নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে আপাতত কিছুই বলতে চাইছি না।

ককচক

ককচক নিকটা মূলত বকবক করার জন্য ওপেন করা হয়েছে

ককচক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারের উচিত জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সকলপ্রকার সেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া এবং বাজার মনিটরিং করা!

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৩




আইএমএফের শর্ত মেনে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জনজীবনে। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে শহরের জনজীবনের অবস্থা গণমাধ্যমে কিছুটা উঠে আসছে। মানুষ যানবাহন পাচ্ছে না, যানবাহন তথা জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সেবারগুলোর মূল্য বেড়েছে....
কিন্তু মফস্বলের কি অবস্থা?! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে মফস্বলের দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষজন কি কি সমস্যার সম্মুখীন হবেন?! আমি গ্রামের মানুষ। আমার শৈশব কৈশোর কেটেছে গ্রামে... তাই জ্বালানির অকল্পনীয় মূল্যবৃদ্ধির পর থেকেই মফস্বল বা গ্রামের খেটে-খাওয়া মানুষদের বিবর্ণমুখ আমার চোখে ভাসছে। আমি ভাবছি গ্রামাঞ্চলের কৃষির সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী বা সেবাদাতা ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলা (মিনি রাইস মিল বা ছোট ছোট ধানভাঙ্গার মেশিনের মালিকগণ, জমি চাষ, পানি সেচ তথা কৃষিতে ব্যবহৃত পেট্রোল- ডিজেলচালিত যন্ত্রপাতির মালিকগন) তাদের সেবার মূল্য কত পার্সেন্ট পর্যন্ত বাড়াতে পারেন সেটা নিয়ে! ভাবছি, গাড়ি চালকদের সমিতিগুলা ছোটছোট যানবাহনের ভাড়া কত টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে?! সেবা বা পণ্যের মূল্য মাত্রাতিরিক্ত বাড়ালে গ্রামীণ মানুষজন সারভাইভ করবে কিভাবে?!

জ্বালানী মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সেবাগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া ও নিয়মিত মনিটরিং করা দেশের সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সরকারের সেই ক্ষমতা বা সদিচ্ছা আছে বলেও মনে হচ্ছেনা। অতীতে দেখেছি, বছরে একাধিকবার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু সরকার কখনো জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার চেষ্টা করেনি। প্রতিবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর যানবাহনের ভাড়া বা সংশ্লিষ্ট সেবার মূল্য নিয়ে মফস্বলে ছোটবড় হইহট্টগোল, মারদাঙ্গা বা কনফ্লিক্ট হয়েছে... এবং আস্তে আস্তে বেসরকারিভাবেই সংশ্লিষ্ট সেবাগুলোর একটা মূল্য নির্ধারণ হয়েছে। অথচ জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধির পরপরই জ্বালানী সংশ্লিষ্ট সবধরনের সেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া ও নিয়মিত মনিটরিং করা সরকারের দায়িত্ব ছিলো।
শুধু জ্বালানি নয়,
জনভোগান্তি নিরসনে জনবান্ধব সরকারের দায়িত্ব অঞ্চলভেদে যেকোনো সেবা বা পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া এবং নিয়মিত মনিটরিং করা। আমাদের দেশের কোনো সরকারই এইসব দায়িত্ব পালনের গুরুত্ব অনুধাবন করেনি। ফলে জ্বালানি বা অন্যকোন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হলে সাধারণ মানুষ প্রচুর ক্ষতি বা ভোগান্তির সম্মুখীন হন।
সাধারণ মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যারা হন তারা হচ্ছেন মফস্বলের দরিদ্র কৃষক। আমি দেখেছি, ধনী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে কৃষিকাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে (জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে) উচ্ছমূল্যে সেবা দিচ্ছেন এবং ফসল উৎপাদনের পর সিন্ডিকেট গড়ে সল্প মূল্যে ফসল ক্রয় করছেন।
'জমি চাষ থেকে ফসল বিক্রি পর্যন্ত' সময়টা ভালোভাবে অবজারভার করলে কমনসেন্স আছে এমন যেকোনো মানুষই ব্যাপারটা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারবে। বুঝতে পারবে কথা দিনদিন দেশের মানুষজনের কৃষিতে আগ্রহ কেনো হারিয়ে যাচ্ছে।

এনিওয়ে,
কয়েকমাসের ব্যবধানে জ্বালানি বেড়ে প্রায় দিগুণ হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের উচিত জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সকলপ্রকার সেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীদের সর্বনিম্ন স্যালারি নির্দিষ্ট করে দেওয়া এবং নিয়মিত বাজারে মনিটরিং করা। নইলে জনভোগান্তি, ও অপরাধ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। কবি বলেছেন, ক্ষুধার্ত পেট নীতিকথা মানে না, বুঝেনা ন্যায় অন্যায়.... ভালো মন্দ!

ছবিঃ গোগল থেকে নেওয়া

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কৃষির বেলায় সরকারকে সবসময় নমনীয় হওয়া দরকার।

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৩

ককচক বলেছেন: হ্যা। এইখাতে কয়েকবছর সরকার বুদ্ধি খরচ করলে বা ভুর্তকি দিলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। অথচ বাস্তবতা কৃষকদের নিয়ে সরকার খুবএকটা ভাবে বলে মনে হচ্ছেনা।
কৃষকদের উপকার হবে, কৃষিতে মানুষ আগ্রহী হবে এমন কোনো পদক্ষেপ সরকারকে নিতে দেখিনি!

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাংলাদেশে কি সেটি সম্ভব?

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০০

ককচক বলেছেন: সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সম্ভব। কিন্তু বাস্তবতা, আমাদের সরকারের এমন কোনো ইচ্ছা বা প্ল্যান পরিকল্পনা আছে বলে মনে হচ্ছেনা। সরকারে যারা আছে তাদের মেক্সিমামই তেলবাজ, মিথ্যুক, মগজহীন।
১৩ বছরে মগজহীন, তেলবাজ মানুষগুলা যাদের রাষ্ট্রের কাজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়েছে তারা সরকারে বসে থাকা মগজহীনদের চাইতেও কম মগজওয়ালা। ফলে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিন্ম স্তর পর্যন্ত অযোগ্য লোকদের আনাগোণা। তাই আপাতত স্বপ্ন দেখা বন্ধ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৪

ককচক বলেছেন: হুম। অবস্থা এতো ভয়াবহ হয়েছে যে ইতিবাচক চিন্তা ভাবনাগুলারে আষাটের কল্পনা মনে হচ্ছে।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সামনে খুব কঠিন সময় আসতেছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৭

ককচক বলেছেন: জ্বী। কঠিন সময় সারভাইভ করার জন্য সবার মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করা উচিত।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:২৬

কাজী হাসান সোনারং বলেছেন: সময়োপযোগী প্রস্তাবনা! সুন্দর লেখা।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৭

ককচক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:১০

বিটপি বলেছেন: আমি একমত হতাম যদি বাংলাদেশের ১০% মানুষকেও বিশ্বাস করা যেত। চোর বাটপারে ভর্তি এই মহান দেশে এই কৌশল কোন কাজে দেবেনা। তার চেয়ে সরকারের উচিৎ তেল সব জায়গায় একই দামে বিক্রি করা কিন্তু পরিবহণ সেচ ও উৎপাদনশীল খাতে ভর্তুকি দেওয়া। সেটা হতে পারে স্বল্প দামে সার বিতরণ অথবা পণ্য পরিবহণে সংশ্লিষ্ট অন্যন্য ব্যয় কমানোর ব্যবস্থা করার মাধ্যমে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৫

ককচক বলেছেন: পরিবহন খাত, সেচ ও উৎপাদনশীল খাতে ভুর্তকি দেওয়ার সবচেয়ে উত্তম বা কার্যকরী উপায় ছিলো জ্বালানিতে ভুর্তকি দেওয়া। অন্যান্য উপায়ে অর্থাৎ পরিবহন, সেচ ও উৎপাদনশীল খাতে ভুর্তকি দিলে সাধারণ মানুষের উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: এদেশে এটা করা সম্ভব না, সম্ভব হলেও করা হবে না।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৮

ককচক বলেছেন:
ঘুষ, স্বজনপ্রীতি, চাটুকারিতা বা তেলবাজি করে আমলাকামলাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। সুন্দর, সময়োপযোগী চিন্তাভাবনা- প্ল্যান পরিকল্পনা করা বা বাস্তবায়নের যোগ্যতা তাদের নাই।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমজনতাকে টার্গেট করে সরকার এখন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে!

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৪

ককচক বলেছেন: সরকারের অবস্থা দেখে ত এটাই মনে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.