নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রভাবপ্রতিপত্তি আজীবন থাকে না। প্রতারকরাও প্রতিরিত হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতাসীনের কী হবে? কবর অথবা শ্মশানে প্রতিদিন মৃতসৎকার হয়। ©_Mohammed Abdulhaque [www.mohammedabdulhaque.com]

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক

অন্তত একবার সত্যকে তার সম্বন্ধে কিছু বলতে দাও। আমরা কে কী, অন্যরা তা জানতে এবং দেখতে পারবে।

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'করুণাময় করুণা করো\'

১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৬



হাই কমিশন অফিসে যারা কাজ করেন উনারা খুশিমতো আচার আচরণ করেন। অসহায়ের মত তাকিয়ে দেখতে হয়, সেবা গ্রহণের জন্য গেলে মনে হয় দয়া ভিক্ষার জন্য কোনো রাজদরবারে গিয়েছি।

যাক, ভিডও দেখে আমারও মাথা গরম হয়েছিল। বকাবকি লাফালাফি দেখে মন চেয়েছিল হাতের কাপ ছুড়ে মারি!

এমন কয়েকজনের কারণ সকলকে বকলে অনেকের মন খারাপ হবে। কিছুলোক সকলখানে আছে, ওদের কথা শুনলে থাপড়াতে মন চায়। আমি যখন দেশে যাই তখন অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকি। অফিসারদের হাবভাবে ভয়ত্রস্ত হই।

দেশে পৌঁছে যারা বাড়াবাড়ি করে ওদেরকে কেউ পছন্দ করে না। একজন যে বকা দিয়েছে সেই বকার জন্য তার জেল হওয়া উচিৎ, আপনারা কী বলেন?

নবাবজাদা হলো উচ্চস্তরের গালি অথবা কটু বাক্য। কাউকে হেনস্তা করার জন্য এই কটু বাক্য ব্যবহার করা হয়। উচ্চপদস্থ হয়ে এই কটু বাক্য ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।

রেমিটেন্স নিয়ে বকাবকি না করে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে, প্রফেশনাল হতে হবে। মাথা মোটাদেরকে কেউ পছন্দ করে না।

করোনাভাইরাস নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে রাশিয়াতে ৫ বছরের জেল। কোরিয়াতে গুলি করে হত্যা করে।

এই ভাইরাস দেশে ছড়ালে সর্বনাশ হবে! সত্যি বলছি আমার মাথায় কুলাচ্ছেনা।

দেশে পৌঁছে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েছিল কেমনে? এই বিচার আগে করতে হবে। এক থেকে শুরু করে দুই গুনলে দেশ নিরাপদ হবে। যারা ওদেরকে বেরোতে সাহায্য করেছে তাদেরকে জরিমানা করে ওদের সাথে এক কামরায় রাখলে আগামীতে এমন কাজ করা থেকে অন্যরা বিরত থাকবে।

এখন সকলকে সচেতন হতে হবে নাইলে কী হবে কেউ জানে না। সত্যি ভয় হচ্ছে। আমি টেক্সি চালাই, মানে কখন আক্রান্ত হব জানি না। আমি বুড়ো মানুষ এবং দুর্বল, আমার স্ত্রীও দুর্বল। এক ডাক্তারকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছিলাম পৌঁছার পর জিজ্ঞেস করেছিলাম আক্রান্ত হলে কী হবে, আমিতো ভয়ে মরে যাচ্ছি। ডাক্তার বলেছিল, তেমন কিছু হবে না তবে দুই সপ্তা কষ্টভোগ করতে হবে, এই কষ্টভোগ উপভোগ্য নয়। জোয়ানরা এবং কর্মঠরা ঠিকে থাকবে, দূর্বল এবং বৃদ্ধদের জন্য আশঙ্কা বেশি।

মরতে হবে জেনেও মানুষ বাঁচতে শিখেছে, মৃত্যুর পর নিথর হবে জেনেও সম্পদ এবং শক্তির জন্য মরিয়া হয়েছে। করুণাময় করুণা করো, ভয়ে অন্তরাত্মা সন্ত্রস্ত হয়েছে। স্বত্ব মো.আ.হা

