![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন বিদ্রোহী বলছি ঃ যেখানে দেখিবে কোন অন্যায় অত্যাচার সেইখানে পাইবে শুনিতে আমার হুংকার সময় এসেছে সাথিরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে গর্জে উঠার।
এস এম আসলাম তালুকদার মান্না যিনি আমাদের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ১৯৮৪ সালে এফডিসির 'নতুন মুখের সন্ধানে' কার্যক্রমে র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যিনি আগমন করেন। তাঁর প্রথম অভিনীত ছবির নাম তওবা কিন্তু প্রথম মুক্তি পায় 'পাগলি' ছবিটি। সেই নতুন মুখের সন্ধানে মান্নার সাথে আরও এসেছিলেন খালেদা আক্তার কল্পনা, নায়ক সুব্রত, নায়ক সোহেল চৌধুরী , নিপা মোনালিসা যারা মান্নার জীবিত অবস্থায় হারিয়ে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ যাবত প্রায় ৪০০ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মান্না। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত 'কাসেম মালার প্রেম' ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন। এর আগে সব ছবিতে মান্না ছিলেন ২য় নায়ক। 'কাসেম মালার প্রেম' ছবিটি সুপার ডুপার হিট হওয়ার কারনে মান্না একের পর এক একক ছবিতে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন। এরপর কাজী হায়াত এর দাঙ্গা ও ত্রাস ছবির কারনে তাঁর একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সহজ হয়ে যায়। এরপর মোস্তফা আনোয়ার এর অন্ধ প্রেম, মমতাজুর রহমান আকবর এর 'প্রেম দিওয়ানা', ডিস্কো ড্যান্সার, কাজী হায়াত এর দেশদ্রোহী, আকবরের 'বাবার আদেশ' ছবিগুলো মান্নার অবস্থান শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
মান্না একমাত্র নায়ক যিনি ১০০ এরও অধিক পরিচালক ও ৬১ জন নায়িকার সাথে ছবিতে অভিনয় করেন যা যে কোন অভিনেতার জন্য একটি বিরল রেকর্ড।৮০র দশকে মান্না যখন ছবিতে আসেন তখন চলছিল আলমগীর, রাজ্জাক, জসীম, ফারুক, জাফর ইকবাল , ইলিয়াস কাঞ্চন দের স্বর্ণযুগ। সেখানে মান্না তওবা, পাগলী , ছেলেকার, নিস্পাপ, পালকি, দুঃখিনী মা,বাদশা ভাই এর মতো ব্যবসা সফল ছবি উপহার দেয়। কিন্তু সবগুলো ছবিতে মান্না ছিলেন ছবির ২য় নায়ক। তাই ব্যবসার কৃতিত্ব কখনও আলমগীর, কখনও রাজ্জাক, কখনও ফারুকের উপর যেতো।
৯০ দশক আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের একটি স্মরণীয় দশক। এই দশকে পুরনো নায়ক নায়িকাদের পাশে আমরা পেয়েছিলাম অনেক নতুন মুখের অনেক সেরা ছবি যেগুলো বাণিজ্যিক ছবির ব্যবসার তুঙ্গে নিয়ে যায়। ৯০ দশকের শুরুটা ছিল কাঞ্চন ও রুবেল এর জন্য দারুন ও সেরা সময়। রুবেল অভিনীত শিবলি সাদিক এর 'অর্জন' 'মা মাটি দেশ' , খোকনের 'বিপ্লব', 'সন্ত্রাস', 'টপ রংবাজ' এ যে রানার 'মহাগুরু', 'মৃত্যুদণ্ড' আবুল খায়ের বুলবুল এর 'শেষ আঘাত' 'মায়ের কান্না' র মতো সুপারহিট সব ছবি । অন্যদিকে নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন অভিনীত আজিজুর রহমান বুলির 'বাপ বেটা ৪২০' (মান্নাও ছিল) , শিবলি সাদিক এর 'মা মাটি দেশ' 'মাটির কসম (১০০ তম ছবি)' ফজল আহমেদ বেনজীর এর 'প্রেমের প্রতিদান' 'বেপরোয়া', নুর হোসেন বলাই এর 'এই নিয়ে সংসার' 'মহৎ' তজাম্মেল হক বকুলের 'গারিয়াল ভাই' সোহানুর রহমান সোহান এর প্রথম ছবি 'বেনাম বাদশা', ওয়াকিল আহমেদ এর 'সৎ মানুষ' মমতাজুর রহমান আকবর এর 'চাকর' এর মতো সব