নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদ শাহ এ এম এস কিবরিয়া। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের নবগঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক ও পরে সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এবং ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধেও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি নিজ জেলা হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে এক রাজনৈতিক জনসভা শেষে গাড়িতে ওঠার সময় দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় বাংলাদেশের ক্ষণজন্মা মানুষ শাহ এ এম এস কিবরিয়া মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৯ম মৃত্যুবাষিকী। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া, পুরো নাম শাহ আবু মোহাম্মদ শামসুল কিবরিয়া ১৯৩১ সালের ১ মে, বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শাহ ইমতিয়াজ আলী ছিলেন বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারের অগ্রদূত। কিবরিয়া শৈশবেই তীক্ষ্ণ ধী-শক্তির অধিকারী ও মেধাবী ছাত্র হিসেবে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ঐ বৎসরেই বাংলা ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান পুলিশ কর্তৃক তিনি গ্রেফতার হন এবং অল্পকিছুদিন পরেই মুক্তি পান। ১৯৫৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের পর পাকিস্তান সরকারের সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে পাকিস্তানে বৈদেশিক বিভাগে যোগদান করেন। কিবরিয়া আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে ফ্লেচার স্কুল অব ল এবং যুক্তরাজ্যের লণ্ডনে ব্রিটিশ ফরিন অফিসে কূটনৈতিক সেবায় আরো দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের বৈদেশিক বিভাগে যোগদান করে কিবরিয়া পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক হয়েছিলেন। শাহ এ এম এস কিবরিয়া পাকিস্তানের কূটনৈতিক মিশনের সদস্য হিসেবে কলকাতা, কায়রো, জাতিসংঘ মিশন, নিউইয়র্ক, তেহরান এবং জাকার্তায় নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে পাকিস্তান দূতাবাসে নিযুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শাহ কিবরিয়া ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে চাকুরীরত ছিলেন। পাক দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় ৪ আগস্ট, ১৯৭১ তারিখে তিনি ও তার বাঙ্গালী সহকর্মীবৃন্দ দূতাবাস ত্যাগ করে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখান। পরে তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন তদারকী করাসহ বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে প্রভূত সহায়তা করেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাফল্য ও অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিতভাবে বুলেটিন, পুস্তিকা প্রকাশনার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করে স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যাপক অবদান রাখেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর শাহ এ এম এস কিবরিয়া ঢাকায় নবপ্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজনৈতিক বিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও, তিনি সচিব হিসেবে প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ফিজিতে হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করে। ১৯৭৬ সালে তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের ইউরোপীয় কার্যালয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ সালে বৈদেশিক সচিব হিসেবে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালে ৭৭-জাতি গ্রুপের প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ম্যানিলায় আংকটাডের সভায় নির্বাচিত হন তিনি। মে ১৯৮১ থেকে মার্চ ১৯৯২ পর্যন্ত সময়কালে কিবরিয়া এসকাপের নির্বাহী সচিবের পদে অধিষ্ঠিত হন। এছাড়াও, ১৯৮৬ সালে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি হিসেবে কম্বোডিয়ায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। জাতিসংঘের কার্যাবলী সম্পন্ন করে কিবরিয়া ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। দেশের