নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কদমা

কদমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন সজাগ হই : ফেলানিকে গুলি করা রাইফেলটিও আমাদের টাকায় কেনা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫১

অনেক দিন থেকেই হিসাব টা নিয়ে ভাবছিলাম । আমি আমার আম জ্ঞান আর অনুভুতি দিয়ে যা বুঝি, তাই সবার সাথে শেয়ার করছি ।



ভারতের সাথে আমাদের বানিজ্য বৈষম্য ৩০০ কোটি ডলার, এবং তা ভারতের পক্ষে । আমরা নাকি প্রতি বছর ভারতের ৩৫০ কোটি ডলারের পন্য কিনি, আর ভারত কেনে আমাদের মাত্র ৫০ কোটি ডলারের পন্য ।



এই বিরাট ফারাকের কারন টা কি ! প্রধানত আমরা যথেচ্ছা ভারতিয় পন্য কিনি । মানে দরকারে অদরকারে নিজেদের দেশের পন্য না কিনে ভারতিয় পন্য কিনতে ধিধা করি না । কিন্তু ভারতিয়রা তা করে না । ওরা যথেষ্ট হিসাব করে বাংলাদেশি পন্য কেনে । বিশেষ ক'টি পন্য ছাড়া আমাদের পন্যের মান ভারতের থেকে কোন অংশেই কম নয় । উদাহরন হিসেবে টয়লেট্রিজ এবং ফার্মাসিউটিক্যালের কথা বলা যায় ।



অনেকেই বলবেন ভারতের জিনিষ না কিনলে আমাদের চলবে না । কিন্তু সব পন্যের বেলায় কথাটা খাটে না । মনে করুন মাত্র ১ বছর যদি আমরা ভারতের পেয়াজ না কিনে দেশি পেয়াজ কিনি । তাহলে ১ বছর আমাদের বেশি দামে পেয়াজ কিনতে হবে ঠিকই কিন্তু পরের বছর গুলোতে দেশি পেয়াজে বাজার সয়লাব হয়ে যাবে । ২ বছর যদি ভারতের গরু আমদানি বন্ধ রাখা হয়, তবে দেশে গড়ে উঠবে হাজার হাজার গড়ুর খামার, কর্মসংস্থান হবে হাজার হাজার । ভারত-পাকিস্তানের সালোয়ার কামিজের মত ড্রেসগুলো যদি আমরা না কিনি, তাহলে দেশিয় বুটিক শিল্প প্রান পাবে ।



আমরা ভারতিয় টিভি দেখে আর ভারতের ল্যাহেঙ্গা ধরনের ড্রেস, ওষুধ, সাধারন খাবার ইত্যাদি নিত্যপ্রয়জনিয় নয় এমন অনেক পন্য কিনি, যা ভারতিয়রা করে না । আমার জ্ঞান বলে আমরা ভারতের কাছ থেকে যে পন্য সারাবছর কিনি, তার অন্তত ৩ ভাগের ১ ভাগ আমরা অপ্রয়জনে কিনি । অর্থাত ১০০ কোটি ডলার আমরা মিছেমিছি ভারতকে দিচ্ছি প্রতি বছর । আর সে টাকায়ই ভারত ফেলানিদের গুলি করার রাইফেল, বুলেট, বিএসএফ জওয়ানের বেতন-পোষাক সব কিছুর ব্যায় বহন করে ।



যে ঘৃনা ভারত আমার ভেতরে ঢুকিয়ে দিলো, আমি পারত পক্ষে আর ভারতের কিছু কিনবো না ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২০