সুপারহিট ছবি। এতো সুপারহিট ছবির মাঝে মান্না নিয়ে আসে ১৯৯১ সালে মোস্তুফা আনোয়ার এর 'কাসেম মালার প্রেম' ছবিটি যা ছিল তাঁর প্রথম একক ছবি। ছবিটি সুপারহিট ব্যবসার কারনে আমরা পাই এতদিনের ২য় নায়ক মান্নার নতুন একটি রুপ। এরপর মোস্তফা আনোয়ার এর 'অন্ধ প্রেম', অশোক ঘোষ এর 'শাদী মোবারক' বুলবুল আহমেদ এর 'গরম হাওয়া' কাজী হায়াত এর দাঙ্গা , ত্রাস সাইফুল আজম কাশেম এর 'সাক্ষাৎ', কামাল আহমেদ এর 'অবুঝ সন্তান' (আলমগীর) , দেলোয়ার জাহান ঝনটুর 'গরীবের বন্ধু' (আলমগীর) দিয়ে কাঁপিয়ে দেয়া মান্না ধীরে ধীরে এগুতে থাকেন। ৯১-৯৩ নতুন মুখ নাইম -শাবনাজ ও ৯৩-৯৬ সালমান -শাবনুর, সানী -মৌসুমি জুটির ব্যবসা সফল ও দারুন সব ছবির পাশাপাশি মান্না হাজির হয় মমতাজুর রহমান আকবর এর 'প্রেম দিওয়ানা' বাবার আদেশ , কাজী হায়াত এর 'সিপাহী', 'দেশপ্রেমিক' , দেশদ্রোহী , নুর হোসেন বলাই এর 'ওরা তিনজন' 'শেষ খেলা', নাদিম মাহমুদ এর 'আন্দোলন' 'রুটি' 'রাজপথের রাজা', এম এ মালেক এর 'দুর্নীতিবাজ' এফ আই মানিকের ' বিশাল আক্রমন' মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর 'চিরঋণী' এ যে রানার 'মানুষ' বেলাল আহমেদ এর 'সাক্ষী প্রমান' মমতাজুর রহমান আকবর এর 'ডিস্কো ড্যান্সার', 'বশিরা' মতো সুপারহিট ছবি দিয়ে মান্না নিজেকে প্রমান করতে থাকেন আর দিন দিন পরিচালকদের আস্থা অর্জন করেন।
৯৬ তে সালমান এর মৃত্যুর পর সালমান- সানী যুদ্ধের অবসান ঘটে। তখন পরিচালকরা একজন আস্থাশীল নায়কের সন্ধান করতে থাকেন যেন তাঁদের ব্যবসা লোকসান না হয়। ঠিক সেই সময়ে মান্না পুরো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে নিজের কাঁধে তুলে নেয়ার মতো কঠিন কাজ পালন করেন। ৯৭ সালে নায়ক হয়ে প্রযোজকের খাতায় নাম লিখান মান্না। সেই ছবি পরিচালনার দায়িত্ব দেন কাজী হায়াত কে যার পরিনাম লুটতরাজ এর মতো একটি সুপার ডুপারহিট ছবি। শুরু হয় মান্নার আসল যুগ। মুক্তি পেতে থাকে এনায়েত করিমের 'ক্ষুধার জ্বালা' নাদিম মাহমুদ এর 'এতিমরাজা' কাজী হায়াত এর 'তেজী', আকবরের 'শান্ত কেন মাস্তান' ইস্পাহানি আরিফ জাহানের 'মোস্তফা ভাই ' দেলোয়ার জাহান ঝনটুর 'রাজা বাংলাদেশী' এর মতো বছরের সেরা ব্লকব্লাসটার ছবি। শুরু হয়ে যা চারদিকে মান্না নামের ঝড়। সবাই তখন মান্না কে নিজের ছবিতে নিতে ছুটছে। চলচ্চিত্রের প্রযোজক পরিচালকরা পেলেন নতুন আশার আলো। মাঝে মাঝে রুবেল খানিকটা ঝিলিক দেখালেও মান্নার মতো নিয়মিত ঝিলিক দেখাতে ব্যর্থ । ৯৯ সালে মুক্তি পায় আকবরের 'কে আমার বাবা', কাজী হায়াত '[link|আম্মাজান ' রায়হান মুজিব ও আজিজ আহমেদ বাবুল এর 'খবর আছে' মালেক আফসারি পরিচালিত ২য় প্রযোজিত ছবি 'লাল বাদশা মতো সুপারহিট ছবি।
আম্মাজান ছায়াছবির কারনে মান্না সেই বছর বাচসাস এর সেরা নায়ক এর পুরষ্কার পান। ২০০০ এর দিকে যখন বাংলা চলচ্চিত্রের একটু একটু করে আঁধার নামতে থাকে তখন একমাত্র নায়ক মান্নার ছবিগুলো ছিল প্রযোজক ও পরিচালকদের আশার আলো এবং ব্যবসায় টিকে থাকার সাহস। মুক্তি পেতে থাকে কাজী হায়াত এর 'আব্বাজান ( এই ছবির কারনে ২য় বার বাচসাস পুরষ্কার প্যেছিলেন) , মালেক আফসারির 'মরণ কামড়', ছটকু আহমেদ এর 'শেষ যুদ্ধ' আকবরের 'গুন্ডা নাম্বার ওয়ান, কুখ্যাত খুনি, কাজী হায়াত এর 'বর্তমান', এফ আই মানিকের 'সুলতান , বদিউল আলম খোকনের 'দানব' আকবরের ' আঘাত পাল্টা আঘাত', 'মাস্তানের উপর মাস্তান' 'জীবন এক সংঘর্ষ , এফ আই মানিকের 'স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ', কাজী হায়াত এর 'সমাজকে বদলে দাও' , দেলোয়ার জাহান ঝনটুর 'বীরসৈনিক' জিল্লুর রহমান এর 'ঈমানদার মাস্তান', ইস্পাহানি আরিফ জাহান এর 'নায়ক' , কাজী হায়াত এর 'মিনিস্টার ' 'কষ্ট মালেক আফসারির 'বোমা হামলা' শহিদুল ইসলাম খোকনের 'ভেজা বিড়াল ', এফ আই মানিকের 'দুই বধু এক স্বামী', মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ' অশান্ত আগুন' ইস্পাহানি আরিফের ' ভিলেন' আকবরের 'আরমান' 'টপ সম্রাট' শাহাদত হোসেন লিটন এর 'কঠিন পুরুষ' , বদিউল আলম খোকন এর 'রুস্তম' এফ আই মানিকের 'ভাইয়া', বদিউল আলম খোকনের 'ধংস,' 'বাবার কসম' ,'বাস্তব' শাহিন সুমন এর 'নেতা', মনোয়ার খোকনের 'সত্যর বিজয়', শরিফ উদ্দিন খান দিপুর ' 'বাঁচাও দেশ' আহমেদ নাসির পরিচালিত ' মনের সাথে যুদ্ধ' এর মতো অসংখ্য সুপারহিট ছবি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে খারাপ সময়ে এতো বেশী সুপারহিট ব্যবসাসফল ছবি আর কোন নায়কের নেই। ৯৭ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (২০১০ এর ফেব্রুয়ারি) মান্না একাই বাংলা চলচ্চিত্রকে টেনে নিয়ে গেছেন।
কারন ঐ সময়ে মান্নার চেয়ে এতো বেশী ব্যবসা সফল ছবি আর কেউ দিতে পারেনি। এমনও বছর গিয়েছে যেখানে সেরা ১০ টি ব্যবসা সফল ছবির নাম খুজলে সব মান্নার ছবি পাওয়া গিয়েছিল। নবিন- প্রবীণ সব পরিচালকের কাছে মান্না ছিল সবচেয়ে আস্থাভাজন নায়ক। যাকে নিয়ে ছবি বানালে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কাজী হায়াত, আকবর ,এফ আই মানিক, মালেক আফসারি, ইস্পাহানি আরিফ এর মতো সিনিয়র পরিচালকরা যেমন মান্নাকে নিয়ে একাধিক সুপারহিট ছবি দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে শক্ত করেছেন তেমনি এই দশকের বদিউল আলম খোকন, শাহিন সুমন, শাহাদত হোসেন লিটন, শরিফুদ্দিন খান দিপুর মতো ব্যস্ত পরিচালকরা মান্নাকে দিয়ে সফল হয়ে নিজেদের সফলতার মুখ দেখেছেন। মান্না একমাত্র নায়ক যিনি ১০০ এর বেশী পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করেছিলেন । মান্নার পরিচালকদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন - দেলোয়ার জাহান ঝনটু, মোস্তফা আনোয়ার, কামাল আহমেদ, সাইফুল আজম কাশেম, জহিরুল হক, কাজী হায়াত, মমতাজুর রহমান আকবর, শফি বিক্রম্পুরি, আবুল খায়ের বুলবুল, মমতাজ আলী, নাদিম মাহমুদ, এনায়েত করিম, ইস্পাহানি আরিফ জাহান, ইফতেখার জাহান, আজিজুর রহমান বুলি, জিল্লুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, বাদশা ভাই, এফ আই মানিক, বদিউল আলম খোকন, শাহাদত হোসেন লিটন, নুর হোসেন বলাই, বেলাল আহমেদ , মোস্তাফিজুর রহমান বাবু , মালেক আফসারী ও শহিদুল ইসলাম খোকন। এতো বেশী পরিচালকের ছবিতে বাংলার আর কোন নায়ক অভিনয় করেনি।
সেই ৮০র দশকে সুনেত্রা, নিপা মোনালিসা থেকে শুরু করে চম্পা, দিতি, রোজিনা, নতুন, অরুনা বিশ্বাস, কবিতা এর মতো সিনিয়র নায়িকাদের সাথে অভিনয় করে যেমন সফল হয়েছিলেন তেমনি মৌসুমি, শাবনুর, পূর্ণিমা, মুনমুন, সাথী,স্বাগতা, শিল্পী,লিমা সহ এই দশকের নায়িকাদের সাথে সফল হয়েছিলেন যার বিপরীতে নায়িকার সংখ্যা ৬১ জন বেশী। মান্না আমাদের বাণিজ্যিক ছবির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় নাম হয়ে থাকবে। তাঁর অভিনয়, কথার ধরন সব কিছু মিলেই একটা আলাদা স্বতন্ত্র