রাবার বুলেট লেগেছে। অন্যদিকে ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি শিবলী নোমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। এছাড়া পাশে চলমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের অন্য একটি কর্মসূচিতে আসা বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজির ছাত্র শাওনের মাথায় ইট লেগে ফেটে যায়। আহত শিক্ষকদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
ক্লিকবাজ বলেছেন: সব বিরোধী দলের কারসাজী এবং যুদ্ধপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র!
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
অপর্না হালদার বলেছেন: গত রাতে বিভিন্ন চ্যানেল ঘুরিয়ে এই খবরটাই দেখতে চেষ্টা করেছিলাম ।
শিক্ষকদের আন্দোলন যেমন শিক্ষকদের মত হওয়া উচিত তেমন সরকারের উচিত দেশের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা পরিবেশ তৈরী করা । ইতোপূর্বে শিক্ষকদের বিভিন্ন আন্দোলনে শিক্ষকদের যে আচরন দেখা গেছে গতদিনের আন্দোলনে সেটা সম্পূর্ন বিপরীত রুপে দেখা গেছে যা শিক্ষকদের ভাবমুর্তিকে নষ্ট করেছে । বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্ববাসীই চায় শিক্ষকরা তাদের উপযুক্ত সম্মান রক্ষা করার পরিবেশ তৈরী হোক । বেতন ভাতা থেকে শুরু করে শিক্ষার পরিবেশ ।
রেজিষ্টার প্রাইমারি সরকারী করা হলো আর বিভিন্ন সরকার প্রধানের আমলে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকরা সরকরী করনের প্রত্যাশা আন্দোলন করে আসলেও তা থেকেছে অধরাই । হঠাৎ করেই কেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেজিষ্টার প্রাইমারি স্কুলকে সরকারী ঘোষনা করলেন বুঝা খুব কঠিন । তারা যে খুব জোরে শোরে আন্দোলন করেছেন তা আমার নজরে আসেনি । অথচ তাদের সরকারী করা হলো । যাই হোক সরকারী করেছেন তাতে আপত্তি নেই । কিন্তু জট লেগেছে কেন এমপিওভুক্ত বেসরকারী স্কুলের শিক্ষকদের না করে কেন রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারী করা হলো । এর একটি কারন আমার মনে হয়েছে যে, তারা অনেকগুলো দলে বিভক্ত হয়ে আন্দোলন করেছে নতুবা স্কুলের সাথে কলেজকে যোগ করায় । যাই হোক এবার সরকার কোন পদক্ষেপ নেই সেটাই দেখার বিষয় ।
সরকার ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর এবার জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে প্রায় ২৭ হাজার বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বুধবার ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটি কার্ালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া বলেন, “আমরা এতোদিন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলেও বিগত চার বছরে একটি দাবিও পূরণ হয়নি। সরকারের একগুয়েমির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে আমরা লাগাতার ধর্মঘট পালন করব।”
এরপরও দাবি পূরণ না হলে ২৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী আগামী ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় মহা-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আসন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দায়িত্ব বর্জন করারও হুমকি দেন এই শিক্ষাক নেতা।
সেলিম ভূইয়া বলেন, “বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই তালা ঝুলিয়ে ধর্মঘট পালন করা হবে।”
আপাতত যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠান ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান তিনি।
ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, “সরকার কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা করলেও এর মধ্য দিয়ে কোচিং ব্যবসা আরো রমরমা হয়ে উঠেছে। সরকারের উচিৎ, সব ধরনের প্রাইভেট ও কোচিং বন্ধ করা।”
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের এক মহাসমাবেশে দেশের প্রায় ২৬ হাজার দুইশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে প্রায় এক লাখ চার হাজার বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ হলো।
এদিকে এমপিওভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা গত তিন দিন ধরে রাজধানীতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট।মঙ্গল ও বুধবার তাদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষও হয়।
তবে একটা কথা আমি বলতে চাই রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বেশিরভাগই সঠিক ছিলনা ।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
ওঁ
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
শয়ন কুমার বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর গতকালের ঘোষণার মধ্য দিয়ে মূলত প্রাথমিক স্তরে 'বেসরকারি' বলে আর কিছু রইলো না। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত, আবেদনকৃত, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সব ধরনের বিদ্যালয়ের
দায়দায়িত্ব সরকার নিয়ে নিল। কেবল ব্যক্তি মালিকানাধীন স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, ইংলিশ মিডিয়াম ও প্রি-ক্যাডেট স্কুল এর আওতায় থাকছে না।
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
শয়ন কুমার বলেছেন: ব্যক্তি মালিকানাধীন স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, ইংলিশ মিডিয়াম ও প্রি-ক্যাডেট স্কুলের আন্দোলন রত এসব টিচারদের দাবির ব্যাপারে এদের সঙ্গেও আলোচনায় বসছেন প্রধানমন্ত্রী Click This Link
তবে ক্ষেত্রে আমার অভিমত হলঃ
"নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যার যেমন খুশী ব্যক্তি মালিকানায় তেমন করে স্কুল বানাবে, আত্নীয়স্বজন সবাইকে স্কুল এর শিক্কক বানাবে তারপর সরকারী টাকা মেরে খাবে। এইসব শিক্ষকদের চাকুরী সরকারী করার আগে শিক্ষকদের মানদন্ড বাচাই করা উচিত।"
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: শিক্ষকরা যদি এত দুর্দশায় থাকে তাহলে তারা দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়বে কিভাবে? আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পর্যন্ত সবাই এই শিক্ষদের হাত ধরেই এসেছেন। এই যদি হয় শিক্ষকদের অবস্থা তাহলে মেধাবীরা তো দুরের কথা নিতান্তই পেটের দায় না পড়লে কেউই যাবে না শিক্ষকতা পেশায়। আমরা তাহলে ভাল শিক্ষক কোথায় পাব? ভাল শিক্ষকের অনুপস্থিতি মানে দুর্বল ভবিষ্যত প্রজন্ম যা জাতির জন্য অন্ধকারময় ভবিষ্যত ছাড়া আর কিছু আনবে না।