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আমি যেই শহরে থাকি সেখানে একটা মাত্র রেস্টুরেন্ট ছিল , রেস্টুরেন্ট এর মালিক বাংলাদেশী ! পচা গান্ধা সব ডেকচি ভরে রান্না করতো আর সবাইরে খাওয়াইতো ।আর সবাই চোখ বুঝে খেয়ে যেতো ,কিছুই করার ছিলনা কারণ আশে পাশে কোন রেস্টুরেন্ট নাই !! তো এইভাবে ২-৩ বছর গেছে , তো হঠাৎ এক ইন্ডিয়ানি অনেক বড় করে একটা রেস্টুরেন্ট খুলে বসেছে ।তাই বাঙালী , পাকিস্তানি , হিন্দি সবাই সেই ইন্ডিয়ানির রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া শুরু করলো ।এমন কি আমিও যেতাম ,কারণ বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে এর খাবার এতই নিন্ম মানের যে সবাই বাধ্য হয়েই সেই ইন্ডিয়ানির রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেতো । বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট এর উপরের তালায় যেই লোকেরা ভাড়া থাকে তারাও আধা মাইল হেটে গিয়ে সেই ইন্ডিয়ানির রেস্টুরেন্টে গিয়া খানা খেয়ে আসতো । হ্যা তাদের মাধ্যে দেশ প্রেম আছে ,মাস শেষ হলে হুন্ডিতে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংক এ ২-৩ ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকে দেশে টাকা পাঠায় !!কিন্তু তাই বলে পচা গান্ধা খাবার খাবো দেশপ্রেমের খাতিরে তাও আবার টাকা দিয়ে !!

তার পর কি সেই রেস্টুরেন্ট এর মালিক পরিচিত এক বড় ভাই এর বুদ্ধি নিয়ে ভালো টাককা খানার আয়োজন করতে লাগলো তার রেস্টুরেন্টে ! ৩ মাস না যেতেই সব পাবলিক আবার সেই বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া শুরু করলো
মাঝে মাঝেই ফেইস বুক ব্লগে ভারতের পন্য বর্জনের ডাক উঠে , কিন্তু ভারতীয় পন্য বর্জনের ডাক দেওয়ার আগে আমাদের পন্যের মান ভালো করা উচিৎ !!দেশপ্রেমের খাতিরে তো আর পচাগলা খাবার খেয়ে পেট নষ্ট করা যাবেনা । ভারতীয় টিভি চ্যানেল গুলা বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে আর এই জন্য একমাত্র দ্বায়ি বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল গুলা । বস্তা পচা সব অনুষ্ঠান দিয়ে ভরে রাখে , রাত নাই দিন নাই খালি টকশো টকশো :( আর বিজ্ঞাপন শুরু হলে তো আর শেষ হওয়ার নাম নাই !! আর মুভি নিয়ে কি আর কমু বাংলাদেশের মুভির প্রিন্ট দেখলে মনে হয় সেই ১৯৩৪ সালের সাদা কালো মুভি চলতাছে না আছে কালার না আছে রংচঙ মদায়র বস্তা নায়ক নায়িকা !!
আগে নিজের দেশেটা ঠিক করতে হবে তাহলেই না অন্য দেশেরটা বর্জন করা যাবে ! আর তা না করতে পারলে এই চাহিদা পূরণ করবে কেঠায় ।
আগে দেশী পন্যের মান ভালো করতে হবে তায় না হলে এই বস্তা পচা-গান্ধা জিনিশ মাইনসে খাইবোনা !!

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

অকপট পোলা বলেছেন: একমত!