স্টাইল তিনি দাঁড় করিয়েছিলেন। এমন কিছু ছবি আছে যার জন্য মান্না চিরদিন দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছেন। মান্না ছাড়া হয়তো আমরা সেইসব ছবি পেতাম না। একটা সময় ছিল যখন ছবিতে শুধু মান্না আছে তাঁর কারনেই দর্শক হলে ছুটে গিয়েছিল, তাঁর কারনেই ছবিটি ব্যবসা সফল হয়েছিল। মান্না যে ছবিতে দুর্দান্ত সে ছবির কাহিনী যত গতানুগতিকই হোক না কেন সেই ছবি ব্যবসা করবেই তাতে কোন সন্দেহ নেই। সমসাময়িক রাজনৈতিক পটভূমির সাহসী প্রতিবাদী গল্পের এমন কিছু ছবি মান্না আমাদের দিয়েছিলেন যা অন্য আর কোন নায়ক দিতে পারেনি ও আগামীতে পারবে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। যে ছবিগুলো আমাদের চলচ্চিত্রকে করেছে সমৃদ্ধ । আজ হলবিমুখ বাংলা চলচ্চিত্রের করুন সময়ে আরেকজন 'মান্না' কে খুব বেশী প্রয়োজন যার কারনে ছবি পাড়া আবার সরগরম হবে, প্রযোজক পরিচালকরা ব্যবসা করার সাহস পাবে সর্বোপরি বাংলা চলচ্চিত্র আবার জেগে উঠবে এমন আরেকজন 'মান্নার আশায় পুরো বাংলা চলচ্চিত্র।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:২২
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ দীপ। অপেক্ষায় থাকলাম ও শুভ কামনা রইলো ।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:২৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: উত্তম পোষ্ট।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩০
কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৩৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: বাহ, ভাল সময় ঢুকেছিলাম ব্লগে। কবির খবর কি?
মান্নার কৃতিত্ব কোন অংশেই খাটো করার জন্য না, শুধুমাত্র পাঠকদের একটা গল্প বলার উদ্দেশ্যেই মান্নার একক নায়ক হিসেবে সুযোগ পাওয়ার পেছনের ইতিহাসটা একটু বলি।
আশির দশকের শেষের দিকে বাংলা ছবির শীর্ষ নায়িকা ছিলেন চম্পা এবং দিতি। একটু পুরোনো নায়িকা যেমন ববিতা, রোজিনা, কবরী, শাবানারা তখন ছবি করা কমিয়ে দিয়েছেন বা তথাকথিত লাস্যময়ীর নায়িকার পরিবর্তে মূলত অভিনেতা হিসেবে প্রধান চরিত্র করছেন। চম্পা আর ইলিয়াস কাঞ্চনের জুটির তখন রমরমা অবস্থা। এই সময় কাঞ্চনের সাথে কোন কারনে চম্পার বড় ধরনের মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। মূলত কাঞ্চনের উপর প্রতিশোধ নিতে এবং নিজের জন্য তরুন নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চম্পা দ্বিতীয় সারির নায়ককে মান্না টেনে উপরে তুলে আনেন। চম্পার পীড়াপীড়িতেই পরিচালক অনিচ্ছাসত্ত্বেও কাসেম মালার প্রেম ছবিতে মান্নাকে নিতে বাধ্য হন। বিষ্ময়করভাবে এই ছবিটা সুপারহিট হয়। এরপর আরও কিছু ছবি যেমন প্রেম দিওয়ানা, ডিসকো ড্যান্সার ইত্যাদিতে চম্পা মান্নাকে সুযোগ পাইয়ে দেন। চম্পা-মান্নার কথিত প্রেম তখন বেশ আলোচিত ছিল যদিও দু'জনেরই তখন সংসার আছে।
কয়েক বছর পর মৌসুমী, শাবনুরদের আগমনে চম্পার বাজার পড়ে যায় আর মান্না তড়তড় করে উপরে উঠতে থাকেন। মান্নার খারাপ সময়ে চম্পা যে সাহায্য করেছেন, চম্পার খারাপ সময়ে মান্নার পক্ষে সেটা করা সম্ভব হয়নি কারন চম্পা তখন প্রায় ১৫-১৬ বছর নায়িকা হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে বয়স্ক অভিনেত্রীর তালিকায় ঢুকে গেছেন। বিষয়টাকে চম্পা মান্নার পক্ষ থেকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:১১