সেবা করার লক্ষ্যে রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ঐ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে এডভাইজরী কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। একই সময়ে কিবরিয়া জাতীয় দৈনিকগুলোতে অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ইস্যু সম্পর্কীয় নিবন্ধ লেখতে শুরু করেন। শাহ কিবরিয়া নিয়মিতভাবে জাতীয় দৈনিকগুলোতে অর্থনীতি এবং রাজনীতি বিষয়ক নিবন্ধ রচনা করে গেছেন। এছাড়াও তিনি সাপ্তাহিক মৃদু ভাষণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক ছিলেন। শাহ এ এম এস কিবরিয়া ৪টি বই রচনা করছেন। যথাঃ
১। মৃদু ভাষণ, ১৯৯৭, আইএসবিএন: ৯৮৪-০৫-০১৮৩-৬
২। দি ইমার্জিং নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার, ইংরেজি, ১৯৯৯, আইএসবিএন: ৯৮৪-০৫-১৪৭০-৯
৩। বাংলাদেশ এট দ্য ক্রসরোডস্, ইংরেজি, ১৯৯৯, আইএসবিএন: ৯৮৪-০৫-১৪৬৩-৬
৪। চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য
শাহ এ এম এস কিবরিয়া ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতির "রাজনৈতিক উপদেষ্টা" পদে নিযুক্ত হন। জুন ১২, ১৯৯৬ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের পর তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রী পরিষদে অর্থমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে কিবরিয়া ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
২০০১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঐ সরকারের মেয়াদকালীন সময়ে একই পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশ সেবার মানসে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। এছাড়াও ১৯৯৭ সালের বার্ষিক সভায় কিবরিয়া এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে শাহ এ এম এস কিবরিয়া হবিগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে মেম্বার অব পার্লামেন্ট (এমপি) বা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত জীবনে মৃদুভাষী ব্যক্তিসত্তার অধিকারী, পরিশীলিত ও মার্জিত ভদ্রলোক হিসেবে সামাজিকভাবে ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার সততা, বিনয়, শিষ্টতা ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গীতে সম্মানিত রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। কিবরিয়া'র পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া একজন স্বনামখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং কন্যা ড. নাজলী কিবরিয়া বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তার সহধর্মিনী আসমা কিবরিয়া ব্যক্তিগত জীবনে একজন চিত্রকর।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি তারিখ বিকেলে শাহ এ এম এস কিবরিয়া হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক রাজনৈতিক জনসভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বক্তৃতা শেষ করে স্কুল গেট দিয়ে বের হয়ে আসার সময় তাকে লক্ষ করে দ্রুত দুটি আর্জেস গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি ও তার ভাইপোসহ তিন সহযোগী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। কিবরিয়াকে প্রথমে হবিগঞ্জ এবং মাধবপুরে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ডাক্তারের অনুপস্থিতি এবং চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুলতার জন্য তার কোনো চিকিৎসা করা যায়নি। পরবর্তীকালে তাকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৬৫ মাইল দূরবর্তী ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। এ্যাম্বুলেন্স সহযোগে বারডেম হাসপাতালে শাহ কিবরিয়াকে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শাহ কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডে হবিগঞ্জের নিরাপত্তা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তাসহ চিকিৎসকদের ভূমিকার ব্যাপক সমালোচনা হয়। কিবরিয়ার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সরকার-বিরোধী আন্দোলন ও দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয়। বায়ান্নয় শহীদদের রক্ত প্রতিষ্ঠা করেছিল মাতৃভাষার মর্যাদা। মতিউর-আসাদের রক্ত স্বাধিকার আন্দোলনকে করেছিল বেগবান। বঙ্গবন্ধু-হত্যা, জেলহত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার ধারাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছিল। নূর হোসেন-ডা. মিলনের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি করেছিল। ২০০৫-এর সূচনায় ক্ষণজন্মা রাজনীতিবদি শাহ এ এম এস কিবরিয়ার আত্মদান জাতিকে স্বাধীনতার মূলধারায় অর্থাৎ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে পুনঃস্থাপনে শক্তি যোগাবে- এ বিশ্বাসই এখন আমাদের পথ দেখাচ্ছে।