আমাদের কিছু পন্য যেমন বিশ্বের সব জায়গায় পৌছে গেছে, চেস্টা করলে এসব খাদ্য, বস্ত্রেও স্বয়ংসম্পুর্নতা অর্জন সম্ভব। আর দাম? চাহিদা আর অধিক উৎপাদন থাকলে দাম কমে আসবেই।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আমি যেই শহরে থাকি সেখানে একটা মাত্র রেস্টুরেন্ট ছিল , রেস্টুরেন্ট এর মালিক বাংলাদেশী ! পচা গান্ধা সব ডেকচি ভরে রান্না করতো আর সবাইরে খাওয়াইতো ।আর সবাই চোখ বুঝে খেয়ে যেতো ,কিছুই করার ছিলনা কারণ আশে পাশে কোন রেস্টুরেন্ট নাই !! তো এইভাবে ২-৩ বছর গেছে , তো হঠাৎ এক ইন্ডিয়ানি অনেক বড় করে একটা রেস্টুরেন্ট খুলে বসেছে ।তাই বাঙালী , পাকিস্তানি , হিন্দি সবাই সেই ইন্ডিয়ানির রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া শুরু করলো ।এমন কি আমিও যেতাম ,কারণ বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে এর খাবার এতই নিন্ম মানের যে সবাই বাধ্য হয়েই সেই ইন্ডিয়ানির রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেতো । বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট এর উপরের তালায় যেই লোকেরা ভাড়া থাকে তারাও আধা মাইল হেটে গিয়ে সেই ইন্ডিয়ানির রেস্টুরেন্টে গিয়া খানা খেয়ে আসতো । হ্যা তাদের মাধ্যে দেশ প্রেম আছে ,মাস শেষ হলে হুন্ডিতে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংক এ ২-৩ ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকে দেশে টাকা পাঠায় !!কিন্তু তাই বলে পচা গান্ধা খাবার খাবো দেশপ্রেমের খাতিরে তাও আবার টাকা দিয়ে !!

তার পর কি সেই রেস্টুরেন্ট এর মালিক পরিচিত এক বড় ভাই এর বুদ্ধি নিয়ে ভালো টাককা খানার আয়োজন করতে লাগলো তার রেস্টুরেন্টে ! ৩ মাস না যেতেই সব পাবলিক আবার সেই বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া শুরু করলো
মাঝে মাঝেই ফেইস বুক ব্লগে ভারতের পন্য বর্জনের ডাক উঠে , কিন্তু ভারতীয় পন্য বর্জনের ডাক দেওয়ার আগে আমাদের পন্যের মান ভালো করা উচিৎ !!দেশপ্রেমের খাতিরে তো আর পচাগলা খাবার খেয়ে পেট নষ্ট করা যাবেনা । ভারতীয় টিভি চ্যানেল গুলা বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে আর এই জন্য একমাত্র দ্বায়ি বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল গুলা । বস্তা পচা সব অনুষ্ঠান দিয়ে ভরে রাখে , রাত নাই দিন নাই খালি টকশো টকশো :( আর বিজ্ঞাপন শুরু হলে তো আর শেষ হওয়ার নাম নাই !! আর মুভি নিয়ে কি আর কমু বাংলাদেশের মুভির প্রিন্ট দেখলে মনে হয় সেই ১৯৩৪ সালের সাদা কালো মুভি চলতাছে না আছে কালার না আছে রংচঙ মদায়র বস্তা নায়ক নায়িকা !!
আগে নিজের দেশেটা ঠিক করতে হবে তাহলেই না অন্য দেশেরটা বর্জন করা যাবে ! আর তা না করতে পারলে এই চাহিদা পূরণ করবে কেঠায় ।
আগে দেশী পন্যের মান ভালো করতে হবে তায় না হলে এই বস্তা পচা-গান্ধা জিনিশ মাইনসে খাইবোনা !!


সব বলা হয়ে গেছে। একমত...

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

ভোরের সূর্য বলেছেন: লেখক ভাই কে বলছি।বার বার ফেলানী কে নিয়ে লেখাতে এই ছবিটা কি না দিলেই নয়? প্রতিকী ছবি ব্যবহার করা যায়না? আজকে এই মেয়েটা যদি আপনার বা আমার মেয়ে বা বোন হত তাহলে কেমন লাগতো বার বার এই ছবিটা দেখতে?লিনকটি দেখুন দয়া করে।
Click This Link

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

কদমা বলেছেন: দু:খিত, আপনার কথাটা আমার গ্রহনযোগ্য বলে মনে হলো না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.