কবি ও কাব্য বলেছেন: বস অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম। অনেক ধন্যবাদ।
উপরের গল্পটা আমি জানি। আসলে ঐ কঠিন সময়ে মান্না অনেক ফাইট করেই এগিয়েছে এবং নিজেকে সুযোগ পেয়ে প্রমান করতে পেরেছে। এইজন্য মান্নাকে সবসময় আমি আলাদা একটা জায়গায় রাখী। কারন সে যাদের সাথে লড়াই করে নিজেকে প্রমান করেছে সেটা বাংলাদেশের আর কোন নায়ক পারেনি এবং ১০ বছরেরও বেশী সময় সে একা পুরো চলচ্চিত্রটাকে টেনে নিয়ে গেছে। তাঁকে ঘিরেই নবিন-প্রবীণ সব প্রযোজক ও পরিচালক লাভবান হয়েছে। একের পর এক সুপারহিট ছবি দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছিল চলচ্চিত্রের খুব খারাপ সময়ে।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৪৭
সাগর চক্রবতী বলেছেন: ময়নামতি সিনেমাটা খুজছি..............
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:১৬
জানকিরান বলেছেন: ভাই ভাল লাগল। আমি দিন দিন আপনার ভক্ত হয়ে উঠছি।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৮
কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগার জন্য। আমাকে ভালোবেসে ভক্ত হওয়ার মতো কোন কিছুই আমার মাঝে নেই। আপনার কথায় খুব লজ্জিত হলাম।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৬
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: সালমান শাহয়ের মৃত্যুর পরে মান্না একাই ছিল বাংলার রাজা। বেশি পছন্দ করতাম না। অবশ্য ওর কোন ছবি তেমন ভাবে দেখ হয়নি। কদিন আগে মিনিস্টার ছবিটি দেখলাম। ভাল লাগলো। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতির কিছুটা হলেও তুলে ধরতে পেরেছে ঐ ছবিতে। এমন ছবি আরো দরকার।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩০
কবি ও কাব্য বলেছেন: মান্নার ছবি না দেখলে মান্নাকে বুঝতে পারবেন না। উপরে যতগুলো ছবির নাম দিয়েছি সবগুলো দেখার চেষ্টা করবেন ,দেখবেন আপনি নিজেও মান্নাকে পছন্দ করা শুরু করেছেন। মান্নার এমন কিছু ছবি আছে যা মান্না ছাড়া হয়তো আমরা পেতাম না।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৪৩
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট
তবে ব্যক্তি মান্নাকে শ্রদ্ধা করলেও, তাঁর অভিনয়টাকে আামার তেমন পছন্দ না। একিই ঢঙগের ডায়লগটা বেশি চোখে লাগতো।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ। মান্নার নিজস্ব একটা স্টাইল তিনি দাঁড় করিয়েছিলেন। উপরে দেয়া ছবির লিংকগুলো থেকে ছবিগুলো দেখবেন তাহলে বুঝবেন যে একঘেয়েমি ছিল না।
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪
জাহিদ১১মে বলেছেন: আসলেই একজন জাত অভিনেতা। তারে আমি পছন্দ করতাম না। কারন আমি রুবেল এর ভক্ত। কিন্তু আম্মজান,কষ্ট দেখার পর তার অভিনয় আমার ভাল লাগত।এই দুই ছবিতে সে যা অভিনয় করেছে আমার মনে হয়না অন্য কোন নায়কের পক্ষে করা সম্ভব ছিল।আমি মনে করি কাজী হায়াতের জন্যই মান্নার এই অবস্থানে আসা।
তার জিবদ্দসাই হলে গিয়ে তার একক কোন ছবি আমি দেখিনায় শুধু মাত্র "ভেজা বেড়াল" ছাড়া। কারন এইটা দেখে ছিলাম শহিদুল ইসলাম খোকন এর জন্য ।কিন্তু টিভিতে তার মৃত্যুর পর তার ছবির প্রচার করার হিরিক পরে যায়। সেই ছবিগুলা সব দেখার চেস্টা করেছি। যদিও সে অনেক গালাগালি আর চিল্লাচিল্লি করত সিনেমায় তবুও তার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। রাজনৈতিক পেক্ষাপট তার ছবিতে ছাড়া আর কারো ছবিতে তেমন দেখা যেতনা।খুবই ভাল একজন অভিনেতা।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:০৩