সকলের মঙ্গল হোক।
ছবি নেট থেকে

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই মুহূর্তে প্রবাসীরা অত্যন্ত জরুরী কাজকর্ম ছাড়া দেশে না যাওয়াই উত্তম। প্রবাসীরা নবাবজাদা কারণ তারা বিদেশ হতে দেশে টাকা পাঠায়। মন্ত্রীর মত লোকেরা দেশ হতে বিদেশে টাকা পাচার করে। জনগণের সম্পদ ও ভোট চুরি করে বড় বড় কথা বলে। যে ইটালি প্রবাসী পুরা মাতৃভূমিকে গালি দিয়েছে সে চোখে কালো চশমা পরা পাপিয়া ,সাদিয়া ,ডি সি ,জিকে শামিম পর্যায়র লোক। দেশের আয়ের দুইটা বড় খাত হলো প্রবাসীদের আয় আর পোশাক খাত। আশকোনায় যেভাবে প্রবাসীদের গণ বিছানা করে ক্যাম্পে রাখে এমন করে ,কোন নেতার ঘরের চাকরও থাকে না । এখন প্রবাসীদের উচিত দেশের সম্পদ পাচারকারীদের বিদেশে কুত্তার মত আচারন করা। আর টাকা পাঠানো বন্ধ করা। তারপর দেখা

১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আরেক পোস্টে আপনাকে সালাম দিয়েছি সত্য বলার জন্য। আমার পোস্টে সমান মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তো ওটা একটা কেটার? ওকে আক্রান্তদের সাথে রাখা সমিচিন।

ভাইজান, মাথায় কাজ করছে না, একটু নিরাপত্তার জন্য লোকজন এখন প্রায় মরিয়া, এবং এই মরিয়া হয়ে আমরা মরতে শুরু করব।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃটেন সরকার এই সময়ের জন্য কোনভাবে সাহায্য করছে কিনা আপনার স্হানীয় রিপ্রেজেন্টেটিভ থেকে জেনে নিন।

১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আতঙ্কের কথা হলো, ইতালি থেকে লোকজন এসেছে এবং তাদেরকে চেক না করেই প্রবেশ করতে দিয়েছিল।
সরকার সাহায্য করবে বলেছে, যারা কামলারা আক্রান্ত হলে প্রথম দিন থেকে ভাতা দেবে। Freelancer and self employed রা বিপাকে পড়বে। কাজ না করলে বিল কেমনে পে করবে? আমিতো uber এর সাথে কাজ করি। ভাইরাসাক্রান্ত হলে ওরা দৈনিক ৭০ পাউন্ড দেবে। এসব নিয়ে লোকজন্য চিন্তিত নয়, আমরা আসলে ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রি বলেছেন বাইরে না যাওয়ার জন্য, ডাক্তারখানা অথবা হাসপাতালে না যাওয়ার জন্য। শুধু মৃত্যুর হবে এমন রোগিরা যেতে পারবে। এখন আপনি বলুন এমন অবস্থায় কে কী করবে? ওরা শুধু কেমেরার সামনে বলছে সব ঠিকঠাক আছে, আসলে ওরা সবাইকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। :((

আপনাদের খবর কী? শুনেছি আপনাদেরও একাবস্থা।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আল্লাহ আপনার সহায় হোন ।

১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই, মৃত্যুর ভয়ে ত্রস্ত নই। এটা আসলো কষ্টের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ওরা সাবধানে নিয়ন্ত্রণ করছে।

ইয়া আল্লাহ সকলকে নিরাপত্তা দাও, আমিন।

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সহায়। আল্লাহ ভরসা।

১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমিন।

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আপডেট খবর: বাংলাদেশে আটজন আক্রান্ত। যারা রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশকে বাঁচিয়ে রাখে তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। কারও কারও হদিসই মিলছে না। দেশে ভাইরাস ছড়ানোর অধিকারও ওদের আছে!!

১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এটা কেমন প্রেম?

এখন কী বলব? আল্লাহ ভরসা বললে আপনি বলবেন দোয়ায় কাজ হবে না। পুলিশের কথা বললে বলবেন ঘোষের টাকা নেই।

কী করা যায় আপনি বুলেন।

হর্তাকর্তারা আক্রান্ত্র হলে খুব মজা হবে, আপনি কী বলেন?

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর যেন কোন উপায় নেই ভাইয়া। আপনি প্রবাসে এত পরিশ্রমে দিন কাটিয়েও ব্লগিং করেন জেনে আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বহুগুণ বেড়ে গেল। যে পরিস্থিতিই হোক উপরওয়ালা সহায় হোন।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সত্যি কথা বলি, ব্লগিং করে আমি বাংলা শিখেছি।

যাক, এখন আমাদেরকে ধৈযের সাথে চলতে হবে, এভাবে কতদিন যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বেতন ভাতা, রুজি রুটি এখন আয়ত্তে বাইরে।

দয়াময়ের দয়া ছাড়া এবার আমরা নিরুপায়। দয়াময় দয়া করে দয়া করো।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৫

ইসিয়াক বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.