নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ

লেখালেখি করার ইচ্ছা আমার দীর্ঘ দিনের

কে এম সুমন

দেশের বর্তমান অবস্থায় আমি খুবই চিন্তিত!!

কে এম সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতি কি মেধা শূন্য হতে যাচ্ছে???

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

মূর্খ-জ্ঞানী থেকে শুরু করে দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই জানে যে, "শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড।" ইংরেজীতে যেটাকে বলে "ইডুকেশন ইজ দ্যা ব্যাকবোন অফ এ নেশন।"

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে অনেক ভাব-সম্রসারন লিখেছি।

অতীতে ব্রিটিশরা থেকে শুরু করে অনেক জমিদারই তাদের শাসন ব্যবস্থা কায়েম রাখতে গিয়ে নিজেদের অধিনস্ত এলাকায় শিক্ষার আলো পৌছাতে বাধা সৃষ্টি করত।

আজ আমাদের দেশেও এই ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের অর্থাৎ জাতীকে মেধা শূন্য করার পরিকল্পনা হচ্ছে নাতো???

গতকাল প্রথম আলোতে দেখলাম আমাদের শিক্ষা মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া শুধুমাত্র পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। যদি এটা বাস্তবায়ন হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ধীরে ধীরে মেধাবীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

একটু ভাবুন এবার এইস.এস.সি এবং ভর্তি পরীক্ষার কথা। প্রথম পরীক্ষাটি প্রশ্নপত্র ফাঁস যার ফলে অনেক ভালো রেজাল্ট অর্থাৎ এ+ নিয়ে বেরিয়ে আসল লাখ লাখ শিক্ষাথী যার মধ্যে গোল্ডেন এ+ ও রয়েছে ভুরি ভুরি। আর সেই সকল শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় গিয়ে পাস নম্বরই তুলতে পারল না। কারনতো আপনারা বুঝতেই পাড়ছেন!!!

তার মানে বোঝা যাচ্ছে ভর্তি পরীক্ষাটা মেধাবী বাছাইয়ের ছাঁকনী হিসেবে কাজ করেছে। যারা প্রকৃত পড়ালেখা করে এসেছে তারাই ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে পেরেছে। গতকাল এক টকশোতে ড. জাফর ইকবাল একটা মেয়ে শিক্ষাথীর উদাহরন দিয়েছিল তা হচ্ছে মেয়েটি ফাঁসকৃত প্রশ্ন না দেখে নিজের মেধা দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল এবং ফাঁস হওয়া প্রশ্ন প্রত্রের সহায়তায় পরীক্ষা দেয়া বন্ধু গুলো অপেক্ষা তার রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল। কিন্তু সকল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে সেই মেয়েটি তার অন্য বন্ধু গুলো থেকে অনেক ভালো করেছিল।

যদি শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে রেজাল্টের ভিত্তিতে ভর্তি করানো হতো তাহলে এই প্রকৃত মেধাবী মেয়েটি কি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারতো???

আরও একটি ঘটনা ঘটতে পারে তা হলো কোন প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থী যে সবগুলো শ্রেনীতে ভালো রেজাল্ট করে এসেছে কিন্তু পাবলিক পরীক্ষায় এসে কোন কারনে (যেমন: অসুস্থতা, পারিবারিক কোন দুর্ঘটনা ইত্যাদি) দু-একটি বিষয়ে পরীক্ষা খারাপ দেয়ার কারনে তার রেজাল্ট খারাপ হতে পারে তাই বলে কি সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে???

তাই আমার মতে রেজাল্টের ভিত্তিতে ভর্তি পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জাতীর জন্য মারাত্মক একটি ভূল এবং আমি বলব এটা জাতীকে মেধাশূন্য করার একটা পদ্ধতি ছাড়া আর কিছুই নয়।।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে আমি অনুরোধ করব এমন বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং কি করে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং শিক্ষক কর্তৃক উত্তর পত্র সরবরাহ বন্ধ করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা যায় সেই পদক্ষেপ নিন। তাতে জাতীর কল্যান হবে দেশও বাঁচবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১০

রাখালছেলে বলেছেন: হেডিং ঠিক করে দিন দয়া করে "জাতী" না "জাতি" হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.