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ। মান্নার দাঙ্গা, ত্রাস, আম্মাজান, কষ্ট,শান্ত কেন মাস্তান, সমাজকে বদলে দাও, মিনিস্টার, তেজী, বর্তমান ছবিগুলো দেখলে বুঝা যায় যে একজন জাত অভিনেতা ছিল। ছবিগুলোতে মান্না ছাড়া অন্য কেউ থাকলে এমন চমৎকার লাগতো না। তাঁর একাধিক ছবি আছে রাজনৈতিক বক্তব্যধর্মী ও সাহসী প্রতিবাদ।
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৮
বাংলার চে বলেছেন: বাংলা ছবিতে অশ্লীলতা বলতে যা বুঝায় তা প্রথম আগমন ঘটে মমতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত প্রেম দিওয়ানা ছবিতে। মান্না ও চম্পা একে অপরের জিহ্ববা লেহনের দৃশ্যটি এখনো মনে পড়ে। তখন থেকেই বাংলাছবিতে অশ্লীলতা শুরু হয়।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:০৭
কবি ও কাব্য বলেছেন: আসলে প্রেম দিওয়ানা ছবিটা আলমগীর পিকচারস এর ছবি যা বাংলাদেশের প্রথম সারির শীর্ষে একটি প্রযোজনা সংস্থা ছিল এ কে এম জাহাঙ্গীর খানের। আকবর ও জাহাঙ্গীর খান চেয়েছিলেন বলেই হয়তো মান্না চম্পার এমন দৃশ্য ছিল। এছাড়া নায়িকা সঙ্গিতারও একটি গান ছিল যেটা সমালোচিত হয়েছিল। তবে ছবির গল্পটা দারুন ছিল এবং হুমায়ুন ফরিদি পুরো অসাধারন ছিল। যার ফলে ছবির সুপারডুপার হিট ব্যবসা করে এবং পরবর্তী ছবি গুলোতে মান্নাকে নিয়েই কাজ করেন এ কে এম জাহাঙ্গীর খান যেগুলোও ছিল ব্যবসাসফল ছবি।
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১৭
উসীমজদ্দীন বলেছেন: আশির দশকে আমরা যারা কিশোর বয়সী ছিলাম তারা বেশীর ভাগই রুবেলের ভক্ত ছিলাম। নব্বই দশকের শেষের দিক পর্যন্ত রুবেলেন সব ছবিই আমার দেখা হয়েছিল। ঐ সময়ে মান্নার দাঙ্গা,ত্রাস,প্রেম দিওয়ানা ছবিগুলো দেখেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মান্না এত বড় অভিনেতা হবে তা ভাবিনি। একসময় মান্না ছিল চম্পা নির্ভর নায়ক। সে সবচে ভাল অভিনয় করত পলিটিক্যাল ছবিগুলোতে।
কিছুদিন আগে নায়ক রুবেলকে দেখেছি এইম ওয়ে নামক এক এমএলএম কোম্পানীর সাথে কাজ করছে। নিজের পরিচিতিকে ব্যবহার করে যারা সাধারন মানুষকে ধোঁকা দেয় তাদের নীতি নৈতিকতা বলতে কি কিছু আছে। অথচ আমরা এক সময় এই লোকগুলোর কি পরিমান ভক্ত ছিলাম তা ভাবতেই অবাক লাগে।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও ৮০র দশকের একজন। আমি নিজেও রুবেল এর একজন ভক্ত। কিন্তু রুবেল এর ছবি খোকন ছাড়া বাকী সবারই একই ধরনের কাহিনী । ৯০র শুরুতে মান্নার দাঙ্গা, ত্রাস দেখে মান্নার ভক্ত হয়ে যাই। এরপর ২০০১ পর্যন্ত মান্নার কোন ছবি বাদ দেই নাই। মান্নার ছবি আসলেই হলে বন্ধুদের দল নিয়ে প্রথম দিনেই হাজির হতাম। সত্যি বলতে কি যে মান্নার ছবি দেখে যত তৃপ্তি ও আনন্দ পেয়েছি অন্য কোন নায়কের ছবি দেখে এতো আনন্দ ও তৃপ্তি পাইনি। ৯৭ তে যখন ডিপজল তেজী ছবিতে ভিলেন হয়ে আসে তখন তো জোশ লাগতো মান্না- ডিপজল এর চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জ। মান্না- ডিপজল যে ছবিতে থাকতো সেই ছবি দেখা লাগবেই এটা ছিল আমাদের বন্ধুদের নতুন ভালোলাগা। সবগুলো ছবিতে মান্না- ডিপজল মানেই ফাটাফাটি রসায়ন।
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:২১