এই হামলায় শাহ কিবরিয়াসহ নিহত ৫জনের হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো শুরু হয়্নি এর বিচার কাজ। ২০০৫ থেকে ২০১৪, নয় বছর সময়েও কিবরিয়া হত্যার বিচার হলো না, এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কি হতে পারে? তদন্তের পর তদন্ত চলছে, কিন্তু বিচারের বাণী কাঁদছে নীরবে-নিভৃতে। ৮ বছরে যে মামলা তদন্তের গন্ডি পেরুতে পারেনি এখন সরকারের উচিত এ মামলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা। কূটনীতিবিদ শাহ এ এম এস কিবরিয়ার আদর্শ আমাদের নিরন্তর প্রেরণার উৎস হয়ে থাকুক আর অনতি বিলম্বে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সূত্রঃ Shah AMS Kibria.org বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুনঃ
শাহ এ এম এস কিবরিয়া
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
রমিত বলেছেন: জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুদিবসে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আত্মীয় হলেও আমি বিদেশে থাকার কারণে দেখা সাক্ষাৎ হতো কম। বুদ্ধিদীপ্ত মানুষটি বেশ নম্র-ভদ্র ছিলেন।
অর্থনীতির উপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা হলেও উনাকে অর্থনীতিবিদ বলা যাবে না। উনার এই বিষয়ে কোন পাবলিকেশন্স নেই সম্ভবত। তবে পেশাগত জীবনে তিনি অত্যন্ত অভিজ্ঞ ডিপ্লোমেট ছিলেন। রাজনীতিতেও উনার সাফল্য রয়েছে। ১৯৯৬ সালে উনার সমর্থিত দলের ক্ষমতায় আসার পিছনে উনার যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলা শোনা যায়।
উনার হত্যাকন্ডের সংবাদে সবাই ব্যাথিত হয়েছিলো। বর্তমানে তো উনার সমর্থিত দলই ক্ষমতায় রয়েছে। তাই সকলেই যথাযথ তদন্ত ও বিচার হবে বলে আশা করেছিলো।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি। ৯ বছরেও এই হত্যকান্ডের বিচারও শুরু হল না-জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য লজ্জার।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
আওয়ামী লীগ এই বিচারের ব্যাপারে উদাসিন কেন???
তিনি বর্তমান আওয়ামি লিগ থেকে ভালই ছিলেন
তার আত্মা শান্তি পাক
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ-কূটনীতিবিদ এবং প্রক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার মৃত্যুবাষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
মৃত্যু না, এটি হত্যাকান্ড।
এসব হত্যাকান্ডের মুল হোতা ছিল তৎকালিন বিএনপি-জামাতের একটি উগ্র ডানপন্থি গ্রুপ, যারা দলের হাইকমান্ড ও চেয়ারপারসনকে অন্ধকারে রেখে একটি নৃশংশ হত্যা পরিকল্পনা সুরু করে, টার্গেট ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষকে মেধাশুন্য ও নেতৃত্যশুন্য করে ফেলা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া কে সরাসরি গ্রেনেড ছুড়ে হত্যা করা হয়। এর কিছু দিন পর সিলেট মেয়র কামরানের উপর হামলা হয়, তিনি অল্পের জন্য বিষ্ফোরোনের হাত থেকে বেঁচে যান, তাকে লক্ষ করে ছোঁড়া গ্রেনেডে তার পার্কিং স্পেসে ইব্রাহিম সহ কয়েকজন নিহত হয়।
এর কদিন পরেই সিলেট মহিলা আওয়ামিলিগ সভায় ছোড়া গ্রেনেডে কয়েক জন নিহত হয়। মৌলবাদ বিরোধী ব্রীটিষ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে গ্রেনেড মারা হয়, অল্পের জন্য বেচে যান বাংলাদেশী বংশদ্ভব আনোয়ার চৌধুরী। ঢাকায় ও দেশের অন্যান্ন স্থানেও তাদের ভাড়াটে আততায়িরা হত্যাকান্ড চালাচ্ছিল। জনপ্রীয় নেতা আহাসানুল্লা মাস্টার ... কবি সামসুর রহমান, হুমায়ুন আজাদ। তবে হাসিনা উপর গ্রেনেড হামলায় হত্যাচেষ্টা মিশনে তাদের উচ্চ প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়।
২০০৫ এর দিকে ব্রিটিশ-ইইউ এর প্রবল চাপে সুধু অনোয়ার চৌধুরী হত্যা প্রচেষ্টা মামলা তদন্ত সুরু হয়, এতে মুফতি হান্নান সহ কিছু নাম বেরিয়ে আসে।
Click This Link