![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের বর্তমান অবস্থায় আমি খুবই চিন্তিত!!
আব্দুল কাদের মোল্লার ফাসি কার্যকরের পর একটি বিষয় নিয়ে খুব আলোচনা, সমালোচনা হচ্ছে মিডিয়া, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এবং আন্দোলন হচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে। আর তা হলো পাকিস্থান পার্লামেন্টে কাদের মোল্লার ফাসি নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব।
আমি একমত যে,বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানোর অধিকার পাকিস্থান কেন বিশ্বের কোন রাষ্ট্রের নেই।
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার (শুধুমাত্র দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে করা হচ্ছে) নিয়ে যখন পাকিস্থান নিন্দা প্রস্তাব করল তখন আমাদের দেশের মিডিয়া, কিছু সাংস্কৃতিক কর্মী, গনজাগরন মঞ্চ এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পর্যন্ত আতে ঘা লেগে গেল। সারা দেশে হইচই পড়ে গেল যে, আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে কথা বলার পাকিস্থান কে?? পাকিস্থান প্রমান করে দিল আব্দুল কাদের মোল্লাই কসাই কাদের! জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন ইত্যাদি ইত্যাদি।।
কিন্তু এখন আমার প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলার অধিকার ভারতকে কে দিয়েছে?? সুজাতা সিং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলার কে??
ভারত যখন আমার দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে মাথা ঘামান তখন কোথায় থাকে আমাদের গনজাগরণ মঞ্চ?? কোথায় থাকে তখন তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?? তখন স্বাধীনতার সার্বভৈামত্বে উপর আঘাত হনে না কেন?? ভারত আমাদের দাদা বলে??
যখন কাদের মোল্লার ফাসি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন ফাসি না দেয়ার জন্য তখন কোথায় ছিল গনজাগরন মঞ্চ ও সুশীল সমাজ?
যখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনাকে ফোন করে অনুরোধ করেছিলেন কাদের মোল্লার ফাসি না দিতে এবং ফাসি দেয়ার পর বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাযা আদায় করলেন তখন কেন তুরস্ক বিরুদ্ধে কোন কথা বলা হল না এবং তাদের দুতাবাসও ঘেরাও করা হল না??
ব্রিটেনের ওয়ার্সি এসে যখন হাসিনাকে বলে গেল কাদের মোল্লার ফাসি না দিতে তখন কেন ব্রিটেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা হল না?? কেন বলা হলো না জামায়াত ব্রিটেনের দোসর??
আমেরিকার জন কেরিও হাসিনাকে ফোন করেছিলেন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ইস্যু নিয়ে তখনও কেন আওয়ামী লীগ কোন নিন্দা জানালো না যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে?? যুক্তরাষ্ট্রকে কেন বলল না আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে কথা বলার আপনারা কে??
এ কথা কেন তাদের বলতে পারলেন না? কেন তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে পারলেন না?? তারা সকলেই পরাশক্তি বলে?? তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে ক্ষমতায় টিকে থাকা মুশকিল হবে বলে??
ধিক্কার জানাই এই দ্বিমুখী নীতীর জন্য আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের!!
আওয়ামী লীগের এই দ্বিমূখী আচরন দেখে একটি কথা মনে পড়ে, "রামে করলে লীলা খেলা আর আমরা করলে দোষ।"
অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারত কথা বললে কোন সমস্যা নাই আর পাকিস্থান বললেই দোষ!
©somewhere in net ltd.