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: আপনার এ ধরনের পোষ্টগুলো দারুন লাগে আমার। এভাবে একটা ব্যক্তি/বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিলে আসলেই আমরা অনেক উপকৃত/ খুশী হই।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ। বাংলা চলচ্চিত্র সম্পর্কে এই প্রজন্মকে একটি ভালো ধারনা দেয়ার জন্যই আমার এই রকম পোস্ট দেয়া বারবার। এতে যদি নতুন প্রজন্ম বাংলা চলচ্চিত্র সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে তাতেই আমি সার্থক।
১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০২
ঘুম িপ্রয় বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাই।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০০
কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনাকেও স্বাগতম।
১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আসলেই।
কিছু মুভি ছিলো, যেখানে বিকল্প ভাবার সুযোগ নেই।
পুরো ইন্ড্রাষ্টিতে মান্না ই ওই মুভিগুলোতে পার্ফেক্ট।
তার অনেক মুভি দেখেছি। বলা যায় বাংলা মুভি শুধু তার ই দেখেছি।
রাজনৈতিক বক্তব্যই কারণ।
বেশ পুরানো একটা মুভি দেখেছিলাম কোন এক রমজানে। তখন হলে রমজান মাস মানেই পুরানো মুভি আসত।
মুভি, দাংগা।
এর পর আর কারো মুভি দেখিনি। বাংলা মুভির কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে সত্যিই অসাধারণ ছিলো।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফ ভাই। আপনার সাথে পুরোই সহমত পোষণ করছি। মান্নার মতো রাজনৈতিক বক্তব্য প্রধান ছবি ও সাহসী প্রতিবাদী ছবি আর কোন নায়কের নেই। তাঁর দেশদ্রোহী ছবিটা দেখে কান্না পেয়েছিল। কিভাবে একজন অভিনেতা পুরো ছবিতে কাঁদতে কাঁদতে সংলাপ বলে সেটা মান্না প্রমান করেছিল। ছবিটা ছিল আমাদেরই সমাজের একটি বাস্তব চিত্র।
১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫৮
লিন্কিন পার্ক বলেছেন: ++++++
মান্না মারা যাওয়ার পর থেকেই সম্ভবত শাকিবের একক আদিপত্য বিস্তার করে । মান্না থাকলে মনে হয় তা হত না । মান্নার অভিনয় অনেক ভাল লাগত । তাঁর মৃত্যুতে খুবই কষ্ট পাইছিলাম
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৬
কবি ও কাব্য বলেছেন: হ্যাঁ, মান্নার মৃত্যুর পরেই শাকিব একক আদিপত্য বিস্তার করে। মান্না বেঁচে থাকলে আমরা আরও অনেক ভালো কিছু ছবি পেতাম।
১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৪
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: মান্না আমার প্রিয় অভিনেতা ছিলো না। তারপরেও তাকে সব সময় শ্রদ্ধা করতাম, করি।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭
কবি ও কাব্য বলেছেন: রুমান ভাই আপনি পোস্টে দেয়া ছবির লিংক গুলো তে গিয়ে সবগুলো ছবি দেখলে মান্নার সম্পর্কে আপনার ধারনা কিছুটা হলেও বদলাবে। এমন ছবি মান্না থাকাতেই আমরা পেয়েছিলাম ।
১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:১৯
দিপ বলেছেন: পুরো পোষ্টটা অপুর্ন ঠেকছে।
কেননা, আপনি মান্নার সেরা অভিনয় করা মুভি দুটো আপনি একবারও উল্লেখ করেননি।
কাবুলি ওয়ালা
আমি জেল থেকে বলছি
দুটো দিয়েই বোধহয় জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার পেয়েছে।
মান্নাকে আমার প্রচন্ড পছন্দ ।
২০০০ এর পরে মান্নার হাতে গোনা কয়েকটা মুভি বাদ গিয়েছে।
বাকি সব দেখা।
মান্নার ভালোলাগা চলচিত্রের মধ্যে
আম্মাজান
দাফন
বর্তমান
বাস্তব
আমি জেল থেকে বলছি
কাবুলিওয়ালা
কষ্ট
জীবন এক সংঘর্ষ
স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ
স্বামী ছিনতাই
মাষ্টার
সিটি টেরর
আমার মা
এইগুলো অন্যতম।
মান্না খুব সাহসি একজন অভিনেতা ছিলেন।
অনেক মুভির ডামী নিজেই করেছেন।
এতটাই আত্নবিশ্বাসী ছিলেন যে, কাজী হায়াত যখন ভাবলেন কাবুলিওয়ালা বানাবেন, মান্না বললো, সে করবে।
একমাত্র মান্নার উপরে ভরসা করেই কাজী হায়াত এরকম অসাধারন একটা চলচিত্র বানালেন।
আর তাছাড়া, মান্না অভিনেতাদের এবং পরিচালকদের প্রভাবিত করেছিলেন।
অনেকে এসেছে যারা মান্নার ষ্টাইল নকল করতে চেয়েছে।
কেউ টিকতে পারেনি।
কাজী হায়াতের ছেলে কাজী মারুফ কিছু মান্না টাইপ সিনেমা করলেও বেশী সাফল্য পায় নি।
কিন্তু মান্নার মৃত্যুর পর কাজী মারুফ মান্নার সিডিউল দেওয়া অনেক ফিল্ম করেন।
মান্না দর্শকের উপরে বিস্তর প্রভাব ফেলেছিল।
আম্মাজান দেখে মাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করেনি এমন মানুষ খুব কম আছে।
মান্নার ন্যায় নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে
হোক তারা রিক্সওয়ালা।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য।
সামাজিক একশন নিয়ে পরিপুর্ন পোষ্টের জন্য অপেক্ষায় আছি।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩
কবি ও কাব্য বলেছেন: কাবুলিওয়ালা ও জেল থেকে বলছি ছবিটা দেখেছিলাম। কাবুলিওয়ালা ছবিটা ভালো লেগেছিল কিন্তু জেল থেকে বলছি ছবিটা বেশী ভালো লাগেনি।
মান্না না থাকলে যন্ত্রণা, দাঙ্গা, ত্রাস, আম্মাজান, তেজী, সমাজকে বদলে দাও, বর্তমান, শান্ত কেন মাস্তান, রুটি, মিনিস্টার, নেতা, বাবার জন্য যুদ্ধ এমন কিছু অসাধারন ছবি আমরা পেতাম্না। সেই সব ছবিতে মান্না যে অভিনয় দেখিয়েছিল তা এককথায় অসাধারন দুর্দান্ত ।
সামাজিক ছবি নিয়ে পোস্ট দিবো তাঁর আগে 'টাকা আনা পাই' নিয়ে একটা বিশেষ পোস্ট দিবো।
১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫
দূর্যোধন বলেছেন: সাবাস!অনেকগুলো ভিডিও লিংক পেলাম!কিভাবে যোগাড় করলেন?
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫
কবি ও কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ দুর্যোদা। ইউটিউব খুঁজে অনেক কষ্টে এতগুলো ছবির এক ক্লিপ্সের পুরো ভিডিও পেলাম। ছবিগুলো দেইখেন। আশাকরি ভালো লাগবে।
১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫
আমাকে এক থাকতে দাও বলেছেন:
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১
কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫
ইমরান খান সবুজ বলেছেন:
কাবুলিওয়ালা সিনামাটা বেশি ভাল লেগেছে।
২০| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৭
মাগুর মাছ বলেছেন: এত কষ্ট করে এমন বিশাল আর তথ্যবহুল পোষ্ট উপহার দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পোষ্টে অবশ্যই প্লাস।
এত বড় লেখায় ছোট্ট একটা ভুল আছে মনেহয়। মান্নার প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত ছবির নাম "পাগলি" না। সেটা হবে "পালকি"।
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৫৯
কবি ও কাব্য বলেছেন: Pagli & Palki Ek Chobi noy . Palkite Bulbul, faruk chilo mannar sathe. Pagli 84 er chobi & Palki 86/87 er chobi.
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:১৫
দিপ বলেছেন: প্রথম ভালোলাগা।
পরীক্ষা দিয়ে এসে পুর্নদৈর্ঘ্য কমেন্ট করবো।